গল্প/::: এতিম ছেলে বনাম সিনিয়র আপু। * * * লেখক/:::: রাসেল চৌধুরী * * পর্ব/::::::::::::::: ( ৫ ) :::::::: ( পাঁচ )

 


গল্প/::: এতিম ছেলে বনাম সিনিয়র আপু।

*

*

* লেখক/:::: রাসেল চৌধুরী 

*

* পর্ব/::::::::::::::: ( ৫ ) :::::::: ( পাঁচ )

*

*

*

*

*

*তার পর রিয়া আমাকে যে কথা বললো। সে কথা কখনো আমি রিয়ার থেকে আসা করি নাই। রিয়া এ কথা কিভাবে বলতে পারলো। 


রিয়া/: রাসেল আমি তোকে প্রথম যেদিন আমাদের বাসায় দেখি। তোর সাথে ধাক্কা খাই। সেদিন থেকে আমি তোকে ভালোবেসে ফেলেছি। আমি মনে করছি আরো কিছুদিন পর তোকে ভালোবাসার কথা বলবো। কিন্তু যখন শুনেছি তুই কালকে ঢাকায় ফিরে যাবি, তখন আমার মন টা অনেক খারাপ হয়ে যায়। আমি আর থাকতে পারলাম না, তাই তোকে ছাদে ঠেকে ভালোবাসার কথা বললাম। সত্যি রাসেল আমি তোকে অনেক ভালবাসি। 


এ কথা বলে রিয়া আমাকে জড়িয়ে ধরল। আমি রিয়াকে বন্ধু ছাড়া অন্য কিছু ভাবি নাই। তাই ওর সাথে এতো ফ্রি হয়েছি। কিন্তু রিয়া যে আমাকে ভালোবাসার কথা বলবে। তা আমি কখনো ভাবিনি। আমি রিয়াকে আমার থেকে ছেড়ে বললাম।


আমি/: দেখ রিয়া, আমি তোকে বন্ধু ছাড়া, অন্য কিছু কখনো ভাবিনি। আমি তোকে ভালোবাসতে পারবো না। তুই প্লিজ রাগ করিস না। তুই আমার থেকে অনেক ভালো ছেলে পাবি। আমাকে তুই ভুলে যা।


রিয়া আমার কথা শুনে জোরে জোরে কান্না করে দিলো। তার পর রিয়া বললো। 


রিয়া/: তুই কেনো আমাকে ভালোবাসতে পারবি না। আমি কি দেখতে খারাপ। 


আমি/: কেনো ভালোবাসতে পারবো না। সেটা আমি বলতে পারবো না। আর তুই দেখতে অনেক সুন্দর। 


রিয়া/: ঠিক আছে। জোর করে তো আর কারো ভালোবাসা পাওয়া যায় না। কিন্তু আমি তোকে কখনো ভুলতে পারবো না। তোকে আমি অনেক ভালোবেসে ফেলেছি। 


আমি/: প্লিজ তুই পাগলামি করিস না। দেখবি তুই আমার থেকে ভালো ছেলে পাবি। 


রিয়া/: ঠিক আছে, আমি রুমে গেলাম।


এ কথা বলে রিয়া ছাদ থেকে নেমে গেলো। এই কারনে মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করি না। আমি আর কিছু না ভেবে ছাদ থেকে নেমে নিজের রুমে চলে গেলাম। 


বিছানায় শুয়ে পড়লাম। পরের দিন সবার থেকে বিদায় নিয়ে আমি আর আপু বেরিয়ে আসলাম। রিয়া আর আমার সামনে আসে নাই। 


ডাইভার আমাদের বাস কাউন্টারে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল। আসার সময় আপু একটা কথাও বলে নাই আমার সাথে। আপুর এতো পরিবর্তনে আমার অনেক খারাপ লাগছে। 


আপুর দুষ্টুমি গুলো, কেয়ার করা , সব কিছু মিছ করছি। আগে ঢাকায় ফিরে যাই। তার পর আপুর সাথে কথা বলবো। 


টিকেট কেটে দুজনে বাসে উঠলাম। দুজনের সিট একসাথে পড়েছে। আপু জানালার পাশে গিয়ে বসলো। 


দেখতে দেখতে আমরা ঢাকায় এসে পৌঁছে গেলাম। ডাইভার আনকেল আমাদের নেওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছে। আমি আসার সময় ডাইভার আনকেল কে ফোন দিয়ে আসতে বলেছি। 


দুজনে বাস থেকে নেমে, গাড়িতে গিয়ে বসলাম। আমি ডাইভার আনকেল এর সাথে সামনের সিটে বসলাম। আপু পিছনের সিটে গিয়ে বসলো। 


আপুর দিকে তাকিয়ে দেখি, কার সাথে যেন মোবাইলে চেকিং করছে। আমি আপুর থেকে চোখ সরিয়ে নিলাম। 


কিছুক্ষণ পর বাসায় চলে আসলাম। আপু গাড়ি থেকে নেমে ভিতরে চলে গেল। আমি জামা কাপড় এর ব্যাগ নিয়ে ভিতরে গেলাম। আন্টি বললো।


আন্টি/: কি ব্যাপার রাসেল। তোমরা এতো তাড়াতাড়ি বাসায় আসলে যে। আরো কিছুদিন থাকতে।


আমি/: আন্টি আপুর নাকি কাজ আছে। তাই চলে আসলাম। আর দশদিন তো থেকে আসলাম। 


আন্টি/: ঠিক আছে। তুমি রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো। আমি টেবিলে খাবার দিচ্ছি।


আমি/: ঠিক আছে আন্টি। 


এ বলে নিজের রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে ওয়াস রুমে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে আসলাম। একটা চেয়ার টেনে বসলাম। আপুকে দেখলাম না টেবিলে। তখন আমি আন্টিকে বললাম।


আমি/: আন্টি আপু কোথায়। আপু খাবার খাবে না। 


আন্টি/; ও তো খাবার খেয়ে রুমে চলে গেছে। তুমি খেয়ে নাও।


আমি/: ওহ। 


আমি আর কোনো কথা না বলে খাবার খেয়ে রুমে চলে আসলাম। 


দেখতে দেখতে আরো দশটা দিন চলে গেল। আপুর সাথে কথা বলতে গেলে, আমার সাথে কথা বলে না। এই দশটা দিন, অনেক কষ্টে কেটেছে। 


রিয়াদের বাসায় তেমন কষ্ট পাইনি। কারন রিয়ার সাথে দুষ্টুমি করতে করতে দিন পার হয়ে গেছে। কিন্তু এখানে তো আপুই আমার সাথে সবসময় দুষ্টুমি করতো। 


আমি এখন বুঝতে পেরেছি। আপুর সাথে কথা না বলতে পারলে আমি অচল। আপুর আগের দুষ্টুমি গুলো খুব মিছ করছি। 


আমার মনে হয়, আমিও আপুকে ভালোবেসে ফেলেছি। কিন্তু আন্টি আনকেল কি আমাদের মেনে নিবে। সমাজের মানুষ কি বলবে, । 


আপুকে দেখি এখন সবসময় হাসিখুশি থাকে। কার সাথে যেন মোবাইলে সারাদিন কথা বলে। আপু কি তাহলে অন্য কাউকে ভালোবাসে। 


নাহ, আমার মনের কথা আপুকে খুলে বলতে হবে। রাতে রাফি কে ফোন দিয়ে বললাম, কলেজের সামনে দেখা করতে। রাফি কে বলে দেখি। সে কি বলে। 


আমি একটা জামা গায়ে দিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে একটা রিকশা নিয়ে কলেজের সামনে চলে গেলাম। কিছুক্ষণ পর দেখি রাফি বাইক নিয়ে আমার সামনে আসছে। রাফি বাইক চাইড করে আমার সামনে এসে বললো। 


রাফি/: কিরে হঠাৎ জরুরি দেখা করতে বললি কেন। 


আমি/: আসলে তোর সাথে একটা কথা আমি শেয়ার করি নাই। এখন না করেও পারছি না। 


রাফি/: কি কথা বল। 


আমি/: তাহলে শুন। ( তার পর রিয়াদের বাসা এবং আপুদের বাসা থেকে সব কিছু খুলে বললাম) এখন তুই বল আমি কি করবো। আনকেল আন্টি যদি জানতে পারে, তাহলে তো আমাকে বাসা থেকে বের করে দিবে। তখন আমি কোথায় যাবো। 


রাফি/: তোর এই বন্ধু থাকতে , তোর কোনো সমস্যা নেই। তুই আপুকে তোর মনের কথা খুলে বল। পরের টা পরে দেখা যাবে। 


আমি/: আপু কি এখন আমাকে ভালোবাসবে। আমি তো তার মনে কষ্ট দিছি। 


রাফি/: হয়তো কিছুদিন তোর সাথে অভিমান করে থাকবে। তার পর এমনে এক্সেপ করে নিবে। 


আমি/: আমার মনে হয়, আপু অন্য কোনো ছেলেকে ভালোবাসে। সারাদিন দেখি কার সাথে যেন মোবাইলে হেসে হেসে কথা বলে। 


রাফি/: আগে তুই আপুকে মনের কথা খুলে বল। তার পর দেখ আপু কি বলে। যদি রাজি না হয়, তার পরেও তুই আপুর পিছনে লেগে থাকবি। তোকে যদি সত্যি ভালোবেসে, তাহলে দেখবি , তোর সাথে বেশিদিন অভিমান করে থাকতে পারবে না। তুই আপুর সব অত্যাচার সয্য করে নিবি। 


আমি/: ঠিক আছে। আজকে আমি আপুকে মনের কথা খুলে বলবো। আমি আর থাকতে পারছি না। এই দশটা দিন আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি। 


রাফি/: ওকে, চল তোকে বাসায় নামিয়ে দি। 


আমি/: ঠিক আছে চল।


আমি রাফির বাইকে করে বাসায় চলে আসলাম। রাফি আমাকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল। বাসার ভিতরে ঢুকে দেখি, একটা গাড়ি, কিন্তু গাড়িটা তো আনকেল এর না। তাহলে বাসায় কারা এসেছে। 


আমি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কলিং বেল চাপ দিলাম। খালা এসে দরজা খুলে দিলো। আমি ভিতরে ঢুকে দেখি, আপু শাড়ি পড়ে মেহমান দের সামনে বসে আছে। আবার একটা ছেলে দেখি তাদের সাথে আছে। আনকেল দেখি বাসায়। সবাইকে অনেক খুশি খুশি লাগছে। আমাকে দেখে আনকেল বললো।


আনকেল/: রাসেল, তুমি সকালে কোথায় গিয়েছিলে। 


আমি/: আসলে আনকেল, রাফির সাথে ছিলাম। 


আনকেল/: ওহ, তা দাঁড়িয়ে আছো কেন। বসো। দেখ নাদিয়াকে ওরা দেখতে এসেছে। তাদের নাদিয়াকে পছন্দ হয়েছে। এখন বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করবে। 


নাদিয়া আপুর বিয়ের কথা শুনে, আমার পায়ের নিচের মাটি সরে গেল। এখনি সবার সামনে বলতে ইচ্ছে করছে। নাদিয়া আপু, তুমি বিয়েটা করো না। আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। আমি তোমাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি। 


কিন্তু সেটা আর বলতে পারছি না। তাদের দেখে বুঝা যাচ্ছে,তারা এই বিয়েতে অনেক খুশি। সব চেয়ে বড় কথা হলো। আপুকে ও দেখি অনেক খুশি। 


তাদের এই খুশির মাঝে, আমার ভালোবাসার কথা বলতে পারবো না। আমি চাই না, আমার কারনে তাদের খুশি নষ্ট হয়ে যাক। 


আর ছেলেটা দেখতে অনেক সুন্দর। আপুর সাথে ভালো মানাবে। আমি নিজের কষ্ট চেপে রেখে তখন আমি বললাম। 


আমি/: তাহলে তো অনেক ভালো। তোমরা যেটা ভালো মনে করো। 


আন্টি/: তোর কি ছেলেকে পছন্দ হয়েছে। 


আমি/: ওনাকে পছন্দ না হওয়ার কি আছে। দেখতে অনেক সুন্দর। আপুর সাথে ভালো মানাবে। 


আন্টি/: তাহলে আমরা বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করতে পারি। 


তার পর তারা বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করলো। আগামী শুক্রবার আপুর বিয়ে। আমি আর তাদের মধ্যে না থেকে নিজের রুমে চলে আসলাম। 


দরজা আটকে দিয়ে অনেক কান্না করতে লাগলাম। জীবনে কোন মেয়েকে ভালোবাসি নাই। এই প্রথম একজনকে ভালোবাসলাম। কিন্তু তাকে আর বলতে পারলাম না। বলার আগেই তার বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো। 


হঠাৎ আমার মোবাইল টা বেজে উঠলো। দেখি রিয়া ফোন দিছে। আজকে এতো দিন পরে , রিয়া আজকে ফোন দিছে। চোখের পানি মুছে ফোনটা রিসিভ করলাম। 


আমি/: কিরে কেমন আছিস। 


রিয়া/: আছি কোনো রকম। তুই কেমন আছিস।


আমি/: আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। মামা মামী তারা কেমন আছে। 


রিয়া/: সবাই ভালো আছে। কিন্তু তোর কথা কেমন জানি লাগছে। কি হয়েছে তোর।


আমি/: আমার তো কিছুই হয়নি।


রিয়া/: তুই মনে হয়, আমার কাছে কিছু লুকাচ্ছিস। বল কি হয়েছে তোর। 


আমি/: বলতে পারি। কিন্তু তুই আমাকে কথা দিতে হবে, তুই কাউকে কিছু বলবি না। 


রিয়া/: ঠিক আছে, বলবো না। এবার বল।


আমি/: তাহলে শুন। ( রিয়াকে সব কিছু খুলে বললাম) 


রিয়া/: এটা তুই কি বলছিস। আমি ফুফা ফুফির সাথে কথা বলি। 


আমি/: নারে, তারা শুনলে অনেক কষ্ট পাবে। তারা এই বিয়েতে অনেক খুশি। 


রিয়া/: তাহলে তুই কষ্ট পাচ্ছিস কেনো। 


আমি/: আমি কষ্ট পেলে কিছু হবে না। আমি চাই না আমার কারনে , তাদের আশা ভরসা সব নষ্ট হয়ে যাক। 


রিয়া/: তুই কি পারবি , আপুকে ভুলে থাকতে। 


আমি/: আমাকে ভুলে থাকার চেষ্টা করতে হবে। এই বিয়েতে আপুও রাজি আছে। 


রিয়া): তাহলে আপু যখন তোকে ভালোবাসার কথা বলেছে। তখন রাজি হোস নাই কেনো।


আমি/: তখন তো আমি আপুকে ওই চোখে দেখি নাই। আমার বড় বোনের মতো দেখেছি। আর আনকেল আন্টি এবং সমাজের কথা চিন্তা করে, আপুকে মানা করে দি। 


রিয়া/: তখন যদি রাজি হইতি। তাহলে আজকে আর কষ্ট পেতে হতো না। এখন তুই কি করবি।


আমি/: এখন আমি আপুকে ভুলে থাকার চেষ্টা করবো। আপুর বিয়ে হয়ে গেলে। আনকেল আন্টি একা হয়ে যাবে। তাই আমি চাই বাকিটা জীবন, তাদের সাথে পার করে দিতে। 


রিয়া/: ঠিক আছে, তাহলে ভালো থাকিস। আর যা কিছু করিস, চিন্তা ভাবনা করে করিস। বায়।


এ বলে রিয়া ফোন কেটে দিলো। আমার চোখ দিয়ে আবার পানি পড়তে শুরু করলো। কান্না করতে করতে নিচে ঘুমিয়ে গেলাম। 


রাতে সবাই টেবিলে বসে খাবার খেতে লাগলাম। তখন আনকেল বললো। 


আনকেল/: রাসেল, আমি চাই নাদিয়ার বিয়ের সবকিছু তুমি করবে। 


আমি/: ঠিক আছে আনকেল। 


আন্টি/: আরে রাসেল, তোমার চোখ দুটো লাল হয়ে আছে কেনো। কি হয়েছে তোমার।


আমি/: আসলে আন্টি চোখে কি যেনো পড়েছে। তাই লাল হয়ে গেছে। চিন্তা করবেন না। এমনে ঠিক হয়ে যাবে। 


আমি নাদিয়া আপুর দিকে তাকিয়ে দেখি। একমনে খাবার খেয়ে যাচ্ছে। আমি তার থেকে চোখ সরিয়ে হালকা খাবার খেয়ে রুমে চলে আসলাম। 


রুমে এসে দেখি মোবাইল টা বাজতে আছে। হাতে নিয়ে দেখি রাফি ফোন দিছে। আমি রিসিভ করার পর রাফি বললো।


রাফি/: কিরে কেমন আছিস। আপুকে কি ভালোবাসার কথা বলেছিস। 


আমি/: আমি ভালো আছি। আর আপুকে ভালোবাসার কথা বলতে পারি নাই। 


রাফি/: কেনো , কি হয়েছে।


আমি/: আপুর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। তাই আর আমার মনের কথা খুলে বলতে পারি নাই। 


রাফি/: কি বলছিস তুই। কোথায় বিয়ে ঠিক হয়েছে।


আমি/: ছেলের বাড়ি কোথায়। সেটা বলতে পারবো না। ছেলেটা দেখতে অনেক সুন্দর। তুই আমাকে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে যাওয়ার পর। ( তার পর সব খুলে বললাম)


রাফি/: এটা তুই কি বলছিস। তুই কি পারবি আপুকে ভুলে থাকতে। তুই একবার আনকেল আন্টিকে কথাটা খুলে বল। আর না হয় আপুকে বল। 


আমি/: নারে, আমি চাই না, আমার কথা শুনে তারা কষ্ট পাক। এই বিয়েতে তারা সবাই খুশি আছে। আর নাদিয়া আপুও রাজি আছে। 


রাফি/: আনকেল আন্টির কথা চিন্তা করে, নিজেকে কষ্ট দিবি। তুই কি থাকতে পারবি,।


আমি/' শুন আনকেল আমাকে রাস্তা থেকে তুলে এনে তাদের বাসায় ঠাঁই দিছে। তাদের মতো একটা পরিবার পেয়েছি, আমার মতো এতিম ছেলে কে, নিজের ছেলের মতো দেখেছে। তাহলে আমি এ কথা বলি কেমন করে। আর নাদিয়া আপুকে আমি ভুলে যাবো। কিছুদিন গেলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। 


রাফি/: তুই মানুষ নারে, তুই একটা ফেরেস্তা। তোর মতো বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। 


আমি/: ঠিক আছে, ভালো থাকিস। কালকে থেকে বিয়ের সবকিছু আমাকে করতে হবে। আজকে আনকেল বলেছে। 


রাফি/: ওকে ভালো থাকিস। আল্লাহ হাফেজ।


এ বলে রাফি ফোন কেটে দিলো। আমি নিজেকে যতোই শক্ত রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু আমি তা পারছি না। বার বার আপুর চেহারা টা চোখের সামনে ভেসে আসছে। 


আর কিছু না ভেবে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে। আজকে আমাকে কেউ ডাকতে আসে নাই। মনে হয় কাজে কামে বিজি সবাই। 


আমি বিছানা থেকে নেমে ওয়াস রুমে চলে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে একটা জামা গায়ে দিয়ে নিচে আসলাম। নিচে এসে একজন কে দেখে আমি পুরো অবাক হয়ে গেলাম। 


কাকে দেখে অবাক হলাম, সেটা কালকের পর্বে জানতে পারবেন। 


-Trust me,

 - যারা দুঃখ সহ্য করতে পারেনা।

 - তাদের কপালেই দুঃখ বেশি জোটে ।


- বেলা শেষে মিথ্যে অভিনয়ে।

 - কারো মুখে হাসি আবার কারো চোখের পানি।

*

*

*

* চলবে

*

*

*

* ( গল্পটা কি হ্যাপি ইনিড দিবো। নাকি সেড ইনিড দিবো। সবাই কমেন্ট করে জানাবেন::: আর আগামী পর্বে শেষ করে দিবো)

*

* তো কেমন হয়েছে জানাবেন। ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই কিন্তু লাইক এবং কমেন্ট দিয়ে পাশেই থাকবেন। এতো কষ্ট করে সময় নষ্ট করে আপনাদের জন্য গল্প লিখি। আপনারা লাইক কমেন্ট না করে চলে যান। সবাই বেশি বেশি লাইক এবং কমেন্ট করবেন। 

*

*

* ধন্যবাদ সবাইকে পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন 🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿 রোমান্টিক গল্প লেখক রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post