গল্প/::: এতিম ছেলে বনাম সিনিয়র আপু। " * * লেখক/:::: রাসেল চৌধুরী * * * পর্ব/:::::::::; ( ৪ ) ::::::::::: ( চার )


 গল্প/::: এতিম ছেলে বনাম সিনিয়র আপু।

"

*

*


লেখক/:::: রাসেল চৌধুরী 

*

*

* পর্ব/:::::::::; ( ৪ ) ::::::::::: ( চার ) 

*

*

*

*

*

*

* হঠাৎ আপু আমার সাথে এমন কিছু করবে , সেটা আমি কখনো ভাবতে পারিনি। 


আপু আমাকে জড়িয়ে ধরে ঠোঁটের সাথে ঠোট লাগিয়ে পাগলের মত কিস করতে লাগলো। আমি ছাড়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু আপু আমাকে শক্ত করে ধরে আছে। 


প্রায় পাঁচ মিনিট পর ছেড়ে দিয়ে। কান্না করতে করতে বললো। 


নাদিয়া/: তুই কি কিছু বুঝিস না। আমি কেনো তোকে অন্য মেয়ের সাথে কথা বলতে দি না। তোকে সব সময় চোখে চোখে রাখি। তোর এতো কেয়ার করি। কারন আমি তোকে ভালবাসি। আমি তোকে অন্য মেয়ের সাথে কথা বলতে দেখলে সয্য করতে পারি না। আমি তোকে অনেক ভালবাসি রাসেল। 


আমি তো আপুর কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম। আপু এটা কি বলছে, তখন আমি আপুকে বললাম। 


আমি/: আপু তোমার মাথা কি ঠিক আছে। তুমি এটা কি বলছো। আমি তোমাকে বড় বোনের মতো সম্মান করি। আমি মনে করছি, তুমি আমাকে ছোট ভাই হিসেবে এতো কেয়ার এবং খেয়াল রাখো। 


নাদিয়া/: না, আমি তোকে ভালবাসি বলে , এতো কেয়ার এবং খেয়াল রাখি। প্লিজ রাসেল তুই আমাকে ফিরিয়ে দিস না। 


আমি/: আপু এটা কখনো সম্ভব নয়। তুমি আমার দুই বছরের বড়। এটা পরিবারের এবং আনকেল আন্টি কখনো মেনে নিবে না। সমাজের মানুষ নানান ধরনের কথা বলবে। আমি পারবো না তোমাকে ভালোবাসতে।


নাদিয়া/: তুই যদি আমাকে ভালো না বাসিস। তাহলে আমি নিজেকে শেষ করে দিবো। আমি তোকে ছাড়া বড় অসহায়। আমি তোকে ছাড়া থাকতে পারবো না।


আমি/: এই তোমাদের মতো মেয়েদের বাংলা সিনেমার মতো একটা ডায়লোগ আছে। কাউকে নিজের করে না পেলে, আত্মা হত্যা করবে, হাত কেটে ফেলবে, ছাদ থেকে লাফ দিবে, এবং কি বিষ খাবে। এগুলো ছাড়া আর কি তোমরা কিছু করতে পারো না। 


নাদিয়া/: যাকে ভালোবাসি, তাকে যদি নিজের করে না পায়, । তাই মেয়েরা এসব করতে বাধ্য হয়। আমি তোকে সত্যি অনেক ভালোবাসি। 


আমি/: আপু আমি তোমাকে বোনের মতো জানি। আমি তোমাকে কখনো ভালোবাসতে পারবো না। তুমি এসব বিষয়ে আমার সাথে কথা বললে, আমি তোমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে যাবো। 


নাদিয়া/: না না , তুই কোথাও যাস না। তোকে না দেখলে আমি থাকতে পারবো না। ঠিক আছে, আমি আর কখনো তোকে ভালোবাসার কথা বলবো না। 


আমি/: কথাটা যেনো মনে থাকে। আগে যে ভাবে চলতে, এখন ও সেভাবে চলবে। আমি এখন রুমে গেলাম। 


এ বলে নিজের রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে বিছানায় শুয়ে আপুর কথা গুলো ভাবতে লাগলাম। আপু এটা কেমন করে বললো। আনকেল আন্টি যদি জানতে পারে, তাহলে আমাকে বাসা থেকে বের করে দিবে। 


তার পর আমি কোথায় যাবো। এসব কিছু ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি মনে নাই। সকালে রিয়া রুমে এসে ডাকতে লাগল। 


রিয়া/: ওই রাসেল উঠ তাড়াতাড়ি। 


আমি/: কি হয়েছে, ডাকছিস কেনো। ( ঘুম ঘুম চোখে বললাম)


রিয়া/: আজকে তুই আমার সাথে কলেজে যাবি, তাই তোকে ডাকতে আসলাম। 


আমি): আমি তোর কলেজে যাবো কেনো। আমি তো তোর কলেজে পড়ি না।


রিয়া/: সেটা তো আমি জানি। তোকে আমাদের কলেজ টা ঘুরে দেখাবো। তাড়াতাড়ি উঠ।


আমি/: ঠিক আছে, তুই যা, আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি। 


রিয়া আর কোনো কথা না বলে, আমার রুম থেকে বেরিয়ে গেল। আমি বিছানা থেকে উঠে ওয়াস রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিচে চলে আসলাম। 


নিচে এসে দেখি মামা মামী নাস্তার টেবিলে বসে আছে। আমি গিয়ে একটা চেয়ার টেনে বসলাম। 


মামা/: তা রাসেল, রাতে ঘুম কেমন হয়েছে। 


আমি/: অনেক ভালো ঘুম হয়েছে মামা।


মামী/: তা তুমি এতো সকালে ঘুম থেকে উঠলে কেনো। 


আমি/: রিয়া আমাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিলো। তার সাথে কলেজে যাওয়ার জন্য। আমাকে নাকি তাদের কলেজ টা ঘুরে দেখাবে। 


মামী/: ওহ, ঠিক আছে তোমরা নাস্তা করো। আমি নাদিয়াকে ঘুম থেকে ঠেকে তুলছি। 


আমি/: আপু এখনো ঘুম থেকে উঠে নাই। 


মামী/: এখনো তো উঠে নাই। গতকাল রাতে অল্প কয়টা খাবার খেয়েছে। মেয়েটার হঠাৎ কি হলো। 


আমি/: কি আর হবে। মনে হয় ভালো লাগছে না। তাই খাবার কম খেয়েছে। 


হঠাৎ রিয়া এসে একটা চেয়ার টেনে আমার পাশে বসলো। তখন রিয়া বললো। 


রিয়া): কি হয়েছে আম্মু। তোমরা কি নিয়ে কথা বলছো। 


মামা/: তোর নাদিয়া আপুর কথা বলছে। মেয়েটার হঠাৎ কি হয়েছে। 


রিয়া/: আপুর আবার কি হবে। কালকে তো আমাদের সাথে সুন্দর ভাবে ঘুরা ঘুরি করছে। মনে হয় অনেক হাঁটাহাঁটি করাতে শরীর খারাপ লাগছে। 


মামী/: হয়তো তাই হবে। ঠিক আছে, তোরা নাস্তা করে কলেজে যা। আমি নাদিয়া ঘুম থেকে উঠলে , তাকে জিজ্ঞেস করবো। 


কেউ আর কোনো কথা না নাস্তা খেতে লাগলো। আর আমি তো জানি, আপু কেনো এমন করছে। আপু যেটা চাচ্ছে, সেটা কখনোই সম্ভব নয়। আমি কখনো আপুকে ওইরকম চোখে দেখি নাই। 


রিয়া আর আমি নাস্তা করে, মামাকে বলে বাসা থেকে বেরিয়ে আসলাম। তখন রিয়া বললো। 


রিয়া/: আচ্ছা রাসেল , দেখ তো আমাকে কেমন লাগছে। 


আমি তো এতোক্ষণ রিয়ার দিকে খেয়াল করি নাই। আজকে রিয়াকে অনেক সুন্দর লাগছে। রিয়ার সুন্দর্য ফুটে তুলছে, তার ঠোঁটের পাশের তিল টায়। তখন আমি বললাম।


আমি/: হুম আজকে তোকে অনেক সুন্দর লাগছে। যে কোনো ছেলে দেখলে প্রেমে পড়ে যাবে। 


রিয়া/: কোনো ছেলে পড়ার দরকার নেই। তুই পড়লে হবে। ( বিরবির করে বললো ) 


আমি/: ওই বিরবির করে কি বলছিস। 


রিয়া/: কিছু না। একটা রিকশা ডাক দেয়।


আমি/: বাসায় গাড়ি থাকতে, রিকশা করে কলেজে যাবি কেনো। 


রিয়া/: আমার মন বলছে, তুই একটা রিকশা ডাক দেয়। 


আমি/: ওই একটা রিকশা ডাক দিবো কেনো। আমরা তো দুইজন এখানে। একটা রিকশায় কি করে যাবো।


রিয়া/: ওই হারামী, রিকশায় করে, আমি আর তুই যেতে পারবো না। বেশি কথা না বলে রিকশা ডাক দেয়। 


আমি/: ঠিক আছে দিচ্ছি। একদিনের পরিচয় , তুই আমার সাথে এভাবে জগড়া করছিস। 


রিয়া): তোর সাথে তো এখনো কিছু করি নাই। তাড়াতাড়ি রিকশা ডাক দেয়। এমনে দেরি হয়ে যাচ্ছে। 


আমি আর কোনো কথা না বলে, একটা রিকশা ডাক দিলাম। দুজনে রিকশা উঠলাম। তখন রিয়া বললো।


রিয়া/: আচ্ছা রাসেল। তুই কি কখনো প্রেম করেছিস কোনো মেয়ের সাথে।


আমি/: আমার দারা এসব হবে না। আমার সাথে কোনো মেয়ে প্রেম করবে না। আমার চেহারা ভালো না।


রিয়া/: কে বলেছে, তোর চেহারা খারাপ। তুই দেখতে অনেক সুন্দর। 


আমি/: সুন্দর হলে কি হবে। আপু তো আমাকে কোনো মেয়ের সাথে প্রেম করতে দিবে না। আর আমি ও মনের মতো কাউকে পাইনি। 


রিয়া/: আসেপাশে তাকালে তো পেতে পারিস। 


আমি/: আমার পাশে তুই ছাড়া , আর তো কেউ নেই। তাহলে পাবো কি করে। 


রিয়া/: আরে পাগল, তোকে কি আমি অন্য কারো কথা বলছি, আমাকে কি চোখে পড়ে না। ( মনে মনে বললো)


আমি/: কিরে চুপ করে আছিস কেন। তোর কলেজ আর কতো দুর। 


রিয়া/: এই তো সামনেই। 


তার পর দুজনে কথা বলতে বলতে রিয়ার কলেজের সামনে চলে আসলাম। আমি রিকশা ভাড়া দিলাম। রিয়া আমাকে মানা করছে। কিন্তু তার পরেও আমি ভাড়া দিছি। 


দুজনে গেট দিয়ে কলেজের ভিতরে ঢুকলাম। হঠাৎ কয়টা মেয়ে আমাদের সামনে আসলো। তাদের একটা মেয়ে বললো। 


একটা মেয়ে/: কিরে রিয়া, তোর সাথে ওনি কে। আগে তো কখনো দেখিনি।


আরেক টা মেয়ে/: আরে আমার মনে হয় কি, আমাদের রিয়ার বয়ফ্রেন্ড। দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর। যদি রিয়ার আগে, আমি দেখতাম। তাহলে ওর সাথে প্রেম করতাম। 


প্রথম মেয়েটা বললো/ এ আইছে, তোর যে চেহারা, এই চেহারায় এরকম ছেলে কখনও পাবি না। 


রিয়া/: ওই তোরা কি চুপ করবি। রিতু মিতু তোরা জানিস ও কে। ও হচ্ছে আমার ফুফাতো ভাই রাসেল। 


মিতু/: তুই তো কখনো আমাদের, তোর ফুফাতো ভাইয়ের কথা বলিস নাই। 


রিয়া/: আমি যদি জানতাম, আমার ফুফাতো ভাই আছে। তাহলে তো তোদের অবশ্যই বলতাম। তোরা তো আমার ফুফাতো বোন নাদিয়া আপুকে চিনিস। ওনার ছোট ভাই। 


নিতু/: ওহ, আচ্ছা। তা ভাইয়া কেমন আছেন। 


আমি এতোক্ষণ ওদের কথা শুনে মাথা নিচু করে রাখলাম। আর রিয়ার কথা শুনে তো আমি আরো অবাক হয়ে গেলাম। সে ওদের সত্যি টা বলে নাই। তখন আমি বললাম। 


আমি/: প্রথম কথা হচ্ছে, আমাকে ভাইয়া বলে ডাকা যাবে না। আমি তোমাদের সাথে সেম ইয়ারে পড়ি। আর আলহামদুলিল্লাহ আমি আছি। আপনারা সবাই কেমন আছেন। 


মিতু/: যেহেতু আমাদের সাথে পড়েন। তাহলে আমাদের আপনি না , তুই করে বলবেন। আমরাও ভালো আছি। 


রিয়া): ঠিক আছে, পরে কথা বলা যাবে। এখন ক্লাসে চল। 


আমি): আমি বলি কি, তোরা ক্লাসে যা। আমি বাসায় চলে যাই। আমি এখানে থেকে কি করবো। 


রিয়া): তুই আমাদের সাথে ক্লাসে যাবি। 


আমি/: যদি তোদের স্যার এবং ছাএ ছাত্রী কিছু বলে। 


রিয়া/: তাও কথা ঠিক। আচ্ছা তাহলে তুই বাসায় চলে যা। দুপুর এক টার সময় আমাকে এসে নিয়ে যাস। 


আমি ঠিক আছে বলে, কলেজ থেকে বেরিয়ে একটা রিকশা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় কলিং বেল চাপ দেওয়ার পর মামী এসে দরজা খুলে দিলো। আমাকে দেখে বলল।


মামী/: কি ব্যাপার রাসেল, তুমি চলে আসলে কেনো। 


আমি/: আমি কলেজে থেকে কি করবো। তাই চলে আসলাম। রিয়া বলেছে তাকে দুপুরে গিয়ে নিয়ে আসতে।


মামী/: ওহ , ঠিক আছে তুমি রুমে যাও। আমি তোমার জন্য ওপরে কপি নিয়ে আসছি। 


আমি/: আমি এখন কপি খাবো না। আপু কি ঘুম থেকে উঠেছে। 


মামী/: হুম, নাস্তা করে এখন ওর রুমে আছে। 


আমি/: ঠিক আছে, আমি আপুর রুমে গেলাম। 


বলে ভিতরে ঢুকে আপুর রুমে চলে গেলাম। আপুর রুমে এসে দেখি কার সাথে যেনো মোবাইলে হেসে হেসে কথা বলছে। আমাকে দেখে ফোন কেটে দিলো। তখন বললো। 


নাদিয়া/: তুই আমার রুমে কেনো এসেছিস। 


আমি): আমি তোমার রুমে আসলে সমস্যা কোথায়। আর তুমি কার সাথে কথা বলছো। 


নাদিয়া/; সেটা কি তোকে বলতে হবে। 


আমি/: আপু তুমি আমার সাথে এভাবে কথা বলছো কেন। 


নাদিয়া): তোর সাথে আমার কথা বলতে ভালো লাগছে না। তুই আমার রুম থেকে বেরিয়ে যা। 


আমি আর কোনো কথা না বলে আপুর রুম থেকে বেরিয়ে আমার রুমে চলে আসলাম। 


বিছানায় বসে ভাবতে লাগলাম। আপুর হঠাৎ কি হলো। আমার মনে হয়, তার ভালোবাসা এক্সেপ না করার কারণে, আমার উপর রেগে আছে। আপুর এমন কথায় কেনো জানি আমার অনেক খারাপ লাগছে। পরে ভাবলাম। 


রাগ করলে করুক, কিছুদিন পর এমনে ঠিক হয়ে যাবে। আর কিছু না ভেবে একটা ঘুম দিলাম। 


দুপুরের দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখি, এক টা বাজার দশ মিনিট বাকি আছে। তাই কোনো রকম ফ্রেশ হয়ে মামী কে বাসা থেকে বেরিয়ে একটা রিকশা নিয়ে রিয়ার কলেজের সামনে চলে আসলাম। 


কলেজের সামনে এসে দেখি রিয়া তার বান্ধবীদের সাথে বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখে রিতু আর মিতুর থেকে বিদায় নিয়ে আমার সাথে রিকশায় উঠে বসলো। 


রিয়া/: তোর আসতে লেট হলো কেনো। 


আমি/: আসলে কলেজ থেকে গিয়ে, ঘুমিয়ে পড়ছি, উঠতে একটু দেরি হয়ে গেছে। তাই আসতে একটু দেরি হয়েছে। 


রিয়া/: ওহ। 


তার পর দুজনে কথা বলতে বলতে বাসায় চলে আসলাম। এবার রিয়া আমাকে রিকশা ভাড়া দিতে দিলো না। রিয়া এবার রিকশা ভাড়া দিলো। 


তার পর দুজনে বাসার ভিতরে ঢুকে যে যার রুমে চলে গেলাম। 


দেখতে দেখতে দশটা দিন চলে গেল। রিয়া আর তার বান্ধবীদের সাথে ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে। কিন্তু আপু আমার সাথে ঠিক ভাবে কথা বলে না। 


সবসময় কার সাথে যেন ফোনে হেসে হেসে কথা বলে। আপুর এড়িয়ে চলা আমার অনেক খারাপ লাগে। এখন কেনো জানি আপু ফোনে কারো সাথে হেসে হেসে কথা বললে, আমার কেমন জানি লাগে। 


রাতে সবাই মিলে খাবার খেতে লাগলাম। তখন নাদিয়া আপু বললো। 


নাদিয়া/' মামা মামী আমি কালকে ঢাকায় ফিরে যাবো। আমার জরুরী কাজ আছে। 


মামা/: তুই যাবি মানে। তাহলে রাসেল কি করবে।


নাদিয়া/: ও যাবে কি না, সেটা বলতে পারে। 


মামী/: রাসেল তুমি কি বলো। নাদিয়ার সাথে কি তুমি যাবে, না কি তুমি আরো কিছুদিন থাকবে। 


আমি/: না মামা মামী, আমিও আপুর সাথে কালকে চলে যাবো। আমি থেকে কি করবো। 


মামা/: তাহলে ঠিক আছে। তা গাড়ি নিয়ে যাবে, নাকি বাসে করে যাবে।


নাদিয়া): না মামা, আমরা বাসে করে যাবো। তুমি ডাইভার কে বলে দিও। আমাদের বাস কাউন্টারে নামিয়ে দিয়ে আসতে। 


মামা ঠিক আছে বলে খাবার খেতে লাগলো। রিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি মন খারাপ করে , হাতে পানি ডেলে রুমে চলে গেল। 


মামা/: হঠাৎ রিয়ার আবার কি হলো। ও খাবার না খেয়ে রুমে চলে গেল কেনো।


মামী/: সেটা আমি বলবো কেমন করে। তুমি গিয়ে তোমার মেয়েকে জিজ্ঞেস করো। 


মামা/: ঠিক আছে, ওর সাথে পরে কথা বলবো। এখন খাবার খাও। 


সবাই খাবার খেতে লাগলো। আমি খাবার খেয়ে রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে দেখি টেবিলের ওপর একটা কাগজ, লেখা আছে। 


রাসেল তুই একটু ছাদে আয়। আমি রিয়া , তোর সাথে কিছু কথা আছে। 


রিয়া হঠাৎ আমাকে ছাদে যেতে বললো কেনো। আমি আর কোনো কিছু না ভেবে রুম থেকে বেরিয়ে ছাদে চলে গেলাম। ছাদে নিয়ে দেখি রিয়া ছাদের একটা কোথায় অন্য দিকে তাকিয়ে আছে। 


আমি রিয়ার সামনে গেলাম। তার পর রিয়াকে বললাম।


আমি/: বল , আমাকে ছাদে আসতি বললি কেন। 


রিয়া আমার দিকে ঘুরে তাকালো। রিয়ার চোখ দেখি লাল হয়ে আছে। মনে হয় কান্না করছে। রিয়া বলল।


রিয়া/: রাসেল আমি তোকে কিছু কথা বলতে চাই। প্লিজ তুই না করিস না। 


আমি/: কি কথা, আগে সেটা বল। 


তার পর রিয়া আমাকে যে কথা বললো। সে কথা কখনো আমি রিয়ার থেকে আসা করি নাই। রিয়া এ কথা কিভাবে বলতে পারলো। 


কি কথা বলেছে, সেটা না হয়, পরবর্তি পর্বে জানতে পারবেন। 


- আমি মারা গেলে।

 - কিছু মানুষ বলবে উফ একটা আপদ গেলো ।


- যে গল্পের শেষে আমি তোমাকে পাবোনা।

 - তবে সে গল্পের রচনা আমি করতাম না।

*

*

*

* চলবে।

*

*

* বড় ভাইয়ের কারেন্টে শর্ট খাওয়ার কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। আবার শুনছি তাকে কারেন্টে ধরার পর ফেরে দিছে, ডান হাতের দুই জায়গায় ভেংগে গেছে। তাই আজকে তেমন সাজিয়ে লিখতে পারি নাই। সবাই আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।


তো কেমন হয়েছে জানাবেন, ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই লাইক এবং কমেন্ট দিয়ে পাশেই থাকবেন।


ধন্যবাদ সবাইকে পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন 🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿 রোমান্টিক গল্প লেখক রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post