গল্পঃ রোমান্টিক হবু বউ পর্বঃ ১

 

গল্পঃ রোমান্টিক হবু বউ 
পর্বঃ ১
লেখকঃ শাওন আহমেদ নীল 

আমিঃ আম্মু আমি এখনি বিয়ে করব না 
আম্মুঃ এখন কে বিয়ে করতে বলছে? 
আমিঃ তাহলে নিধী আপু যে বললো তার সাথে নাকি আমার বিয়ে ঠিক করবে। 
আম্মুঃ হ্য। বাট তদের ত এখনি বিয়ে হবে না পড়াশোনা শেষ হলে। 
আমিঃ আম্মু তুমি পাগল হয়ে গেছো? 
আম্মুঃ পাগল হবো কেন? 
আমিঃ নিধী আপু আমার চাইতে দুই বছরের বড়। 
আম্মুঃ ওটা প্রবলেম না,, নিধী দেখতেও অনেক সুন্দরী আর তকে অনেক ভালোবাসে মেয়েটা। 
আমিঃ তুমি বুঝলে কি করে আমাকে অনেক ভালোবাসে?
আম্মুঃ গতকালকে তুই নিধীকে রেখে কোন বান্ধবীর সাথে ঘুরতে গিয়েছিলি, বাসায় এসে মেয়েটা সেকি কান্না, আর সারাদিন কিছু খাই ও নি। 
আমিঃ আমি কি আমার ফ্রেন্ডদের সাথে ঘুরতে ও পারব না নাকি?
আম্মুঃ এতো কথা জানি না আমি গেলাম তর আব্বু 
অফিসে যাবে। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে আয়। 
আমিঃ ওকে যাও। 

আম্মু চলে গেলো,, আমি ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে চলে গেলাম।  এখন আপনাদের পরিচয় টা দিয়ে দেয়, আমি নীল আব্বু আম্মুর একমাত্র সন্তান।  সবে মাত্র অনার্স প্রথম বর্ষের স্টুডেন্ট। 

 আর যার কথা বললাম সে হলো নিধী আপু আমার বড় চাচ্চুর মেয়ে,,বড় চাচ্চু আর বড় আম্মু রোড এক্সিডেন্টে মারা যায় নিধী আপু যখন ক্লাস সেভেনে পড়ে।।  এরপর থেকে নিধী আপু আব্বু আম্মুর কাছেই বড় হয়। আমি ওয়াশরুমে চলে গেলাম ফ্রেশ হতে, ফ্রেশ হয়ে বাহিরে আসলাম।  
এরপর রেডি হয়ে নিচে চলে গেলাম নাস্তা করতে। 
আব্বু আম্মু বসে আছে টেবিলে। বাট নিধী আপুকে দেখছি না। 

আমিঃ গুড মর্নিং আব্বু 
আব্বুঃ হুম মর্নিং। 
নিধী কোথায়? 
আম্মুঃ আমি গিয়ে ডেকে আসলাম আসলো না,  
নীল গিয়ে দেখ ত। 
আমিঃ একবার যখন আসে নাই তাহলে আর যাওয়ার প্রয়োজন নেই। 
আব্বুঃ প্রয়োজন নেই মানে,,ওকে ছারা কখনো নাস্তা করেছি। 
আমিঃ ওকে যাচ্ছি। 
নিধীর জন্য একবারে আদর উতলে পরে, আর আমি না খেয়ে থাকলে একবার জিঙ্গাস ও করে না।
( বিরবির করে বললাম) 
আব্বুঃ কিছু বললি? 
আমিঃ না। 

এই বলে আমি আবার উপরে চলে আসলাম।  উপরে এসে নিধী আপুর রুমে চলে গেলাম,,। রুমে 
গিয়ে দেখি আপু সুয়ে আছে আর ফোনে কি যেনো দেখছে। আমি কিছু না বলে উঁকি দিলাম, দেখি আপু আমার পিকচার দেখছে। তার সারাদিন এই এক কাজ ই সারাদিন ই আমার ছবি দেখা।।   

আমিঃ আপু 
নিধীঃ কে কে? 
হঠাৎ করে ডাক দেওয়াতে ভয় পেয়ে গেছে। 
আমিঃ আমিই,সামনে থেকে দেখেও মন বরে না 
যে মোবাইলেও দেখতে হবে। 
নিধীঃ তুই এতোটা কিউট যে সারাদিন ই তকে দেখতে ইচ্ছা করে। 
আমিঃ হয়ছে আব্বু ওয়েট করতেছে চলো নাস্তা
করতে।  
নিধীঃ না আজকে অন্য কিছু খাবো। 
আমিঃ কি খাবে? 
নিধীঃ কাছে আয় তারপর বলছি,,  
আমিঃ না তোমার কাছে আমি যাবো না। 
নিধীঃ কেনো? 
আমিঃ তুমি একবার এই নিরীহ ঠোঁটের যে অবস্থা করেছিলে,  সাতদিন বাসার বাহিরে যেতে পারি নি।। 
নিধীঃ আজকে এমন হবে না। 
আমিঃ তোমার লজ্জা করে না আপু?
নিধীঃ কেন? 
আমিঃ ছোট ভাইকে লিপ কিস করতে চাও। 
নিধীঃ একটা থাপ্পর দিয়ে সবগুলা দাত ফেলে দিবো ফাজিল,,  তুই আমার ভবিষ্যৎ বর।
আমিঃ নাস্তা করতে কি যাবা? 
নিধীঃ কাছে না আসলে যাবো না। 
আমিঃ ওকে তোমার ইচ্ছা,  বাট তুমি না খেলে আব্বু নাস্তা না করে অফিসে চলে যাবে, আব্বু 
না খেয়ে অফিসে চলে গেলে আম্মু খাবে না, আর আম্মু না খেলে আমিও খাবো না,। আর তুমি যদি চাও আমি না খেয়ে থাকি তাহলে আমি যাচ্ছি। 
নিধীঃ ভালোই দুর্বল পয়েন্ট যেনে গেছিস। 

আমি মুচকি হাঁসি দিলাম। তারপর  আপু বলল তকে কতো বার বলব তুই আমার সামনে হাঁসি দিবি না,  তুই হাসলে যে আমার নিজেকে কন্ট্রোল করতে বড্ড কষ্ট হয়।  আমি কিছু না বলে হাটা দরলাম, নিধী আপু ও আমার পিছন পিছন হাঠতে লাগলো।
আমরা নিচে চলে আসলাম ।  

নিধীঃ গুড মর্নিং আব্বু 
আব্বুঃ গুড মর্নিং নাস্তা করা শুরু করো। 

এরপর নাস্তা করে আমি আমার রুমে চলে আসলাম। আজকে আর কলেজে যাবো না,তাই বাহিরে চলে আসলাম। বাহিরে এসে ফ্রেন্ডদের সাথে আড্ডা দিতে লাগলাম। বারোটা সময় বাসায়
চলে আসলাম। এই দুইঘন্টায় নিধী আপু কমপক্ষে 
বিশ বার কল দিছে।  আমি বাসায় গিয়ে আমার রুমে চলে আসলাম।  রুমে এসে নরমাল ড্রেস পরে নিলাম। এরপর তোয়ালে হাতে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।  

ওয়াশরুমে দরজা দাক্কা দিতেই যা দেখলাম, সেটা 
দেখার জন্য একটুও প্রস্তুুত ছিলাম না।  ও আমার ওয়াশরুমে কি করছে৷ আসছে আসছেই অন্তত দরজা টা ত লক করবে। 

# চলবে
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post