লেখা_মোহাম্মাদ_সৌরভ
!!!
ভিডিও আর ছবি গুলি সত্যি যদি সৌরভ লাইভ দেখায় তাহলে তো আমরা মুখ দেখাতে পারবো না। আর আমাদের সবাইকে বাড়ী থেকে বের করে দিবে। স্নেহা আপু প্লিজ তুমি কিছু একটা করো তানা হলে সৌরভ ভিডিওটা দেখিয়ে দিবে। তখনি স্নেহা এসে আমার পাশের টেবিলে বসেছে আর আমি উঠে যাবো তখনি,,,
স্নেহা:- আরে সৌরভ তুমি উঠতেছো কেনো? বসো আমাদের সাথে তুমি খাবে।
আমি:- না মেম আপনারা খান আমি পরে খাবো।
নানু:- আরে সৌরভ বসো এখানে যতদিন তুমি থাকবে ততদিন আমাদের সাথে বসে খাবে।
আমি:- আচ্ছা আমি খাবার খেতেছি তখনি স্নেহা পায়ে পা দিয়ে স্পর্শ করতেছে। আমি ঠুস করে লাথি দিয়ে দিয়েছি। (আস্তে করে আমার কানের কাছে এসে বলে,,,)
স্নেহা:- এত ভাব ভালোনা রাতে রুমে এসো কেমন জড়িয়ে ধরবো আর কিস করবো।
আমি:- অন্যের রুমে আমি যায়না বিশেষ করে মেয়ে মানুষের রুমে।
স্নেহা:- তুমি ভিডিও আর ছবি ডিলেট করবে কিনা বলো?
আমি:- রোজ একবার জড়িয়ে ধরতে হবে আর তিনটা কিস করতে হবে। এভাবে এক সাপ্তাহ হলেই ডিলেট করে দিবো।
স্নেহা:- দরকার নেই তুমি দেখাও আমার কিছু হবেনা। রুজির জন্য শুধু মাত্র তোমাকে এত রিকুয়েস্ট করতেছি। কারন মামা জানলে রুজিকে অনেক বকা দিবে।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে দেখিয়ে দেয়। নানু একটা জিনিস দেখবেন আপনার জন্য একদম সদ্য ভিডিও করা,,তখনি স্নেহা আমার মুখ চেপে ধরে কানের কাছে এসে বলছে,,,
স্নেহা:- ঠিক আছে তাই হবে তবে মাত্র সাত দিন এরপর বুঝবে কত দিনে বছর হয়।
নানু:- কিরে স্নেহা ওর মুখ চেপে ধরেছিস কেনো? ছাড় ওকে কিছু একটা বলতে চায়ছে ওকে বলতে দে।
স্নেহা:- নানু তেমন কিছুই না আসলে সৌরভ একটু মজা করেছে রাতে ভিডিও না দেখলে ওর ঘুম আসে না তাই।
নানু:- ও এই কথা ঠিক আছে এখন সবাই খাবারে মনযোগী হও। (সবাই খেতেছি স্নেহা আমার দিকে তাকিয়ে আছে রাগি চোখে। আমি তারা তারি করে খাবার শেষ করে রুমে সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছি। রুজি আর স্নেহা এদিকে আসছে।)
রুজি:- সৌরভ প্লিজ আমার ভিডিওটা ডিলেট করে দাও।
আমি:- দিবো তো সাতদিন পর আগে জড়িয়ে ধরো আর কিস করো।
রুজি:- মানে আমাকে করতে হবে?
আমি:- নাহ তোমাকে নয় স্নেহা করলে হবে। তখনি স্নেহা আমার কাছে এসে ধাক্কা দিয়ে দেওয়ালে আটকে দিয়েছে।
স্নেহা:- মেয়েদের কিস খাওয়ার এত ইচ্ছা দেখাচ্ছি বলে আমাকে গলা টিপে ধরছে।
আমি:- আরে কি করছেন ছাড়েন মরে যাবো তো।
স্নেহা:- মেরে ফেলবো তুকে।
রুজি:- স্নেহা আপু কি করছো সত্যি সত্যি মরে যাবে আর তুমি যাবে জেলে। (জেলের কথা শুনে স্নেহা আমাকে ছেড়ে দিয়েছে।) আপু প্লিজ সৌরভ যা চাই ওকে দিয়ে দাও প্লিজ।
স্নেহা:- রুজির জন্য আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরতেছি এই নাও আমাকে জড়িয়ে ধরো আর কিস করো। (স্নেহা চোখ বন্ধ করে আছে আমি ওকে জড়িয়ে ধরিনি আর কিস করিনি)
আমি:- থাক বাশি জিনিসে আমি মুখ দেয় না। আর রুজি তোমাদের ভিডিও গুলি ডিলিট করে দিবো।
স্নেহা:- কি বলছো আমি বাশি মানে?
আমি:- বা রে আপনার তো ছোট বেলা বিয়ে হয়ছে আর এখন রাজের সাথে বিয়ে ঠিক হয়ছে। আগের দুজনে তো তখনি স্নেহা আমাকে থাপ্পড় দিয়ে বলে,,,,
স্নেহা:- খবরদার রাজের নামে বাজে কথা বললে খুন করে ফেলবো। আর ছোট বেলা বিয়ে হয়ছে তুই জানলি কি করে?
আমি:- ঐ আপনারা যেদিন ডির্ভোস আনতে গেছিলেন সেইদিন। তবে রাজ ছেলেটা এতটা সুবিধার না।
স্নেহা:- রাজ কেমন সেইটা আমি ভালো করে জানি তোমাকে বলতে হবে না। এই রুজি আয় ওরা চলে গেছে আমি রুমে এসে দরজা বন্ধ করে এক ঘুম। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিছে গিয়ে দেখি রাজ আর ওর বাবা মা দুজনে এসেছে।
নানু:- তাহলে স্নেহার আর রাজের বিয়েটা রাহাতের বিয়ে সাথে হয়ে যাবে কি বলিস আয়েশা।
আন্টি:- আম্মু আপনি যা ভালো মনে করেন।(রাজ আর স্নেহা দুজনে অনেক খুশি হয়েছে।)
আঙ্কেল:- তাহলে তো আর ১০ দিন বাকি বিয়ে আয়োজন করতে। রাজ তুমি স্নেহার সব কেনাটার দ্বায়িত্ব নিয়ে নাও কেমন। সাথে রুজি তোমাদের চট্রগ্রামের মার্কেটে নিতে সাহায্য করবে।
রাজ:- ঠিক আছে আঙ্কেল। (সবাই হাসি মুখে চলে গেছে স্নেহা আমাকে বলে,,,)
স্নেহা:- ড্রাইভার গারিটা বের করো আজকে আমরা শপিং করতে যাবো।
আমি:- ঠিক আছে মেম। গাড়িটা বের করেছি রুজি স্নেহা আর রাজ এসে বসেছে। রুজি আমার পাশে রাজ স্নেহা দুজনে পেছনে বসেছে। রুজি রাস্তা বলছে আমি চালাচ্ছি ৪০ মিনিট পর শপিং মহলে এসেছি।
স্নেহা:- তুমি বসো আমরা শপিং করে আসতেছি।
আমি:- ঠিক আছে। রুজি সহ শপিং মহলে ভীতরে ঢুকছে আমি গাড়ীটায় ধাক্কা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। মোবাইল হাতে নিয়ে গেইম খেলতেছি তখনি একজন এসে পেছন থেকে চোখ টিপে ধরেছে। আরে চোখ ধরছেন কেনো? তখন অনেক কষ্ট হাতটা সরিয়ে দেখি তানু মানে আমার ছোট খালার মেয়ে।
তানু:- সৌরভ তুমি এখানে?
আমি:- হ্যা এখানে তখনি আমাকে জড়িয়ে ধরেছে,,, আরে তানু কি করছো তুমি ছাড়ু সবাই তাকিয়ে আছে।
তানু:- তাকিয়ে থাকলে আমার কি আমি তো আমার হুব বরকে জড়িয়ে ধরেছি। আমি তানুকে ছাড়িয়ে নিয়েছি,,,
আমি:- তানু তুমি যাও আমার কাজ আছে আর রাতে তোমাদের বাসায় যাবো কেমন।
তানু:- আরে আম্মুর সাথে তো আলাপ করে যাও। (আমি সোজা দৌরে শপিং মহলে ঢুকে গেছি। আমি তারা হুরা করে হাটতেছি এমনি একটা ধাক্কা খেয়েছি)
মা গু আমি মরে গেলাম তাকিয়ে দেখি স্নেহা কান্না করছে। রাজ স্নেহাকে টেনে তুলেছে,,,
স্নেহা:- তুই আমাকে ইচ্ছে করে ধাক্কা দিয়েছিস তোর এত বড় সাহোস বলে আমাকে থাপ্পড় দিতে ছিলো আমি বসে গেছি আর সেই থাপ্পড় রাজের গালে। ঠাসস করে আওয়াজ হয়েছে একটা আর আমি সোজা গাড়ীর কাছে এসে গাড়ীর ভীতরে বসে পরেছি,,,,
To be continue,,,