পর্ব ৫ ( শেষ পর্ব )
.
লেখক ঃ শাহাদাত নুসু
.
.
.
আমি ঃ এই হয়ে যাক আরেকবার।
নুসরাত ঃকি হয়ে যাবে।
আমি ঃ কি আবার রাতে যেটা হলো সেটা।
নুসরাত ঃ যা লুচ্চু ছেলে লজ্জা বলতে কিছুই নাই রাতে আমাকে ঘুমাতে দেউ নাই এখন ও আমার হাত ব্যথা করতেছে ।
আমি ঃ বউকে একটু আদর করতে চাইছি তাই বলে আমি লুচ্চু হয়ে গেলাম ?😨😨😨😨
নুসরাত ঃতুমি লুচ্চুইত।
আমি ঃ লুচ্চু নাম যেহেতু হয়েছে তাহলে লুচ্চু গিরিতো একটু করতেই হয় ।
নুসরাত ঃ এই একদম কাছে আসবে না।
আমি খাট থেকে ওঠে আপুর দিকে এগিয়ে যেতে থাকলাম আপু পিছতে থাকল। আপু পিছতে পিছতে দেওয়ালে ঠেকে গেল আমি এক নজরে তাকিয়ে আছি আপুর দিকে কি মায়াবী চোখ সারা জীবন এভাবে চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। তারপর আপুর ঠোটের দিকে আমার চোখ গেল আপুর ঠোঁট কাপতেছে আপুর ঠোটের সাথে আমার ঠোট মিলাতে যাব ওমনি দরজা টোকা পরলো।
আমিঃ কে ?
বাহির থেকে আমি তোর আম্মু তারাতারি নুসরাত কে নিয়ে খাবার খেতে আয় ( এখন আমি মা বাবা আর আমার বোন কে নিয়ে ঢাকায় থাকি )
নুসরাতঃ এই ছারো আম্মু ডাকতেছে।
আমিঃ দুর ভালো লাগে না কোই একটু রোমান্স করব তাউ করতে পারা যাবে না।
নুসরাতঃ ফ্রেশ হয়ে টেবিলে আসো খাবার খেতে আমি এখন যাই।
আমিঃ ঠিক আছে।
নুসরাত চলে যাবার পর ফ্রেশ হয়ে খাবার খেতে চলে গেলাম।
এভাবে দুষ্ট মিষ্টি ভালোবাসায় মধ্যে চলে গেল চার মাস। আজ নুসরাত একটু আগে অফিস থেকে বাসায় যেত বলল তাই একটু আগে বাসায় চলে আসলাম । বাসায় এসে দেখি নুসরাত সুন্দর করে সেজে গুজে বসে আছে আমি বললাম কি ব্যপার আজ এত সেজে বসে আছ কেন আবার নতুন করে বাসর করার ইচ্ছে হইছে নাকি।
নুসরাতঃ আজ আমি অনেক খুশি।
আমিঃ আমার বউটা এত খুশি হওয়ার কারণটাকি জানতে পারি ।
নুসরাতঃ আমার লজ্জা করে বলতে।
আমিঃ আমার কাছে বলবা এতে লজ্জার কি আছে ।
নুসরাতঃ তবুও আমার লজ্জা করে।
আমিঃ হইছে এখন আর লজ্জা পেতে হবে না এখন বল এত খুশি হওয়ার কারন কি ?
নুসরাতঃ আমি মা হতে চলিছি আর তুমি বাবা 😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊
আমিঃ সত্যি বলতেছো আমি বাবা হতে চলেছি।
নুসরাতঃ হুম।
আমঃ আমি আজ অনেক খুশি বলো তুমি আমার কাজ থেকে কি চাও।
নুসরাতঃ কিছুই চাইনা চাই শুধু ভালোবাসা।
আমিঃ হুম সারা জীবন তোমায় ভালোবেসে যাব।
এভাবে ভালোবাসার মাঝে দিন চলতে লাগল আমাদের। আস্তে আস্তে নুসরাত ওপর আমার যত্ন বারতে লাগল হঠাৎ একদিন অফিসে কাজ করতে ছিলাম আম্মু ফোন দিয়ে বলল
আম্মুঃ নুসরাত অনেক অসুস্থ নুসরাতকে আমরা হসপিটালে নিয়ে এসিছি।
আমিঃ কোন হসপিটালে ?
আম্মঃ ********* তুই তারাতারি চলে আয়।
_________________________________________________
রাইসাঃ বাবা ও বাবা আমরা আজ কথায় যাব।
আমিঃ আমরা তোমার আম্মুর কাছে যাব।
রাইসাঃ আমার আম্মু কথায় বাবা।
আমিঃ তোমার আম্মু আমাদের ওপর রাগ করে ঘুমিয়ে আছে।
রাইসাঃ চল বাবা আমরা আম্মুকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসি। আমাকে দেখলে আম্মু আর রাগ করে থাকবে না আমায় কোলে নিয়ে আদর করবে তারপর আমাদের সাথে আম্মুকে নিয়ে আসব।
আমিঃ ঠিক আছে মা এবার চল ( চোখের পানি মুছে কথাটা বললাম )
হ্যাঁ ঠিকই ভেবেছেন রাইসা আমার মেয়ে এখন ওই আমার সব। ওর বয়স পাঁচ বছর ।
সেদিন হসপিটালে যাওয়ার পর দেখি সবাই চুপ হয়ে বসে আছে আর কান্না করতেছেসে আমি আম্মু কে বললাম নুসরাত কথায় ও কেমন আছে।
আম্মুঃ তোর মেয়ে হইছে।
কথা শুনে অনেক খুশী হয়ে ছিলাম । তারপর আমার ছোট বোন আমার মেয়েকে আমার কোলে দিল ওকে কোলে নিয়ে এক অন্য ধরনের অনুভূতি হয়ে ছিল যা বাসায় প্রাকাশ করতে পরব না। নুসরাত এর কথা মনে হতেই আম্মুকে বললাম নুসরাত কই আম্মু আমাকে হাত দিয়ে ইসারা করে দিল ওই রুমে আছে। আমার মেয়েকে বোনের কোলে দিয়ে আমি ওই রুমে চলে গেলাম। কেবিনে গিয়ে যা দেখলাম তা দেখে আমার মনে হলো আমার পার নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। টেবিলের ওপর কাউকে সাদা চাদর দিয়ে ডাকা আমি কপা কাপা হাত দি মুখ থেকে চাদর সরালাম মুখটা দেখে আমি আর কোনো কথা বলতে পারলাম না আমি মাথা ঘুরে পরে গেলাম।
হঠাৎ আমার মাথায় কারো হাত অনুভব করলাম তাকিয়ে দেখি আমার মা। দেখি আমি বাড়িতে তখনই মনে পরলো আমার কিছুক্ষণ আগের কথা বাসায় দেখি অনেক মানুষ ।
আমিঃ নুসরাত কই আম্মু।
আম্মুঃ ওই দিকে ( হাত দিয়ে )
সেদিকে তাকিয়ে দেখি একটা মসজিদের খাট আমি খাটের কাছে গিয়ে মুখের কাপর সরিয়ে দেখি নুসরাত ঘুমিয়ে আছে। আমি গালে হাত দিয়ে বললাম এই পাগলি ঘুমিয়ে আছিস দেখ আমি তোর জন্য কান্না করতেছি। আর কখনো তোকে বোকা দিব না তুইত বলছিলে আমাকে ছেরে যাবি না আজ কেন তাইলে সার্থপরের মতো ঘুমিয়ে আছিস। সেদিন অনেক কেদেছি ও শুনেনি সার্থপরের মতো আমার একা রেখে চলে গেছে।
আমি আমার মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে আবার আগের মতো স্বাভাবিক গেছি। রাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে যাই আমার তখন ঘুম আসে না পুরনো কথা গুলো মনে পরে তখন খুব কন্না পায়।
আজ নুসরাতের মৃত্যু বার্ষিকি তাই ওর কবর জিয়ারত করতে যাইতেছি। সাথে আমার মেয়েকে নিয়ে যাইতেছি
ভালো থাকুক তারা বাবা মেয়ে।
_________ সমাপ্তি __________
.
.
.
.
ভুল ক্রটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন । গল্পটা তেমন গুছিয়ে লিখতে পারি নাই তার জন্য Sorry আর পুরো গল্পটা কেমন লাগল তা জানাতে ভুলবেন না। দয়া করে কেউ বাজে কমেন্ট করবেন না। প্রতিদিন শুধু Next . Nice লিখহে কমেন্ট করেন আজকে একটা ঘটন মুলক কমেন্ট করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই
ReplyDelete