#ভাড়াটিয়ার_মেয়ে_যখন_বউ
#লেখক_M_R_S
পর্ব_৩
এক নিঃশ্বাসে কথা গুলো বলে ফেললাম। ভার্সিটির সবাই হা করে তাকিয়ে আছে। তাসফিয়া আমার হাত থেকে গোলাপ টা নিয়ে ঠাসসসস করে একটা থাপ্পর মারলো।
আর গোলাপটাকে হাত দিয়ে ছিঁড়ে দুমরে মুচড়ে ফেলে দিলো। তারপর হন হন করে চলে গেলো। সমস্ত ভার্সিটির স্টুডেন্ট সবাই আমার দিকে তাকিয়ে রইল।
আমি গালে হাত দিয়ে বন্ধুদের কাছে গেলাম। দেখি তরা এতক্ষন হাসিল আর মজা নিচ্ছিলো। আমি যখন গেলাম
,,,,ভাবী তোমাকে আদর করলো বুঝি(রাফি এইটা বললো আর সাবাই জোরে জোরে হাসতে লাগলো)
,,,,আহারে আমার বন্ধুকে আদর করে গালটা লাল করে দিয়েছে(পারভেজ)
,,,,সোনাগো আমার খুব কষ্ট হচ্ছে বলো(মুন্না)
এমনিতে সমস্ত স্টুডেন্টের সামনে থাপ্পর খেয়েছি তার উপর এরা মজা করছে। মাথা বেজায় গরম হয়ে গেলো।
পারভেজ আর মুন্নাকে ধরে মারতে লাগলাম। ওদের কে মারতে দেখে রাফি দৌড়াতে লাগলো। আমিও ওর পিছু দৌড়াতে লাগলাম পুরো ভার্সিটি দৌড় করিয়েছি।
তারপর ক্লান্ত হয়ে রাফি একজায়গায় একটু দাড়ায় আমি গিয়ে তখনি ধরি।
,,,,,দোস্ত ছেড়ে দে আর পারছিনা অনেক কষ্ট হয়েছে(রাফি হাঁপাতে হাঁপাতে)
,,,, ছেড়ে দেবো কি এতক্ষন আমাকে নিয়ে হাসাহাসি। এমনিতে থাপ্পর খেয়েছি আবার তোরা হাসাহাসি করলি। রিভেঞ্জ তো নেবই(আমি)
,,,,, এতো দৌড়াইছি আর শরীরের কিছু নাই। পরে রিভেঞ্জ নিছ (রাফি)
,,,,আচ্ছা ঠিক আছে কিন্তু এখন আমাকে আইডিয়া দে কিভাবে তাসফিয়া কে পটাবো
,,,,আগে কিছু খাওয়া তারপর(রাফি)
,,,,কিছু খাবি না দারা(রাফিকে ঘুষি মারতে গেলাম)
,,,,আরে ফান করছিলাম। খাওয়ানো লাগবেনা। আয় ক্যান্তিনে ওদের কাছে যাই (রাফি)
তারপর আমরা ক্যান্তিনে গেলাম তারপর সবাই মিলে বিভিন্ন বুদ্ধি দিলো। এই যে তাসফিয়ার পিছনে লেগে থাকতেই হবে।
যত দিন পর্যন্ত ও না আমাকে ভালোবাসে। অই দিন আর ভার্সিটি না করে বাড়িতে চলে এলাম।
ছাদে বসে ভাবতে লাগলাম কি করা যায়। তখন দেখলাম তাসফিয়া আর রিমি ভার্সিটি থেকে ফিরসে।
তখন মাথায় একটা বুদ্ধি এলো তাসফিয়ার মা বাবাকে যদি পটাই তাহলে কেমন হয়। তাহলে তাঁরা নিচ্ছই মেয়ের সাথে আমার বিয়ে দেবে।
নিজেকে এখন খুব বুদ্ধিমান মনে হচ্ছে তাসফিয়া দের ফ্লাটে গিয়ে কলিং বেল দিলাম। তাসফিয়া এসে দরজা খুলে দিলো।
আমাকে দেখে তো অবাক সাথে আজকের ঘটনার জন্য বেজায় রেগে আছে
,,,,কি ব্যাপার কি চাই এখানে (তাসফিয়া রেগে)
,,,,, নিজের হবু শ্বশুর বাড়িতে আসতে কি কোনো কারন লাগে(আমি)
,,,,,কিহ আপনি কিন্তু লিমিট ক্রস করছেন (তাসফিয়া রেগে আমার দিকে একটু এগিয়ে এসে)
,,,,, জানু আমি কিছু করছি না শুধু ভবিষ্যতে যা হবে তাই বলছি
আমি ওর দিকে এগিয়ে গেলাম তাসফিয়া একটু পিছনে সরে গেলো। আমি তাদের ফ্লাটে ঢুকে গেলাম। আমার পিছনে তাসফিয়ও এলো। দেখি আন্তি বসে কিছু নিয়ে চিন্তা করছে।
,,,,,আন্তি কেমন আছেন
,,,,আরে বাবা তুমি ভালো আছি তুমি তোমার মা বাবা কেমন আছে(আন্টি)
,,,,,জি আন্তি সবাই ভালো আছে। কিন্তু আপনাকে দেখেতো মনে হচ্ছে আপনি তেনসেনে আছেন
,,,,, নির্লজ্জ একটা (আস্তে করে বললো তাসফিয়া)
,,,,,দেখো তোমার আংকেল তো অফিসে গেছে এদিকে আমাকে টাকা দিয়ে গেছে বাজার করতে। তুমি বলো আমি কিভাবে বাজার করবো। আর বাড়িতেও কোনো বাজার নেই
,,,,,, (আকাশ এই তো তোর সুযোগ কাজে লাগা কাজে লাগা মনে মনে বললাম) আরে আন্তি আমি আছিতো আমি বাজার করে দেবো কিন্তু অনেক বাজার তো তাই
,,,,,বাবা তুমি বাজার করবে ঠিক আছে তোমার সাথে তাসফিয়া যাবে
,,,,,মা আমি কেনো যাবো। আমি পারবোনা
,,,,,এক দিনিই তো ছেলেটা যাবে তুই যা
তাসফিয়া এক প্রকার বাধ্য হয়ে আমার সাথে বাজারে গেলো কিন্তু অনেক রেগে ছিল। বাজার করে চলে এলাম আন্তি তো অনেক খুশি হয়েছে এবং আমার প্রসংসা করলো আর তাসফিয়া তো রেগে আগুন।
আমি চলে এলাম পরের দিন আমি আর আমার বন্ধুরা মোরের মাথায় বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম তখন তাসফিয়া আর ওর ভাই কোথায় যেনো যাচ্ছিলো
,,,,,সালামুয়ালাইকুম ভাবী কেমন আছেন (রাফি তাসফিয়া কে উদ্যেস্য করে)
,,,,,আমাকে বললেন(এদি ওদিক তাকিয়ে)
,,,,,জি ভাবী(রাফি)
,,,,, কিন্তু আমি তোমাদের ভাবী হলাম কবে আর কিভাবে
,,,,আরে আকাশ যখন আপনাকে প্রপোজ করে সেইদিন থেকেই আপনি আমাদের ভাবী(মুন্না)
,,,,,আমাকে ভাবী বলে ডাকবে না
,,,, কিন্তু কেনো ভাবী
,,,,, ধুর যেমন অসভ্য ছেলে তার তো তেমনি বন্ধু হবে (তাসফিয়া রেগে সেখান থেকে চলে যায়)
এভাবেই প্রায় তাসফিয়া বিরক্ত করতাম আর দিনে যেখানেই সুযোগ পেতাম সেখানেই প্রপোজ করতাম। আর থাপ্পর তো থাকতই।
আর আমার এলাকার ভাই ব্রাদার দের শিখিয়ে দিলাম তাসফিয়া কে ভাবী ডাকতে। তখন থেকেই সবাই তাসফিয়া কে ভাবী ডাকে
কিন্তু ঝামেলা শুরু হলো সেই দিন থেকেই যেদিন আমাদের বাড়িতে ওপর তলায় নতুন ভাড়াটে আচ্ছে।
তারা স্বামী-স্ত্রী আর তাদের দুই ছেলে বড় ছেলে মনে হয় আমার থেকে বছর দুই একের ছোটা আর ছোটোটা এ বছর ক্লাস 7 পড়ে
__________চলবে_______