গল্পঃ ডেঞ্জারাস মামাতো বোন পর্ব ৩৬ | Dangerous Mamato Bon Part 36

 

#ডেঞ্জারাস_মামাতো_বোন
(৩৬তম পার্ট)
Writer:-  SA Shaheen Alam
.
.
আমি রাগে ফুসতে ফুসতে রুমে চলে এলাম। রিমির উপর রাগ উপচে পড়ছে। আমি রিমির ভালোর জন্য এতকিছু করলাম অথচ সে আমাকেই দোষী বানালো। এজন্যই মানুষ বলে, কারো ভালো করতে নেই।
আমি এসব ভেবে বিছানার দিকে তাকাতেই চমকে উঠলাম। দেখি, তরী বিছানার উপর বসে পা দোলাচ্ছে। আমি সকাল সকাল তরীকে আমাদের বাড়ি দেখে বেশ অবাক হলাম। রিমির কাছে এগিয়ে গিয়ে বললাম,
.
-- কি ব্যাপার তরী, তুমি এত সকালে আমাদের
বাড়ি এসেছো যে.? (আমি)
.
-- কেন আমি আসাতে কোন সমস্যা হয়েছে.? (তরী)
.
-- আরে সমস্যা হবে কেন.? না জানিয়ে চলে এসেছো
তাই জিজ্ঞেস করলাম। (আমি)
.
-- তোমার চাঁদ মুখখানা দেখতে এসেছি। আমার ফোন
ধরো না কেন.?
কাল রাত থেকে কম করে হলেও হাজার বার
ফোন দিয়েছি। (তরী)
.
-- ফোন সাইলেন্ট ছিল, বুঝতে পারে নি তুমি ফোন দিয়েছিলে। (গম্ভীর গলায়)
.
-- তোমার কি কোন কারণে মন খারাপ.? (তরী)
.
-- মন খারাপ থাকবে কেন.? আমি বিন্দাস আছি। (আমি)
.
-- তাহলে মুখটা এমন শুকনো লাগছে কেন.? (তরী)
.
-- এমনি। (আমি)
.
-- তোমার কি বিয়েতে মত নেই.? (তরী)
.
-- এটা কেমন কথা, তরী.? বিয়েতে মত থাকবে না কেন.? পাগলের মত কি সব বলে যাচ্ছো। (বিরক্ত হয়ে)
.
-- তাহলে তোমাকে এত চিন্তিত দেখাচ্ছে কেন.?
আর মাত্র পাঁচ দিন পর আমাদের বিয়ে অথচ তোমার
মাঝে কোন এক্সসাইটমেন্ট নেই।
মুখটা বাংলার পাঁচের মত বানিয়ে রেখেছো। (তরী)
.
-- তাহলে কি করতে বলছো, ধৈ ধৈ করে নাচবো.?
চলো তাহলে নাচি.! (রেগে)
.
-- রেগে যাচ্ছো কেন.? আমি কি নাচার কথা
বলেছি একবারও.?
তোমার মন খারাপ তাই জানতে চেয়েছি কি
হয়েছে। (তরী)
.
-- আমার কিছুই হয় নি, আমি একদম ঠিক আছি।
তুমি এসব ফাউল প্যাচাল বাদ দিয়ে বলো কি জন্য এসেছো। (আমি)
.
-- বিয়ের কেনাকাটা করতে যাবো। মা-বাবা অনেক
আগেই চলে গেছে।
তোমাদের তাড়াতাড়ি যেতে বলেছে। (তরী)
.
-- আমি যাবো না। (আমি)
.
-- কেন.? (ভ্রু-কুঁচকে)
.
-- আমার ভাল লাগছে না। তোমরা সবাই যাও। (আমি)
.
-- তুমি বর আর তুমি যাবে না.? (দাঁত কিড়মিড় করে)
.
-- আরে, আমার ভাল লাগছে না। তাছাড়া আমি গিয়ে
কি করবো.?
তুমি তোমার পছন্দ মত যা পারো কিনে নিও। (আমি)
.
-- উহু, কোন কথা হবে না। তোমাকে যেতেই হবে।
সবার সাথে মন এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে।
এখন তাড়াতাড়ি রেডি হও, হাতে বেশি সময় নেই।
অনেক কেনাকাটা করতে হবে। (তরী)
.
আমি তরীর জোরাজুরিতে যেতে রাজি হলাম।
এমনিতেই রিমির সাথে ঝগড়া করে মন খারাপ তার
উপর এখন শপিং এর মত উটকো ঝামেলা।
আমি রেডি হয়ে তরীকে নিয়ে ড্রইংরুমে এলাম।
তারপর সবাই বিয়ের কেনাকাটা করতে বের হলাম।
মা-বাবা একটা গাড়ি নিয়ে চলে গেল আর আমি, তরী, রিমি, শোভন আরেকটা গাড়ি নিয়ে রওনা দিলাম।
.
আমি গাড়ি ড্রাইভ করছি, তরী আমার পাশে বসে আছে। পিছনের সিটে রিমি আর শোভন বসেছে।
আমার শোভনকে দেখে শরীর শুধু কিলবিল করছে। আমার বিয়েতে ঐ হারামিটার কি কাজ শুনি.? শালা নাচতে নাচতে চলে এসেছে। আমার হাতের মাইর খেয়েও শিক্ষা হয় নি ব্যাটার.! আবার রিমির সাথে জোকের মত লেগে আছে। হারামির বাচ্চা.!
.
আমি বিরবির করে এসব বলে যাচ্ছি আর ড্রাইভ করছি। মাঝে মাঝে লুকিং গ্লাসে রিমি আর শোভনকে দেখছি। হটাৎ রিমি একটা ভয়ানক কান্ড ঘটিয়ে ফেলল। যা দেখার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
রিমি আচমকা শোভনের গালে কিস করে বসে.!
.
চলবে.... ?????
.
#প্রেম_বিশেষজ্ঞ
.
(আজকের পার্ট কেমন হয়েছে কমেন্টে বলেন। অবশ্যই সবাই লাইক, কমেন্ট করবেন। আর গল্প নিয়ে সবার মতামত জানান। রিমির এমন ব্যবহার নিয়ে আপনাদের কিছু বলার থাকলে বলতে পারেন।
.
আর আজকের পার্ট ছোট করে দেওয়াতে কেউ মন খারাপ করবেন না। পরের পার্ট বড় করে দিবো। কারণ পরের পার্ট একটা ধামাকা আছে। সেটার জন্য সবাই তৈরি থাইকেন।)
ধন্যবাদ সবাইকে.!
হ্যাপি রিডিং... ♥♥♥
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post