#লেখ_MR_S
পর্ব_৬/শেষ
তারপর মিতালী কলেজে আসল তখন এক বড় ভাই। মিতালিকে প্রপোজ করল তখন মিতালী তাকে পাত্তা না দিয়ে। জেনো খুজছে মনে হয় আমাকে। কিন্তু আমাকে কথাও দেখতে না পেয়ে। দিল ছেলেটাকে একটা থাপ্পর।
ছেলেটা আবার ওর হাত ধরে। এক ঝটকায় হাত ছাড়িয়ে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ক্লাস না করে বড়ি চলে যায়।মিতালী চলে যাওয়ার পর আমি ছেলেটার কাছে গিয়ে
আমি,,,,ওর ধারে কাছে জেনো না দেখি (এক প্রকার হুমকি দিয়ে)
ছেলেটি,,,,কার
আমি,,,,যাকে প্রপজ করলেন
ছেলেটি,,,,,কেরে তুই। তুই বলার কে
আমি,,,,,আমি যেই হই। আপনার কি ওর ধারে কাছে ও জেনো না দেখি
ছেলেটি,,,,আমি শুধু ওর ধারে কাছেই যাবনা ওকে টাচ ও করব। আর কোথায় কোথায় করব তু.....
বলতে দেরি আমার দিতে দেরি নাই। দিলাম ওর মিটার বক্সে লাঠি। বেচারা মনে হয় আর বাবা ডাক শুনতে পাবেনা।
তারপর উরা ধুরা মাইর দিলাম। ওর কিছু বন্ধুরাও এসেছিল তাদের আমার বন্ধুরা দেখে নিয়েছে। কলেজের সব ছাত্র ছাত্রীরা ভির করে ফেলেছে
ছেলাটাকে এমন মারলাম প্রায় এক সপ্তাহ হসপিটালে থাকতে হবে। বন্ধুদের বলে আসলাম ওকে হসপিটালে ভর্তি করাতে।
আমি বাড়ি চলে এলাম। বাড়িতে এসে মিতালী কে খুঁজতে লাগলাম কিন্তু কোথাও পাচ্ছিনা। তখন মনে হলো চিলেকোঠার ঘরে কে জেনো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। আমি চিলেকোঠার ঘরে গিয়ে দেখি মিতালী কন্না করছে আমি ওর কাছে গিয়ে বসলাম। ও মনে হয় আমাকে খেয়াল করেনাই আমি একটু কাশি দিলাম
আমি,,,, (এহেম এহেম) কিরে কাদিছ কেনো
আমাকে দেখেই আমাকে জড়িয়ে ধরে আরো জোরে কেঁদে উঠলো। আমি ওকে থামানোর চেষ্টা করছি
আমি,,,,কিরে কি হলো এখনো কাদিছ কেনো। কি হয়েছে আমাকে বল।
মিতালী,,,,(কেঁদেই যাচ্ছে)
আমি,,,, কি হলো বলবি তো (একটু ধমক দিয়ে)
মিতালী,,,,আজ কলেজ একটা ছেলে আমাকে (তারপর সব বলল)
আমি,,,,ছেলেটা আর তোকে বিরক্ত করবে না
মিতালী,,,,মানে (অবাক হয়ে)
আমি,,,,ও এখন দারানোর বস্থাতেই নেই (মিতালী এখনো আমাকে জরিয়ে ধরে রয়েছে)
মিতালী,,,,কিহ তুই ওদের সাথে মার পিত করেছিস(আমাকে ছেড়ে দিয়ে)
আমি,,,, কতদিন পর তুই আমাকে তুই করে বললি
মিতালী,,,,সরি আসলে আমি 🤭☺️ (অনেক লজ্জা পেয়ে)
আমি,,,, ভালোবাসিছ আমাকে
মিতালী লজ্জায় লাল হয়ে গেছে কিছু বলছে না
আমি,,,,কিরে বল আমাকে ভালোবাসিছ
মিতালী,,,,সব কি আমাকে বলে দিতে হবে আপনি বুঝেন না(লাজ্জা পেয়ে)
আমি,,,, আবার আপনি তুই করে বলবি
মিতালী,,,, পারবনা কিন্তু তুমি করে বলতে পারি। তাহলে তোমাকেও বলতে হবে
আমি,,,,,আচ্ছা কিন্তু বললে না তো আমাকে ভালোবাস কিনা
মিতালী,,,,লজ্জা করে বলতে ☺️
আমি,,,,ওরে আমার লজ্জাবতী এলোরে। ঢং বাদ দিয়ে বল
মিতালী,,,,ভালোবাসি❤️ ভালোবাসি ♥️ ভালোবাসি 💙 খুব ভালোবাসি 💕♥️❤️🧡💛(বলেই আমার বুকে মুখ লুকালো)
আমি,,,, আমি তোমাকে নিজের চেয়ে অনেক ভালোবাসি💝💖
মিতালী,,,, তাহলে প্রপোজ করো
আমি ওর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে ফ্লোর থেকে একটা লাঠি কুরিয়ে নি
আমি,,,,প্রিয় জানিনা কিভাবে আমার অজান্তে এই তোমায় কিভাবে ভালোবেসে ফেলেছি। এখন তোমাকে ছাড়া এক মূহূর্তো ভাবতে পারিনা। তুমি আমার হাত ধরে বাকি পঞ্চাশ বছর কাটাবে। প্রিয় তোমাকে খুব খুব ভালোবাসি ❤️ 💕I love💖 you❤️♥️ prio ♥️💛 do you love me 💕❤️💕💖💝
মিতালী,,,,I love you too ♥️😔💛❣️ (আমাকে জরিয়ে ধরলো)
আমি,,,,ছাড়ো মা চলে আসবে
মিতালী আমাকে ছেড়ে দিল। তারপর নিচে গিয়ে আমরা খাওয়া দাওয়া করলাম। খাওয়ার সময় মিতালী আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছিল।
সেটা মেয়ের চোখ আরাল হয় নাই। মা কেমন জানি সন্দেহ চোখে তাকাচ্ছিলো। এভাবেই আমাদের চলতে লাগল বড়িতে চুপচাপ থাকি কলেজে গিয়ে চুটিয়ে প্রেম করি।
বড়ি থেকে রিক্সা নিয়ে যায় তারপর কিছু দুর গিয়ে আমার বাইকে ওঠে।
একদিন মা আর বোন নানু বড়ি যাবে। দুদিন থাকবে। আমাকে বলে গেল
মা,,,, শোন মিতালী বাসায় একা থাকবে তুই বাইরে বেশি ঘোরাঘুরি করবি না। ও একা থাকতে ভয় পায়। মনে থাকে জেনো। সাবধানে থাকবি
আমি,,,,আচ্ছা (আমিতো বেজায় খুশি শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা রেখে যাচ্ছে)
মাকে এগিয়ে দিয়ে আসলাম। বড়িতে এসে মিতালী কে খুঁজছি দেখি ছাদে বসে বই পরছে আমি পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম। আচমকা ধরায় একটু ভয় পেল
মিতালী,,,,কি করছ মা মনি দেখে ফেলবে
আমি,,,,মা কোথা থেকে আসবে সেতো নানু বাড়িতে গেছে
মিতালী,,,,,ও ।। কোনো দুষ্টুমি করবা না কিন্তু
আমি,,,,, কোথায় দুষ্টুমি করি। তোমার ঠোট দুটো অনেক সুন্দর (আমি ওর ঠোঁটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি)
মিতালী,,,,না না একদম না (পেছনে পিছচ্ছে)
আর বলতে দিলাম না ঠোট এক করে দিলাম। একটু পরে মিতালী ও রেসপন্স করছে। প্রায় পাঁচ মিনিট পর ছেড়ে দিলাম।
দুজনেই হাপাচ্ছি। মিতালী তো লজ্জায় মাথা নিচু করেছে।
তারপর মিতালী ছাদ থেকে নিচে নেমে যায় আমিও তারপর নিচে নামি।
মিতালী লজ্জায় আমার দিকে তাকাতেই পারছেনা। এইভাবে দুদিন কেটে গেলো আজ মা বড়ি ফিরেছে।
মা,,,,কিরে আমার ব্যাগ হাতাচ্ছিস কোনো
আমি,,,,তুমি কিছু আনোনাই
মা,,,,তুমি বাবা এখন আর ছোট নেই জে তোমার জন্য কোথাও গেলে কিছু আনতে হবে
এভাবেই কাটতে লাগলো আমাদের দিন। মিতালীর দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসা খুনসুটি নিয়ে। আজ লাস্ট পরিক্ষা।
এই কয়দিন ভালো ভাবে পরাশোনা করেছি। মনে হয় কোনো ভাবে পাশ ঠিক করব। তারপর আমাদের ভার্সিটি লাইফ। মোটামুটি ভালো ভাবে পরিক্ষা দিলাম পাশ করলাম।
কেটে গেলো দুই বছর। আমার প্রতি মিতালীর ভালোবাসা বেরেই চলেছে
আজ আমাদের বড়িতে অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটা আমাদের বিয়ে উপলক্ষে। আজ থেকে আমরা একসাথে থাকার লাইসেন্স পাব। আমাদের আবার বিয়েটা হয়ে গেলো।
মিতালী বাসর ঘরে বসে রয়েছে। আমি গেলাম মিতালী এসে আমাকে সালাম করল। আমি তাকে উঠিয়ে বুকে জড়িয়ে নিলাম।
মিতালী,,,,ওই
আমি,,,,কি
মিতালী,,,, আমার একটা বেবি লাগবে
আমি,,,,আচ্ছা কাল বাজার থেকে নিয়ে আসব
মিতালী,,,, দূরে যা আমার কাছ থেকে ভুলেও খাতে আসবি না (অনেক রেগে)
আমি,,,,আরে আমিতো মজা করছিলাম
মিতালী,,,,রাখ তোর মজা। আমাকে একদম টাস করবি না
আমি,,,,আরে আমাদের বেবি আনতে হবে না
মিতালী,,,,না লাগবেনা।
আমি,,,, আমার তো লাগবে
আর বলতে দিলাম না। লাইট অফ হয়ে গেল
বি:দ্র: [আমি কিছু জানিনা আমি এখনো বাচ্চা। নিজ দায়িত্বে বুঝে নিন]
সকালে মিতালী তার ভেজা চুল দিয়ে আমার ঘুম ভেঙ্গিয়ে দিল।
মিতালী,,,, গোসল করে আসো
আমি,,, হুম
আমি গোসল করতে গেলাম। গোসল সেরে এসে দেখি মিতালী আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল ঠিক করছে। আমি পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম। ওর চুলে নাক 👃 দুবিয়ে দিলাম।
মিতালীকে আমার দিকে ফিরিয়ে নিলাম মিতালীর শ্বাস-প্রশ্বাস ঘন হচ্ছে।
ওর ঠোঁট কাঁপছে। আমি আর লোভ সামলাতে পারলাম না। দুই মিনিট পর ছেড়ে দিলাম। এভাবেই আমাদের ভালোবাসা চলটে লাগলো। সবাই দোয়া করবেন
________সমাপ্ত________