গল্পঃ #নেট_দুনিয়ার_কিং
লেখক: #মোঃ_শাহরিয়ার_ইফতেখায়রুল_হক_সরকার
পর্বঃ ৪
----- খুব দ্রুত নেট দুনিয়ার অন্ধকার জগতটাকে
ধব্বংস করে আলোয় পরিনত করবো............
___রাত প্রায় দশটা শাহরিয়ার নিজের মুখ ডেকে
কিছু খাবার কিনার জন্য বাহিরে বের হয়?এছাড়াও
শাহরিয়ার কখনো দিনের বেলায় নিজের ফ্লাট থেকে
বের হয় না কারন দিনের আলোকে সে সজ্য করতে
পারে না?তাই সবসময় রাতে সে বাহিরে বের হয়ে
যাবতীয় যেসব জিনিস তার দরকার পরে সেগুলো
কিনে নিয়ে আসে?আর আজ ও তার বেতিক্রম
হলো না?নিজের জন্য কিছু খাবার কিনে নিয়ে
বাসায় আসার সময় শাহরিয়ার দেখতে পেলো
নির্জন এক রাস্তায় একটি মেয়ে একটি ছেলের পা
জড়িয়ে অনাবরত চোখের অশ্রু জড়াচ্ছে?
শাহরিয়ার ধুর থেকেই তাদের কথা গুলো বেশ
মনোযোগ সহ কারে শুনছিলো.........
মেয়েটিঃ প্লিজ ভাইয়া আপনি আমার এতো বড়
সর্বনাশ করবেন না?আমি তো আপনার ছোট
বোনের মতো?আপনি কি পারবেন আমার সাথে
এতো বড় অন্যায় কাজ করতে?
ছেলেটিঃ আরে রাখ তোর বোন?তোর এই দশ
মিনিটের ভিডিও বিক্রি করে আমি কত টাকা ইনকাম
করতে পারবো তুই কি সেটা জানিস?আর এমনিতেই
আমার হাত পা ধরে কোনো লাভ হবে না?যদি
পারিস তাহলে আমার একটা প্রস্তাবে রাজি হয়ে যা।
তাহলে সেই ভিডিও টা আমি সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট
করে দিবো?
মেয়েটিঃ কি কি? (ভয়ে ভয়ে)
ছেলেটিঃ যদি তুই আমার সাথে শুধু মাত্র শুধু মাত্র..
একটা রাত বিছানায় থাকবি তাহলে আমি কসম
করে বলছি সঙ্গে সঙ্গে ভিডিওটা আমি চিরদিনের
জন্য ডিলিট করে দিবো?
___ছেলেটির এমন কু প্রস্তাব শুনে মেয়েটি তার থেকে
একটু ধুরে চলে গিয়ে ঘৃনিত কন্ঠে বলল........
মেয়েটিঃ ছিহ? আমি কোনো ভাবেই সেসব পাপ
কাজে নিজেকে জড়াতে পারবো না?
ছেলেটিঃ আমি তো আমার শখের কথা বলে
দিয়েছি এখন বাকিটা তোর হাতে? কাল সকালের
মধ্যে রাজি হয়ে গেলে তো ভালো না হলে তোর
এই ভিডিওটা আমি ১৮+ সাইটে বিক্রি করে দিবো।
এবং ১৮+ সাইটে তোর ভিডিও টা যখন মানুষ জন
দেখবেনা তখন দেখবি বুড়ো থেকে কচি কচি
ছেলেরা ও তোর সাথে ইটিশপিটিশ করতে আসবে।
হা হা হা হা.........
___ কথাগুলো বলেই ছেলেটি হাসতে হাসতে
সেখান থেকে চলে যায় এবং মেয়েটি সেখানেই
হাটুগেরে বসে কান্না করতে থাকে।
___ ছেলেটি যাওয়ার কিছুক্ষন পর শাহরিয়ার
মেয়েটির কাছে গিয়ে তার মাথায় আদর মাখা
হাত বুলিয়ে মিষ্টি সুমধুর কন্ঠে বলল........
শাহরিয়ারঃ বোন? বোন রে…...এভাবে কান্না কেনো
করছো?
___ হঠাৎ করেই মাথায় কারো ছোয়া ও পিছন থেকে
কারো গলার সুর শুনতে পেয়ে পিছনে ফিরে
মুখ ডাকা কালো কোর্ট প্যান,পড়া একজন লোক
কে দেখতে পেয়ে ভয় পেয়ে কিছুটা ধুরে গিয়ে
বলল...........
মেয়েটিঃ কে আপনি?
শাহরিয়ারঃ ধরে নেও তোমার এক অচেনা
অপরিচিত বড় ভাই? এবার আমাকে বলো কেনো
এতো রাতে নির্জন রাস্তায় একাকী কান্না
করছো?কি হয়েছে তোমার? কোনো সমস্যায়
আটকে পড়েছো নাকি?
___ শাহরিয়ারের কথার জবাবে মেয়েটি বহু কষ্টে
নিজের চোখের পানি আটকে রেখে বলল.....
মেয়েটিঃ না ভাইয়া কিছু হয়নি?
শাহরিয়ারঃ আমাকে মিথ্যে বলার কোনো দরকার
নেই আমি সব জানি? ধুর থেকে দাড়িয়ে দাড়িয়ে
সব শুনেছি?
মেয়েটিঃ কি করবো ভাই বলেন?কাপর চেন্জ করার
সময় ভারাটিয়া ছেলেটা সেটা কিভাবে যেনো
ক্যামেরা বন্ধি করে এবং আমাকে সেটা দিয়ে
ব্লাকমেল করছে(কাঁদতে কাঁদতে)
শাহরিয়ারঃচিন্তা করো না?সব ঠিক হয়ে যাবে
আমি শুধু এটুকুই তোমাকে ঘ্যারান্টি সহ বলতে
পারি।আচ্ছা তোমার কাছে ছেলেটার কি কোনো
নাম্বার আছে?
মেয়েটিঃ জি আছে?
___ অতএব শাহরিয়ার মেয়েটির থেকে ছেলেটির
নাম্বার সংগ্রহ করে মেয়েটিকে তার বাসায় পৌছে
দিয়ে নিজের বাসায় চলে আসে।এবং বাসায় এসেই
শাহরিয়ার প্রথমে নিজের ল্যাপটপ ওপেন করে।
তারপর ছেলেটির সেই নাম্বার দিয়ে ছেলেটির
সমস্ত কিছু খুব সহজে নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসে?
এবং ছেলেটির মেসেঞ্জার চেক করে দেখলো
একটি বড় ১৮+ সাইটে তার ভিডিও বিক্রি করার
কথা ছিলো?কিন্তু এখনো সে করতে পারেনি?
আর করবেই বা কি করে ছেলেটির সব কিছু তো
শাহরিয়ারের হাতের মুঠোয়।অবশেষে শাহরিয়ার
ছেলেটির নেট জাতীয় সমস্ত কিছু নিমিষেই নষ্ট
করে দেয় এবং সেই সাথে কোনো ছাড় মিলেনি
ভিডিও বিক্রি করার একমাত্র সেই ১৮+
সাইটির?নিমিষেই নষ্ট করে উদাও করে দেয়
শাহরিয়ার।১৮+ সাইটটি নষ্ট হওয়ার তেত্রিশ মিনিট
পর সেই সাইটটির মালিক বহু কষ্টে জানতে পারলো।
এটা শাহরিয়ার ওরফে সেরু ভাইয়ের কাজ।নিজের
রাগ সামলে রাখতে না পেরে সেই ১৮+ সাইটটির
মালিক শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দেয় দশ
জন নামি দামী হ্যাকার?কিন্তু সেই হ্যাকার গুলো
হয়তো ঠিক জানতো না যে শাহরিয়ার তাদের
থেকেও বহু উপরে।অতপর ১৮+ সাইটটির
সহযোগিতা করার অপরাধে দশজন হ্যাকারের
মধ্যে একজন হ্যাকারের ও কোনো রকম ছাড়
মিলেনি।
___ পরের দিন সকালে কাপর চেন্জ করার
ভিডিও তৈরী করে মেয়েটিকে ব্লাকমেল করা সেই
ছেলেটিকে পুলিশ উদুম ক্যালানি ক্যালিয়ে টেনে
হিচরে থানায় নিয়ে যাচ্ছে। যা টিভিতে সরাসরি দেখে
হাসতে হাসতে শাহরিয়ার বেশ উপভোগ করছিলো।
বিকেলে শাহরিয়ার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ওপেন
করার বহু চেষ্টা করলেও কিছুতেই ওপেন হচ্ছিলো
না।একসময় শাহরিয়ার বুঝতে পারে তার সমস্ত
কিছু হ্যাক হয়ে গেছে? যার কারনে শাহরিয়ার বেশ
দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়ে গেলো। কে বা কারা এমনটা
করার সাহস দেখিয়েছে কিছুই তার মাথায় আসছে
না।হঠাৎ শাহরিয়ারের ফোনে একটা কল আসে।
এবং কলটা রিসিব করে শাহরিয়ার যা শুনে তাতে
সঙ্গে সঙ্গে শাহরিয়ারের ফোনটা ফ্লোরে পড়ে যায়।
_____________________চলবে__________________
প্লিজ কেউ কোনো রকম বাজে কমেন্ট করবেন না
নতুন কেউ একজন আসতে চলেছে যার সামনে
শাহরিয়ার কিছুই না।নিমিষেই ধুলোয় মিশিয়ে দিতে
পারে শাহরিয়ারকে সে।তবে সে কে হতে পারে😔
ভুল ক্রটি ক্ষমার চোখে দেখবেন
মুল্যবান মন্তব্য করুন ধন্যবাদ