গল্পঃ #নেট_দুনিয়ার_কিং লেখক: #মোঃ_শাহরিয়ার_ইফতেখায়রুল_হক_সরকার পর্বঃ ৫

 



গল্পঃ #নেট_দুনিয়ার_কিং

লেখক: #মোঃ_শাহরিয়ার_ইফতেখায়রুল_হক_সরকার

পর্বঃ ৫ 


___ হঠাৎ শাহরিয়ারের ফোনে একটা কল আসে। 


এবং কলটা রিসিব করে শাহরিয়ার যা শুনে তাতে 


সঙ্গে সঙ্গে শাহরিয়ারের ফোনটা ফ্লোরে পড়ে যায়।


ভয়ে তার সম্পূর্ন শরীর শিউরে উঠে।হঠাৎ করেই 


আবার শাহরিয়ারের ফোন বাজতে শুরু করলো।


শাহরিয়ার না চাইলেও ফোন উঠাতে বাধ্য সে?


তাড়িগরি করে ফ্লোর থেকে ফোন উঠিয়ে কল 


রিসিব করার সাথে সাথে ওপাস থেকে কোনো 


মেয়ের অট্টহাসি শুনতে পাচ্ছে সে? 


শাহরিয়ারঃ কি চান আপনি?


মেয়েটিঃ শুধুই তোকে চাই?


শাহরিয়ারঃ আমাকে দিয়ে আপনি কি করবেন?


মেয়েটিঃ তোর সাথে পবিত্র এক বন্ধনে আবদ্ধ 


হতে চাই? আমি তোকে বিবাহ করতে চাই?


শাহরিয়ারঃ আমার জীবনে নেই কোনো আলো 


চতুর দিকে শুধুই অন্ধকার তাই এসব বিয়ে টিয়ে


আমার দ্বাড়া সম্ভব না।


মেয়েটিঃ সম্ভব সম্ভব আমি চাইলে সবি সম্ভব? 


যাহ লেপটপ ওপেন কর?,আমি তোকে আবার 


সব কিছু ব্যাক করে দিয়েছি?


___ কথাগুলো বলেই মেয়েটি ফোন কেটে দেওয়ার 


সাথে সাথে শাহরিয়ার তার ল্যাপটপ ওপেন করতে


সক্ষম হয় এবং তার কিছুক্ষনের মধ্যেই শাহরিয়ারের 


ল্যাপটপে ভিডিও কল আসে।শাহরিয়ারের বুঝতে 


আর তেমন দেড়ি হলো না যে একটু আগে ফোনে


যার সাথে কথা হয়েছে এটা সেই মেয়েটাই?


তাই আর নয় ছয় না ভেবে শাহরিয়ার নিজেকে 


তৈরি করে অর্থা নিজের মুখটি ভালো করে ডেকে


ভিডিও কল রিসিব করার সঙ্গে সঙ্গে শাহরিয়ার 


দেখতে পেলো একজন সুন্দরী মেয়ে পায়ের


 উপর পা তুলে বসে আছে।মেয়েটি এতোই 


সুন্দরী যে তার সুন্দর্য বোধ হয় আসমানের 


পরি কেউ দ্রুত হার মানিয়ে দিবে।


মেয়েটিঃ এখনো তাহলে মুখ ডেকে রেখেছো?


শাহরিয়ারঃ জি আমার চেহারা আমি কাউকে


দেখাই না।


মেয়েটিঃ তাতে আমার কোনো সমেস্যা নেই?


কিন্তু কিছু কথা পরিষ্কার করে শুনে নেও?


আমার নাম শান্তা ইসলাম।আমার বাবা লন্ডনের


একজন জনপ্রিয় ব্যাবসায়ী হওয়া সত্যে লন্ডনেই


থাকতে হয় আমাকে। তাই বাংলাদেশে তেমন 


একটা আমার আসা হয় না। কিন্তু তোমার কাজ


গুলো দেখে সত্যিই মনে হচ্ছে এখন দেশে চলে


এসে তোমার সাথে দেখা করি? আমি তোমাকে


লাইক করি?লাইক করি বলতে আমি তোমাকে


ভালোবাসি এবং তোমাকে বিয়ে করতে চাই। 


এখন যদি তুমি হাজারো অমত প্রকাশ করো


তারপরেও জোর করে হলেও আমি 


তোমাকে বিয়ে করে ছাড়বোই?আমি 


একবার যখন তোমাকে ভালোবেসে


ফেলেছি তখন ধরে নেউ যেকোনো মুল্যে তোমাকে


পেয়েই আমি দম নিবো।আর হ্যা তোমার নিশ্চয়ই 


মনে প্রশ্ন নামক জিনিসটা জেগে উঠতে পারে 


আমি কিভাবেই বা তোমার সব কিছু আমার 


আয়ত্তের ভিতরে নিয়ে আসছিলাম।তাহলে শুনো 


লন্ডনে আমিও একজন বিখ্যাত হ্যাকার তাই 


তোমার সব কিছু হ্যাক করতে আমার বেশ সময় 


লাগে নি কিন্তু তুমি এখন কোনো চিন্তা করো না।


একবার যখন তোমার লাইফে প্রবেশ করেছি 


তাহলে ভেবে নেও কেউ তোমার দাড়ে কাছে 


হাজরো চেষ্টা করলেও আসতে পারবে না।


তুমি তোমার কাজ চালিয়ে যাও এবং আমি 


কিছুদিন পর দেশে আসছি তোমাকে আমার সাথে 


পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য। আর মোটেও 


বিয়ে করবে না এমনটা বলে উঠো না তাহলে 


জানে ও মারা যেতে পারো। তাই বি কেয়ারফুল'""


___ কথাগুলো বলার পরপরই শান্তা ভয়ংকর 


এক হাসি দিয়ে ভিডিও কল কেটে দেয়। 


___ এখনো শাহরিয়ার এক ধ্যানে তাকিয়ে 


আছে ল্যাপটপের দিকে এতক্ষন কিহলো


কি ভাবে হলো কিছুই ভেবে পাচ্ছে না সে।শূন্য 


মাথায় ঘুরে ফিরে ফল বারবার শূন্যই আসছে তার।


কোনো মতেই হিসাব মিলাতে পারছে না শাহরিয়ার। 


আজকের দিনটিকে কেনো যানি তার একটা


স্বপনের মতো লাগছে।


___ এরপর থেকে সকাল-বিকাল, রাত-দিন শান্তা


নামক মেয়েটা শাহরিয়ার কে সব সময় ফোন করে


বিরক্ত করতে থাকে।শাহরিয়ারের কথা বলার কোনো


ইচ্ছে না থাকলেও মিশন সম্পূর্ন না হওয়া পর্যন্ত


 নিজের সব কিছু হারাবার ভয়ে বাধ্য হয়ে শান্তার 


সাথে শাহরিয়ারকে কথা বলতে হয়।


___রাত প্রায় দুটো শাহরিয়ার এখনো নেট দুনিয়ার 


এক বাজে সাইটের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে।যেই সাইটে


পতিতালয়ের বিভিন্ন নারীদের নগ্ন বা ভিডিও দিয়ে 


মানুষদের আকৃষ্ট করা হয় যার ফলে পরবর্তীতে 


আকৃষ্ট হওয়া লোকজন চলে যায় পতিতালয় বা 


কোনো এক আবাসিক হোটেলে।একটা বার 


মনোযোগ সহ কারে ভেবে দেখুন আমি আপনি সবাই


 কিন্তু যানি ওই সব খারাপ সাইট থেকে মানুষ 


একমাত্র অন্যায় পথ ছাড়া আর কোনো পথে 


যাচ্ছে না।আপনি আমি তা জানা সত্যেও চুপ করে 


কেনো আছি।জানি এসব বিষয় নিয়ে হাজারো


আওয়াজ তুললেও বন্ধ হবে না।বন্ধ হবে না 


বলছি তাই বলে বন্ধ করতে পারবো না এমনটা 


বলিনি।সবাই নিজেদের নিজেদের বন্ধু-বান্ধব 


নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করুন এবং তাদের বিরুদ্ধে 


লেগে থাকুন যতক্ষন না পর্যন্ত বিজয় নিশ্চিত 


না হচ্ছে।আমরা এ দেশের মানুষ তাই এদেশের


ভালো খারাপ দেখা আমাদেরও দায়িত্বের মধ্যে 


পড়ে।


_____অবশেষে অনেক পরিস্রমের ফলে চিরদিনের 


জন্য সেই সাইট টি বন্ধ করে দিতে সক্ষম হয় 


শাহরিয়ার।এবং পরের দিন সেই সাইটের সম্পূর্ন 


চক্রটাকে পুলিশ নিজেদের বসে নিয়ে আসে


অর্থাৎ তাদের সবাই কে গ্রেফটার করেন।যা 


সম্পূর্ন সম্ভব হয়েছে শুধু মাত্র শাহরিয়ারের জন্য।


দেশ জুড়েই নানা আলোচনা সমালোচনার শীর্ষে


আছে শাহরিয়ার। কিন্তু কেউই এখনো পর্যন্ত 


শাহরিয়ারের কোনো সঠিক তথ্য বের করতে


পারেনি।


___ শাহরিয়ার কখনো দিনের বেলা বাহিরে বের 


হতো না কিন্তু তাকে আজ বের হতেই হলো। 


মুখ ডেকে বহু দিন পর বাহিরে বের হলো শাহরিয়ার।


দিনের আলো তার চোখে পড়তেই 


কেমন যানি অসস্থি লাগে শাহরিয়ারের।


তাই আর দেড়ি না করে দ্রুত ধানমন্ডি যাওয়ার 


একটা বাসে উঠে জরুরী কোনো এক কাজে


 রৌহানা দেয় শাহরিয়ার। অবশেষে শাহরিয়ার 


ধানমন্ডি পৌছিলে বাস থেকে নামার সাথে সাথে 


মুখোমুখি হয় নিজের চাচাতো বোন সেই ফারিয়া 


নামক মেয়েটার.........................


 _____________________চলবে__________________


প্লিজ কেউ কোনো রকম বাজে কমেন্ট করবেন না


এই গল্পের লেখক মোঃ শাহরিয়ার ইফতেখায়রুল 

হক সরকার অর্থাৎ আমি।আমার নাম ছাড়া এই

গল্প যেখানে দেখবেন মনে করবেন কপিবাজ আর

কপিবাজ কে সবাই উপহার হিসেবে নিশ্চয়ই 

রিপোর্ট মারবেন🙂



Post a Comment (0)
Previous Post Next Post