পছন্দের মেয়েটি যখন অফিসের বস * * * লেখক/:::; রাসেল চৌধুরী পর্ব):::::::::: ( ৩ ) :::::::: ( তিন ) ::::::: ( শেষ)

পছন্দের মেয়েটি যখন অফিসের বস  *  *  * লেখক/:::; রাসেল চৌধুরী পর্ব):::::::::: ( ৩ ) :::::::: ( তিন ) ::::::: ( শেষ)



গল্প)::::: পছন্দের মেয়েটি যখন অফিসের বস

*

*

* লেখক/:::; রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷

*

*

* পর্ব):::::::::: ( ৩ ) :::::::: ( তিন ) ::::::: ( শেষ)

*

*

*

* কিছুক্ষণ পর ফারিয়া একটা ছেলেকে দেখে এমন কিছু করবে। আমি তো কল্পনাও করতে পারিনি। 


-ফারিয়া একটা ছেলেকে দেখে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু দিলো। ছেলেটাও ফারিয়ার কপালে চুমু দিলো। আমি আর দাঁড়িয়ে না থেকে এয়ার পোর্ট থেকে একটা চিএনজি ওঠে বাসায় চলে আসলাম। আসার সময় মোবাইল বন্ধ করে রাখলাম।


যাকে পাওয়ার জন্য অফিসে জয়েন্ট করেছি। সে এখন অন্য ছেলেকে ভালোবাসে। বাসায় এসে কলিং বেল চাপ দিলাম। আম্মু এসে দরজা খুলে দিলো। 


আম্মু/; কিরে রাসেল, আজকে এতো তাড়াতাড়ি অফিস থেকে চলে আসলি যে। 


আমি/: আম্মু অফিসে তেমন কাজ নেই। তাই বসে সবাই কে ছুটি দিয়ে দিছে। ( সত্যি টা বললাম না। ) 


আম্মু): ঠিক আছে। রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়। আমি টেবিলে খাবার দিচ্ছি। 


আমি/; আম্মু আমি খাবার খাবো না। আসার সময় রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়ে এসেছি। 


আম্মু/: তাহলে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে, কিছুক্ষণ রেস্ট নেয়। 


আমি আর কোনো কথা না বলে রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে ওয়াস রুমে ঢুকে পানি ছেড়ে অনেকক্ষণ ধরে কান্না করলাম। তার পর বেরিয়ে এসে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। 


এভাবে তিনটা দিন চলে গেল। আমি আর মোবাইল চালু করি নাই। বাসাতে তিন দিন কাটিয়ে দিলাম। আব্বু আম্মু বলেছে, আমার কি হয়েছে। আমি তাদের কিছু বলি নাই। 


এই তিন দিনে প্রায় পাঁচ প্যাকেট সিগারেট খেয়েছি। খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো করি নাই। হঠাৎ আমি গেল হারিয়ে ফেলি। তার পর আর কিছুই মনে নেই। 


চোখ খুলে দেখি আব্বু আম্মু আর রাইসা আমার পাশে বসে আছে। চারপাশে তাকিয়ে দেখি আমি হাসপাতালে আছি। আমাকে চোখ খুলতে দেখে আম্মু বলল। 


আম্মু/: কিরে বাবা, তোর গেন ফিরেছে। আজ একদিন পর তোর গেন ফিরেছে। তোর কি হয়েছে বল। পুরো রুমে দেখি সিগারেট টানতে টানতে ভরে রাখছিস। 


আমি): আগে বলো , আমি হাসপাতালে কেনো। কি হয়েছে আমার। 


আম্মু/: তোকে দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য, তোর রুমে ডাকতে গেছি। কিন্তু তোর রুমে গিয়ে দেখি, তুই নিচে পড়ে আছিস। তখন তোর বাবাকে ফোন দিয়ে বাসায় আনি। তোর বাবা দারোয়ান তোকে ধরে গাড়িতে উঠায় হাসপাতালে নিয়ে আসি। এরপর ডাক্তার বলেছে। তুই ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করিস নাই। একারনে তোর শরীর দুর্বল হয়ে গেছে। এবার বল কেনো এমন করছিস। 


আমি): তাহলে শুন ( তার পর আম্মু আব্বুকে সব ফারিয়ার কথা খুলে বললাম। ) তখন আব্বু বললো। 


আব্বু/: তার মানে, তুই ওই মেয়ের জন্য নিজের অফিস চেড়ে তাদের অফিসে কাজ করছিস। আরে তুই বললে তো , ওদের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতাম। তারা হয়তো জানে না, বাংলাদেশের বিজনেস ম্যান দের মধ্যে আমি একজন। 


আমি/: আব্বু ওসব কথা বাদ দাও। আমি আর ওই অফিসে কাজ করবো না। এখন থেকে নিজেদের অফিস দেখাশোনা করবো। কাউকে জোর করে ভালোবাসা যায় না। 


আব্বু/: ঠিক আছে। তুই যখন বলছিস। তাহলে আর সামনে আগাবো না। তোরা থাক , আমি ডাক্তারের কাছে গেলাম। দেখি ডাক্তার কি বলে। তোকে কখন বাসায় নিয়ে যাওয়া যাবে। 


এ কথা বলে আব্বু কেভিন থেকে বেরিয়ে গেল। আমি আম্মু আর রাইসা কথা বলছি। 


পরের দিন সকালে বাসায় নিয়ে আসা হলো আমাকে। আমি এখন ভাবছি কালকে গিয়ে রিজাইন লেটার দিয়ে আসবো। এবং আমার সাটিফিকেট গুলো নিয়ে আসবো। 


পরের দিন আম্মুকে বলে , অফিসে চলে আসলাম।আজ ছয়দিন পর অফিসের ভিতরে ঢুকে নিজের কেবিনে চলে আসলাম। তার পর চেয়ারে বসে, কম্পিউটারে রিজাইন লেটার টাইপ করলাম। টাইপ করা শেষে ফারিয়ার কেভিনের সামনে চলে আসলাম। 


আমি/: ভিতরে আসতে পারি। 


ফারিয়া দরজার দিকে তাকিয়ে , আমাকে দেখে দৌড় দিয়ে এসে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো। আমি ফারিয়াকে ছেড়ে বললাম। 


আমি/: কি ব্যাপার আপনি কান্না করছেন কেনো। 


ফারিয়ার চেহারার দিকে তাকিয়ে আমি পুরো অবাক হয়ে গেলাম। চেহারা কেমন শুকিয়ে গেছে ‌ চোখ দুটো লাল হয়ে আছে। আমার মনে হয় ফারিয়া ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করে না। ফারিয়া আমাকে বললো।


ফারিয়া): তুমি আমাকে আপনি করে বলছো কেন। আর এতো দিন কোথায় ছিলে। তোমার মোবাইল বন্ধ কেনো। ( কান্না করতে করতে বললো)


আমি/: আপনি অফিসের বস। আর আমি অসুস্থ ছিলাম। তাই আসতে পারি নাই। এবং আজকে থেকে আমি আর আপনার অফিসে চাকরি করবো না। এই নিন রিজাইন লেটার। আমার সাটিফিকেট গুলো দেন। 


ফারিয়া/: এটা তুমি কি বলছো। তোমার কি হয়েছে। তুমি অফিসে চাকরি করতে চাওনা কেনো। আর আমি অফিসের বস তো কি হয়েছে। তোমাকে বলছি না, আমাকে নাম এবং তুমি করে বলতে। 


আমি/; আমি কেনো চাকরি ছেড়ে দিচ্ছি, সেটা বলতে পারবো না। আপনি আমার কাগজ পত্র গুলো দেন। আমার হাতে সময় নেই। 


ফারিয়া/: তোমার কি হয়েছে রাসেল। প্লিজ তুমি একটা বার বলো। আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। ( আমার হাত ধরে) 


আমি ফারিয়ার হাতটা ছাড়িয়ে বললাম। 


আমি): আপনার কথা বুঝলাম না। আমাকে ছাড়া থাকতে পারবেন না মানে। 


ফারিয়া): তুমি আমার কথাতে বুঝতে পারছো না। আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। প্লিজ রাসেল তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিওনা । তোমাকে যেদিন অফিসে দেখি। সেদিন তোমাকে আমার ভালো লাগে। এজন্য তোমার সাথে ফ্রি ভাবে কথা বলি। 


আমি): আপনি না অন্য ছেলেকে ভালোবাসেন। ওই দিন তো দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু খেয়েছেন। 


ফারিয়া আমার কথা শুনে হাসতে হাসতে বলল। 


ফারিয়া/: তুমি জীবনের কথা বলছো। আরে ওতো আমার ছোট ভাই। দুজনে একসাথে বাহিরে গেছি পড়ার জন্য। কিন্তু হঠাৎ আব্বু অসুস্থ হওয়ার কারনে আমি দেশে আসি। ওদিন জীবনের একটা পরিক্ষা ছিলো। তাই সে আসতে পারে নাই। আর জীবন আমার কলিজা, আমার জানের ভাই। 


আমি/: তুমি তো কখনো বলো নাই। তোমার ভাই আছে। 


ফারিয়া): তুমি কি কখনো আমাকে জিজ্ঞেস করেছো। যদি করতে তাহলে বলতাম। 


আমি): আমি মনে করেছি , তোমার আর কোনো ভাই বোন নেই। তাই জিগ্গেস করলাম না। আর তুমি না বলছো একটা ছেলেকে পছন্দ করো। তাহলে সে কে। 


ফারিয়া): আরে সেই ছেলেটা তুমি। আব্বু আম্মু কে তোমার কথা সব আগে বলে রেখেছি। তারাও তোমাকে পছন্দ করেছে। তাই আমি ভাবছিলাম, সামনে আমার জম্মদিনে , তোমার পরিবারের সবাইকে দাওয়াত দিবো। আর ওইদিন আন্টি পড়িয়ে রাখবো‌ ‌ কিন্তু আজ ছয়দিন ধরে তোমার কোনো খুঁজ খবর নেই। তোমার বাসাও চিনি না। তাই ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করি নাই। 


আমি আর কোনো কথা না বলে ফারিয়াকে জড়িয়ে ধরলাম। মেয়েটা আমাকে এতো ভালবাসে। আর আমি কিনা কিছু না বুঝে, ওর থেকে দুরে চলে যাচ্ছিলাম। 


আমি/: আমি ও তোমাকে অনেক আগে থেকে ভালোবাস তাম। আমি একদিন তোমাকে রাস্তার পাশে দেখে পছন্দ করি। তার পর তোমার পিছনে পিছনে এসে জানতে পারি। তুমি তোমাদের অফিস দেখাশোনা করো। হঠাৎ অফিসের গেটে চোখ পড়লো। লোক নেওয়ার বিগপত্তি । তার পর আমার নামটাও দিয়ে আসি। আমি তোমাকে পাওয়ার জন্যে অফিসে চাকরি নিচি। আর তুমি আমার আসল পরিচয় জানো না। 


ফারিয়া কে এখনো জড়িয়ে ধরে আছি। তখন ফারিয়া বললো। 


ফারিয়া): তোমার আসল পরিচয় মানে। 


আমি/: আমাদের সব কিছু আছে। বাড়ি গাড়ি ব্যাংক ব্যালেন্স। আমার বাবা একজন বাংলাদেশের টপ বিজনেস ম্যান। নিজেদের এতো কিছু থাকতে। তার পরেও তোমাকে পাওয়ার জন্যে অফিসে চাকরি করি। তুমি যখন বলেছিলে, তোমার একজন পছন্দের মানুষ আছে। তখন থেকে আমার মন খারাপ হয়ে যায়। এরপর যখন তুমি এয়ার পোর্টে, তোমার ভাইকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু খেয়েছো। তখন আমি আর দাঁড়িয়ে না থেকে বাসায় চলে আসি। ( এরপর কি হলো আপনারা তো জানেন। )


ফারিয়া): তার মানে তুমি আমাকে আগের থেকে ভালোবাসতে। 


বলে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। তার পর ফারিয়া আমাকে নিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে আসলো। কারন তার অনেক খিদে লেগেছে। ছয়দিন ধরে ঠিকভাবে খাওয়া দাওয়া করে নাই। 


দুজনে একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে খাবার খেলাম। ফারিয়া আমাকে খাইয়ে দিলো। আমি তাকে খাইয়ে দিলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাহিরে এসে, অনেক জায়গায় ঘুরা ঘুরি করছি। তার পর ফারিয়াকে বাসায় দিয়ে, আমি বাসায় চলে আসলাম। 


এখন আমি বাসর ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। রিয়া আমার বাসর ঘর সাজিয়েছি। এখন সে দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে ভিতরে ঢুকতে দেয়না টাকার জন্য। 


এবার আপনাদের বলি। ফারিয়ার জম্মদিনে আমার পরিবারের সবাই এসেছে। তার পর শশুর শাশুড়ি আমার আব্বু আম্মুর সাথে কথা বলে। জন্মদিনে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে। এরপর আজকে বিয়েটা হয়ে গেলো। তো যাই হোক। 


রিয়া /: ওই টাকা তাড়াতাড়ি বের কর। বাসর ঘর সাজাতে অনেক কষ্ট হয়েছে। 


আমি/: তোকে কেউ বলছে, আমার বাসর ঘর সাজাতে। 


রিয়া/: ঠিক আছে। এখনি তোর বাসর ঘরের সব ফুল চিড়ে ফেলতে আছি। ফুল ছাড়া এবার বাসর করাবো তোকে। এমনে তোর ওপর অনেক রাগ। 


কথা বার্তা ভালো বুঝা যাচ্ছে না। তাই ওরে টাকা দিয়ে বাসর ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলাম। রিয়া বাহির থেকে আমার চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করছে। কারন তাকে টাকা কম দিছি। আর রিয়ার রাগার কারন হলো। তাকে আমি সত্যি টা বলি নাই কেনো। একারণে আমার ওপর রাগ করে আছে। 


আমাকে বাসর ঘরে ঢুকতে দেখে, ফারিয়া বিছানা থেকে নেমে এসে পা ধরে সালাম করতে গেলে আমি তাকে বুকে জড়িয়ে নিলাম। ফারিয়া আমাকে বললো। 


ফারিয়া/: এভাবে সারাজীবন তোমার বুকে রাখবে। কখনো ছেড়ে যাবে না তো। 


আমি/: ভালোবাসার মানুষকে কি কখনো ছেড়ে যাওয়া যায়। তোমাকে আমার বুকে সারাজীবন জড়িয়ে রাখবো। 


তার পর দুজনে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে খাটে গিয়ে বসলাম। আমি ফারিয়ার ঘোমটা তুলে তার দিকে তাকিয়ে দেখি। আজকে ফারিয়াকে অনেক সুন্দর লাগছে। 


আমি ফারিয়ার কপালে একটা চুমু দিলাম। ফারিয়া হঠাৎ কেঁপে উঠলো। তার পর ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে কিস করতে লাগলাম। আমি ফারিয়াকে বিছানায় শুয়ে দিয়ে, তার পুরো শররীরে কিস করতে লাগলাম। তার পর আর বলবো না। বাকিটা বুইড়ার ঠেং। 

ধন্যবাদ সবাইকে এতো কষ্ট করে গল্পটা পড়ার জন্য। 

*

*

*

*

* :::::::::::::::::::::::::::: সমাপ্ত:::::::::::::::::::

*

*

*

* ধন্যবাদ সবাইকে, সবাই লাইক এবং কমেন্ট দিয়ে জানাবেন গল্পটা কেমন হয়েছে। লাইক এবং কমেন্ট না করলে মাথা ফাটিয়ে দিমু। তার পর ডাক্তারের কাছে নিয়ে ঔষধ কিনে দিবো। আমি আবার অতোটা খারাপ ছেলে না। 

*

*

* পরবর্তি গল্পের জন্য অপেক্ষা করুন 🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿 রোমান্টিক গল্প পড়তে ইচ্ছুক, তাহলে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে, ইনবক্সে নক করুন। তা না হলে ঝুলে থাকবেন। ( রোমান্টিক গল্প লেখক রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post