ছদ্মবেশী ছেলে বনাম মেজরের মেয়ে পর্ব/:::::: ( পাঁচ ) :::::::: ( ৫ ) এবং শেষ।



গল্প/:::: ছদ্মবেশী ছেলে বনাম মেজরের মেয়ে।

*

*

* লেখক/::::: রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷

*

*

* পর্ব/:::::: ( পাঁচ ) :::::::: ( ৫ ) এবং শেষ

*

*

*

*

* আমি ভিতরে ঢুকে এমন একজন কে দেখবো। সেটা আমি কখনো কল্পনাও করতে পারিনি। 


আমরা ভিতরে ঢুকে দেখি রনি এবং জীবন দুইটা মেয়ের সাথে খারাপ কিছু করার চেষ্টা করছে। আমাদের দেখে ওই দুই টা মেয়েকে ছেড়ে দিলো। তার পর রনি বললো।


রনি/: রাসেল তোরা এখানে। 


আমি/: কেনো , আমাদের বুঝি এখানে আসা করিস নাই। 


জীবন/: তাহলে তোরা যখন এসেছিস, আজকে তোরা আর জীবিত ফিরত যেতে পারবি না। 


আলাউদ্দিন/: রনি এবং জীবন, তোরা হয়তো আমাদের সমন্ধে ভালো করে জানিস না। 


রনি/: আরে তোদের আমি ভালো করে চিনি। ইন্টার ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার সময় তোদের সাথে যোগ দিয়ে সব খবর রেখেছি। 


জীবন/: কিন্তু একজন মানুষ কে বাহির করতে পারি নাই। সেটা হচ্ছে তোদের বস কে। 


আমি/: আমাদের বস কে আর কখনো দেখতে পাবি না। কারন আজকে তোদের জীবনের শেষ দিন। 


রনি/: হা হা হা তোরা আমাকে হাসালি। তোরা হয়তো জানিস না, এখানে যারা আসে। তারা কখনো জান নিয়ে ফিরতে পারে না। 


আমি/: ওমা তাই নাকি। তোরা হয়তো ভালো করে জানিস, আমরা কার লোক। 


জীবন/: সেটা আমরা ভালো করে জানি। তোরা হলি বাংলাদেশের একজন বড় মাফিয়ার লোক। 


রনি/: তোদের মেরে , ওই মাফিয়া কে মারবো। তার পর আকাশ এর বস এই দেশে রাজত্ব করবে। 


রাফি/: সেটা তোরা কখনো করতে পারবি না। তোদের এবং ওই আকাশ কে মেরে তার পর তোদের বসকে মারবো। 


জীবন/: তাই নাকি। তাহলে দেখি কে কাকে মারে। 


আমি/: আরে ওদের মারতে , আমরা হাত নষ্ট করবো কেনো। আমাদের লোক ওদের জন্য যথেষ্ঠ। অ্যাটাক 


আমি এটা বলার সাথে সাথে চার পাশ থেকে গুলা গুলি শুরু হয়ে গেল। রনি আর জীবন আড়ালে চলে গেল। তাদের সব লোক গুলি খেয়ে মাটিতে গড়াগড়ি করতে করতে মারা গেলো। 


আমরা গিয়ে রনি আর জীবন কে গিয়ে ধরলাম। ধরে মারতে লাগলাম। তখন আমি বললাম।


আমি/: কিরে আমাদের না মেরে ফেলবি। 


রনি/: রাসেল তোরা আমাদের মাফ করে দেয়। আমরা আর কখনো এসব কাজ করবো না।


আলাউদ্দিন/: তোদের মতো জানোয়ার দের কখনো বাঁচিয়ে রাখবো না। 


রাফি/: তোরা আমাদের সাথে বেইমানি করছিস। তোদের আজকে শেষ দিন। 


আমি/: মরার আগে যেনে যা, এবং দেখে যা, ,। আমি সেই মাফিয়াদের বস, রাসেল সিকদার। 


এটা বলে রনি আর জীবন কে সুট করে দিলাম। তারা দুজন গড়াগড়ি করতে করতে মারা যায়। আমাদের লোক কে বলি , তাদের লাশ নদীতে পেলে দিতে। 


আমার লোক তাই করলো। হঠাৎ রনির মোবাইলে একটা ফোন আসে। ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি আকাশ বস দিয়ে সেফ করা। আমি রিসিভ করার পর আকাশ বললো।


আকাশ/: শুন রনি , তোরা ওই মেয়ে গুলো কে ভডারের পাশে আমাদের যে আস্তানা আছে। ওখানে নিয়ে আয়। আমি ওখানে আছি, ইন্ডিয়ার একজন বড় মাফিয়া কে পেয়েছি। সে ওই মেয়ে গুলোকে কিনতে চায়। 


এই বলে আকাশ ফোন কেটে দিলো। আমি রাফি আর আলাউদ্দিন কে বললাম।


আমি/: শুন আমরা এখন ,ওই আস্তানায় যাবো। আকাশ কে ধরে , তার বসকে বাংলাদেশে আনবো।


রাফি/: তা না হলে বুঝলাম। কিন্তু তাদের আস্তানা তো আমরা চিনি না, আর আকাশ তো আস্তানার নাম বলে নাই। 


আমি/: আরে হারামি , আমি এমনে এমনে কি মাফিয়া হয়েছি, এখন আকাশ এর নাম্বার ফাহিম এর কাছে পাঠিয়ে দিবো। সে নাম্বার টা নিয়ে কম্পিউটারে দেখবে আকাশ এখন কোথায় আছে। 


আলাউদ্দিন/: সালা তোর মাথায় বুদ্ধি আছে বলতে হবে। তাহলে এখনি নাম্বার পাঠিয়ে দেয়। 


আমি/: হুম দিচ্ছি। আমরা ওখানে আকাশের গাড়ি নিয়ে যাবো। তাহলে আমাদের আর সন্দেহ করতে পারবে না। 


আরো কিছু কথা বললাম। এর ফাঁকে ফাহিম কে নাম্বার পাঠিয়ে দিছি, কিছুক্ষণ পর ফাহিম ফোন দিয়ে জায়গার নাম বলে দিলো। 


আমরা গাড়ি নিয়ে আকাশের আস্তানা যেতে লাগলাম। প্রায় এক ঘন্টা পর আস্তানা থেকে কিছুটা দূরে এসে গাড়ি থামালাম। 


এই আস্তানার আসেপাশে কোনো বাড়ি ঘর নেই। নিরব একটা জায়গায়। সবাই গাড়ি থেকে নেমে পড়লো। 


আমি/: শুন আমি গাড়ি নিয়ে ভিতরে যাবো। তোরা লোক নিয়ে পুরো আস্তানার চার পাশে ঘিরে ফেলবি।বাহিরে ওদের যতো গুলো লোক আছে। সবগুলো কে মেরে ফেলবি, এমন ভাবে মারবি, যাতে ভিতরে কোনো শব্দ না যায়। 


রাফি/: ঠিক আছে। তবে ভিতরে তোর যদি ওরা ক্ষতি করার চেষ্টা করে।


আমি/: ওরা আমার কিছুই করতে পারবে না। আমি অ্যাটাক বলার সাথে সাথে আক্রমণ করা শুরু করে দিবি। 


আলাউদ্দিন/: ঠিক আছে। তুই তাহলে গাড়ি নিয়ে ভিতরে যা। আমরা বাহিরের ময়লা গুলো পরিস্কার করে ফেলি। 


আমি/; ঠিক আছে। আমি ভিতরে গেলাম। 


আমি গাড়িতে উঠে মুখে মাক্স পড়ে, গাড়ি চালিয়ে আস্তানার ভিতরে গেলাম। আমাকে কেউ বাধা দেয় নাই, কারন তারা মনে করছে, তাদের গাড়ির ভিতরে রনি আর জীবন ছিলো। 


আমি সোজা আস্তানার ভিতরে গাড়ি ঢুকিয়ে দিলাম। ভিতরে ঢুকে দেখি আকাশ একটা লোকের সাথে বসে কথা বলছে। গাড়ি দেখে তারা দুজনে এদিকে আসছে। 


তারা মনে করছে, গাড়ির ভিতরে মেয়ে নিয়ে এসেছে। আসলে সব মেয়ে গুলো কে আমি আরেক টা গাড়িতে করে পাঠিয়ে দিছি। কোথায় পাঠিয়েছি, সেটা পরে জানতে পারবেন। আগে আকাশ আর ইন্ডিয়ার মাফিয়া কে ওপরে পাঠিয়ে দিই। 


আকাশ আর ইন্ডিয়ার মাফিয়া যখন গাড়ির সামনে আসলো। তখন আমি গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়াই। 


আকাশ/: কিরে রনি, তুই মুখে মাক্স পড়ে আছিস কেন। আর জীবন কোথায়। 


আমি কোনো কথা বলছি না। তখন আকাশ আবার বললো।


আকাশ/; কিরে কথা বলছিস না কেন। গাড়ির দরজা খোল, ইন্ডিয়ার মাফিয়া কে মেয়ে গুলো দেখা। 


এবার আমি মুখ থেকে মাক্স খুলে ফেললাম। আকাশ এবং ইন্ডিয়ার মাফিয়া আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তখন আমি বললাম।


আমি/: কিরে অবাক হচ্ছিস। রনি আর জীবন এর জায়গায় আমি কেমন করে আসলাম। 


আকাশ/: ওহ, তার মানে তুই জেনে গেছিস, আমি বাংলাদেশে এসেছি। 


আমি/: তুই যেদিন এসেছিস, ওদিন তোকে দেখেছি। এতো দিন তোর পাশে লোক লাগিয়ে রেখেছি, তুই কোথায় কি করিস। 


আকাশ/: যখন তুই জেনে গেছিস, তাহলে আজকে তোকে আর জীবিত ফিরত যেতে দিবো না। 


আমি/: আচ্ছা তাই। একটু চার পাশে তাকিয়ে দেখ তো। 


আকাশ চার পাশে তাকিয়ে দেখে, তার লোক সব গুলোর মাথায় গুলি ধরে রাখছে , আমার সব লোক। রাফি আর আলাউদ্দিন আমার দুই পাশে দাঁড়ালো। 


আলাউদ্দিন): কিহ, মিষ্টার আকাশ। তুই মনে করছিস, আমার বোন কে মেরে , পালিয়ে থাকতে পারবি। সেটা কখনোই সম্ভব না। আজকে তোর জীবনের শেষ দিন। 


এটা বলে আলাউদ্দিন আকাশ এর পায়ে একটা গুলি করে দিলো। ইন্ডিয়ার মাফিয়া ভয়ে এক কোনে দাঁড়িয়ে আছে। সে হয়তো এমন কিছু হবে ভাবতে পারে নাই। 


আকাশ): আমার ভুল হয়ে গেছে। আমার জীবন টা ভিক্ষা দাও। আমি আর এমন কাজ কখনো করবো না। 


আমি/: তোর জীবন ভিক্ষা দিবো। তার আগে বল, তোর বস সাদেক বাচ্চু কোথায়। 


আকাশ): আমি এটা বলতে পারবো না। আমি যদি বলে দিই, তাহলে আমাকে জানে মেরে ফেলবে।


রাফি/: তুই যদি না বলিস, তাহলে আমরা তোর জান টা নিয়ে যাবো। 


রাফি এটা বলে আকাশ এর আরেক পায়ে গুলি করলো। আকাশ মরা মানুষ এর মতো লাফাতে লাগলো। 


আকাশ/: বলছি বলছি, আমাকে তোরা মারিস না। বস ওইদিন আমার সাথে বাংলাদেশে আশে। এখন তার বাসায় আছে। বস আবার নতুন করে সব কিছু চালাতে শুরু করছে। 


আমি/: তার মানে সাদেক বাচ্চু বাংলাদেশে আছে। তাহলে আজকেই ওর শেষ দিন। আলাউদ্দিন তোর কাজ টা সেরে পেল। 


বলার সাথে সাথে আলাউদ্দিন আকাশ এর বুকে একটানা গুলি করতে লাগলো। আকাশ লাফাতে লাফাতে মারা গেলো। 


আমি/: মিষ্টার মাফিয়া, তোকে আমি ছেড়ে দিচ্ছি। তোর সাথে আমার কোনো শত্রু তা নেই। যদি আর কখনো তোকে বাংলাদেশে দেখি, সেদিন তোর শেষ দিন হবে, কথাটা মনে রাখিস। এখন তুই যেতে পারিস। 


বলতে দেরি , ইন্ডিয়ার মাফিয়া তার লোক নিয়ে চলে গেল। আর আকাশ এর লোক সবগুলো কে মেরে ফেললাম। আকাশ এর লাশ টা নদীতে ভাসিয়ে দিতে বলছি। 


ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি তিন টা বেজে গেছে। সাদেক বাচ্চু বাসায় আমি রাফি আর আলাউদ্দিন গাড়ি নিয়ে চলে আসলাম। পিছনে আরো তিন গাড়ি লোক ছিলো আমার। আসতে ৩০ মিনিট লেগে গেছে। 


বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থেকে নেমে সবাই ভিতরে ঢুকে গেলাম। ভিতরে ঢুকে সবাই গুলি করা শুরু করলাম। সাদেক বাচ্চুর লোক আমাদের গুলি করা শুরু করেছে। 


সব গুলো কে মেরে বাসার দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকলাম। তার পর সাদেক বাচ্চুর রুমের দরজা ভেঙে আমি রাফি আর আলাউদ্দিন ঢুকে গেলাম। ভিতরে ঢুকে দেখি সাদেক বাচ্চু বিছানার উপর নেই। 


টয়লেট এর দরজা বন্ধ, রাফি গিয়ে টয়লেট এর দরজা লাথি মেরে ভেংগে ফেললো। ভিতরে দেখি সাদেক বাচ্চু চুপ করে বসে আছে। 


তার কোনো কথা না শুনে তিন জনে গুলি করা শুরু করলাম। গুলি করার পরে হাতের এবং পায়ের রগ কেটে দিলাম। 


সাদেক বাচ্চুর লাশ টা নদীতে ভাসিয়ে দিতে বলছি। আমি রাফি আর আলাউদ্দিন সাদেক বাচ্চুর বাসা থেকে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে রাফির বাসায় চলে আসলাম। 


আমার লোক গুলোকে বলছি, আমার আস্তানায় চলে যেতে। 


এবার আপনাদের সব খুলে বলি। আমি মাফিয়া হওয়ার কারণ হচ্ছে। 


আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন এই সাদেক আমার দাদার ম্যানেজার ছিলো। এই সাদেক বাচ্চু আমার দাদার ৫০ কোটি টাকা মেরে বাহিরে চলে যায়, এবং আমার দাদাকে মেরে। 


তখন আমি আব্বু আম্মু বাহিরে ঘুরতে এসেছি, দাদা আমাকে অনেক আদর করতো। তাই আমি প্রতিক্ষা করেছি, আমার দাদার হত্যার প্রতিশোধ নিবো। 


রাফি আর আলাউদ্দিন আমার ছোট কালের বন্ধু। রাফির বাবা হচ্ছে, মেজরের প্রধান, এবং আলাউদ্দিন এর বাবা হচ্ছে, পুলিশের প্রধান। আমরা সবাই ওদের সাথে যোগাযোগ রেখে এসব কাজ করে গেছি। 


আকাশ একদিন কলেজ থেকে আলাউদ্দিন এর বোন কে তুলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলে, তার পর আকাশ বাহিরে চলে যায়। 


আকাশ এর খুঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি, আকাশ সাদেক বাচ্চুর ডান হাত ছিলো। 


আর নয়ন ছিলো আকাশের ছোট ভাই। সেও মেয়েদের সাথে এমন কাজ করতো, তাই তাকেও দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিলাম।


রাফি এবং আলাউদ্দিন এর বাবার সাপোর্ট না থাকলে এতো দুরে কখনো আসতে পারতাম না। তাদের কারনে আমার নাম ডাক হয়েছে মাফিয়া। 


আমি কাজ করতাম রাতে, তাই আমাদের কেউ চিনতে পারে নাই। বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় এই মাফিয়া নাম শুনলে ভয়ে কেঁপে উঠে। 


তো যাই হোক, পরের দিন বিকালে আমি বাসায় আসলাম। কলিং বেল চাপ দেওয়ার পর রাইসা এসে দরজা খুলে দিল।


রাইসা/: কিরে ভাইয়া, তুই রাতে কোথায় ছিলি।


আমি/: রাফির বাসায় ছিলাম। 


রাইসা/: ওহ, ঠিক আছে ভিতরে আয়। 


আমি। ভিতরে ঢুকে নিজের রুমে চলে আসলাম। ফ্রেশ হয়ে আবার একটা ঘুম দিলাম। 


দেখতে দেখতে দুই মাস চলে গেছে। আজকে আমার আর জান্নাত এর আবার বিয়ে হবে। সবাই জেনে গেছে আমি আর জান্নাত যে বিয়ে করেছি। 


এটা আমি সবাইকে বলেছি, সবাই অনেক খুশি হয়েছে এবং রাগ ও হয়েছে। রাগ হওয়ার কারণ তাদের না জানিয়ে বিয়ে করছি কেনো। আর খুশি হওয়ার কারণ আমার আব্বু আর জান্নাত এর আব্বু আমাদের বিয়ে আগে থেকে ঠিক করে রেখেছে। 


বিয়েতে মেজরের প্রধান পুলিশের প্রধান এবং বড় বড় লোকেরা এসেছে, খুব ধুমধাম করে বিয়েটা হয়ে গেলো। রাফি আর আলাউদ্দিন আমাকে জোর করে বাসর ঘরে ঢুকিয়ে দিলো। 


আমি ভিতরে ঢুকে দেখি জান্নাত বড় করে ঘোমটা দিয়ে বিছানায় বসে আছে। আমাকে দেখে জান্নাত যেটা বললো, সেটা শুনে আমি তো অবাক হয়ে গেলাম।


জান্নাত/: আরে মাফিয়া, আপনার আসতে এতো লেট হলো কেনো।


আমি/: জান্নাত তুমি এ নাম কোথায় শুনেছো।


জান্নাত/: রাফি আর আলাউদ্দিন আমাকে সব বলেছে। প্রথমে একটু রাগ হয়েছিল, পরে ওদের ব্যাপারে শুনে অনেক খুশি হয়েছি। ওদের মতো জানোয়ার দের বাঁচিয়ে রাখো নাই। 


আমি/: ঠিক বলছো। তাদের বাঁচিয়ে রাখলে, আবার আগের মতো শুরু করতো। 


জান্নাত): তাহলে আমি এখন একজন মাফিয়ার বউ হয়েছি। আমাকে এখন কেউ কিছু করতে পারবে না। 


আমি/: কেউ না ফারুক, আমি তো পারবো।


জান্নাত/: তুমি আমাকে কি করবে।


আমি/: ওই যে বাসর রাতে স্বামী স্ত্রী যেটা করে।( জান্নাত এর দিকে এগিয়ে যেতে যেতে)


জান্নাত/: খবরদার তুমি আমার দিকে আসবে না। আমি কিন্তু চিৎকার করবো। ( পিচাতে পিচাতে)


আমি/: করো চিৎকার, এখানে কেউ আসবে না। 


এই বলে জান্নাত কে জড়িয়ে ধরলাম। জান্নাত আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। 


আমি/: কি ব্যাপার তুমি বলছিলে , চিৎকার করবে। তাহলে এখন করছো না কেনো।


জান্নাত/: আমি তো এমনে বলেছি, আমি এখন সুখের ঠিকানায় আছি। 


আমি/: তুমি সুখের ঠিকানা কোথায় পেলে। 


জান্নাত/; এই যে তোমার বুকে। 


আমি/: তাই, তাহলে চলো, বিড়াল টা মারি। 


জান্নাত/: আগে অযু করে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে নি। তার পর বিড়াল মেরো।


আমি/: ঠিক আছে চলো। 


দুজনে অযু করে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে খাটে গিয়ে বসলাম। জান্নাত কে বিছানায় ফেলে দিয়ে বুকের কাপড় সরিয়ে জড়িয়ে ধরে কিস করতে লাগলাম। তার পর হারিয়ে গেলাম অজানা ঠিকানায়।


এখন আমাদের সংসার জীবন সুন্দর ভাবে চলছে। আলাউদ্দিন এর বিয়ে হয়ে গেছে। তার মামাতো বোনের সাথে, রাফির বিয়ে হয়ে গেছে। রাফি কলেজের একটা মেয়ে কে পছন্দ করতো, তার সাথে রাফির বিয়ে হয়েছে। 


এখন তিন বন্ধুর স্ত্রী কলেজে যাওয়া আসা করি। আলাউদ্দিন তার মামাতো বোন কে আমাদের কলেজে ভর্তি করিয়ে দিছে। সে আমাদের এক ক্লাস জুনিয়র। 


রাইসা আমার আর জান্নাত এর সাথে কলেজে আসে। আমি এখন আগের মতো জামা কাপড় পড়ি না। আর আমাদের কাজ আগের মতোই আছে। তো সবাই ভালো থাকবেন। 


::::::::::::: ::::::::::::::: সমাপ্ত;;;;;;;;;;;;;;;


আমি জানি লাষ্ট পর্ব ভালো হয়নি। কারন চার পাঁচ দিন পর গল্প লিখতে গিয়ে সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। গল্প টা মিলাতে পারছি না। তাই কোনো রকম মিলিয়ে শেষ করে দিছি। কাজের অনেক ছাপ। মাথায় কিছুই আসছে না। 


সবাই লাইক এবং কমেন্ট দিয়ে পাশেই থাকবেন। 


প্লিজ কেউ খারাপ মন্তব্য করবেন না। আমি জানি আপনাদের কাছে লাষ্ট পর্ব ভালো লাগবে না। আমি চেয়েছি গল্প টা বড় করে লিখতে, কিন্তু কাজের চাপে সব কিছু ভুলে গেছি।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post