গল্পঃ রোমান্টিক সিনিয়র বউ পর্বঃ ৮ লেখকঃ শাওন আহমেদ নীল


গল্পঃ রোমান্টিক সিনিয়র বউ 
পর্বঃ ৮
লেখকঃ শাওন আহমেদ নীল 
আমি আর কিছু না বলে, বাইক চালাতে লাগলাম, কিছুক্ষনের মধ্যোই রানার বাসায় চলে গেলাম। 
কলিংবেল বাজালাম লিমা এসে দরজা খোলে দিলো, লিমা হলো রানার কাজিন ও গার্লফ্রেন্ড। 
লিমাঃ কেমন আছেন ভাইয়া?
আমিঃ এইত ভালো, তুমি কেমন আছো?
লিমাঃ যে বাঁশ টা দিছেন কেমনে ভালো থাকি ( মন খারাপ করে বলল লিমা)
আমিঃ টেনশন করো না সব ঠিক করে দিবো, । 
লিমাঃ এটাই কি ভাবি?
আমিঃ হ্য
লিমাঃ কেমন আছেন ভাবি?
নিধীঃ ভালো, আপনি কেমন আছেন?
লিমাঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আমি আপনার অনেক ছোট তুমি করে বললে খুশি হবো। আর আপনি দেখতে অনেক কিউট!  
নিধীঃ ধন্যবাদ, তুমিও অনেক মিষ্টি একটা মেয়ে। 
আমিঃ রানা কোথায়?
লিমাঃ ওনি রাগ করে রুমে বসে আছে, কালকে রাত থেকে এখন পর্যন্ত কিছু খাই নি। আপনার উপরে অনেক রেগে আছে।  
আমিঃ তা ত বুজতেই পারছি!!  
আন্টি আসলো আমি আর নিধী আন্টিকে সালাম করলাম। আন্টির সাথে কথা বলে আমি রানার রুমে চলে গেলাম! নিধী লিমার সাথে ওর রুমে গেলো।। আংকেল অফিসে চলে গেছে, একটু পড়েই এসে পড়বে।। গিয়ে দেখি রানা শুয়ে আছে। 
রুমে ডুকার সাহস পাচ্ছি না।। 
রানা আমাকে খেয়াল করল, ওমনেই খাটে থেকে নেমে এসে আমাকে, উরাদুরা মাইর দিতে শুরু করল!! 
আমিঃ শান্ত হ দোস্ত প্লিজ,
রানাঃ তর জন্য কালকে সারা রাত মিলি কান্না করছে।
আমিঃ আমি এসেছি না সব ঠিক হয়ে যাবে। 
রানাঃ দোস্ত যে ভাবেই হক এ বিয়েটা কেন্সেল করে
মিলির সাথে বিয়ের ব্যবস্থা কর। 
আমিঃ সব হবে, আগে বল রাজু ফাহাদ মাইসা কোথায়?? 
রানাঃ ওরা কিছুক্ষনের মধ্যোই এসে পড়বে!  
আমিঃ ওহ 
রানাঃ ভাবি কোথায়?
আমিঃ লিমার সাথে,।  
রাজু ফাহাদ আর মাইসা রুমে এসে ডুকল,৷! 
এসেই ফাইজলামি শুরু করে দিলো! 
রাজুঃ দোস্ত কালকে রাত টা কেমন কাটল?
ফাহাদঃ তা ভাবি কি রকম আদর করল?
আমিঃ এটা তরা জেনে কি করবি?
মাইসাঃ আমরা তর ফ্রেন্ড না এসব শুনার অধিকার আমাদের আছে।  
আমিঃ শুনতে হবে না , জানতে হলে বিয়ে করো গাইস!.
আমরা গল্প করতে লাগলাম,! রুমে নিধী আর লিমা আসল, এসেই আমাদের সাথে আড্ডায় যোগ দিল। আমার আড্ডা দিতে লাগলাম।  
রানাঃ ভাবি আপনার কপাল অনেক ভালো, যে নীলের মতো একটা ছেলেকে আপনার জীবন সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন৷ 
নিধীঃ থাক ফ্রেন্ড এর প্রশংসা আর করতে হবে না। 
লিমাঃ রানা ঠিকি বলছে ভাবি, নীল ভাইয়া অনেক ভালো একটা ছেলে,।  
মাইসাঃ হ্য ওর মতো ছেলে হয় না লাখে একটা। 
নিধীঃ তার জন্যই ত এই পিচ্চিটাকে প্রথম দেখায় ই বিয়ে করে নিছি , যাতে অন্য কারো না হয়ে যায়। 
ফাহাদঃ এটাই ভালো করছেন! না হয় কে কখন পটিয়ে নিয়ে যেতো। 
নিধীঃ আমি থাকতে আর কেউ পটাতে পারবে না, 
এই পিচ্চি টা শুধুই আমার। 
এই বলে সকলের সামনে জড়িয়ে দরল। আমি একটু লজ্জায় পড়ে গেলাম! কি মেয়েরে বাবা একটু ও লজ্জা নায়।।। 
আমিঃ কি হচ্ছে টা কি ছারেন? 
মাইসাঃ বউ ই ত ধরছে এমন করার কি আছে?
আমিঃ তুই চুপ থাক,। 
আমরা অনেক আড্ডা দিতে লাগলাম! একটু পড়ে আংকেল আসল ! আংকেল এসেও আমাদের সাথে আড্ডায় যোগ দিলো। একটু পড়ে আন্টি ও আসল।
সবায় অনেক কথা বললাম দুপুর হয়ে গেলো, আন্টি নিচে লাঞ্চ করতে আসতে বলে আংকেল আর আন্টি নিচে চলে গেলো। 
রানাঃ দোস্ত প্লিজ কিছু একটা কর না। 
আমিঃ চল খাবার সময় বলব। 
লিমাঃ বলবেন কিন্তুু ভাইয়া , আপনার ফ্রেন্ড আমাকে বিয়ে না করলে কিন্তুু আমি আত্যহত্যা
করব। 
আমিঃ এসব কথা মুখে আনতে নেয় বোন আমি সব ঠিক করে দিবো৷
আমরা সবাই খাবার চলে গেলাম! আংকেল কে কিভাবে বলব বুজতেছি না! রানা শুধু ইসারা দিয়ে বলতে বলতেছে।।
আমিঃ আংকেল একটা কথা বলার ছিলো। 
আংকেলঃ হ্য বলো!
আমিঃ কি ভাবে যে বলি?
আংকেলঃ বিনা সংকোচে বলে ফেলো!!
আমিঃ রানা আর লিমা দুজন দুজনকে ভালোবাসে 
দেন আংকেল যা বলল, তা শুনে লিমা দৌড়ে রুমে চলে গেলো!  
#চলবে


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post