গল্প:#নেট_দুনিয়ার_কিং
লেখক:#মোঃ_শাহরিয়ার_ইফতেখায়রুল_হক_সরকার
পর্বঃ ৭
অতএব তড়িগরি করে শাহরিয়ার নিজের মুখটা
কোনো মতো ডেকে দরজা খুলে যাকে দেখলো
তাতে সঙ্গে সঙ্গে শাহরিয়ার ভয়ে কিছুটা
পিছিয়ে যায়..................
___ শাহরিয়ার সামনে তাকিয়ে দেখে সয়ং শান্তা
দাড়িয়ে আছে। ভয়ে তার বুকটা কেনো যানি বার
বার কেপে উঠছে।অতএব শাহরিয়ার ভয়ার্থ গলায়
বলল......
শাহরিয়ারঃ আপনি এখানে?
___ কিন্তু শাহরিয়ারের কথার জবাবে শান্তি কিছুই
বলল না।সোজা শাহরিয়ার কে নিজের বুকের
সাথে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে আকরে ধরে।
হঠাৎ শান্তার এমন আচরনে শাহরিয়ার কি
করবে কিছুই ভেবে পাচ্ছিলো না।সে কিছুতেই
শান্তার কাছ থেকে নিজেকে ছাড়াতে পারছিলো না।
অতএব শাহরিয়ার আবার বলে উঠলো।
শাহরিয়ারঃ এটা আপনি কি করছেন? ছিহ,ছাড়ুন
আমায়?
শান্তাঃ না ছাড়বো না আরো কিছুক্ষন তোমাকে
জড়িয়ে ধরে থাকতে চাই।আর এখনো তোমার
মুখ ডেকে রাখছো কেনো? কাপড়টা সরিয়ে
ফেলো আজ বা কাল তোমার চেহারাটা তো আমি
দেখবোই কারন আমরা কালকেই তো বিয়ে করছি?
___ শান্তার কথাগুলো শুনার পরপরি শাহরিয়ার
নিজেকে অতি কষ্টে শান্তার কাছ থেকে ছাড়িয়ে
নিয়ে বলল..........
শাহরিয়ারঃ আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারবো না
শান্তিঃ ধুর মজা করো নাতো (শাহরিয়ারের গাল
হাল্কা টেনে বলল)
শাহরিয়ারঃ আমি সিরিয়াস কিন্তু?
শান্তাঃ ও আচ্ছা এখন বুঝতে পারছি তুমি হয়তো
ভেবেছো বিয়ের পড়ে তোমাকে আমি লন্ডন নিয়ে
যাবো?কিন্তু এমনটা হবে না তুমি চাইলে আমরা
দেশেই থাকবো?
শাহরিয়ারঃ আরে কত বার আপনাকে বলবো?
আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারবো না। এটা
আমার দ্বারা সম্ভব না বারবার বলার পরেও কেনো
একি কথা বলছেন??
___ শাহরিয়ারের এমন কথা শুনে শান্তা ভ্রুকুচকে
এবং চোখ বড় বড় করে শাহরিয়ারের দিকে কিছুক্ষন
তাকিয়ে থেকে কোষে দুটো শাহরিয়ারের গালে থাপ্পর
বসিয়ে দেয়।থাপ্পর খেয়ে শাহরিয়ার কিছুটা ধুরে
চলে যায়।এবং তার মুখ থেকে কাপড়টা প্রায়
পড়ে যেতে চাইলে দ্রুত শাহরিয়ার আবার ঠিক
করে নেয়।
শান্তাঃ শুধু মাত্র তোর জন্যে আমি বাবার কথার
অভাদ্য হয়ে দেশে এসেছি তোকে বিয়ে করে পরম
সুখ শান্তিতে সংসার করার জন্য?কিন্তু তুই
আমার একটু একটু করে সাজিয়ে রাখা স্বপ্নের
জাল ছিড়ে দিলি আমাকে আঘাত করলি।
আচ্ছা আমার মধ্যে এমন কি নেই যার জন্য তুই
আমার সাথে বিবাহ নামক পবিত্র এক বন্ধনে
আবদ্ধ হতে চাচ্ছিস না?
___ শান্তার কথার জবাবে মাথা নিচু করে শাহরিয়ার
বলল.........
শাহরিয়ারঃ এটা কিছুতেই সম্ভব না?আমার সাথে
আপনি কখনো সুখি হবেন না।আমি আপনার
জীবন টা নষ্ট করতে চাইনা প্লিজ আমাকে ক্ষমা
করুন।আমার পক্ষে আপনাকে বিবাহ করা সম্ভব না।
___ শাহরিয়ার কথাগুলো বলার পরপরি শান্তা
রেগি গিয়ে শাহরিয়ারের শার্টের কলার টেনে ধরে
চিৎকার দিয়ে বলল..........
শান্তাঃ কেনো কেনো কেনো? আমায় বিয়ে করবি
না কি নেই আমার।তুই যদি আমাকে বিয়ে করতে
না চাস তাহলে দরকার হলে আমি জোর করে
তোকে বিয়ে করবো?
___ শান্তার কথাগুলো শুনে শাহরিয়ার মনে মনে
ভাবতে থাকে?
শাহরিয়ারঃ নাহ এ হয় না।শান্তা আমাকে বিয়ে
করলে কখনো সুখি হতে পারবে না। সারা জীবন
শুধু কষ্ট নামক জিনিসটা চিরেফিরে খাবে।
তাই আমাকে এই কাজটা করতেই হবে?
___ অতএব শাহরিয়ার শান্তার সাথে খুব বাজে
ব্যাবহার করতে থাকে?তুই তু কারি করে
অবশেষে শাহরিয়ার শান্তাকে নিজের বাসা থেকে
তারিয়ে দিতে সক্ষম হয়। কেনো যানি বারবার
শান্তার চোখের অশ্রু দেখে শাহরিয়ারের বেশ
কষ্ট হচ্ছিলো কিন্তু সে নিরুপায় তার কাছে এ ছাড়া
আর করার কিছুই ছিলো না।রাতে শাহরিয়ার
কয়েকটা বাজে গ্রুপ নষ্ট করাতে ব্যাস্ত ছিলো কিন্তু
হঠাৎ তার ফোন বেজে উঠে।প্রথমে শান্তা মনে
করে ফোন না উঠালেও পরবর্তীতে শাহরিয়ার
ফোন চেক করে দেখে অনান্য নাম্বার।তাই সে
ফোন রিসিব করতে বাধ্য হয় ফোন রিসিব করে
শাহরিয়ার বেশ বুঝতে পারে শহরের একজন
সুনাম ধন্য এমপি তাকে ফোন করেছে।
এবং ফোন করে এমপি রাকিব হাসান শাহরিয়ার
কে বেশ অনুরোধ সহ কারে বলেন......
রাকিব হাসানঃ প্রথমে আমার ছালাম নিয়ো বাবা।
কাল একটা বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা
হয়েছে যে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে
তোমাকে নির্বাচন করা হয়েছে আমি আশা করছি
তুমি আসবে।তোমাকে একটু দেখার জন্য হাজারো
মানুষের মনের ইচ্ছে? তোমাকে আমি অনুরোধ
করে বলছি প্লিজ কালকে যথা সময়ে অনুষ্ঠানে
এসো?? আমি তোমার বাবার বয়সি আমি
আসা করছি তুমি আমার কথা ফেলবে না।
আমার বিশ্বাস কালকে তুমি নিশ্চই আসবে?
___ এমপি রাকিব হাসান এর কথা শুনে শাহরিয়ার
কিছুই বলল না চুপটি করে ফোন কেটে দেয়?
কারন সে চায়না সবার সামনে প্রকাশিত হোক।
কিন্তু আজ কেনো যানি তার মন বারবার বলছে
আর কত দিন আড়ালে থাকবি এক দিন না এক
দিন তো আসতেই হবে সবার সামনে।আজ
তার কাজেও ঠিক মতো মন বসছে না।
____ অবশেষে সারা রাত ভেবে শাহরিয়ার এই
সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পেরেছে যে শাহরিয়ার
অনুষ্ঠানে আসবে।এবং সে আর আড়ালে
থাকবে না। তাই আর দেড়ি না করে শাহরিয়ার
অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে নেয় এবং আজও
তার মুখ খানি মুখোস দিয়ে ডাকা।
___ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হাজারো মানুষের কানে
শাহরিয়ারের আসার খবরটা যেতে আর দেড়ি
হয়নি সবাই উতালা হয়ে বসে আছে কখন
নেট দুনিয়ার কিং শাহরিয়ার ওরফে সেরু ভাই
আসবে। অবশেষে শাহরিয়ারের গাড়িটা যখন
অনুষ্ঠানের গেট দিয়ে ভিতরে ডুকছিলো তখন
হাজারো মানুষেরর চোখের দৃষ্টি ছিলো গাড়ির
দিকে সবাই গভীর আগ্রহে বসে আছে কখন
শাহরিয়ার ওরফে সেরু ভাই গাড়ি থেকে নামবে।
অবশেষে শাহরিয়ার যখন গাড়ি থেকে নামে
তখন তাকে সুরক্ষিত ভাবে স্টেজে নিয়ে যাওয়া
হয়।এবং তখন প্রতিটা মানুষের দৃষ্টি ছিলো
এক মাত্র শাহরিয়ারের দিকে। স্টেজে যাওয়ার
সাথে সাথে অনেক ছেলে মেয়ে ছুটে
আসে শাহরিয়ারের দিকে শুধু মাত্র সেলফি তুলার
জন্য। এক সময় শাহরিয়ার নিজের মুখোস
খুলে ফেললে সবাই ভয়ে আতকে উঠে। এবং
এতক্ষন যেসব ছেলে মেয়েরা শাহরিয়ারের সাথে
ঘেসে ঘেসে সেলফি তুলছিলো তারাও এখন
শাহরিয়ারের কুৎসিত ভয়ঙ্কর চেহারা দেখে ভয়ে
পিছিয়ে যায়।ছোট ছোট বাচ্চা ছেলে মেয়েরাও
ভয়ে তাদের মা অথবা বাবার পিছনে গিয়ে লুকিয়ে
পড়ে কেউ হয় তো ভাবতে পারেনি শাহরিয়ারের
মুখটি এরূপ কুৎসিত বিস্রি হবে।এমন কি এমপি
রাকিব হাসান ও শাহরিয়ারের কাছ থেকে
ভয়ে কিছুটা ধুরে চলে যায়...................
_____________________চলবে__________________
প্লিজ কেউ কোনো রকম বাজে কমেন্ট করবেন না
এই গল্পের লেখক মোঃ শাহরিয়ার ইফতেখায়রুল
হক সরকার অর্থাৎ আমি।আমার নাম ছাড়া এই
গল্প যেখানে দেখবেন মনে করবেন কপিবাজ আর
কপিবাজ কে সবাই উপহার হিসেবে নিশ্চয়ই
রিপোর্ট মারবেন🙂
ভুল ক্রটি ক্ষমার চোখে দেখবেন
গল্প প্রায় শেষের দিকে কাল বা তার পরের দিন
শেষ হয়ে যেতে পারে কিন্তু শেষে যা হবে তার জন্য
প্রস্তুত থাকিয়েন সবাই 😔