সিনিয়র_আপুর_সাথে_প্রেম পার্ট_৪

  

সিনিয়র_আপুর_সাথে_প্রেম 

পার্ট_৪

#রাজন 


$$

$$

$$


আমিঃ হ্যা,,,একটা কাজ পড়লো,,তাই চলে আসলাম,,,,,।


বাবাঃ তুই এক্ষুনি ফিরে আই,,,,।


আমিঃ আরে আব্বু,,আমরা বাসায় নেমে পড়ছি,,,,।


বাবাঃ হুম,,,,।


তারপর ফোন কাটলাম,,,,,,।


🚈🚈🚈🚈🚈🚈🚈🚈🚈🚈🚈🚈


ট্রেন তার নিজ গতিতে চলতে লাগলো,,,,,,।


আমার মনের মধ্যে কি হচ্ছে সেটা আমি ছাড়া কেউ জানে না,,,,,,,,,,,,।


আমি সিদ্ধান্ত নিলা,,,আজকের কর থেকে আমি পাল্টে যাবো,,,,,।


বৃষ্টিঃ কি ভাবছিস,,,,,।


আমিঃ কি ভাববো বল,,,তবে একটা সিদ্ধান্ত নিছি,,,,,।


বৃষ্টিঃ কি সেটা,,,,,।


আমিঃ আজকের আগে করা শাকিল,,আর আজকের পরের শাকিলের মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকবে,,,,।


বৃষ্টিঃ তাইলে তো আমাকেও চিনবি না,,,,।


আমিঃ ধুর,,,তকে কেমনে ভুলি ক,,,,।


বৃষ্টিঃ জি এফ পাইলে,,কবিনি,,আপনায় কে চিন,,,,,,।


আমঃ হু,,,এটা আমি কখনো বলবো না,,,,।


বৃষ্টিঃ সুমি আপুকে কি তুই ভুলে যাবি???


আমিঃ কেমনে ভুলি ক,,যাকে জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসলাম,,,,তাকে কেমনে ভুলি,,,।


আমিঃ ভুলার চেষ্টা করবো,,,,,।


বৃষ্টিঃ পারবি তো,,,,।


আমিঃ হুম,,,পারতেই হবে,,,,,।


বৃষ্টিঃ ওহহহহ,।


🚈🚈🚈🚈🚈🚈🚈🚈🚈🚈


অবশেষে আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌছলাম,,।। 


সবাইকে বিদায় দিয়ে বাসায় চলে আসলাম,,,।


রুমে এসে বসতেই চোখে পানি চলে আসলো,, আর আটকাতে পারলাম না,,,,।


শরীরটা অনেক দুর্বল মনে হচ্ছে,,,,,। 


বিছানায় সুয়ে পড়লাম,,,,।


💔💔💔💔💔💔💔💔💔💔💔💔


এভাবেই ১০টা দিন কেটে গেলো,,,,,,,,,।


এই ১০দিনে আমি সুমিকে একটু একটু ভুলতে লেগেছি,,,,,।


শরীর অসুস্থ হওয়ায় স্কুলেও যায়নি,,,।


ওই দিকে সুমি আর রাকিবের কথা বাসায় বলবে বলে ঠিক করলো,,,,,,,।


আর বলেও দিলো,,,,,,,,,।


সুমিঃ বাবা,,,,অনেকদিন থেকে একটা কথা বলবো বলে ভাবছি,,,,,।


আঙ্কেলঃ আমি জানি তুই কি বলবি,,,,।


সুমিঃ জানো,,,,।


আঙ্কেলঃ হ্যা,,,শাকিল আমায় সব বলছে,,,। 


সুমিঃ ওর কথা আমার সামনে বলবা না,,ওকে আমি ঘৃণা করি,,,,,,।


আঙ্কেলঃ চুপ,,,,যার জন্য আজ তুই বেঁচে আছিস,,তাকে বলছিস ঘৃণা করি,,,যার রক্ত তর শরীরে বইছে,,তাকে বলছিস ঘৃণা করি,, যে তর সুখের জন্য নিজের ভালোবাসা কোরবানি দিলো,,,তাকেই বলছিস ঘৃণা করি,,,,।


সুমিঃ কি বলছো,,,🤨


আঙ্কেলঃ হ্যা,,তর ৫ ব্যাগ রক্তর প্রয়োজন ছিলো,,,কিন্তু আমরা একব্যাগও জোগাড় করতে পারিনি,,,কিন্তু শাকিল,,নিজে দু ব্যাগ দিছে আর অন্য জায়গা থেকে তিন ব্যাগ আনছে,,,,।


সুমিঃ অতই যখন ভালোবাসে আমায়,,তো পাঁচ ব্যাগ কেনো দিলো না,,,।


আন্টিঃ কি বলছিস,,একজন সাধারণ মানুষ যদি পাঁচ ব্যাগ রক্ত দেই,,তাহলে সে আর ভালো থাকে না,,,,।


সুমিঃ আমি জানি মা,,ওর এসব বানানো কাহিনি,,,, আমি রাকিবকে ভালোবাসি,,আর রাকিবকেই বিয়ে করবো,,,।


একথা বলে সুমি রুমে গেলো স্নান করতে,,,,।


গোসল করতে করতে হঠাৎ মিমের মাঝায় হাত পড়লো,,,আর ব্যাথা অনুভব হলো,,,,।


মিম ভালো ভাবে খিয়াল করে দেখে,,এখানে সিলায় করা আছে,,,।


সুমি জলদি করে নিচে আসলো,,,,,।


সুমিঃ মা বাবা,,,তোমরা কয় গেলা,,,,,,।


আন্টিঃ কি হয়ছে মা,,।


সুমিঃ তোমরা আমায় কোন ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছিলা,,,,।


আঙ্কেলঃ কেনো মা,,কি হয়ছে,,,,।


সুমিঃ এই দেখো,,,সাধারণ অসুখের নাম করে,,আমার কিডনি চুরি করছে,,,,,।


আঙ্কেলঃ কি বলছিস,,,।


সুমিঃ এইতো দেখো,,,,।


তারপর সিলাই দেখে আঙ্কেলও অবাক হলো,,।


আঙ্কেলঃ এক্ষুনি ডাক্তারের কাছে চল,,,।


ওরা রওনা দিলো ডাক্তারের কাছে,,,,।


🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹


আমি রুমে একা একা বসে আছি,,,তখন ওবায়দুল আর বৃষ্টি আসলো,,,,।


অনেক কথা বললাম,,,,,।


বৃষ্টিঃ একটা সত্যি কথা বলবি,,,ওই দিন তুই কইছিলি,,,।


আমিঃ আগে এটা দেখ,,,।


আমি ওদের আমার কোমরের সিলাইটা দেখালাম,,,,,,,।


বৃষ্টিঃ এখানে সিলাই কেন,,,।


আমিঃ সুমির অন্য কিছু না,,ওর দুইটা কিডনি নষ্ট হয়ে গেছিলো,,এটা আমি যাওয়ার পর ডাক্তার আঙ্কেল আমায় বলে,,,।


ওবায়দুলঃ কিন্তু তুই কেন দিলি,,।


আমিঃ সারা শহর খুজে একটাও কিডনি পাওয়া যায়নি,,তখন আমি ডাক্তার আঙ্কেলকে বলি,, একটা কিডনি দিয়ে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে কি না,,,তখন ডাক্তার আঙ্কেল বলে,,হ্যা পারে,,,,।


বৃষ্টিঃ আর তাই তুই তর একটা কিডনি দিয়ে দিলি,,,,।


আমিঃ তখন আমার মাথায় কোনো চিন্তা ছিলো না,,শুধু চিন্তা ছিলো,,সুমিকে বাচাতে হবে,,আঙ্কেল আর আন্টির মুখে হাসি ফিরিয়ে আনতে হবে,,,,,।


বৃষ্টিঃ হুম,,,,। 


💔💔💔💔💔💔💔💔💔💔💔


সুমি আর আঙ্কেল আন্টি ডাক্তারের কাছে গেলো,,,,,।


সুমিঃ ওই ডাক্তারের বাচ্চা ডাক্তার,, আমার কিডনি কেন চুরি করছিস,,,।


ডাক্তারঃ দেখেন,,ঠিক ভাবে কথা বলেন,,,।


আঙ্কেলঃ তোমায় আমরা এত ভালো ভাবতাম,,আর তুমি কি করলে,,,,,,।


ডাক্তারঃ আপনারা কিন্তু ভুল বুঝতাছেন,,। 


সুমিঃ বল,,আমার কিডনি চুরি করে কাকে দিছেন,,,,,।


ডাক্তারঃ আপনার কিডনি কেউ চুরি করেনি,, বরং একটা নিষ্পাপ ছেলের কিডনি আপনার ভিতর আছে,,,।


আন্টিঃ কি বলছো,,,।


ডাক্তারঃ হ্যা,,,আপনার মেয়ের দুটোই কিডনি ডেমেজ ছিলো,,।


আঙ্কেলঃ কিহ😱😱😱


ডাক্তারঃ হ্যা,,,আপনাদের অবস্থা দেখে এটা বলতে সাহস পাচ্ছিলাম না,,,তখনি একটা ছেলে আসে,,,আমি তাকে বলি,,,আর তিনি বলেন,,এটা ওরা জানলে আর বাঁচবে না,,,।


সুমিঃ ছেলেটা কে,,,,।


ডাক্তারঃ শাকিল,,,,,আর ওর একটা কিডনি দিয়েই আপনি আজ বেঁচে আছেন,,,,।


সুমিঃ 😱😱😱😱😱


ডাক্তারঃ বিশ্বাস না হলে,, রিপোর্টটা দেখেন,,,।


আঙ্কেলঃ আপনি কি পাগল,,এটা কি করছেন,,।


ডাক্তারঃ আমি অনেকবার বারণ করছি,,, কিন্তু আমায় অনেক অনুরোধ করছে,,,,,আর এটা যাতে আমি কাউকে না জানায়,,,।


সুমিঃ আমায় রক্ত দিছে,,,এটা কি সত্যি,,,। 


ডাক্তারঃ প্রথম,,পাঁচ ব্যাগ দিতে চাই,,,কিন্তু কিডনি নিয়ে এত রক্ত নেওয়া পসিবল না,,তাই দু ব্যাগ নিতে হয়ছে,,,,আপনায় বাচাতে,,,।


আঙ্কেলঃ দেখ মা দেখ,,,যেই ছেলে,,তকে নতুন করে বাচালো আজ তাকেই বলছিস,,ঘৃণা করি,,,,,।


ডাক্তারঃ তখনি আরেকটা ছেলে আসে,,,ওনাকি সুমির বি এফ,,,।


সুমিঃ হ্যা,,,,।


ডাক্তারঃ শাকিল ওকে অনেক অনুরোধ করছে,,শুধু এক ব্যাগ রক্ত দেওয়ার জন্য,,, কিন্তু দেইনি,,,,বলে কিনা,,ওর সাস্থ খারাপ হবে,,,,,।


আঙ্কেলঃ ছিহ,,,তুই এমন একটা ছেলেকে কেমনে তর জীবন সাথী বানাতে চাস,,,।


ডাক্তারঃ আমি একটা জিনিস বুঝলাম,,,,যাকে আপনি নাকি ঘৃণা করে,,আজ সেই নিজের কথা না ভেবে,,আপনায় বাঁচালো,,, আর যাকে বি এফ বানিয়েছেন,, সে আপনার জন্য একটা ব্যাগ রক্ত দিতে রাজি হয়নি,,,,,।


সুমিঃ 😥😥😥😥


ডাক্তারঃ শুনেছি,,,শাকিল নাকি খুব অসুস্থ,,, আর হওয়ারি কথা,,এতবড় দখল গেছে,,জানি না ছেলেটা বাচবে কি না,,,,,,।


সুমিঃ না,,,,যার জন্য আজ আমি বেঁচে আছি,, তাকে কিছুতেই আমি মরতে দিবো না🥺🥺


আঙ্কেলঃ হ্যা মা,,।


ডাক্তারঃ সুমি,,আমায় শাকিল কসম দিছিলো,, ওকে আমার কথা বলবা না,,,,।


সুমিঃ ওকে,,,।


আন্টিঃ তুই যেমন ব্যবহার ওর সাথে করছিস,,আমার মনে না,,ও তকে মেনে নিবে,,।


সুমিঃ আমি আমার বরকে আমার করে নিবো,,,,,,।


তারপর সুমি আমাদের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো,,,,,,।


রাত হওয়ার আগে পোছে গেলো,,,,,।


🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿

🌿🌿🌿🌿🌿বিরতি🌿🌿🌿🌿🌿🌿

🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿


বিকালে আমি বন্ধুদের লগে আড্ডা দিতে গেলাম,,,,।


সুমি বাসায় এসে আমার কথা জিজ্ঞেস করো,,,মা বললো,,বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গেছে,,, তো সুমিও চলে এলো,,ও জানে আমরা কোথায় আড্ডা দিই,,,।


আমি মিম,,মনি,,বৃষ্টি,, ওবায়দুল,, সবাই বসে থেকে আড্ডা দিচ্ছি,,,,। 


বৃষ্টিঃ শাকিল,,,সামনে দেখ😱😱


আমিঃ আরে,,,এই ডাইনি কোথা থেকে আসলো,,,,।


ওবায়দুলঃ ওর বিয়ের কার্ড দিতে আইছে,,,,।


বৃষ্টিঃ হতেও পারে,,,।


সুমি আপু আমার সামনে আসলো,,,।


আমি মুখ ঘুরিয়ে নিলাম,,,।


সুমিঃ কিরে কুত্তা,,, মুখ ঘুরালি কেন,,,।


আমিঃ আপনি কে,,,।


সুমিঃ আমি তর বউ,,,,।


আমার ভিতরটা ধকাস করে উঠলো,,,,।


আমিঃ সরি,,কোথাও হয়তো ভুল হচ্ছে,,,। 


সুমিঃ আমার বাবুটা চিনতে আমার ভুল হতেই পারে না🥰🥰🥰


আমিঃ ফালতু মেয়ে🙄,মিম সোনা,,চলো তো,,


মিমঃ হ বাবু চলো,,,,।


সুমিঃ ওই মেয়ে,,দেখছো না,,এটা আমার জুনিয়র বর,,,,।


মিমঃ তার প্রমান কি আছে,,,,।


সুমিঃ 🥺🥺


মিমঃ নাই তো,,,,,,চলো সোনা,,,।


সুমিঃ শাকিল,,,আমায় ক্ষমা করে দে,,,আমি তর ভালোবাসা বুঝতে পারিনি,,,,।🥺🥺


আমিঃ ক্ষমা,,,আবার আপনাকে,,,কেনো,,আপনি আবার কি করছেন,,,,।


সুমিঃ প্লিজ ক্ষমা করে দে,,,,,।


মিমঃ ওই,,,আপনি কে হে,,,এখানে কি চান,,,।


সুমিঃ আপনি চুপ থাকেন,,,,।


আমিঃ আপনিই চুপ থাকেন,,,চলো মিম,,।


আমি মিমের হাত ধরে হাটতে লাগনু,,,,,।


📲📲📲📲📲


সুমিঃ হেলো মা,,,,তুমি ঠিকি বলছো,,,।


আন্টিঃ কি হয়ছে মা,,।


সুমিঃ আমার মনে হয়,,,শাকিলের মনে আমার জন্য একটুও ভালোবাসা নেই,,যা ছিলো এখন সব ঘৃণায় পরিনত হয়ছে,,,।


আন্টিঃ তুই সেগুলেকে আবার ভালোবাসায় পরিনত কর,,,,।


সুমিঃ দোয়া করো মা,,,,।


আন্টিঃ আমার দোয়া তর সাথে আছে,,,,,।


সুমিঃ হুম,, রাখি,,আমার বরকে সামলাই,,।


আন্টিঃ 😂😂😂


📲📲📲📲📲📲📲📲


আমরা সবাই একটু দোরে বসে আছি,,,,,,,।


সুমি এসে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো,,,। 


সুমিঃ ওই,,আমার সতিন,,,,বলছিলে না,,প্রমান চাই,,,,।


মিমঃ হ্যা,,,,।


সুমিঃ দিচ্ছি,,,,,। 


সুমি আমার মাথার পিছনে ধরে চার ঠোঁট এক করে দিলো,,,,,,।


একটু পর ছাড়লো,,,,,।


আমি থমকে থ হয়ে আছি,😱😱😱😱😱


সুমিঃ এটা হলো প্রমান,,,,,,।


মিমঃ 😱😱😱😱😱


তারপর,,,,,,,,,,,।


সুমি আমার মাথার পিছনে ধরে চার ঠোঁট এক করে দিলো,,,,,,।


একটু পর ছাড়লো,,,,,।


আমি থমকে থ হয়ে আছি,😱😱😱😱😱


সুমিঃ এটা হলো প্রমান,,,,,,।


মনিঃ((মিম নামের পরিবর্তে মনি)) 😱😱😱


তারপর সুমি আমার হাত ধরে ভিলেনি একটা হাসি দিয়ে ওখান থেকে আমায় নিয়ে বাসায় আসলো,,,,,।


বাসায় এসে,,,,,,,,,,,,,,,,,,।


আম্মুঃ সুমি মা,,,তুমি কই গেছিলা,,,,।


সুমিঃ বরকে নিতে,,,শাশুড়ী আম্মা,,,। 


সুমির কথা শুনে তো সবাই অবাক😱


সুমিঃ কি হলো,,,ভুত দেখার মতো হা হলে কেন,,,,,।


আম্মুঃ কি কইলা মা,,,,।


সুমিঃ কেনো শাশুড়ী আম্মা,,, আপনার ছেলে আমায় ভালোবাসে ,, এটা আপনি কি জানেন না,,,,,।


আমিঃ ও হেলো মেডাম,,এগুলো কি বলে যাচ্ছেন,,,,।


সুমিঃ জী,,স্যার,,আমি ঠিক কথায় বলছি,,,,।


আমিঃ আমি কাউকে ভালোবাসি না,,,,,।


সুমিঃ আগে বাসতে,,,আর এখন আমি বাসি,,।


আমিঃ জিনিয়র ছেলের লগে প্রেম করতে আপনার সরম করে না,????


সুমিঃ শাশুড়ী আম্মা,, আপনি একটু কানটা বন্ধ করবেন?????


মাঃ কেনো মা,,,,।


আমিঃ না,,আম্মু,,তুমি করবা না,,,এই মেয়েটা অনেক পাজি,,,,।


সুমিঃ হি হি😁😁


আমিঃ ওই,,আপনার হাসতে লজ্জা করে না,,।


সুমিঃ বরের সামনে হাসতে আবার কারো লজ্জা করে,,🥰🥰


আমিঃ দেখেন,,আপনি কিন্তু লিমিট ছেড়ে যাচ্ছেন,,,,,,,,,,। 


সুমিঃ কিসের লিমিট গো বুড়া🥰🥰


আমিঃ 😱😱😱😱


সুমিঃ উমমাহ😘😘


আমিঃ বাপরে😱😣😣


সুমিঃ চোখ বন্ধ করলা কেন গো🥰🥰


আমিঃ আম্মু,,,এই পাগলিরে তাড়াতাড়ি পাবনায় রাইখা আসো,,,।


মাঃ কেন,, আমার মা,,কি করলো তকে,,,,।


আমিঃ ওকে,,,তোমরাই থাকো,, আমি গেলাম,,,।


একথা বলে আমি সোজা রুমে গেলাম,,,,,।


রুমে যেয়ে শার্ট চেন্চ করতে লাগলাম,,,।


তখনি সুমি এসে দরজা বন্ধ করে দিলো,,,।


আমিঃ ওই,,আপনি দরজা কেন বন্ধ করলেন আপু,,,,।


সুমিঃ তর লগে বাসার করুম,,,,🥰🥰


আমিঃ কিহ😱😱


সুমিঃ জী স্যার,,,,।


আমিঃ আপনার লজ্জা করে না,,,ছোট ভাই কে এসব ফালতু কথা বলতে,,,,,।


সুমিঃ কেনো লজ্জা করবে,,,তুই তো আমার জুনিয়র বর,,,,,,।


আমিঃ ছিহ,,,নিজের ভাই'কে বর ডাকছেন ,,, এটা সমাজের লোক জানলে কি বলবে ভাবছেন,,,,।


সুমিঃ হুম,,আমার ডাইলোগ আমায় মারছিস,,, ওকে মার,,,তবুও আমার হ,,,।


আমিঃ পসিবল না,,,,সরি,,,।


সুমিঃ কেনো পসিবল না,, তুই না আমায় ভালোবাসতি🥺🥺


আমিঃ বাসতাম,,,তবে এখন বাসি না,,,,। 


সুমিঃ কেনো বাসিস না,,,,।


আমিঃ কারণ আগের শাকিল আর এখনকার শাকিলের মাঝে অনেক পার্থক্য আছে,,,,।


সুমিঃ আমি ওসব বুঝি না,,,আমি শুধু তকে চাই,,ব্যাস,,,।


আমিঃ এই আসা ভুলেও করবেন না,,,আমি অন্য কারো এখন,,,।


সুমিঃ কি কইলি কুত্তা 👿👿


আমিঃ হু,,,আমি মনিকে,,,,,


বাকিটা বলার সময় দিলো না,,,পাশে থেকে বালিশ উঠিয়ে কেলানি দিতে লাগলো,,,,।


ও কি মার গো ভাই,,,একদম উরাধুরা মার,,,,।


আমিঃ আরে আরে,,আমায় মারছেন কেন,,,।


কে শোনে কার কথা,,, রুমের এমাথা থেকে ওমাথা দৌড়ানি🥴🥴🥴


আমিঃ আপু,,,কি করছেন,,,আমার অপরাধটা তো বলেন,,,,।


সুমিঃ তুই শুধু আমায় ভালোবাসবি,,,আর কাউরে না,,,,,।


আমিঃ কেন,,,আমি কি আপনার বাজেট করা মাল,,,,,।


সুমিঃ হুম,,তুই শুধু আমার জন্যই জম্ম হয়ছিস,,,,।


আমিঃ ভুল কথা,,,আমি শুধু মনির জন্য জম্ম হয়ছি,,,,,।


সুমিঃ আবার কইলি👿


আমিঃ দেখেন,,আর মারবেন না,,,এমনিতেই হাঁপিয়ে গেছি🥴🥴🥴


সুমিঃ তাহলে বলো বাবু,, আমায় ছাড়া কাউকে ভালোবাসবা না????


আমিঃ কেনো,,,,আমি বাসতেই পারি,,,,,।


সুমিঃ না,,,পারিস না,,,,,।


আমিঃ শোনেন,,,অনেক্ক্ষণ থেকে আপনার পাগলামি দেখে যাচ্ছি,,, কিছু বলছি না বলে একদম মাথায় চড়ে বসছেন,,,আর কতবার বলবো,,,আমি আপনাকে ভালোবাসি না বাসি না,,,,আর আপনার যদি লজ্জা সরম বলে কিছু থেকে থাকে,,,তাহলে কাল সকালেই উঠে বাসায় রওনা দিবেন,,,,।


(( কথাগুলো একবারে বলে ফেললাম,,,,))


সুমিঃ 🥺🥺🥺


আমিঃ এখন,,, আসতে পারপন,,,ভবিষ্যতে এখানে আসবেন না,,,,,।


সুমি আর কথা না বলে রুম থেকে বেরিয়ে চলে গেলো,,,,।


আর যাবেই না কেন,,,এভাবে অপমান করলে সবাই যাবে,,,,,।


নিজের একটা জিনিস খটকা লাগলো,,,, যেই সুমিকে একটিবার দেখার জন্য পাগল থাকতাম,,, আর আজ সেই সুমি আমার দু চোখের বিষ😤😤😤


জানি না,,কেমনে এটা হলো,,,তবে আমার কোনো আপসোস নেই,,,,,। 


তারপর না খেয়েই ঘুমিয়ে গেলাম,,,,,,,,,,,,,। 


সকালে উঠতেই সুমির কথা মনে হলো,,, ওই আপদটা কি সত্যি চলে যাবে,,,নাকি,,,,,,,। 


ধুর কি ভাবছি এগুলা,,,,ও চলে গেলে তো আমারই ভালো,,,,,।


এসব ভাবনা চিন্তা বাদ দিয়ে,, উঠে সোজা বাথরুমে গেলাম,,,,,শান্তি মতো ইয়ে করলাম😜😜😜😜😜😜


ফ্রেস হয়ে বাইরে এসে তো মাথায় নষ্ট 😲😲


সুমিঃ গুড মর্নিং,, বুড়া বর,,,,কেমন আছো,,,।


আমিঃ 🤨🤨


সুমিঃ ওমন করে কি দেখছো গো,,🙈🙈


আমিঃ ওই ওই,,,আপনার কি হলো😕😕


সুমিঃ তোমার তাকানো দেখে লজ্জা লাগছে😌


আমিঃ 🙃🙃


সুমিঃ কি হলো গো,,,,।


আমিঃ লজ্জা,, আবার আপনার,,,😏


সুমিঃ কেনো,,,,,।


আমিঃ লজ্জা থাকলে,,আজ সকালেই রওনা দিতা,,,,😏😏😏


সুমিঃ আমি তোমার টানে আছি,,,😍😍


আমিঃ চুপ,,বেয়াদব মহিলা,,,,।


সুমিঃ বেয়াদব কইলি,,তো একটা জিনিস নিয়ে নিই,,,,,।


আমিঃ কি জিনিস,,,,🤨🤨


সুমিঃ মিষ্টি 😘😘😘


আমিঃ 🙊🙊🙊🙊


সুমিঃ মুখে হাত দিলি কেন,,,,,।


আমিঃ এমনি,,,,,।


সুমিঃ হাত সরা বলছি,,,,।


আমিঃ সরাবো না,,,,।


তারপর সুমি আমার চোখ-মুখে ফু দিলো,,,, ওই মিষ্টি মুখের মিষ্টি হাওয়া আমার চোখে- মুখে পড়াই,,আমার শরীরের শক্তি যেন কোথাও হারিয়ে গেলো,,,,।


সাথে সাথে সুমি আমার হাত সরিয়ে,, চার ঠোঁট এক করে দিলো,,,🥴🥴


আমি জোর করে সুমির মুখ সরিয়েই ঠাস করে দিলাম একটা থাপ্পড়,,,,,। 


আমিঃ ঠাস,,,,,।


সুমিঃ 🥺🥺🥺🥺


আমিঃ ওই মেয়ে,,আপনার সমস্যা কি হ্যা,,, এসে থেকেই শুধু আমায় ডিস্টার্ব করেই যাচ্ছেন কেন,,,আমি আপনার কি ক্ষতি করছি,,,,।


সুমিঃ ছিহ,,,ওমন কথা বলো না,,,তুমি তো আমার কলিজা,,,,।


আমিঃ ছিহ,,,এখন রাকিবকে ছেড়ে আমায় ধরছেন তাই,,,,।


সুমিঃ ওই হারামির কথা বলবা না,,,ওকে আমি জান প্রান দিয়ে ভালোবাসছিলাম,,,কিন্তু,,,। 


আমিঃ কিন্তু কি,,,,,।


সুমিঃ ও একটা নষ্টা ছেলে,,,দিনে দিনে মেয়ে পাল্টায়,,,,,।


আমিঃ ওহহ,,এখন রাকিবকে ছাড়ছেন,,আর আমার সাথে প্রেম করার ধান্দা ধরছেন,,,,।


সুমিঃ দেখো শাকিল,,তুমি কিন্তু আমায় ভুল বুঝছো,,,।


আমিঃ কি ভুল বুঝছি,,,একজনের সাথে সব কিছু শেষ করছো,,তাও মন ভরেনি,,এখন আবার আমার কাছে আসছো,,,,।


সুমিঃ শাকিল,,,,ঠাস,,ঠাস,,,,।


আমিঃ মারো,,,মারো,,সত্যি কথা বললে সবাই মারবে,,,,,।


সুমিঃ নিজের ভালোবাসার মানুষের নামে এসব অসভ্য কথা বলতে তোমার একটুও আটকালো না,,,,,,,।


আমিঃ আমার ভালোবাসার মানুষ,, অনেক আগেই আমার কাছে মরে গেছে,,,, । 


সুমিঃ মানছি তুমি আগে আমায় ভালোবাসতে,,,তখন আমি বাসতাম না,,কিন্তু এখন তো আমি বাসি,,,।


আমিঃ কিন্তু আমি বাসি না,,,।


সুমিঃ তোমায় আমায় ভালোবাসতেই হবে,,,,।


আমিঃ ইনপসিবল,,,,।


সুমিঃ একটা মিষ্টি দাও গো,,ঝগড়া করে হাপিয়ে গেছি😁😁😁


আমিঃ এ্যা😱😱


সুমিঃ হ্যা গো বুড়া😍😍


আমিঃ ধুর,,,ফালতু মেয়ে,,,,।


সুমিঃ ওগো জুনিয়র বর,,,।


তারপর,,,,,,,,,,,,,,। 


চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,। 


কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন ,,,,,।


ভুলত্রুটি হলে ইনবক্সে জানাবেন,,,,,।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post