গল্পঃ #নেট_দুনিয়ার_কিং লেখক: #মোঃ_শাহরিয়ার_ইফতেখায়রুল_হক_সরকার পর্বঃ ১



গল্পঃ #নেট_দুনিয়ার_কিং

লেখক: #মোঃ_শাহরিয়ার_ইফতেখায়রুল_হক_সরকার

পর্বঃ ১

আচ্ছা ভাইয়া তুই কি আমার সাথে Sex নামক 

জিনিসটা করবি?

___ নিজের চাচাতো বোনের হঠাৎ এমন কথা শুনে 

বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠলো শাহরিয়ার? 

নিজের চাচাতো বোনের মুখ থেকে এমন কথা 

কখনো আশা করেনি সে?কপাল থেকে জড়ে পড়া

ঘাম দ্রুত মুছে,ধমক দিয়ে শাহরিয়ার তার চাচাতো 

বোন ফারিয়া কে বলল......


শাহরিয়ারঃ ছিহ এসব কি বাজে কথা বলছিস তুই?


ফারিয়াঃ তুই করবি কিনা বল?(একটু রেগে)


শাহরিয়ারঃ আরেক বার এরুপ কথা মুখে উচ্চারন 


করলে।ঠাঠিয়ে কিন্তু দুটো থাপ্পর বসিয়ে দিবো?


ফারিয়াঃ আচ্ছা তুই তো নেট চালাস তাহলে নিশ্চয়ই 


পর্ন ভিডিও দেখেছিস এবং চটি গল্প পড়েছিস?

 

তোর কি ইচ্ছে করে না কারো সাথে শারিরীক 


সম্পর্ক করতে।তোর কি নিজের যৌবন তাকে 


একটু শান্তিতে ভরিয়ে দিতে ইচ্ছে করেনা?


তাহলে আস আমার কাছে? দুজনে মিলে অনেক 


মজা করবো? তুই ও খুব মজা-আনন্দ পাবি আর 


আমিও?কাছে আস ভাইয়া কেউ দেখবে না। কারন 


বাড়িতে তুই বা আমি ছাড়া আর কেউ নেই? 


শাহরিয়ারঃ ছিহ তুই এতো নিচু মনের মেয়ে। আমার 


ভাবতেও ঘৃনা হচ্ছে? ছিহ তুই এসব পাপ কাজ.......


ধুর চলে যা আমার দু চোখের সামনে থেকে?


ফারিয়াঃ আহা পাপ বলছিস কেনো? তুই কি পর্ন 


দেখিস না বা চটি গল্প পড়িস না।তারা যদি এসব 


লেখতে বা করতে পারে তাহলে আমরা কেনোই বা


পারবো না?আর নিজেকে এতো ভালো ছেলে 


মনে করিস না। তোর ইনবক্স চেক করলেই দেখা 


যাবে না যানি কয়টা মেয়ের সাথে লুটুরপুটুর


করছিস? তাই এতো ন্যাকা না সেজে চল আমরা


দুজনে মিলে অনেক মজা করি?


___ শাহরিয়ারের বুঝতে আর বাকি রইলো না যে 


ফারিয়া নেট দুনিয়ার অন্ধকার পৃথিবীতে ডুবে গেছে।


পর্ন বা চটি রোগে আক্রান্ত হয়ে গেছে। যেখান 


থেকে বের হওয়া হয়তো অনেক কঠিন হয়ে যাবে?


নিজেকে আর এক মুহুর্তের জন্যেও আটকাতে 


পারেনি শাহরিয়ার? সঙ্গে সঙ্গে কোষে ফারিয়ার


দু গালে দুটো থাপ্পর বসিয়ে দেয়। থাপ্পর লাগার 


সাথে সাথে পাঁচটি আঙ্গুলের দাগ বসে পড়ে 


ফারিয়ার দু গালে?


শাহরিয়ারঃ তুই যে আমার চাচাতো বোন সেটা 


ভাবতেই আমার প্রচুর ঘৃনা হচ্ছে? হ্যা আমি নেট 


চালাই তাই বলে ভেবে নিস না আমি হাজারো মেয়ের


সাথে লুটুরপুটুর করি,পর্ন ভিডিও দেখি বা চটি গল্প 


পড়ে বিভিন্ন পাপ কাজে লিপ্ত হই?মাঝে মধ্যে কিছু 


খারাপ পিক বা ভিডিও চোখে পড়ে কিন্তু সেগুলো


আমি এরিয়ে যাই? তাই বলে সেগুলো দেখি না?


আমার বিশ্বাস আছে নিজের প্রতি যে আমি 


ইন্টারনেটের অপব্যাবহার কখনো করবো না? 


কখনো নেট দুনিয়ার কোনো অন্যায় বা পাপ৷কাজে


নিজেকে জড়াবো না?আমাদের এমন কিছু দেখা 


বা শুনা উচিত নয় যেটা দেখে বা শুনে আমরা 


অন্যায় বা পাপ কাজে লিপ্ত হই?তোকে আমি 


পরিষ্কার করে বলছি এসব অন্ধকার পৃথিবী ছেড়ে


আলোর পথে চলে আয়?এবং কিছু দিনের জন্য


আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিস সো ভালোভাবে 


থাক। আর ভবিষ্যতে আবার এমন কিছু করলে চাচা


চাচি কে কিন্তু আমি সব কিছু বলতে বাধ্য হবো???


___ শাহরিয়ারের কথার জবাবে ফারিয়া আর কিছুই 


বলতে পারলো না?গালে হাত দিয়ে সোজা নিজের


রুমে চলে যায়। 


___ ফারিয়া চলে যাওয়ার পর শাহরিয়ার নিজের


রুমের দড়জা বন্ধ করে মনে মনে ভাবতে থাকে....


শাহরিয়ারঃ আজকাল কত? ছেলে মেয়ে যে 


ইন্টারনেট এর মাধ্যমে অন্যায় পথে যাচ্ছে, হিসাব 


ছাড়া?যদি বিভিন্ন ১৮+আইডি, গ্রুপ, পেইজ,


বা বিভিন্ন ১৮+ সাইট এর বিরুদ্ধে একশন নেওয়া 


হতো বা সেগুলো নষ্ট করে দেওয়া হতো তাহলে 


মনে হয় অনেক ছেলে মেয়ে অন্যায় পথে যাওয়ার


হাত থেকে বেঁচে যেতো?কিন্তু কেউ সেসব 


বিরুদ্ধে কোনো একশন নিচ্ছে না। আমি অনেক 


বড় বড় গ্রুপ বা পেইজের এডমিন কে রিকোয়েস্ট 


করেছিলাম যে তারা যেনো বিভিন্ন ১৮+ আইডি 


পেইজ,গ্রুপ রিপোর্ট মারতে মারতে নিমিষেই নষ্ট 


করে দেয়। কিন্তু তারা আমার এসব কথা কোনো


গরুত্বতা আকারে দেখেনি?জবাবে তারা প্রত্যেকে 


বলেছিলো?আমাদের আর কাজ কাম নাই যে ওদের 


বিরুদ্ধে লাগতে যাবো?


তারপরেও অনেক রিকোয়েস্ট করেছিলাম কিন্তু 


কোনো লাভ হয়নি?একটি বার ভেবে দেখুন তো 


যদি বড় বড় ভালো গ্রুপ,পেইজ,সাইট,আইডি 


সবাই যদি সেসব ১৮+ আইডি পেইজ বা সাইটের 


বিরুদ্ধে লাগে তাহলে হয়তো? //১৮+আইডি,পেইজ


বা সাইটের চিন্হটুকুও পাওয়া যেতো না।


প্রতিদিন শতশত ছেলে- মেয়ে কিন্তু নষ্ট হচ্ছে 


এসব বাজে পেইজ, গ্রুপ, বা সাইট থেকে?......


___ রাতে শাহরিয়ার খাবার খাওয়ার জন্য ফারিয়া


কে ডাকতে গিয়ে দেখলো ফারিয়া ১৮+ভিডিও গুলো


দেখছে?শাহরিয়ার দ্রুত ফারিয়ার কাছ থেকে 


মোবাইলটা কেড়ে নিয়ে বলল..........


শাহরিয়ারঃ ছিহ তোকে এতো করে বলার পর ও 


তুই আবার এসব দেখছিস? তোর কি মৃত্যুর কোনো 


ভয় নেই?এতটা নির্লজ্জ তুই কি করে হলি?


ফারিয়াঃ আমার মোবাইল দে বলছি?


শাহরিয়ারঃ না দিবো না আর আমি এক্ষুনি 


চাচা-চাচি কে সব বলছি.......


___ কথাটা বলার সাথে সাথে যখন শাহরিয়ার 


সামনে পা বাড়াতে যাবে তার আগেই ফারিয়া দ্রুত 


রুমের দড়জা বন্ধ করে নিজের জামার খানিকটা


অংশ ছিড়ে ফেলে?


শাহরিয়ারঃ এই তুই এসব কি করছিস?আমাকে 


যেতে দে বলছি আজ আমি তোর এই মোবাইল টা


চাচা চাচি কে দেখিয়েই ছাড়বো?


___ শাহরিয়ারের কথার জবাবে ফারিয়া শুধু 


বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকে?


চিৎকার শুনে বাসার সবাই দৌড়ে আসে কিন্তু 


রুমের দড়জা বন্ধ থাকায় ভিতরে কেউ প্রবেশ 


করতে পারছিলো না।কিন্তু পরবর্তীতে তারা দড়জা 


ভাঙ্গতে বাধ্য হয় এবং ভিতরে গিয়ে সবাই 


দেখতে পেলো ফারিয়া রুমের এক কোনে পড়ে 


আছে।


___ ফারিয়া নিজের বাবাকে দেখতে পেয়ে দ্রুত 


তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলল......... 


ফারিয়াঃ বাবা....শাহরিয়ার আমার গোসলের 


ভিডিও বানিয়ে সেটা দেখিয়ে আমার সাথে 


জোরদবর দস্তি করার চেষ্টা করছিলো?(কাঁদতে কাঁদতে) 


___ফারিয়ার মুখে এমন কথা কখনো আশা করেনি


শাহরিয়ার।শাহরিয়ারের মাথায় যেনো গোটা আকাশ


টা ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ছে?


___ নিজের মেয়ের মুখে এমন কথা শুনে নিজেকে


আর ধরে রাখতে না পেরে সজোরে একটা লাথি 


মারলো শাহরিয়ারের বুকে?


শাহরিয়ার কিছু বলতে চাইলেও তাকে বলার 


কোনো সুজোগ দেওয়া হয়নি? 


শাহরিয়ারের গালে কয়েকটা থাপ্পর দেওয়ার পরে


শাহরিয়ারের বাবা বলল............


শাহরিয়ারের বাবাঃ তোর মতো কুলঙ্গার কে 


জন্ম দিয়ে আমি খুব বড় একটা ভুল করেছি?


এই মুহূর্ত বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাহ.......


শাহরিয়ারঃ বাবা আমার কথাটা তো একবার শুনো( ছলছল চোখে)


___ কিন্তু একটা বারের মতোও কেউ শুনেনি


 শাহরিয়ারের কথা।বের করে শাহরিয়ার কে  


বাড়ি থেকে?? রাত প্রায় ১২টা রাস্তার এক পাশে


দাড়িয়ে দাড়িয়ে ভাবছে এখন সে কোথায় যাবে কি


করবে।মিথ্যা অপবাধে সে যে আজ সর্বহারা।


না চাইতেও চোখের জল পড়ছে তার। কিছুতেই 


আটকাতে পারছে না সে.?হঠাৎ শাহরিয়ার দেখতে


পেলো তার সামনে কে যেনো দাড়িয়ে আছে এবং 


খুব ভালো করে তাকিয়ে দেখলো দাড়িয়ে থাকা 


মানুষটি সয়ং ফারিয়া???? 


শাহরিয়ারঃ তুই???? এখানে আর কি চাস আমার 


কাছে সব কিছুই তো কেরে নিয়েছিস। আমার 


জীবনটাকে ভর্বাদ করে দিলি তুই??? 


___ শাহরিয়ারের কথার জবাবে ফারিয়া অট্ট হাসি


 দিয়ে বলল.....


ফারিয়াঃ তোর এই সুন্দর্য দেখে না সবাই তোর 


প্রতি আকৃষ্ট হয়? আর আজ তোর এই সুন্দর্যটাই 


আমি নষ্ট করে দিবো কুত্তারবাচ্চা?


___ কথাগুলো বলার পরপরই ফারিয়া পানির 


মতো কিছু একটা ছুড়ে মারে শাহরিয়ারের মুখে?


মুখে পড়তেই শাহরিয়ার বুঝতে পারলো এটা এসিড? 


সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রনায় চিৎকার দিয়ে উঠে শাহরিয়ার। 


প্রতি নিয়তো ছটফট করে যাচ্ছে সে। যন্ত্রনায় 


মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গড়াগড়ি করতে থাকে??


শাহরিয়ারঃ হে আল্লাহ কি আমার অপরাধ কেনো 


আমাার সাথেই এমনটা হলো......আমি যে আর 


সজ্য করতে পারছি না। এতোটা যন্ত্রনা বেদনা 


কি করে আমি নিজের ওপর সজ্য করবো? আআ


আআ আমি পারছি না আআআআআআআআ


___ মুখে এসিড পড়লে যতোটা না কষ্ট হয় ততোটা


কষ্ট পাচ্ছে শাহরিয়ার।আর যন্ত্রনা বেদনা কষ্ট 


সজ্য করতে পারে নি শাহরিয়ার আস্তে আস্তে 


শাহরিয়ারের চোখ দুটি বন্দ হয়ে যায়। 


তবে এখানেই শেষ হয়ে যাবে কি শাহরিয়ার। না কি 


আবার ঘুরে দাড়াঁবে.................


_____________________চলবে__________________


প্লিজ কেউ কোনো রকম বাজে কমেন্ট করবেন না।


   পরবর্তী পর্ব আরো সুন্দর হবে ইনশাআল্লাহ 


          ভুল ক্রটি ক্ষমার চোখে দেখবেন

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post