গল্প/:::: এতিম ছেলে বনাম সিনিয়র আপু।
*
*
* লেখক/::: রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿
*
*
* পর্ব/:::::::;;::::: ( সূচনা পর্ব)
*
*
*
* কুত্তার বাচ্চা তোর সাহস কি করে হয়, তুই আমার গায়ে ময়লা পানি মারছিস। ( নাদিয়া)
আপু আমি আপনাকে দেখতে পাইনি, আপনি হঠাৎ নিচে চলে আসছেন। ( আমি)
তুই আমার গায়ে ইচ্ছে করে ফেলছিস। এর জন্য তোকে শান্তি পেতে হবে। ( নাদিয়া)
আমি তো বলছি , আপনার গায়ে ইচ্ছে করে পানি মারি নাই, ঠিক আছে আপনি যে শাস্তি দিবেন, আমি মাথা পেতে নিবো। তার পরেও আমার মরা বাবা মাকে গালি দিয়েন না। ( আমি)
তুই এখনি আমার জামা পরিস্কার করে দিবি, এবং আগে ৫০ বার কান ধরে উঠবি আর বসবি। ( নাদিয়া)
ঠিক আছে আপু, আপনি যা বলবেন, আমি তাই করছি , ( আমি)
কি আর করার, আপুর কথা মতো কান ধরে উঠতে বসতে লাগলাম। আপু রুমে গিয়ে জামা চেন্জ করে, ময়লা জামা আমার সামনে দিয়ে রুমে চলে গেল।
কান ধরা শেষ করে আপুর জামা গুলো নিয়ে ওয়াস রুমে চলে গেলাম। জামা পরিস্কার করে , ছাদের ওপরে দিয়ে নিজের রুমে আসলাম।
ওয়াস রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হতে লাগলাম। রেডি হতে হতে আপনাদের পরিচয় টা দিয়ে দি, আমি রাসেল, দুনিয়া আপন বলতে কেউ নেই।
মা আমাকে জম্ম দেওয়ার পাঁচ মাস পর অসুস্থ হয়ে মারা যায়, এরপর বাবা আমাকে লালন পালন করে, । কোনো রকম SSC পাস করার পর আব্বু রোড দূর্ঘটনায় মারা যায়, আব্বু রিকশা চালিয়ে আমার পড়ালেখার খরচ চালিয়েছে।
বাবা মারা যাওয়ার এক মাস পর ঢাকায় চলে আসি। রাস্তা দিয়ে হাঁটতে আছি, কোথায় যাবো, কি করবো, কিছুই মাথায় আসছে না। এই ঢাকা শহরে আমার কেউ নেই, তাই যাওয়ার মতো স্থান নেই।
এসব ভেবে হাঁটতে হাঁটতেছি, হঠাৎ একটা গাড়ি এসে আমাকে ধাক্কা মারে, আমি রাস্তার একপাশে গিয়ে পড়ি, এরপর আর কিছু মনে নেই।
যখন চোখ খুলি, তখন দেখি আমি একটা হাসপাতালের কেবিনে শুয়ে আছি, আমার পাশে একজন বাবার বয়সী লোক বসে আছে। আমাকে চোখ খুলতে দেখে ওনি বললো।
যাক অবশেষে তোমার গেন ফিরেছে। আজ একদিন পর তোমার গেন ফিরে এসেছে। ( লোকটা)
আমার কি হয়েছে, আমি হাসপাতালে কেনো। ( আমি)
ওইদিন রাতে , তুমি রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মাঝখানে চলে আসো। আমার ডাইভার কন্ট্রোল করতে না পেরে, তোমাকে ধাক্কা মারে। তার পর আমি আর ডাইভার তোমাকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে আসি। ( লোকটা)
ওহ, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমার জীবন বাঁচানোর জন্য। ( আমি)
আচ্ছা আমাকে বলো তো, তুমি রাস্তার মাঝখানে চলে আসলে কেনো। ( লোকটা)
আসলে দুনিয়া আপন বলতে আমার কেউ নেই। আম্মু জম্ম দেওয়ার পাঁচ মাস পর অসুস্থ হয়ে মারা যায়, এরপর বাবা ছিলো। এক মাস আগে বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়, এরপর ঢাকায় চলে আসি, কাজের খোঁজে। এই ঢাকা শহরে আমার কেউ নেই, তাই কোথায় যাবো , কি করবো এসব কিছু ভাবতে ভাবতে হাঁটতে ছিলাম। তার পর কি হলো আপনি তো জানেন। ( আমি)
কে বলছে , তোমার আপন কেউ নেই। আজকে থেকে আমি তোমার সব, তুমি এখন থেকে আমার বাসায় থাকবে। ( লোকটা)
আপনার পরিবারের মানুষ কি বলবে, আর আপনাকে তো আমি চিনি না। ( আমি)
আমার পরিবারে আমি স্ত্রী এবং একটা মেয়ে আছে। আর আমি হচ্ছি বাংলাদেশ টপ বিজনেস ম্যান দের একজন, নাদিয়া গ্রুপ অফ কম্পানির মালিক, রহমান সিকদার,নাদিয়া হচ্ছে আমার মেয়ের নাম। ( রহমান)
আমি আপনার বাসায় যেতে পারি, কিন্তু আমাকে কোনো কাজ দিতে হবে। ( আমি)
তুমি আমাকে আপনি করে বলছো কেন, এখন থেকে আনকেল বলে ডাকবে, আর তোমাকে এখন কোনো কাজ করতে হবে না। তুমি কতোটুকু পর্যন্ত পড়াশোনা করেছো। ( রহমান)
জি আমি এবার SSC পাস করেছি। ( আমি)
ঠিক আছে, তাহলে তুমি আগে পড়ালেখা শেষ করো। তার পর আমার অফিসে চাকরি করবে। ( রহমান)
আপনি অনেক ভালো মনের মানুষ আনকেল। দুনিয়া আপনার মতো মানুষ থাকলে, মেধাবী ছেলে গুলো রাস্তায় থাকতে হতো না। ( আমি)
আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি এখন রেষ্ট নাও। আমি ডাইভার কে ফোন দিয়ে বলছি, সে খাবার নিয়ে আসছে, খাবার খেয়ে ঔষধ গুলো খেয়ে নিবে। আমি ডাক্তার এর কাছে যাচ্ছি। ( আনকেল)
এ কথা বলে আনকেল কেভিন থেকে বেরিয়ে গেল। আজ দুই দিন পর আমাকে আনকেল এর বাসায় নিয়ে আসছে।
আমাকে আন্টির সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো। আন্টির কথা শুনে বুঝতে পারলাম, ওনি আনকেল এর মতো , অনেক ভালো মানুষ।
বিকালে ওনার মেয়ে কলেজ থেকে আসার পর আমাকে তার সাথে পরিচয় করিয়ে দিছে। নাদিয়া আপুর কথা শুনে বুঝতে পারলাম, ওনিও অনেক ভালো মানুষ। আমাকে কতো সহজে আপন করে নিছে।
সুন্দর ভাবে চলছিলো আমার জীবন। আমাকে নাদিয়া আপুর কলেজে ভর্তি করিয়ে দিছে। নাদিয়া আপু প্রতিদিন ওনার সাথে করে কলেজে নিয়ে যায়, আবার নিয়ে আসে।
নাদিয়া আপু এবার ইন্টার ফাইনাল ইয়ারে পড়ে, আর আমি প্রথম ইয়ারে। বয়সে আমার চেয়ে দুই বছরের বড় হবে।
এভাবে দেখতে দেখতে একটা বছর কেটে গেল। কিন্তু হঠাৎ নাদিয়া আপুর ব্যবহার অন্য রকম হয়ে গেছে, আজ এক মাস থেকে, আগে তো ভালো ছিলো, কিন্তু হঠাৎ এতো পরিবর্তন কেনো।
গতকাল রাতে অনেক বৃষ্টি হয়েছে, তাই ছাদে পাতা পড়ে পানি জমে গেছে। এক বালতির মতো পানি হবে, আমি পানি গুলো কুড়ে নিচে ফেলে দিলাম। হঠাৎ নিচের দিকে তাকিয়ে দেখি নাদিয়া আপু চোখ মুখ লাল করে দাঁড়িয়ে আছে। এরপর দ্রত নিচে নেমে আসলাম, তার পর কি হলো আপনারা তো জানেন।
আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে রেডি হয়ে নিচে চলে আসলাম। নিচে এসে দেখি আপু নাই, তাই আমি খালাকে জিজ্ঞেস করলাম।
খালা নাদিয়া আপু কোথায়। ওনি কি নাস্তা করবে না। ( আমি)
নাদিয়া ম্যাম তো নাস্তা করে গাড়ি নিয়ে কলেজে চলে গেছে। ( খালা)
ওহ আচ্ছা ঠিক আছে। তাহলে তুমি আমাকে নাস্তা দাও। আজকে আমার পাঠক পাঠিকা ভাই বোন দের সাথে কথা বলতে বলতে দেরি হয়ে গেছে। ( আমি)
পাঠক পাঠিকা এরা আবার কারা ( খালা)
আরে খালা , যারা আমার গল্প নিয়মিত পড়ে, তাদের বলছি। ( আমি)
আমি এতো কিছু বুঝি না। পড়ালেখা করি নাই, তাহলে বুঝবো কেমনে। তুমি বরং নাস্তা করে তাড়াতাড়ি কলেজে যাও। ( খালা)
আমি আর কোনো কথা না বলে নাস্তা করে ব্যাগ টা নিয়ে বাসার বাহিরে চলে আসলাম। তার পর একটা রিকশা নিয়ে কলেজে যেতে লাগলাম।
এবার আপনারা হয়তো বলবেন, আপনার আনকেল আন্টি কোথায়। আসলে আনকেল আন্টি গ্ৰামে আনকেল এর বাসায় গেছে। আজকে প্রায় ১৫ দিন হয়েছে। কবে আসবে সেটা এখনো বলে নাই।
এই ১৫ দিন নাদিয়া আপু আমাকে গাড়ি করে কলেজে নিয়ে যায়নি। ১৫ দিন আগে শুধু গাড়িতে করে কলেজে নিয়ে যেতো, কিন্তু আসার সময় নিয়ে আসতো না। আমি সেটা আনকেল আন্টি কে বলি নাই।
তাহলে আপুকে বকাঝকা করবে। আপু আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করছে ঠিকই, কিন্তু কখনো গায়ে হাত তোলে নাই, আজকে আমার দোষের কারনে থাপ্পড় মেরেছে, আমার দরকার ছিলো, নিচে তাকিয়ে পানি গুলো ফেলার, তাহলে আর আপুর গায়ে পড়তো না।
কথা বলতে বলতে কলেজে চলে আসলাম। পকেটে হাত দিয়ে দেখি মানিব্যাগ আনতে ভুলে গেছি। সব পকেটে হাত দেখি ৩০ টাকার মতো আছে। রিকশা ভাড়া মিটিয়ে কলেজের গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকলাম। তার পর ক্লাসের সামনে চলে গেলাম। দেখি স্যার পড়া শুরু করে দিছে।
স্যার ভিতরে আসতে পারি। ( আমি)
আরে রাসেল তুমি, আজকে এতো দেরি কেনো কলেজে আসতে ( স্যার )
আসলে স্যার , বাসায় একটু কাজ ছিলো। সেগুলো শেষ করে আসতে দেরি হয়ে গেছে। ( আমি)
ঠিক আছে, এখন গিয়ে সিটে বসো। ( স্যার )
ওকে স্যার ( আমি )
আমি আর কোনো কথা না বলে রাফির পাশে গিয়ে বসলাম। রাফি বললো।
কিরে তোর গাল লাল হয়ে আছে কেনো। ( রাফি)
সালা স্যার ধরতে পারে নাই, তুই সালা কি ভাবে ধরলি ( আমি)
শুন আমি তোর বেষ্ট ফ্রেন্ড, তোর চেহারার দিকে তাকালে আমি সব বুঝতে পারি। এখন বল লাল হয়ে আছে কেনো। নাদিয়া আপু কি তোর গায়ে হাত তুলেছে ( রাফি)
তোকে কলেজ ছুটি হওয়ার পর, সব খুলে বলবো। ( আমি )
রাফি আর কোনো কথা বললো না। আসলে আমরা দুজন বেষ্ট ফ্রেন্ড, আমি আমার সব কিছু ওর সাথে শেয়ার করি, আর রাফি তার সবকিছু আমার সাথে শেয়ার করে।
রাফির বাবা আনকেল এর মতো একজন বিজনেস ম্যান। সব গুলো ক্লাস শেষ করে দুই বন্ধু বাহিরে আসলাম।
এবার বল, নাদিয়া আপু তোকে কেনো মেরেছে। ( রাফি)
আসলে আমি আজকে সকালে ( তার পর সবকিছু খুলে বললাম) ( আমি)
এ জন্য বুঝি তোর গায়ে হাত তুলবে, হাত তো তুলেছে, আবার কান ধরে উঠ বস করিয়েছে, জামা কাপড় পরিস্কার করিয়েছে ( রাফি)
আচ্ছা এসব কথা বাদ দেয়। আমারি ভুল ছিলো। নিচে তাকিয়ে পানি গুলো ফেলার। ( আমি)
ঠিক আছে চল। আজকে তোকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসি। ( রাফি)
ঠিক আছে চল ( আমি)
না করলাম না, কারন আমার কাছে টাকা নেই। রাফির কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়েছি, আবার টাকা দিতে গেলে নেয় না। নিজের কাছে খারাপ লাগে টাকার কথা বলতে।
কথা বলতে বলতে বাসায় চলে আসলাম। রাফি গাড়ি নিয়ে চলে গেল। আসার সময় আপুকে কলেজে দেখলাম না। মনে হয় কোথায় গেছে।
বাসার ভিতরে ঢুকে কলিং বেল চাপ দিলাম। খালা এসে দরজা খুলে দিলো। আমি খালাকে বললাম।
খালা নাদিয়া আপু কি বাসায় আছে। ( আমি)
হুম, তুমি যাওয়ার ৩০ মিনিট পর বাসায় চলে এসেছে। এখনো রুমে আছে, । দেখে মনে হচ্ছে মন খারাপ। ( খালা )
ঠিক আছে খালা, আমি রুমে গেলাম। আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি, তুমি টেবিলে খাবার দাও। ( আমি)
ঠিক আছে যাও ( খালা)
আমি রুমে এসে ব্যাগ টা টেবিলের ওপর রেখে ওয়াস রুমে চলে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে একটা জামা গায়ে দিয়ে নিচে চলে আসলাম। দেখি নাদিয়া আপু আসে নাই।
তাই আমি আপুর রুমের সামনে দাঁড়িয়ে বললাম।
আপু দরজা টা খোলো, ( আমি)
কেনো , কি হয়েছে। ( নাদিয়া)
খাবার খেতে আসো। সেই সকালে রুমে ঢুকে বসে আছো। কি হয়েছে তোমার ( আমি )
আমার কিছু হয়নি, তুই এখন যা, আমাকে একা থাকতে দেয়। ( নাদিয়া)
আপু প্লিজ দরজা টা খোলো। তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে। ( আমি)
নাদিয়া আপু আর কোনো কথা না বলে, দরজা খুলে দিয়ে বিছানায় গিয়ে বসলো। আমাকে বললো।
বল কি কথা বলবি। ( নাদিয়া)
আপু তুমি সকালের ওটা নিয়ে আমার ওপর রেগে আছো , তোমার যদি শাস্তি দেওয়া কম হয়, তাহলে তুমি আমাকে আরো শাস্তি দাও। আমি মাথা পেতে নিবো, তার পরেও তুমি না খেয়ে থেকো না। ( আমি )
নাদিয়া আপু আর কোনো কথা না বলে বিছানা থেকে উঠে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল। তখন আপু বললো।
তুই আমাকে ক্ষমা করে দেয় রাসেল। আমি তোর ওপর রাগ করে নেই। আমি একটা ছেলেকে ভালোবাসি, কিন্তু ছেলেটা অন্য একটা মেয়েকে ভালবাসে। তাই ওর ওপরে রাগ করে, তোর সাথে খারাপ ব্যবহার করছি, তুই আমাকে মাফ করে দেয়, আজকে তোর গায়ে হাত তুলে, নিজের কাছে অনেক খারাপ লাগছে, তাই ক্লাস না করে বাসায় চলে আসি। ( নাদিয়া)
নাদিয়া আপু কান্না করে কথা গুলো বললো।
আপু আমি কিছু মনে করি নাই। আমি জানি তোমার হয়তো কিছু হয়েছে, তাই তুমি আমার সাথে এরকম করছো। তুমি একটা বার ওই ছেলেটাকে দেখিয়ে দিও। আমি ওকে আবার তোমার কাছে নিয়ে আসবো। ( আমি)
নারে ও আর আমাকে ভালোবাসে না। ও আমার সাথে প্রেমের অভিনয় করছে। আমি সেটা বুঝতে পারি নাই,( নাদিয়া)
মন খারাপ করো না। দেখতে আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে। তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো। দুজনে একসাথে খাবার খাবো। ( আমি)
ঠিক আছে, তুই বস, আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
নাদিয়া আপু ফ্রেশ হতে চলে গেল। আমি বিছানা বসে আপুর মোবাইল টিপতে লাগলাম। গেলারিতে ঢুকে দেখি একটা ছেলের অনেক গুলো ছবি, তার মানে এই ছেলের সাথে প্রেম করতো, । ছেলেটা দেখতে অনেক সুন্দর, আমি ওই ছেলের কাছে কিছুই না।
অবাক করার বিষয় হলো, ওই ছেলের সাথে আপুর একটা ছবিও দেখলাম না। আমি মোবাইল টা বিছানায় রেখে দিলাম।
কিছুক্ষণ পর আপু ওয়াস রুম থেকে বেরিয়ে আসলো। আমি তার দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে ফেললাম। আপু মনে হয় বিষয় টা বুঝতে পেরেছে। তাই আপু বললো।
আসলে আমার মনে ছিলো না। তুই যে আমার রুমে। আমি ওয়াস রুমে ঢুকে জামা কাপড় গায়ে দিচ্ছি। ( নাদিয়া)
ওয়াস রুমে যেতে হবে না। আমি নিচে যাচ্ছি, তুমি জামা কাপড় গায়ে দিয়ে আসো। ( আমি)
এ কথা বলে আমি আপুর রুম থেকে বেরিয়ে নিচে চলে আসলাম। কিছুক্ষণ পর আপু জামা গায়ে দিয়ে নিচে চলে আসলো। একটা কথা আপনাদের বলে দিই। আমি নাদিয়াকে নিজের বড় আপুর মতো জানি।
দুজনে একসাথে খাবার খেতে লাগলাম। খাবার খেয়ে যে যার রুমে চলে আসলাম। বিছানায় শুয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে, রাফি কে ফোন দিয়ে, সবকিছু খুলে বললাম। তার পর আরো কিছুক্ষণ কথা বলে ঘুমিয়ে গেলাম।
সকালে হঠাৎ কে যেনো আমার গায়ে পানি মেরে ভিজিয়ে দিলো। আমি এক লাফে উঠে গেলাম। সামনে তাকিয়ে দেখি নাদিয়া আপু হাতে বালতি নিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসতে আছে।
তার মানে এটা আপুর কাজ। তখন আমি আপুকে বললাম।
কি বললাম, পরের পর্বে বলবো।
- তুমি ভালো থাকো আমার সমাপ্তিতে।
- আমি না হয় হারিয়ে যাবো তোমার অপ্রাপ্তিতে.।
সুখ নামের ময়না পাখি হয়তো আর আসবেনা ফিরে আমার এই মনের ছোট ঘরে |
দুঃখ নামের নিষ্ঠুর পাখি আমার থাকবে সারা জনম ভরে |
*
*
*
* চলবে
*
*
* তো কেমন হয়েছে জানাবেন। সাড়া পেলে পরবর্তি পর্ব লিখবো। ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই লাইক এবং কমেন্ট দিয়ে পাশেই থাকবেন।
*
*
* ধন্যবাদ সবাইকে পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন 🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿 রোমান্টিক গল্প লেখক রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿