গল্প/:: এতিম ছেলে বনাম সিনিয়র আপু। * * * লেখক/:::: রাসেল চৌধুরী * * * পর্ব/:::::::::::::::( ২ ) ::::::::: ( দুই )

 


গল্প/:: এতিম ছেলে বনাম সিনিয়র আপু।

*

*

* লেখক/:::: রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷

*

*

* পর্ব/:::::::::::::::( ২ ) ::::::::: ( দুই )

*

*

*

*

*তার মানে এটা আপুর কাজ। তখন আমি আপুকে বললাম। 


আমি/: আপু তুমি এটা কি করলে, । আমার গায়ে পানি দিলে কেনো।


নাদিয়া/: তোকে সেই সকাল থেকে ডাকছি, তোর উঠার খবর নেই। তাই বাধ্য হয়ে তোর গায়ে পানি মারছি। 


আমি/: তাই বলে তুমি পানি মারবে। দেখো পুরো শরীর ভিজে গেছে।


নাদিয়া/: ভালো হয়েছে। এখন কথা না বলে গোসল করে , রেডি হয়ে নিচে আয়। 


আমি/: ঠিক আছে, কিন্তু আজকে হঠাৎ আমাকে ডাকতে আসলে কেনো। 


নাদিয়া/: হঠাৎ কোথায়, এক মাস তোকে ডাকি নাই। এর আগে তো প্রতিদিন সকালে তোকে ঠেকে তুলচি।আর কি কারনে তোকে এক মাস ডাকি নাই, সেটা তুই ভালো করে জানিস। 


আমি/: ঠিক আছে, তুমি যাও। আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি। 


নাদিয়া/: তাড়াতাড়ি আয়। 


বলে নাদিয়া আপু রুম থেকে বেরিয়ে গেল। আমি দাঁড়িয়ে না থেকে ওয়াস রুমে ঢুকে গোসল করে , রেডি হয়ে কলেজের ব্যাগ টা কাঁধে নিয়ে নিচে চলে আসলাম। 


কিছুক্ষণ পর আপুও আসলো। দুজনে একসাথে নাস্তা করে , গাড়ি নিয়ে কথা বলতে বলতে কলেজে চলে আসলাম। আপু গাড়ি পার্কিং করে বললো।


নাদিয়া/: তোর ক্লাস শেষ হলে, আমার জন্য অপেক্ষা করবি। দুই জনে একসাথে বাসায় যাবো।


আমি/: ওকে ঠিক আছে।


আপু আর কোনো কথা না তার ক্লাসে চলে গেল। হঠাৎ পিছন থেকে রাফি বললো।


রাফি/: কিরে কেমন আছিস। 


আমি/: এই তো ভালো আছি। তুই কেমন আছিস।


রাফি/: আমিও ভালো আছি। আজকে তাহলে আপু তোকে কলেজে নিয়ে আসলো।


আমি/: হুম। আপু এখন আগের মতো হয়ে গেছে। এতো দিন একটা ছেলের কারনে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করছে। 


রাফি/: ওই সালাকে যদি সামনে পাইতাম। তাহলে অবস্থা খারাপ করে দিতাম। 


আমি/: ওসব কথা বাদ দেয়। এখন ক্লাসে চল। 


রাফি /: ঠিক আছে চল।


আমি আর রাফি ক্লাসে চলে আসলাম। কিছুক্ষণ পর স্যার ক্লাসে আসলো। সব গুলো ক্লাস শেষ করে, আমি আর রাফি বাহিরে চলে আসলাম। 


আমি/: রাফি তাহলে তুই বাসায় যা। আমি আপুর জন্য অপেক্ষা করছি, দুজনে একসাথে বাসায় যাবো।


রাফি/: ওকে ঠিক আছে।


রাফি আমার থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেল। আমি আপুর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর দেখি আপু তার বান্ধবীদের সাথে ক্লাস থেকে বেরিয়ে আসতেছে। আমাকে দেখে তার বান্ধবীদের বিদায় আমার সামনে আসলো।


নাদিয়া/: কিরে কোন সময় তোর ক্লাস শেষ হয়েছে।


আমি/: এই তো ৩০ মিনিট আগে।


নাদিয়া/: ওহ। আমার একটা এস্টা ক্লাস ছিলো। তাই আসতে দেরি হয়ে গেছে। 


আমি/: কোনো সমস্যা নেই। তুমি গাড়ি নিয়ে আসো।


নাদিয়া/: তুই দাড়া , আমি গাড়ি নিয়ে আসছি। 


আপু গাড়ি নিয়ে আমার সামনে আসলো। তার পর আপুর সাথে সামনের সিটে বসলাম। দুজনে কথা বলতে বলতে বাসায় চলে আসলাম। 


আপু তার রুমে চলে গেল, আমি আমার রুমে চলে আসলাম। ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে আপু আর আমি একসাথে খাবার খেয়ে রুমে চলে আসলাম। 


দেখতে দেখতে এক মাস চলে গেল। এখন আপুর সাথে আগের থেকে অনেক ফ্রি হয়ে গেছি। এখন আপু আমার সবসময় খেয়াল রাখে। কলেজে কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে দেয় না, । আমাকে শাসনের উপর রাখে। আপুর এসব আমার অনেক ভালো লাগে। আমি আপুকে কিছু বলি না। 


এখন ওই ছেলের কথা আপু, একদম মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিছে। আমার সাথে সবসময় দুষ্টুমি করে। বড় বোন হিসেবে ছোট ভাইয়ের সাথে করতে পারে। আমি আপুকে সবসময় নিজের বড় বোনের চোখে দেখি। 


আনকেল আন্টি তারা বাসায় চলে এসেছে। আনকেল এখন আগের মতো অফিস দেখাশোনা করে। আমাদের কলেজ আজকে এক মাসের জন্য ছুটি দিয়েছে। কারন কলেজে নতুন করে রং লাগাবে। তাই এক মাস কলেজ বন্ধ থাকবে। 


রাতে সবাই একসাথে খাবার খাচ্ছি। তখন আনকেল বললো।


আনকেল/: শুনেছি, তোদের কলেজ নাকি এক মাসের জন্য বন্ধ থাকবে। 


নাদিয়া/: হুম আব্বু। কলেজে কিছু কাজ করবে , তাই বন্ধ দিয়েছে। 


আনকেল/: তাহলে তুই আর রাসেল , তোর নানার বাড়ি থেকে কিছু দিন ঘুরে আয়। সবসময় তোরা দুইজন বাসায় থাকিস, কোথাও যাস না। 


নাদিয়া/: আমি না হয় যাবো। কিন্তু রাসেল কি আমার সাথে যাবে। 


আন্টি/: রাসেল যাবে না কেনো। 


আমি/: আসলে আন্টি, আমার বাসা থেকে বাহিরে কোথাও ঘুরতে যেতে ভালো লাগে না। 


আন্টি/: এটা তো আর অন্য কোথাও না, । আমার শশুর বাড়ি যেতে বলছি। 


নাদিয়া/: রাসেল আমার সাথে না গেলে, আমিও কোথাও যাবো না। 


আমি/: ঠিক আছে আপু , আমি তোমার সাথে যাবো, এবার খুশি।


নাদিয়া/: অনেক খুশি। 


আনকেল/: তাহলে কালকে সকালে, তোরা দুজনে রওয়ানা দেয়। এখন রুমে গিয়ে জামা কাপড় গুছিয়ে রাখিস। আর তোরা কি গাড়ি নিয়ে যাবি। 


নাদিয়া/: না আব্বু, আমরা বাসে করে যাবো। 


আনকেল/: ঠিক আছে, তোরা যেটা ভালো বুঝিস। 


কেউ আর কোনো কথা না বলে খাবার খেতে লাগলো। আমি খাবার খেয়ে রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে জামা কাপড় গুছিয়ে রাখলাম। তার পর বিছানায় শুয়ে মোবাইল টিপতে টিপতে ঘুমিয়ে পড়লাম। 


পরের দিন সকালে আপু এসে আমাকে ঠেকে তুললো। আমাকে রেডি হতে বলে, তার রুমে চলে গেল। আমি ওয়াস রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে, রেডি হয়ে জামা কাপড় এর ব্যাগটা নিয়ে নিচে চলে আসলাম। 


নাস্তার টেবিলে দেখি আনকেল আন্টি , বসে আছে। আমি একটা চেয়ার টেনে বসলাম। হঠাৎ সিঁড়ির ওপরে চোখ পড়তেই আমি চমকে উঠলাম। 


আজকে আপুকে অনেক সুন্দর লাগছে। নীল রঙের একটা জামা গায়ে দিছে, আপুকে নীল রঙের জামায় অনেক সুন্দর লাগছে। আপু আমার সামনে এসে বললো।


নাদিয়া/: কিরে , তুই এভাবে হেবলার মতো, আমার দিকে তাকিয়ে আছিস কেন। 


আমি/: এই আপু, আমাকে হেবলা বলবে না। আমি কিন্তু তোমার থেকে অনেক সুন্দর আছি। আর আজকে তোমাকে নীল রঙের জামায় অনেক সুন্দর লাগছে। 


নাদিয়া/: বাব্বাহ , যেই না চেহারা, আবার বলে আমার থেকে ওর চেহারা সুন্দর। 


আমি/: যাহ একটু তোমার রূপের প্রশংসা করলাম। এখন থেকে আর করবো না। তোমাকে পুরো পেত্মীর মতো লাগছে। 


নাদিয়া/: কি বললি, আমাকে পেত্মীর মতো লাগছে। 


আমি/: প্রথমে প্রসংসা করলাম। কোনো দাম পেলাম না। তাই তোমাকে পেত্মী বললাম। 


নাদিয়া/: আজকে তোকে আমি মেরেই ফেলবো। 


আনকেল/: তোরা কি সয়তানি করবি। নাকি নাস্তা করে বেরিয়ে পড়বি। 


নাদিয়া/: আব্বু তুমি দেখো না। রাসেল আমাকে পেত্মী বলছে।


আনকেল/: ও তোর ছোট, তাই তোর সাথে দুষ্টুমি করছে। এখন কথা না বলে নাস্তা করে বেরিয়ে পড়। 


নাদিয়া আপু আমার দিকে তাকিয়ে, একটা ভেংচি মেরে, একটা চেয়ার টেনে বসে পড়লো। সবাই নাস্তা করতে লাগলাম। 


নাস্তা খাওয়া শেষ করে , আনকেল আন্টির কাছে বলে বাসা থেকে বেরিয়ে আসলাম। তার পর গাড়িতে করে বাস কাউন্টারে চলে আসলাম। 


ডাইভার আমাদের বাস কাউন্টারে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলো। আসার সময় আনকেল আমার পকেটে কিছু টাকা ঢুকিয়ে দিল। 


তাই বাস কাউন্টারে গিয়ে টিকেট এর জন্য টাকা বের করতে গিয়ে দেখি, ১৫/ ২০ হাজারের মতো হবে। আমি দুই টা টিকেট নিলাম। তার পর টিকেট নিয়ে দুজনে বাসে উঠলাম। দুজনের একসাথে সিট । 


বাস ২০ মিনিট পর ছেড়ে দিলো। এই দেখছেন, আমি কেমন মানুষ, নাদিয়া আপুর নানার বাড়ির কথা বলতে ভুলে গেছি। আপুর নানার বাড়ি যশোরে। আমি কখনো যাইনি, কিন্তু আপুকে একবার যেতে দেখেছি। তাই আপু সব ছিনে। 


নাদিয়া/: শুন , নানার বাড়িতে গিয়ে, কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে পারবি না। আর রিয়ার থেকে দুরে দুরে থাকবি। 


আমি): আমি কি আর কখনো তোমার নানার বাড়ি গেছি, আমি তো কাউকে চিনি না। আর এই রিয়া টা কে। 


নাদিয়া/: রিয়া হচ্ছে, আমার মামাতো বোন। ও তোর সেম ক্লাসে পড়ে। 


আমি/: ঠিক আছে। কিন্তু ও যদি আমার সাথে কথা বলতে আসে। তখন কি করবো।


নাদিয়া/: তুই বলবি না। 


আমি/: আমি যদি না কথা বলি। তাহলে বলবে আমি বোবা আর নাহ হয় বলবে, আমি বেশি ভাব দেখাই।


নাদিয়া/: কথা বলবি, কিন্তু বেশি কথা বলতে পারবি না। 


আমি/: ঠিক আছে, ।


আমি মনে মনে বললাম, আগে তো রিয়া মেয়েটা কে একবার দেখি, পছন্দ হলে তার সাথে প্রেম করবো। এই নাদিয়া আপুর জন্য আজ পর্যন্ত কোনো মেয়ের সাথে প্রেম করতে পারলাম না। 


তো যাই হোক, দুজনে কানে হেড ফোন লাগিয়ে গান শুনতে লাগলাম। বাস এসে একটা রেস্টুরেন্ট থামলো। তখন আমি নাদিয়া আপুর দিকে তাকিয়ে দেখি ঘুমিয়ে আছে। আমি আপুকে ডাক দিলাম। আপু চোখ খুলে বললো।


নাদিয়া/: কিরে ডাকছিস কেনো।


আমি): আপু বাস একটা রেস্টুরেন্টে থামছে। চলো দুজনে খাবার খেয়ে নিই। 


নাদিয়া/: ঠিক আছে চল। 


নাদিয়া আপু আর আমি বাস থেকে নেমে রেস্টুরেন্টের ভিতরে ঢুকে গেলাম। আপু ওয়াস রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে আসলো, আমি অন্য একটা ওয়াস রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে আসলাম। 


দুজনে গিয়ে একটা টেবিলে গিয়ে বসলাম। আপু ওনার মতো করে ওয়াডার করলো, আমি মতো ওয়াডার করলাম। কিছুক্ষণ পর ওয়েটার খাবার নিয়ে আসলো। দুজনে খাবার খেতে লাগলাম। 


খাবার খেয়ে দুজনে আবার বাসের ভিতরে চলে আসলাম। আবার আগের মতো বসে পড়লাম। বাস কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিলো। বাস চলছে আপন গতিতে। আমরা দুজন আবার হেড ফোন লাগিয়ে গান শুনতে লাগলাম। 


দেখতে দেখতে আমরা এখন যশোর চলে এসেছি, দুজনে বাস থেকে নেমে দেখি , একটা গাড়ি আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আর গাড়ির সাথে একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে। নাদিয়া মামা বলে তাকে জড়িয়ে ধরলো। 


আসলে আমি কখনো আপুর মামাকে দেখি নাই। ওর মামা ঢাকায় মনে হয় সহজে যায়নি। তাই চিনতে পারলাম না। আমি আর আপু পিছনের সিটে বসলাম। তখন আপুর মামা বললো।


মামা/: তাহলে এই হচ্ছে রাসেল, । 


নাদিয়া/: হুম মামা। ও হচ্ছে রাসেল। তুমি তো বাহিরে চিলে, তাই দেখো নাই। 


ওহ তার মানে নাদিয়ার মামা বাহিরে ছিলো। তখন নাদিয়ার মামা বললো।


মামা/: কেমন আছো রাসেল। পড়ালেখা কেমন চলছে। 


আমি/: জি মামা , আমি অনেক ভালো আছি। আর পড়াশোনা ভালোই চলছে। 


মামা/: ওহ, তা কয়টা মেয়ের সাথে প্রেম করো। 


আমি/: মামা আপনি এটা কি বলছেন। 


মামা/: আরে সমস্যা নেই। আমাকে তোমার বন্ধু ভেবে বলতে পারো। 


আমি/: প্রেম মনে হয় আমি কখনো করতে পারবে না। একটা পেত্মীর কারনে, সবসময় আমাকে মেয়েদের থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। 


মামা/: ওমা তাই, তা সে মানুষ টা কে। 


আমি আপুর দিকে তাকিয়ে দেখি, আমার দিকে চোখ লাল করে তাকিয়ে আছে। ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে গেল। তাই কথা ঘুরিয়ে বললাম। 


আমি/: আসলে আমার কলেজের এক ছেলে বন্ধু। সে বলেছে, আমাদের দুজনের মধ্যে কেউ কখনো প্রেম করবো না, কোনো মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব করবো। একারণে আজ পর্যন্ত একটা প্রেম করতে পারলাম না। 


আমার কথা শুনে মামা হাসতে হাসতে শেষ। আপুর দিকে তাকিয়ে দেখি এবার মুচকি মুচকি হাসছে। যাক বাবা, এবার তাহলে বেঁচে গেছি। তা না হলে খাচ্ছুনি আজকে আমার অবস্থা খারাপ করে ছাড়তো। 


কথা বলতে বলতে মামা একটা বাসার ভিতরে গাড়ি ঢুকিয়ে দিলো। আমি আর আপু গাড়ি থেকে নামলাম। আপু দৌড়ে ভিতরে চলে গেল। আমি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। মামা গাড়ি পার্কিং করে আমার সামনে এসে বললো। 


মামা): কি ব্যাপার রাসেল। তুমি এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন। ভিতরে যাও। 


আমি/: আমি কেমন করে যাবো। আমি তো কাউকে চিনি না। আপু তো আমাকে না নিয়ে দৌড় দিয়ে ভিতরে চলে গেল। 


মামা/: ও এ ব্যাপার। ঠিক আছে, তুমি আমার সাথে আসো। এটা হচ্ছে আমাদের বাড়ি। 


আমি/: আপনাদের বাড়ি টা অনেক সুন্দর। 


মামা/: এই বাড়িটা আব্বু বানিয়েছে। প্রায় পাঁচ কোটি টাকা খরচ করে। 


আমি): বাহির থেকে যদি এতো সুন্দর হয়। না জানি ভিতরে দেখতে কেমন। 


মামা/: তুমি ভিতরে আসো। তার পর দেখো কেমন লাগে। 


দুজনে কথা বলতে বলতে ভিতরে গেলাম। ভিতরে ঢুকে আমি তো আরো অবাক হয়ে গেলাম। পুরো বাড়িটা রাজপ্রাসাদ এর মতো। 


মামা/: বাহির থেকে, ভিতরে কেমন লাগছে। 


আমি/: অনেক সুন্দর মামা।


মামা/: গ্ৰামের ভিতরে , আমাদের বাড়িটা এক নাম্বারে আছে। এমন বাড়ি আর কোথাও নেই। 


আমি/: হুম।


মামা/: ঠিক আছে, তুমি ওপরে গিয়ে হাতের ডান পাশের রুমে চলে যাও। যতো দিন এই বাড়িতে থাকবে। ততোদিন ওই রুমে থাকবে। 


আমি/: ওকে ঠিক আছে মামা। 


এ বলে আমি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলাম। তার পর হাতের ডান পাশের রুমে ঢুকে গেলাম। ভিতরে ঢুকে দেখি রুম টা অনেক সুন্দর। আমি কাদের ব্যাগ টা বিছানায় রেখে , জামা কাপড় বের করে ওয়াস রুমে ঢুকে গেলাম।


 গোসল করে একটা জামা গায়ে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসতেই কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে গেলাম। 


জীবনে এমন একটা সম্পর্ক করা উচিৎ যার সাথে সকল কিছু শেয়ার করা,


 অভিমান করা যায়, ঝগড়া করা যায়, 

 কিন্তু তাকে কখনো ভুলে থাকা যায় না।


দিন শেষে সাবাই একজন নিদিষ্ট মানুষের অভাববোধ করে।


যাকে সবকিছু বলা যায়।বলা যায়,আজ আমার মন ভালো নেই।

*

*

*

* চলবে

*

*

*

* তো কেমন হয়েছে জানাবেন। দুঃখিত গল্প পোষ্ট করতে দেরি হয়ে গেছে। কাজের অনেক ছাপ ছিলো। তাই সময় মতো দিতে পারি নাই। 


সবাই লাইক এবং কমেন্ট দিয়ে পাশেই থাকবেন


ধন্যবাদ সবাইকে পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন 🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿 রোমান্টিক গল্প লেখক রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post