গল্প/;;;; সিনিয়র বড় আপু।
*
*
* লেখক///////::: রাসেল চৌধুরী 🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
*
*
* পর্ব/::::;;:;;:::::::(৩) তিন
*
*
* হঠাৎ কলেজের গেটের সামনে তাকিয়ে যেটা দেখলাম তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
*
* দেখি সাদিয়া একটা ছেলের বাইকে করে কলেজের গেট দিয়ে ঢুকতে আছে। তার বাইক পার্কিং করে দুজনে ক্লাসের দিকে যেতে লাগলো।
*
* সাদিন/ কিরে রাসেল এটা কি দেখলাম।
*
* রনি/: আমার তো একই প্রশ্ন, ।
*
* আমি/: তোরা ক্লাসে যা, আমি দেখি ছেলেটা কে।
*
* সাদিন/: যা, তবে বেশি বাড়াবাড়ি করিছ না।
*
* আমি কোনো কথা না বলে দৌড়ে গিয়ে সাদিয়া আপুর সামনে গিয়ে বললাম।
*
* আমি): হায় জানু।
*
* সাদিয়া/: তুই আবার আমার সামনে এসেছিস।
*
* আমি/: বারে আমি তোমার সামনে আসবো না তো কার সামনে আসবো। তুমি তো আমার জানু , আমার ভালোবাসা।
*
* ছেলেটা): সাদিয়া ছেলেটা কে, ।
*
* আমি/: আরে ভাই আপনি আমাকে চিনতে পারছেন না, আমি সাদিয়ার বয়ফ্রেন্ড।
*
* সাদিয়া/: রাসেল এখন কিন্তূ বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে।
*
* আমি/: ঠিক আছে, আগে বলো তোমার সাথের ছেলেটা কে।
*
* সাদিয়া/: ও তোর থেকে বড়, ওর নাম জীবন, আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি।
*
* আমি/: কই তোমার সাথে তো ওনাকে দেখলাম না কোনো দিন।
*
* জীবন/: আমি বলছি তোমাকে, আমাদের রিলেশন আজ দুই বছর, আমরা ফেসবুক থেকে দুজন দুজনকে ভালোবাসি। দু'বছর আমাদের দেখা হয়নি, আজ প্রথম দেখা করি।
*
* আমি/: কিন্তু তুমি তো আমাকে বলো নাই কখনো, তুমি অন্য কাউকে ভালোবাসো।
*
* সাদিয়া/: আমি তোকে বলতে যাবো কেন, তুই আমার কে, আমি তোকে আগেই বলেছি, আমি তোকে ভালবাসি না। তুই তার পর ও আমার পিছনে পড়ে আছিস।
*
* আমি/: আচ্ছা ঠিক আছে, আমি যদি তোমাকে এতো দিন বিরক্ত করে থাকি , তাহলে ছোট মনে করে মাফ করে দিও। আমি কথা দিচ্ছি, আর কখনো তোমাকে বিরক্ত করবো না, তোমাকে ভালোবাসার কথা বলবো না।
*
* সাদিয়া/: ঠিক আছে, আর জীবন চলো ক্লাসের সময় হয়ে গেছে, ।
*
* জীবন/: ঠিক আছে চলো।
*
* জীবন আর সাদিয়া ক্লাসে চলে গেল। আমি আর দাঁড়িয়ে না থেকে বাসায় চলে আসলাম। যাকে কিনা এতো ভালোবাসলাম , তাকে এখন অন্য ছেলের সাথে দেখতে হবে। চোখ দিয়ে কখন যে দুফোঁটা অশ্রু ঝরে পড়ছে,
*
* তিথি/: কিরে ভাইয়া কলেজ থেকে চলে আসলি যে, শরীর খারাপ। ( হঠাৎ রুমে এসে)
*
* আমি/: তেমন কিছু না।
*
* তিথি/: তোর চোখে পানি কেন। কি হয়েছে আমাকে বল ভাইয়া।
*
* আমি/: তোর ভাবি অন্য একটা ছেলেকে ভালোবাসে । আমাকে সে কখনো ভালোবাসেননি। ( বলে তিথি কে জড়িয়ে ধরলাম)
*
* তিথি): কান্না করিস না ভাইয়া, তোর কান্না আমি সয্য করতে পারি না।
*
" আমি/: আমি এখন কি করবো বল, যাকে এতো ভালোবাসলাম, সে কিনা অন্য কাউকে ভালোবাসে।
*
* তিথি/: তুই একটা মেয়ের জন্য কান্না করে কেন কষ্ট পাচ্ছিস, সে যদি অন্য কাউকে নিয়ে সুখে থাকতে পারে, তাহলে তুই পারবি না কেন। তুই একটা বার আমাদের কথা চিন্তা কর। তুই এখন তোর নিজের মতো চল। তাকে দেখিয়ে তোর জন্য কতো মেয়ে পাগল।
*
* আমি/: হুম, তুই ঠিক বলছিস। সে যদি সুখে থাকতে পারে , তাহলে আমি কেন পারবো না। এখন থেকে আমি সব মেয়ের সাথে মেলামেশা করবো, আগে তো ওর জন্য কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে পারতাম না, এখন আমি সবার সাথে মিশবো।
*
* তিথি/: এই তো মনের মতো একটা কথা বলছিস, দেখতে হবেনা ভাইটা কার। যা গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেয় ।
*
* আমি/: হুম, আম্মু কোথায়।
*
* তিথি/: রুমে আছে।
*
* আমি/: ওহ, , ঠিক আছে আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
*
* বলে ওয়াস রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে একটা ঘুম দিলাম। দেখতে দেখতে আজকের দিনটা পার করলাম। সাদিন, রনি, এরা আমাকে অনেক ফোন দিছে, কারো ফোন ধরি নাই।
*
* সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সব কিছু মেচিং করে জামা কাপড় গায়ে দিলাম , তার পর বেগটা কাঁধে নিয়ে নাস্তার টেবিলে গিয়ে বসলাম।
*
* আমি/: আম্মু নাস্তা দাও।
*
* আম্মু): কিরে আজকে কলেজে যাচ্ছিস , না বেড়াতে যাচ্ছিস।
*
* আমি/: তোমার হঠাৎ এ কথা মনে হলো কেন।
*
* আম্মু/: না, আজকে দেখি একবারে হিরোর মতো সেজে গুজে কলেজে যাচ্ছিস, তাই বললাম আর কি।
*
* তিথি/: কি নিয়ে এতো কথা হচ্ছে। ( হঠাৎ পিছন থেকে এসে)
*
* আম্মু): তোর ভাইয়ের শরীরে তাকিয়ে দেখ।
*
* তিথি/: বাহ ভাইয়া তোকে তো আজকে নায়ক এর মতো লাগছে।
*
* আমি/: আমি কি দেখতে খারাপ, আমাকে তো সুন্দর লাগবে।
*
* তিথি): দেখবি আজকে মেয়েরা তোকে দেখলে পাগল হয়ে যাবে।
*
* আমি/: আমি পাগল দের সাথে কথা বলতে পারবো না।
*
" তিথি/: সেটা কলেজে গেলে দেখতে পিবি।
*
* আমি/: হুম।
*
* তার পর নাস্তা করে বাহিরে এসে বাইক টা বাহির করলাম, অনেক দিন চালানো হয় না। তাই পরিস্কার করে কলেজে রওয়ানা দিলাম।
*
* আপনারা হয়তো ভাবছেন, বাইক থাকতে রিকশা বা হেঁটে বাসায় আসি কেন, আসলে আমার বাইক চালাতে ভালো লাগে না। তাই চালাই না, আব্বু আমাকে ssc পাস করার পর এই বাইকটা কিনে দিছে।
*
* আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে কলেজে পোঁছে গেলাম, গেট দিয়ে ঢুকতেই সবাই আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। বেশির ভাগ মেয়েরা, হঠাৎ সাদিয়ার দিকে চোখ পড়তেই দেখি আমার দিকে তাকিয়ে আছে,
*
* আমি বাইকটা পার্কিং করে বন্ধুদের কাছে যেতে লাগলাম। হঠাৎ একটা মেয়ে আমার সামনে এসে বললো।
*
* মেয়েটা): হায় আমি মিম।
*
* আমি): আমি রাসেল।
*
* মিম/: তুমি দেখতে অনেক সুন্দর।
*
* আমি/: তা আমি জানি।
*
* মিম): আমরা কি বন্ধু হতে পারি,
"
* আমি/: অবশ্যই , কেন নয়।
*
* মিম): ওকে ঠিক আছে, আজকে থেকে আমরা বন্ধু, আমরা একজন আরেকজনকে তুই করে বলবো।
*
* আমি/: ঠিক আছে চল। , আমার আরো বন্ধু আছে, তাদের সাথে তোকে পরিচয় করিয়ে দি।
*
* মিম): ঠিক আছে চল।
*
* মিমকে নিয়ে বন্ধুদের কাছে যেতে লাগলাম। হঠাৎ সাদিয়া এসে আমার সামনে দাঁড়ালো, আর চোখ মুখ লাল হয়ে আছে।
*
* আমি/: আরে আপনি হঠাত আমার সামনে এসে দাড়ালেন কেন, আমি তো আপনাকে ডিস্টাব করছি না।
*
* সাদিয়া): তোকে বলছি না, মেয়েদের সাথে কথা না বলতে।
*
* আমি/: আমি কি আপনার কথা মতো চলবো না কি, আপনি এই কলেজে পড়েন, আমি ও পড়ি , তাই সবার সাথে কথা বলতে পারি, এখানে আপনি বলার কে।
*
* সাদিয়া): আমি তোর বড় আপু, আমি যা বলবো তোকে তাই করতে হবে।
*
* আমি/: আমি আপনার কথা রাখতে পারবো না, আপনি আপনার মতো চলেন, আমি আমার মতো চলবো, আজকে আপনার বয়ফ্রেন্ড কে দেখছি না, ওনি কোথায়।
*
* সাদিয়া/: ও একটা কাজে বাহিরে গেছে গতকাল রাতে,। আর তুই আমাকে আপনি আপনি করে বলছিস কেন।
*
* আমি): বারে আপনি আমার বড়ো, আপনাকে আপনি করে না বলে কি বলে ডাকবো।
*
* সাদিয়া/: আমাকে তুমি বলে ডাকবে।
*
* আমি): সরি আমি পারবো না, ভালো থাকবেন, চল মিম।
*
* তার মিমকে নিয়ে বন্ধুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম। মিম সবার সাথে পরিচয় হয়ে নিলো। তার পর কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে ক্লাসে চলে গেলাম। সব গুলো ক্লাস শেষ করে বাহিরে চলে আসলাম, বাহিরে এসে দেখি সাদিয়া সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
*
* সাদিয়া/: তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে।
*
* আমি): সরি আমার হাতে সময় নেই, আমার বাসায় কাজ আছে।
*
* সাদিয়া/: তুই আমাকে এড়িয়ে চলছিস কেন।
*
* আমি): আপনি তো বললেন, আমি আপনাকে বিরক্ত করি, আমি বলছি না আমি আপনাকে আর বিরক্ত করবো না।
*
* সাদিয়া/: তাই বলে এখন আমার সাথে কথা বলবি না।
*
* আমি/: এখন তো আপনার কথা বলার সাথী পেয়ে গেছেন, আমি থেকে কি করবো।
*
* সাদিয়া): তুই আমার সাথে কথা না বললে আমার ভালো লাগে না।
*
* আমি/: কেন, আপনার বয়ফ্রেন্ড আপনাকে সময় দেয় না।
*
* সাদিন/: তুই থাক আমরা বাসায় যাই।
*
* আমি/: দাড়া একসাথে যাবো।
*
* বলে বন্ধুদের সাথে বাসায় চলে আসলাম। সাদিয়া ওখানে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিল। এখন নিজের ইচ্ছায় আমার সাথে কথা বলতে আসছে। আমি আর তোমাকে ভালোবাসি না। বাসায় এসে খাবার খেয়ে একটা ঘুম দিলাম।
*
*বিকালে ঘুম থেকে উঠতেই বুকের উপর একজন কে দেখে আমি পুরো অবাক হয়ে গেলাম।
*
*একদম নিখুঁত মানুষ-খুঁজতে যেও না ,বিধাতা মানুষের ভিতর-কিছু কিছু খুত মিশিয়ে দিয়েছে;বেশি নিখুঁত মানুষ খুঁজতে গেলে,তুমি ভালোবাসার কোনোমানুষই পাবে না..!!
সুন্দর রাত তার চেয়ে সুন্দর তুমি, মনের দরজা খুলে দেখ তোমার অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছি আমি। দু'হাত বাড়ালাম আমি তোমার তরে, তুমি কি নিবে আমায় ভালবেসে আপন করে ?
*
*
*
*
* চলবে ♥️♥️♥️♥️♥️♥️♥️♥️♥️♥️♥️♥️♥️♥️
*
*
*পরের পর্বে শেষ করে দিবো , নাকি আরেকটু বড় করবো। সবাই জানাবেন।
*
* কেমন হয়েছে জানাবেন, ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, আমি গল্প লিখি আমার মনের অনুভূতি থেকে বাস্তবের সাথে কোন মিল নেই, সবাই লাইক এবং কমেন্ট দিয়ে জানাবেন কেমন হয়েছে।
*
*
* ধন্যবাদ সবাইকে পাশেই থাকবেন 🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡
*
*
*
* পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন 🌿🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷