*
*
* লেখক/::: রাসেল চৌধুরী 🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
*
*
* পর্ব/::::::::::(৪) চার
*
*
* বিকালে ঘুম থেকে উঠতে বুকের উপর ভারি কিছু অনুভব করলাম , চোখ খুলে যাকে দেখলাম তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
*
* দেখি রিয়া ( আমার মামাতো বোন) আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে। আমি তাকে জড়িয়ে দিলাম।
*
* আমি): রিয়া তুই , ।
*
* রিয়া): হুম আমি।
*
* আমি/: তুই কখন আসলি, আর আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছিস কেন।
*
* রিয়া/: আসছি কিছুক্ষণ আগে, এসে মামি আর তিথির সাথে কথা বললাম। তোর কথা জিজ্ঞেস করছিলাম, তিথি বললো তুই রুমে ঘুমিয়ে আছিস, তাই তোর রুমে এসে, দেখি তুই ঘুমিয়ে আছিস, তোকে ঘুমের মধ্যে অনেক সুন্দর লাগছে, তাই তোকে না ঠেকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লাম।
*
* আমি/: তুই আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাবি কেন।
*
* রিয়া/: তুই ভালো করে জানিস , আমি তোকে ভালবাসি, তোর জন্য আমি বাড়ি থেকে তোদের বাসায় আসছি, আর এখন থেকে তোর সাথে কলেজে পড়বো।
*
* আমি): আমি তোকে আগেও বলেছি, আমি তোকে ভালবাসি না, আর কোনো দিন ভালোবাসবো না।
*
* রিয়া/: কেন তুই আমাকে ভালোবাসতে পারবি না,।
*
* আমি/' কারন তুই আমার মামাতো বোন। আমি তোকে বোনের নজরে দেখি, ।
*
* রিয়া/: কেন, মামাতো ভাই বোন কি ভালোবাসতে পারে না।
*
* আমি): পারে, কিন্তু আমি পারবো না।
*
* রিয়া): আমি ও দেখবো তুই আমাকে ভালো না বেসে থাকতে পারোছ কি না।
*
* আমি): ঠিক আছে তুই শুয়ে শুয়ে স্বপ্ন দেখ, এখন আমার রুম থেকে বেরিয়ে যা।
*
* রিয়া): যাচ্ছি ( মুখ ভেংচি কেটে রুম থেকে চলে গেল)
*
* আপনারা হয়তো ভাবছেন রিয়া আমাকে ভালোবাসে কবে থেকে। আসলে রিয়া আমাকে ছোট থেকে পছন্দ করে, আমাকে অনেক বার ভালোবাসার কথা বলেছে। কিন্তু আমি তাকে কোনো দিন বোন ছাড়া অন্য কিছু চিন্তা করি নাই।
*
* আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম, নিচে গিয়ে দেখি রিয়া আর তিথি বসে গল্প করছে। আমি কোনো কথা না বলে বাহিরে আসতেই তিথি বললো।
*
* তিথি/; কোথায় যাস ভাইয়া।
*
* আমি/: খেলতে , কেন।
*
* তিথি): আসার সময় আমাদের জন্য ফুচকা আর আইসক্রিম নিয়ে আসিস।
*
* আমি/: ঠিক আছে।
*
* তার পর বাসা থেকে বেরিয়ে খেলার মাঠে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি সাদিন আর রনি মাঠে বসে আছে।
*
* আমি/: কিরে বসে আছিস কেন। ( তাদের পাশে বসে)
*
* সাদিন/: তোর জন্য অপেক্ষা করছি।
*
* আমি): ঠিক আছে চল।
*
* তিন জনে একদিকে পড়লাম। আমরা আগে টচে জিতেছি, আমি আর সাদিন ব্যাট করতে নামলাম। হঠাৎ সাদিয়াদের বাসার ওপর চোখ পড়তেই দেখি সাদিয়া আপু আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি তার থেকে চোখ সরিয়ে নিলাম।
*
* তার পর ব্যাট করতে আছি, আমি বেশি জোরে বল মারি না, হঠাৎ সাদিন এমন একটা ছয় মারছে বলটা গিয়ে সাদিয়াদের বাসার ছাদে পড়ছে। কেউ ভয়ে বল আনতে যায় না। সব গুলো সাদিয়াকে বলছে বলটা দিতে , কিন্তু সাদিয়া দিচ্ছে না, সাদিয়া বলছে এসে নিয়ে যেতে।
*
* কেউ তো ভয়ে বল আনতে যায় না, সবাই আমাকে বলছে বল আনার জন্য, বাধ্য হয়ে আমি গেলাম বল আনতে, বাসায় এসে কলিং বেল চাপ দিলাম, সাদিয়া আপু দরজা খুলে দিল, আমি কোনো কথা না বলে ছাদে চলে গেলাম, বলটা নিয়ে যেইনা সাদিয়া আপুর রুমের সামনে দিয়ে যাবো , হঠাৎ করে সাদিয়া আপু এক টান দিয়ে তার রুমে নিয়ে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিল।
*
* আমি):আপু দরজা বন্ধ করলে কেন।
*
* সাদিয়া/: একদম কথা বলবি না। আর কাকে আপু বলিস।
*
* আমি/: আপু আমার সাথে এরকম করছো কেন।
*
* সাদিয়া/: তুই বুঝিস না, কেন এরকম করি। আমার সাথে এখন ঠিক ভাবে কথা বলিস না কেন।
*
* আমি): আপনার এখন বয়ফ্রেন্ড আছে, আমি যদি আপনার সাথে কথা বলি, তাহলে ওনি খারাপ ভাববে, তাই এখন আপনার সাথে কথা বলি না।
*
* সাদিয়া/: তোকে কে বলেছে আমার বয়ফ্রেন্ড আছে।
*
* আমি/: গতকাল তো আপনি আর ওই ছেলেটা কি যেন নাম ও জীবন বললেন।
*
* সাদিয়া/: আমি জীবনকে ভালোবাসি না,
*
* আমি/: তাহলে গতকাল বললেন কেন, আর তাহলে জীবন ছেলেটা কে।
*
* সাদিয়া): জীবন হচ্ছে আমার বান্ধবী সিফার বয়ফ্রেন্ড, গতকাল কলেজে আসার সময় গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়, জীবন ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলো, তখন সে আমাকে কলেজে ডফ করে দিয়ে যায়, আসার সময় দুজনে একটা প্ল্যান করলাম, আমি তোর সামনে জীবনকে আমি ভালোবাসি বললে দেখি তুই কি করিস, তা দেখার জন্য। কিন্তু তুই যে আমার সাথে সত্যি সত্যি কথা বলা বন্ধ করে দিবি, সেটা আমি ভাবতে পারিনি।
*
* আমি/: আমি তোমার সুখের জন্য সব করতে পারি।
* সাদিয়া/: তুই যদি আমাকে সত্যি কারের ভালোবাসতি , তাহলে আমাকে ভুলে যেতে পারতি না,।
*
* আমি/: আমি তোমাকে সত্যি অনেক ভালোবাসি,। কিন্তু তুমি গতকাল আমাকে বলেছো তুমি জীবন কে ভালোবাসো, তখন আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি , পরে তিথি আমাকে শান্তনা দিলো, তুমি যদি সুখে থাকতে পারো, তাহলে আমি কেন পারবো না। তাই নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য সবার সাথে মিশে কথা বলি।
*
* সাদিয়া/: আজ থেকে আর কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে পারবি না, ।
*
* আমি/: কেন,
*
* সাদিয়া/: আমি বলছি তাই।
*
* আমি/: তুমি আমার কে , আমি তোমার কথা মতো চলতে হবে।
*
* সাদিয়া): আমি তোর জানু , তুই আমার জান।
*
* আমি): মানে।
*
* সাদিয়া/: মানে আমি তোকে ভালবাসি।
*
* আমি/: সত্যি ।
*
* সাদিয়া/: হুম তিন সত্যি। ( বলে জড়িয়ে ধরলো)
*
* আমি): তাহলে এতো দিন বলো নাই কেন।
*
* সাদিয়া): তোর মুখ থেকে ভালোবাসার কথা শুনতে অনেক ভালো লাগে, আমি ভাবছি তোকে আরো কিছু দিন পর আপন করে নিব, । কিন্তু গতকাল রাতে আমি এক মিনিট ঘুমাতে পারি নাই, শুধু তোর কথা চিন্তা করে।আমি তোকে সত্যি অনেক ভালোবাসি রাসেল, ।
*
* আমি/: আমি ও তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
*
* আমি/: আজ পাঁচ দিন ধরে একটা জিনিস খাইনি , একটু খাওয়াবে।
*
* সাদিয়া/: তোকে ধরে রাখছে কে।
*
* বলতে দেরি ঠোঁটের সাথে ঠোট লাগাতে দেরি করি নাই, পাগলের মত কিস করতে লাগলাম। সাদিয়া আমার ঠোট কামড়ে দিলো। প্রায় অনেকক্ষন পর ছেড়ে দিল। দুজনে হাঁপাতে লাগলাম।
*
* আমি/: তুমি আমার ঠোঁটে কামড় দিলে কেন। দেখো রক্ত বের হচ্ছে।
*
* সাদিয়া): আহারে আমার জানটার বুঝি লেগেছে। আসো মুছে দি। ( সাদিয়া তার গায়ের উড়না দিয়ে ঠোঁট মুছে দিলো।)
*
* আরো কিছুক্ষণ থেকে বাসায় চলে আসলাম,
*
* পাঠক পাঠিকা ভাই ও বোনেরা,আপনারা হয়তো ভাবছেন আমি তাকে কেন মেনে নিলাম। প্রথমে আপনাদের একটা কথা বলি, আপনি যাকে অনেক ভালোবাসেন, তাকে কি একদিনে ভুলে যেতে পারবেন।
*
* কোনো দিন ওপারবেন না, আসলে আমি গতকাল রাতে আমার এক ফ্রেন্ড শাকিল তাকে ফোন দিয়ে বলছি , জীবন ছেলেটা কে , সে কি করে তা জানার জন্য বলেছি, শাকিল আমাকে সকালে ফোন দিয়ে বলেছে। জীবন ছেলেটাকে সাদিয়ার বান্ধবী সিফার সাথে দেখছে ।
* তার পর সাদিয়ার আরেক বান্ধবী বিথি তাকে জিজ্ঞেস করলে সে সব বলে দেয়, তাই আমি সকাল বেলা এরকম মেচিং করে জামা কাপড় পড়ে কলেজে গেছি সকালে, সাদিয়ার রিয়েকশন দেখার জন্য। তার পর কি হলো আপনারা তো জানেন।
*
*বাসায় এসে কলিং বেল চাপ দিলাম, রিয়া এসে দরজা খুলে দিল,
*
* রিয়া): আমাদের ফুচকা আইসক্রিম কোথায়।
*
* আমি/: আমার মনে ছিলো না। কালকে এনে দিবো।
*
* রিয়া/: তোর এক হাত পিছনে কেন। দেখি হাতে কি ।
*
* আমি/: তোকে দেখাবো কেন।
*
* রিয়া/: ঠিক আছে, তোকে দেখাতে হবে না, ভিতরে আয়।
*
* আমি ভিতরে ঢুকে নিজের রুমে চলে আসলাম। আপনারা হয়তো ভাবছেন আমি আনি নাই, আরে নাহ ভাই আনছি, না আনলে তিথি আমার অবস্থা খারাপ করে ফেলতো।
*
* রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে তিথির রুমে গেলাম, গিয়ে দেখি রিয়া তিথিকে পড়াতে আছে, তিথি তার রুমে আবার আমাকে দেখে বলল।
*
* তিথি): ভাইয়া আমার ফুচকা আর আইসক্রিম কোথায়।
*
* আমি/: আমার না মনে ছিল না।
*
* তিথি/: তুই অনেক খারাপ, তোর সাথে আর কথা নাই।
*
* আমি/: ওমা তাই, ঠিক আছে ফুচকা আর আইসক্রিম আনছিলাম তোকে দেওয়ার জন্য, এখন আর দিবো না।
*
* তিথি): সত্যি ,তাহলে দেয়।
*
* আমি/: কেন আমি না খারাপ।
*
* তিথি/: কে বলছে তুই খারাপ, তুই আমার কলিজার টুকরো ভাই।
*
* তার পর ফুচকা আর আইসক্রিম দিয়ে আমার রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে কিছুক্ষণ পড়াশোনা করলাম। তার পর রাতের খাবার খেতে চলে গেলাম।
*
* আব্বু): পড়ালেখা কেমন চলছে তোমার।
*
* আমি): অনেক ভালো আব্বু।
*
* আব্বু): ভালো হলে ভালো, শুন কালকে তুই রিয়াকে তোর সাথে করে কলেজে নিয়ে যাবি, রিয়া এখন থেকে এই বাসায় থেকে পড়াশুনা করবে। আমি প্রিন্সিপাল এর সাথে কথা বলেছি ,।
*
* আমি/: ঠিক আছে আব্বু।
*
* আমি আব্বুকে অনেক ভয় পাই, রিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি মুচকি মুচকি হাসছে, আমি চোখ বড় করে তাকালাম, তার পর খাবার খেয়ে রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে বিছানায় শুয়ে মোবাইল টা হাতে নিয়ে দেখি সাদিয়া ফোন দিছে অনেক গুলো। তার পর আমি সাদিয়াকে ফোন দিলাম।
*
* আমি): হ্যালো ।
*
* সাদিয়া/: কোথায় ছিলি তুই। এতোক্ষণ ধরে ফোন দিচ্ছি ,।
*
* আমি/: খাবার খেয়ে মাএ রুমে আসলাম, তার পর মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি তুমি ফোন দিয়েছিলে।
*
* সাদিয়া/: ওহ, তা কি করিস।
"
* আমি/: তোমার সাথে কথা বলছি। তুমি কি করছো।
*
* সাদিয়া/: আমি খাবার খেয়ে এসে তোকে ফোন দিছি।
*
* আমি/: তুমি এখনো আমাকে তুই করে বলবে।
*
* সাদিয়া/: তুই তো আমার ছোট , তাহলে তোকে কেমন করে ডাক দিবো।
*
* আমি): আমাকে তুমি করে বলবে।
*
* সাদিয়া): ঠিক আছে বলবো।
*
* আরো কিছুক্ষণ কথা বলে ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে টেবিলে গিয়ে বসলাম।
*
* আমি): আম্মু নাস্তা দাও।
*
* আম্মু): একটু বস , রিয়া আসূক দুজনকে একসাথে দিব।
*
" আমি/: দুরো ভালো লাগে না।
*
" কিছুক্ষণ পর রিয়া চলে এলো , এসে আমার পাশে বসলো , আম্মু দুজনকে নাস্তা দিল। নাস্তা খেতে বাহিরে এসে বাইক ভার করলাম। রিয়া এসে আমার পিছনে এসে বসলো। তার পর বাইক চালিয়ে কলেজে চলে গেলাম,
*
* কলেজের গেট দিয়ে ঢুকে ভিতরে চলে গেলাম, তার পর বাইক পার্কিং করে দুজনে প্রিন্সিপাল স্যার এর রুমে চলে গেলাম । সাদিয়া কে দেখি নাই, মনে হয় এখনো আসে নাই। রিয়াকে ভর্তি করিয়ে প্রিন্সিপাল স্যার এর রুম থেকে বেরিয়ে সোজা বন্ধুদের কাছে চলে গেলাম রিয়াকে নিয়ে ।
*
*সবাই সুখের আশায়, সুখি হওয়ার জন্য ই ভালবাসে। তবে এটা মনে রাখতে হবে যে ভালবাসায় সুখের চেয়ে দুঃখটাই বেশী। বিরহ আগুনে পুড়ে পুড়ে সুখী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
কেউ যদি তোমাকে সত্যিকারের ভালোবাসে, তবে তার মুখ থেকে ভালবাসার কথা শুনার আগেই তুমি বুঝতে পারবে। কারণ, তার ব্যবহারেই তা বুঝা যাবে।
*
* চলবে ♥️♥️♥️♥️♥️♥️♥️♥️♥️
*
*
* কেমন হয়েছে জানাবেন, আপনাদের কথার কারনে গল্প বড় করলাম, আর আরেক টা নায়িকা ঢুকালাম।তা নাহলে আজকের পর্বে শেষ করে দিতাম। সামনে বড় জড় আসবে। পাশে থাকেন ভালো লাগবে।
*
* সবাই লাইক এবং কমেন্ট দিয়ে জানাবেন কেমন হয়েছে, ধন্যবাদ সবাইকে পাশেই থাকবেন 🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡
*
*
* পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন 🌿🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌿🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷