গল্পঃ রোমান্টিক সিনিয়র বউ
পর্বঃ ৪
লেখকঃ শাওন আহমেদ নীল
রাত প্রায় দশটা বাজে তখন আমার কাছে, আব্বু আর আম্মু আসলো, ।। এসে যা বললো তা শুনে একবারে অবাক হয়ে গেলাম।
আম্মুঃ নীল ফোন দিয়ে রাজু জয় আর ফাহাদ মাইসা কে ডেকে নে।
আমিঃ কেন?
আম্মুঃ আজকে তর আর নিধীর বিয়ে,।
আমিঃ মানে?
আম্মুঃ মানে খোব সিম্পল,!!
আমিঃ এটা কেমন করে পসিবল আম্মু?
আম্মুঃ এইটা পসিবল
আমিঃ এতো ইনপর্টেন্ট একটা ডিসিশন হুট করে নেওয়া টা কি ঠিক আম্মু? আমার কেউ কাউকে ভালোভাবে চিনি না, জানি না। কিছুদিন সময় দাও আমাকে।
আম্মুঃ প্লিজ বাবা রাজি হয়ে যা, নিধী মামনী জিদ করে বসেছে, তর সাথে বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত ও খাবার মুখে নিবে না।
আমিঃ ওখে যাও!
কখনো ভাবিনি আমার জীবন থেকে এতো তারাতাড়ি সুখ চলে যাবে। ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে আমার ব্যচেলার জীবনের ইতি ঘটবে এখন!!
আমি ফ্রেন্ডদের কল করে এ বাসায় আসতে বললাম।।।
মেয়েটাই বা কেমন? আজকেই ফাস্ট দেখা, আমার সম্পর্কে ভালো করে কিছু জানেই না
আর বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে গেছে!!
আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে? মেয়েটা
দেখতেও অনেক সুন্দর মেয়বি একটু রাগি!!
এসব ভাবতে ভাবতে অনেক সময় চলে গেলো! একটু পড়েই রাজু জয় আর ফাহাদ আসলো।
রাজুঃ অভিনন্দন বন্ধু
আমিঃ রাখ তর অভিনন্দন
ফাহাদঃ কি হয়েছে?
আমিঃ এসেছি বার্ডে পার্টিতে, আর এখন বিয়ে করতে হবে!
রানাঃ তর কপাল ই ভালো, তকে বাসা থেকে বিয়ে করাচ্ছে, এই কথা টা আমি বলার সাহস ই পায় না!
আমিঃ ওয়েট
পকেট থেকে ফোন বের করে রানার আম্মুকে কল দিলাম! কল দিয়েই বললাম আন্টি রানা বিয়ে করতে চায় বাট বাসায় বলতে সাহস পাচ্ছে না!
এই বলেই কল টা কেটে দিলাম,
রানাঃ কি করলি এইটা?
আমিঃ তর বিয়ের ব্যবস্থা করলাম,
।
ফাহাদঃ আচ্ছা নীল তর কি আমাদের বাশ দেওয়া ছারা আর কোনো কাজ নেই!!
আমিঃ না।,,, মাইসা কোথায়?
রাজুঃ মাইসা তর বাসর সাজাচ্ছে।
।।
আমিঃ ওহ আচ্ছা, দোস্ত আর তদের সাথে আগের মতো আড্ডা দিতে পারবো বা, ড্রিংকস করতে পারবো না!
রানাঃ চিল মামা সব ই হবে, ভাবি যখন বিদেশে লেখাপড়া করে এসেছে তাহলে এসব বিষয়ে মাইন্ড করবে না,,
আমিঃ চিল করার সুযোগ শেষ রে মামা, সিগারেট টাই সয্য করতে পারে না, জানি না কি হবে আমার।
ফাহাদঃ বাহ্ যাকে দেখে সারা কলেজ প্রায় ভয় পায়,সে আজ একটা মেয়েকে ভয় পাচ্ছে।
আমিঃ দুর বাল আমি মুটেও ভয় পাচ্ছি না!
রাজুঃ আরে ভাই বলার কি আছে, নীল ত আগে থেকেই মেয়েদের ভয় পায়!
রানাঃ গল্প অনেক হয়েছে নিচে চল তকে রেডি করতে হবে!
আমিঃ হ্য চল লেট করে আর লাভ কি? কুরবানি হতেি হবে,!
আমাদের বিয়েটা হয়ে গেলো, এখন বাসায় চলে যাবো,।। নিধী হাসতেছে, নিজের মা বাবাকে সান্তনা দিচ্ছে,
নিধীঃ আম্মু কান্না করো না, কোনো মেয়েই ত আর
সারাজীবন বাবার বাসায় থাকতে পারে না।।
এসব দেখে, নিজেকে পাগল মনে হচ্ছে, মেয়েটার নিশ্চিত মাথায় প্রবলেম আছে তার জন্যই এমন।।
আংকেল আমার কাছে এসে বলতে লাগলো,
আংকেলঃ বাব নিধী একটু বাচ্চা টাইপের একটু কষ্ট হলেও মানিয়ে নিও।
আমিঃ অবশ্যই আংকেল, আমি সর্বদা চেষ্টা করব নিধী আপুকে ভালো রাখার।!
নিধীঃ এই তুমি কি আপু বলা বাদ দিবা।
আমিঃ হু
এরপড়ে আমরা বাসায় চলে গেলাম,। বাসায় এসে নিধীকে রুমে নিয়ে যাওয়া হলো!! আমি রাজু রানা ফাহাদ ছাদে চলে গেলাম!! ছাদে গিয়ে আড্ডা দিতে লাগলাম। একটু পড়ে মাইসা আসলো,।
মাইসাঃ মামা ভাবিটা কিন্তুু খোব সুন্দর!.
আমিঃ হু
সবায় আড্ডা দিতে লাগলাম! রানা এসে বললো, ওর আব্বু এখন ই ওকে যেতে বলছে, রানা বিদায় নিয়ে চলে গেলো! আমরা আড্ডা দিতে লাগলাম।
আব্বু ছাদে আসলো, ছাদে এসে সবায় কে নিচে যেতে বলল।
আব্বুঃ মন খারাপ?
আমিঃ না আব্বু।
আব্বুঃ আসলে বিয়েটা হুট করে হয়ে গেলো তাই না?
আমিঃ প্রবলেম নেই তোমরা যা করবা ভালোর জন্যই ত করবা।।
আব্বু অনেক জুড়ে একটা নিশ্বাস নিলো! এরপড়ে বলতে শুরু করলো!!
আমাদের যখন অবস্থা খোব একটা ভালো ছিলো না, তখন নিধীর আব্বু আমাদের পাসে এসে দাড়ায়, । আফজাল এর জন্যই আজকে আমাদের এতো সুখ এতো কিছু।। আফজাল এসে এমন ভাবে বললো, তাই না করতে পারি নি, যদি কোনো ভুল করে থাকি তাহলে স্যরি।
আমিঃ এসব কি বলছো আব্বু? স্যরি বলে প্লিজ আমাকে আর লজ্জিত করো না। আমি সবসময় চেষ্টা করব যাতে, নিধী ভালো থাকে।
আব্বু আর কিছু কথা বলে চলে গেলো, আমি ছাদে দাড়িয়েই একটা সিগারেট খেলাম, রাজু আর ফাহাদ এসে আমাকে বাসর ঘরে নিয়ে গেলো, বাসর ঘরের সামনে মাইসা দাড়িয়ে আছে।
মাইসাঃ টাকা না দিলে ডুকতে দিবো না!
আমিঃ কেনো?
মাইসাঃ এতো কষ্ট করে সাজালাম টাকা না দিলে ডুকতে দিবো না।।।
আমিঃ কতো লাগবে?.
মাইসাঃ ২০ হাজার,৷।
আমিঃ টাকা দিতে পারবো না, বাট রাজুর সাথে আড্ডা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারবো।
রাজুঃ পারবো না আমি,
আমিঃ প্লিজ দোস্ত আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রাজি হয়ে যা।।
রাজুঃ আচ্ছা।।
( মাইসা রাজুকে ভালোবাসে, রাজু ও ভালোবাসে বাট বলে না ()
ফাহাদঃ আর আমি?
আমিঃ তুই গিয়ে ঘুমিয়ে পড় যা!!!
আমি আস্তে আস্তে বাসর ঘরে ডুকলাম, ডুকার সাথে সাথে যা ঘটলো তাতে আমার বেহুস হওয়ার অবস্থা!!!
# চলবে