গল্পঃ রোমান্টিক সিনিয়র বউ
পর্বঃ ৩
লেখকঃ শাওন আহমেদ নীল
পিছনের দিকে তাকিয়ে আমার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো নিধীর শরীরে শুধুমাত্র একটা তওয়াল জড়ানো! সদ্য গোসল করে বের হয়েছে!!
আমি চিল্লানি দিতে যাবো তার আগেই নিধী আপু আমার মুখ চেপে দরল!! মুখ চেপে দরাতে আপুর শরীল থেকে তওলা টা খুলে নিচে পড়ে গেলো। নিধী আপুর সেদিকে একটুও খেয়াল নেই।। ওনি আমার মুখ চেপে দরেই আছে, কিছু বলতেও পারতেছি না!! আমার চেয়ে থাকা দেখে নিধী আপু নিজের দিকে তাকালো!
এটা দেখে নিধী আপু অনেক জুড়ে চিল্লানি দিয়ে উঠল!! আমি এবার নিধী আপুর মুখটা চেপে দরলাম! নিধী আপুর চিল্লানি শুনে আমি সাথে সাথেই নিধী আপুর মুখটা চেপে দরলাম।। সাথে সাথেই পাশের রুম থেকে সবাই এসে দরজা দাক্কাতে লাগলো।
আংকেলঃ কি হয়েছে মামনি? ঠিক আছো ত তুমি?
কি হলো কথা বলছো না কেন?
আমি নিধীর মুখটা ছেরে দিলাম!
নিধীঃ হ্য আব্বু, আরশোলা দেখে ভয় পেয়েছি।
আংকেলঃ ওহ আচ্ছা!!
সবায় চলে গেলো, আমি আর কথা না বাড়িয়ে
রুম থেকে চলে আসলাম,। আসার সময় বলে আসলাম ছাদে আসতে!!
আমি ছাদে গিয়ে নিধী আপুর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম! একটু আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা শুধু চোখের সামনে, বেসে উঠছে, । এর আগে এরকম ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় নি কখনো , তাই একটু ভয় ও পেয়েছি।।
একটু পড়ে নিধী আপু ছাদে আসলো, এসেই আমার পাশে দাড়াল, নিধী আপু লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।
আমিঃ আপু আমি এ বিয়ে করতে পারবো না!
এই কথা বলাতেই নিধী আপু কাঁদতে শুরু কডে দিলো! এ আবার কেমন মসিবতে পড়লাম রে ভাই,
কি এমন বললাম যে কাঁদতে হবে।।
আমিঃ কি হলো কাঁদছেন কেন?
নিধীঃ আমাকে বিয়ে করতেই হবে তুমি আমার সব কিছু দেখে ফেলেছো, এখন আমাকে কে বিয়ে করবে!
এই বলে আরো জুড়ে জুড়ে কাঁদতে লাগল আর আমাকে ভয় দেখাতে লাগলো, আব্বুকে সব বলে দিবে!
আমিঃ প্লিজ কান্না টা থামান নিচে থেকে কেউ চলে আসবে।
নিধীঃ আসুক এসে সবাই দেখুক, ! আমাকে এখন বিয়ে করতেই হবে।।
দুর বাল এইখানেও ফেসে গেলাম, কোন কারণে যে মেয়েটার সাথে কথা বলতে এসেছিলাম। কান্নার
শব্দটা আছতে আছতে বেড়েই চলছে , আর কোনো
উপায় না পেয়ে, বলে দিলাম আমি রাজি।
নিধীঃ এভাবে বললল হবে না.
আমিঃ কিভাবে বলতে হবে?
নিধীঃ জড়িয়ে দরে সুন্দর করে রোমান্টিক ভাবে বলতে হবে।
আমিঃ রাখেন ত নেকামি আমি মোটেও রোমান্টিক না, ।
নিধীঃ রোমান্টিক না হলেয় ভালো, আমি রোমান্টিক বানিয়ে নিবো,। এখন বলো বলবা নাকি
আমি নিচে গিয়ে সব বলে দিবো?
আমিঃ কি বলবেন?
নিধীঃ এই যে তুমি আমার সব কিছু দেখে ফেললে এটাই বলব সবাই কে।
আমিঃ লজ্জা শরম বলতে কিছু নায় নাকি?.
নিধীঃ যা বলছি তাই করো?
আমিঃ ওকে।
আমি আর কোনো উপায় না পেয়ে আলতো করে জড়িয়ে দরলাম! জড়িয়ে দরার সাথে সাথে আমার শরীলে একটা শক লাগলো, এর আগে ত অনেক মেয়েকেই জড়িয়ে দরছি এরকম ত লাগেনি।
( আপনারা আবার আমাকে লুচু ভাইবেন না, ফ্রেন্ড দের একটু আকটু জড়িয়ে দরতাম আর কি)
নিধীঃ এভাবে দরলে হবে না আরো শক্ত করে দরতে হবে।।
আমি আরেকটু শক্ত করে দরে বললাম আমি বিয়েতে রাজি। নিধী আপু এবার আমাকে অনেক শক্ত করে জড়িয়ে দরলো,।
নিধীঃ তোমার মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চায়!
তোমাকে দেখার পর শুদু তোমার কথায় ভাবতেছি।
আমিঃ হু
নিধীঃ আমি বয়সে বড় এটাই তোমার প্রবলেম?
আমিঃ আসলে
নিধীঃ দেখো ভালোবাসা থাকলে ছোট বড় কোনো ফ্যক্ট না।।.
আমিঃ হুম।
নিধীঃ আর হ্য প্রস্তুুতি নেও, আজকেই আমাদের বিয়ে হবে।
আমিঃ মাথা ঠিক আছে আপনার? .
নিধীঃ না তোমার স্পর্শ পাওয়ার পড়ে আমার মাথা ঠিক নেই। তোমাকে পার্মানেন্ট না পেলে আমার মনে শান্তি লাগবে না।।
আমিঃ তাই বলে এতো হুট করেই ডিসিশন টা নেওয়া কি ঠিক হবে?
নিধীঃ এবার ত ছেরে দাও ফাস্ট ত দরতেই চাইলে না.
আমিঃ ওহ স্যরি।
এই বলে ছেরে দিলাম, নিধী নিচে চলে গেলো, আমি এখানেই বসে রইলাম! নিধীর বার্ডে কেক কাটলাম সবায় অনেক এনজয় করলাম।
রাত প্রায় দশটা বাজে তখন আমার কাছে, আব্বু আর আম্মু আসলো, ।। এসে যা বললো তা শুনে একবারে অবাক হয়ে গেলাম। কখনো ভাবিনি আমার জীবন থেকে এতো তারাতাড়ি সুখ চলে যাবে।
# চলবে