গল্পঃ রোমান্টিক সিনিয়র বউ
পর্বঃ ২
লেখকঃ শাওন আহমেদ নীল
আমরা আংকেল এর বাসায় চলে গেলাম!! এখানে এসে কিছু ভালো লাগতেছে না, তাই ছাদে চলে গেলাম , ছাদে গিয়ে পকেট থেকে সিগারেটের প্যক টা বের করে মুখে নিলাম।!!! ওমনেই আফজাল আংকেল এর বড় মেয়ে এসে আমার মুখ থেকে সিগারেট টা নিয়ে ফেলে দিলো?
আমিঃ এটা কি হলো?
নিধীঃ আজ থেকে এসব আজেবাজে জিনিস খাওয়া বন্ধ।
আমিঃ ধুর জান ত এইখান থেকে, আপনার কথা আমি শুনতে যাবো কোন দুঃখে??
নিধীঃ কি বললে শুনবে না আমার কথা??
ওমনেই নিধী হুট কর আমার শার্টের কলারে দরে ফেললো,! টান দিয়ে আরো কাছে নিয়ে গেলো, নিধীর নিশ্বাসের শব্দ আমি শুনতে পাচ্ছি।
নিধী আপু আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমিও তাকিয়ে আছি!! নিধী আপু দেখতে খোব ই সুন্দর আর এতো কাছ থেকে দেখতেছি আরো ভালো লাগতেছে! ধুর আমিও না এসব কি ভাবছি,মেয়েটা
আমার থেকে দু-তিন বছরের সিনিয়র!!
এ মেয়ে অনেক ডেঞ্জারাস, এর থেকে দুর থাকাতেই আমার মঙ্গল!!
আমিঃ ভুল হয়ে গেছে আর এসব খাবো না!
নিধীঃ হ্যাঁ ঠিক আছে! আর কখনো যদি দেখি না খেতে তাহলে তোমার একদিন কি আমার একদিন!
এই বলে নিধী আপু চলে গেলো। মেয়েটা সাইকো নাকি? মেইবি সাইকো হবে না হয় কেউ কারো সাথে এরকম বিহেভ করে??? আমি প্যক থেকে আরেকটা সিগারেট বের করে খেয়ে নিচে আসলাম!
আমি আম্মুকে খুজতে লাগলাম, খুজতে খুজতে একটা রুমের সামনে চলে গেলাম! দেখি এখানে
আব্বু, আম্মু, আংকেল আর আন্টি বসে আছে!
আমি রুমে ডুকতে যাবো তখনি শুনতে পেলা!!
আংকেলঃ এখন নীল আর নিধীর বিয়েটা দিয়ে দেওয়া উচিত।।
আব্বুঃ হ্যাঁ ওইটা নিয়েই ভাবতেছি! বাট তর মেয়ে কি নীল কে দেখেছে?
আংকেলঃ মার্কেটে দেখা হয়েছিলো, দেখেই নাকি নীল কে ভালোবেসে ফেলেছে যতো তারাতাড়ি সম্ভব বিয়ের ব্যবস্থা করতে হয়েছে??
আম্মুঃ এ বিষয়ে কিন্তুু নীল কিছু জানে না আগে ওর কাছে শুনে এনগেজমেন্ট এর তারিখ টা ঠিক করতে হবে!!!
আন্টিঃ আজকেই এনগেজমেন্ট টা সেরে ফেললে কেমন হয়?
আম্মুঃ খারাপ বলেন নি ভাবি, কিন্তুু নীলের কাছে শুনতে হবে আগে।
আব্বুঃ দেখো নীলের মা, নিধী যথেষ্ট সুন্দরী একটি মেয়ে, ! আর আমরা সবাই জানি নীলের কোনো গার্লফ্রেন্ড নেই ত এ বিষয়ে ওর কোনো আপত্তি থাকবে না।
আম্মুঃ ওকে যা ভালো মনে করেন।।
সব কথা শুনে ত আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম।
আমার চাইতে সিনিয়র মেয়ে নাকি আমার বউ হবে। সবাই ত বলবে বয়স বড় মেয়েকে বিয়ে
করছি!! এসব ভাবতেই ত ভাল্লাগতেছে না শুনতে ত একদম ই ভাল্লাগবে না।।।
আমিঃ আসতে পারি?
আংকেলঃ আসো বাবা আসো, তোমার ব্যপারেই কথা বলছিলাম আমরা!!
আমিঃ হুম
আমিঃ আম্মু একটু বাহিরে আসো ত
আম্মুঃ কেনো?
আমিঃ কথা আছে আসো একটু,।।
আম্মু আমার কাছে আসলো, আম্মু কে নিয়ে একটু সাইডে এ গেলাম আমি!!
আমিঃ আম্মু তোমরা কি পাগল হয়ে গেছো?
আম্মুঃ মানে??।
আমিঃ আফজাল আংকেল এর মেয়ে ত আমার সিনীয়র!
আম্মুঃ ত কি হয়েছে?
আমিঃ এ বিয়ে করতে পারবো না আমি!!
আম্মুঃ এইটা চাইলেও সম্ভব না!!! আমরা নিধীর আব্বুকে কথা দিয়ে ফেলছি!! আর নিধীর মতো মেয়ে তর মতো বাঁদরকে পছন্দ করেছে এইটা তর কপাল।।
এই বলে আম্মু চলে গেলো! কি করব এখন কিছু বুজতেছি না?? একমাত্র উপায় নিধী আপুকে বুজাতে হবে!! যে ভাবেই হক বিয়েটা ভাঙতে হবে!!
আমি নিধী আপুকে খুজতে লাগলাম! বাট কোথাও পাচ্ছি না!! ওমনেই মিম এর সাথে দেখা হলো!!
মিমঃ কেমন আছেন ভাইয়া??
আমিঃ ভালো, তুমি?
মিমঃ ভালো, ভাইয়া ব্লাক পান্জাবীতে আপনাকে হিরোর মতো লাগতেছে!!
আমিঃ ধন্যবাদ তোমার আপু কোথায়?
মিমঃ আপু ত রুমে! আপু কে দিয়ে কি করবেন?
আমিঃ কিছু না রুমটা দেখিয়ে দাও!!
মিমঃ আচ্ছা!!
মিম রুমটা দেখিয়ে দিলো,!! আমি নক করলাম
নিধীঃ কে?।
আমিঃ আমি নীল।
নিধীঃ দরজা খোলা আছে!!
এই কথা বলাতেই আমি ভিতরে চলে গেলাম! ভিতরে গিয়ে দেখি রুমে কেউ নাই!! পিছন থেকে দরজা বন্ধ করার শব্দ পেলাম, দরজার পেছনে লুকিয়ে ছিলো মেয়বি!!
পিছনের দিকে তাকিয়ে আমার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো নিধীর শরীরে শুধুমাত্র একটা তওয়াল জড়ানো! সদ্য গোসল করে বের হয়েছে!!
আমি চিল্লানি দিতে যাবো তার আগেই নিধী আপু আমার মুখ চেপে দরলো!! মুখ চেপে ধরার পরে যা ঘটলো, বিশ্বাস করেন আপনারা এটা দেখার জন্য আমি একদম ই পস্তুুত ছিলাম না!!
# চলবে