গল্প/::: ছদ্মবেশী মাফিয়া যখন কলেজ শিক্ষক। * * * রোমান্টিক গল্প লেখক রাসেল চৌধুরী * * * পর্ব/::::::: ( ৪ ) :::::::::: ( চার ) ::::::::

 


গল্প/::: ছদ্মবেশী মাফিয়া যখন কলেজ শিক্ষক।

*

*

* রোমান্টিক গল্প লেখক রাসেল চৌধুরী

*

*

* পর্ব/::::::: ( ৪ ) :::::::::: ( চার ) ::::::::

*

*

*

*

*

* বলে যেইনা রুম থেকে বেরিয়ে আসবো। তখন প্রেমা যেটা করলো, সেটা আমি কখনো কল্পনাও করতে পারি নাই। 


আমি বের হয়ে আসতেই প্রেমা আমাকে জড়িয়ে ধরে ঠোঁটের সাথে ঠোট লাগিয়ে দিলো। আমি তাকে ছাড়তে চাইছি , কিন্তু প্রেমা আমাকে জোর করে কিস করতে লাগলো। অনেক জোরাজুরি করে দুই মিনিট পর প্রেমার থেকে ছাড়া পেলাম। 


আমি/: প্রেমা তুমি এটা কি করলে। তুমি ভুলে যেওনা আমি তোমার শিক্ষক। 


প্রেমা/: আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি নাই। আপনার ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে। 


আমি/: তাই বলে তুমি আমাকে এভাবে কিস করবে।


প্রেমা/: করেছি বেশ করেছি। কারন আমি আপনাকে ভালোবাসি। 


আমি/: তুমি এ কারণে আমাকে বাসায় এসে , তোমাকে পড়াতে বলছো।


প্রেমা/: ঠিক ধরেছেন । 


আমি/: তুমি এরকম করলে, আমি তোমাকে পড়াতে আসবো না। 


প্রেমা/: সেটা আপনি কখনো করবেন না স্যার।


আমি/: মানে , তুমি কি বলতে চাও।


প্রেমা/: মানে হলো, আপনি ও আমাকে ভালোবাসেন। 


আমি/: তুমি এটা ভুল ভাবছো। আমি তোমাকে ভালোবাসি না।


মনে মনে বললাম , তোমাকে তো প্রথম দেখায় ভালোবেসে ফেলেছি। 


প্রেমা/: যদি আপনি আমাকে ভালো না বাসতেন। তাহলে আমার এরকম অত্যাচার সয্য করতেন না। 


আমি/: তুমি আমার ছাত্রী। তাই তোমাকে কিছু বলি না। আমি জানি তুমি এসব আবেগে করছো। কিছুদিন পর এমনে ঠিক হয়ে যাবে। 


প্রেমা/: আমি এসব আবেগে করছি না। আচ্ছা আপনি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলুন তো, আপনি আমাকে পছন্দ এবং ভালোবাসেন না। 


আমি/: তুমি একটু বেশিই কথা বলছো। তাড়াতাড়ি জামা কাপড় চেঞ্জ করে পড়তে বসো। 


প্রেমা/: এখন কথা ঘুরাচ্ছেন কেনো। সত্যি করে বলুন তো। আপনি আমাকে মনের কথা খুলে বলছেন না কেন। 


আমি/: আমি তোমাকে ভালবাসি না। তার পরেও তুমি কেনো এমন করছো। আমি কিন্তু এখন চলে যাবো। 


প্রেমা/: ঠিক আছে, আমি জামা কাপড় চেঞ্জ করছি। আপনি বাহিরে গিয়ে দাঁড়ান। 


আমি আর কোনো কথা না বলে রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম। মনে মনে বললাম, খাচ্ছুনি আমার মনের কথা কি ভাবে বুঝতে পারলো। 


কিছুক্ষণ পর প্রেমা রুমে যেতে বললো। রুমে গিয়ে দেখি প্রেমা পড়ার টেবিলে বসে আছে। আমি একটা বই হাতে নিয়ে তাকে পড়াতে লাগলাম। 


প্রেমা তো পড়ছে না। সারাক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কোনো রকম পড়ায়ে , তার আব্বু কে বলে বাসা থেকে বেরিয়ে আসলাম। 


পড়াতে পড়াতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পর বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে ওয়াস রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এসে দেখি মোবাইল বাজতে আছে। মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি আননোন নাম্বার। দুই তিন রিং হওয়ার পর ধরলাম। তখন ওই পাশ থেকে একটা মেয়েলি কণ্ঠে বললো। 


প্রেমা/: আসসালামুয়ালাইকুম স্যার কেমন আছেন। ঠিক মতো বাসায় গেছেন।


আমি/: ওয়ালাইকুম আসসালাম ভালো আছি। মাএ বাসায় আসলাম। এখন বলো আমার নাম্বার কোথায় পেয়েছো।


প্রেমা/: আপনার মোবাইল থেকে নিয়েছি স্যার।


আমি/: আমার মোবাইল তো, আমার সাথেই ছিলো। তুমি কিভাবে নিলে। 


প্রেমা/: আরে আমি যখন জামা কাপড় চেঞ্জ করবো। তখন আপনি মোবাইল আমার রুমে রেখে বাহিরে গেছেন। তখন আপনার মোবাইল থেকে নাম্বার নিছি।


আমি/: কিন্তু আমার মোবাইল তো লক করা ছিলো। তুমি নিলে কেমন করে। 


প্রেমা/: স্যার আপনি কি নাম দিয়ে মোবাইল লক করছেন। সেটা আমি জানি। এখন বলেন আমার নাম দিয়ে লক করছেন কেনো এবং আমার ছবি মোবাইলে সেফ করে রেখেছেন কেনো। 


এই যাহ, প্রেমা তাহলে সবকিছু জেনে গেছে। আসলে একদিন লুকিয়ে প্রেমার একটা ছবি তুলছি, । সেটা মোবাইলের সামনে সেফ করে রেখেছি। আর প্রেমার নাম দিয়ে মোবাইল লক করছি। তখন আমি বললাম। 


আমি/: আচ্ছা তাহলে তুমি আমাকে বলো। তুমি জানলে কেমন করে, আমি যে তোমার নাম দিয়ে লক করে রেখেছি। 


প্রেমা/: আমার ছবি প্রোফাইলে দেখে বুঝতে পারলাম, আপনি আমাকে ভালোবাসেন। তখন লক খুলতে প্রথমে আপনার নাম দিছি, কিন্তু কোনো কাজ হলো না। তার মনে মনে বলি , আমার নাম দিয়ে দেখি। তখন আমার দেওয়ার সাথে সাথে লক খুলে গেলো। এই তো যখন ভালোবাসেন। তাহলে বলছেন না কেন। 


আমি/: আসলে তোমাকে প্রথম যেদিন দেখি, সেদিন তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি। পরে ভাবলাম তুমি আমার ছাত্রী, এটা কি তোমার আব্বু আম্মু মেনে নিবে। তাই তোমাকে বলি নাই। আজ পর্যন্ত কোনো মেয়েকে আমার ভালো লাগে নাই। একমাত্র তোমাকে দেখে আমার অনেক ভালো লাগে।


প্রেমা/: প্লিজ আপনি আমার সাথে একটা বার দেখা করতে পারবেন। 


আমি/: কিছুক্ষণ আগেই তো তোমার বাসা থেকে আসলাম। এখন আবার কেনো যাবো।


প্রেমা/: আসলে দেখতে পাবেন। প্লিজ আপনি না করবেন না। 


আমি/ যদি তোমার আব্বু আম্মু কিছু বলে । তখন কি বলবো।


প্রেমা/: সেটা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না। আমি দরজার সামনে আপনার জন্য অপেক্ষা করবো। আর আমি আব্বু আম্মু কে অন্য কিছু বলে মানিয়ে নিবো। 


আমি/: ঠিক আছে, আমি আসছি। 


এ বলে ফোন কেটে দিলাম। তার পর একটা জামা গায়ে দিয়ে খালার কাছে বলে বাসা থেকে বেরিয়ে আসতে মোবাইল টা বেজে উঠলো। মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি রাফি ফোন করছে। তখন আমি কল রিসিভ করে বললাম।


আমি/: হুম বলো রাফি। 


রাফি/: ভাই আপনি একটু আমাদের সাথে দেখা করতে পারবেন। অনেক জরুরি কথা আছে। 


আমি/: কি কথা বলো। 


রাফি/: ভাই কথা গুলো সামনাসামনি বললে ভালো হবে। 


আমি/' ঠিক আছে। তুমি লোকেশন ত্যাগ করো। আমি আসছি। 


রাফি/: ঠিক আছে ভাই। 


আমি ফোনটা কেটে দিয়ে প্রেমা কে ফোন দিলাম। প্রেমা কল রিসিভ করার পর আমি বললাম।


প্রেমা/: প্লিজ তুমি রাগ করো না। আমার হঠাৎ একটা কাজে এক জায়গায় যেতে হবে। তোমার সাথে কালকে বিকালে পড়ার সময় দেখা হবে। 


প্রেমা/: আচ্ছা ঠিক আছে। 


এ বলে প্রেমা কল কেটে দিলো। আমি জানি প্রেমার মনটা খারাপ হয়ে গেছে। কি করবো আমি, আমি যে কাজে আসছি, সেটা শেষ তো করতে হবে। 


আমি মোবাইলের লোকেশন দেখে রাফির জায়গায় মতো চলে আসলাম। আমি গিয়ে দেখি রাফি আর নাজিম এবং তাদের সাথে কিছু লোক দাঁড়িয়ে আছে। আমি তাদের সামনে যাওয়ার পর আমাকে সালাম দিলো। তখন রাফি বললো। 


রাফি/: ভাই, আপনি যাকে খুঁজতে এসেছেন। তাকে আমরা পেয়ে গেছি। আপনার কথামতো আমরা হাসপাতালের ভিতরে ছদ্মবেশে ঢুকেছি। জীবনের কেভিনের সামনে গিয়ে দরজা হালকা শরিয়ে , ওই লোকটা কে দেখলাম, জীবনের সাথে কথা বলছে। ওইলোক রনির সাথে হাসপাতালে ঢুকেছে। পরে যে দুই টা গাড়ি এসেছে, ওই দুটো খালি গাড়ি ছিলো। এবং ওই লোকটার ছিলো। 


এখানে আপনাদের ওই লোকটার নাম বলছি না। কারন তাকে সামনাসামনি ধরার পর নাম বলবো। তাই কথায় কথায় ওই লোকটা বললাম। তো যাই হোক গল্পে আসি‌


আমি/: এখন ওরা কোথায়।


নাজিম/: ভাই আমরা ওই লোকটা কে দেখার পর হাসপাতাল থেকে বাহিরে চলে আসি। তার পর বের হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর রনি সহ ওই লোকটা বেরিয়ে আসলো। আমরা ওদের পিছু নি, ‌ হঠাৎ তারা *** এই জায়গায় আসার পর হেলিকপ্টারে করে কোথায় যেনো চলে যায়। 


আমি/: সাথে কি রনি গেছে।


নাজিম/: না ভাই। রনি ওর লোক নিয়ে বাসায় ফিরে গেছে। 


আমি/: আচ্ছা ঠিক আছে। তোমরা একটু সেফে থেকো। যা করার আমি করতেছি। আমি বাসায় যাচ্ছি। কোনো খবর পেলে আমাকে জানাবে। 


রাফি/: ওকে ভাই। 


তাদের থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। রাতের খাবার খেয়ে বিছানায় শুয়ে একজনের সাথে কিছু কথা বলে, প্রেমা কে ফোন দিলাম। কিন্তু প্রেমার মোবাইল বন্ধ বলছে। মনে হয় আমার ওপরে রাগ করে মোবাইল বন্ধ করে রেখেছে। 


দেখতে দেখতে ১৫ দিন চলে গেল। প্রেমা এখন আমার সাথে কথা বলে না। আমাকে এড়িয়ে চলে। কিন্তু কোনো মেয়ের সাথে কথা বললে চোখ মুখ লাল করে ফেলে। 


আমি জানি প্রেমা আমার ওপর অভিমান করে আছে। আর আমি ও বেশি জোর করছি না। কারন সামনে তাদের পরিক্ষা চলে এসেছে।প্রেমা এখন পড়ালেখায় মন দিছে। 


পরিক্ষা শেষ হোক। তার পর ওকে সবকিছু খুলে বলবো। হঠাৎ মোবাইল ফোন টা বেজে উঠলো। আমি মোবাইল টা রিসিভ করার পর ওই পাশ থেকে বললো।


ওপাশ/: রাসেল, ওই সালাকে খুঁজে পেয়েছি। এখন কি তাকে ধরবো। 


আমি/: নাহ, রনি আর ওকে একসাথে ধরবো। এখন কিছু করা যাবে না। আগে পরিক্ষা শেষ হোক। তার পর একশনে যাবো। 


ওপাশ/: ঠিক আছে। তুই যেটা বলবি। সেটাই হবে। এখন কি করিস।


আমি/: খাওয়া দাওয়া করে রুমে এসে বিছানায় শুয়ে মোবাইল টিপতে আছি। 


ওপাশ/: ঠিক আছে, তুই ভালো থাকিস। পরে কথা হবে। 


আমি/: ওকে তুইও ভালো থাকিস। আল্লাহ হাফেজ।


এ বলে ফোন কেটে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরের দিন কলেজ গেট দিয়ে ঢুকে ভিতরে গিয়ে দেখি প্রেমা একটা ছেলের সাথে দাঁড়িয়ে হেসে হেসে কথা বলছে। 


এটা দেখে বুকের বাম পাশে কামড় দিয়ে উঠলো। প্রেমা আমাকে দেখে ওই ছেলের হাত ধরে কথা বলছে। আমি ওদের থেকে চোখ সরিয়ে অফিস রুমে চলে গেলাম। 


প্রিন্সিপাল স্যার এর সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে ক্লাসে চলে আসলাম। ক্লাসে ঢুকে দেখি প্রেমা আর ওই ছেলে একসাথে বসে হেসে হেসে কথা বলছে। 


আমি ক্লাসে ঢুকার পর ওই ছেলেটা তার সিটে গিয়ে বসলো। আমি কোনো কথা না বলে পড়াতে শুরু করলাম। 


ও আপনাদের তো একটা কথা বলতে ভুলে গেছি। প্রেমাকে পরেরদিন পড়াতে যাওয়ার পর, প্রেমা আমাকে আসতে মানা করে দিছে। আর আমার জন্য ভালো হয়েছে। তাকে পড়াতে গেলে, আমি কাজের কথা ভুলে যাই। আমি এর ফাঁকে প্রায় কাজটা এগিয়ে ফেলছি। শুধু এখন সময়ের অপেক্ষা। 


পড়ার ফাঁকে ফাঁকে প্রেমার দিকে তাকিয়ে দেখি। কিন্তু প্রেমা আমার দিকে তাকাচ্ছে না। তার মানে কি প্রেমা আমাকে এখন আর ভালো বাসে না। আমাকে কলেজ ছুটি হওয়ার পর , প্রেমার সাথে কথা বলতে হবে। 


কোনো রকম ক্লাস শেষ করে বেরিয়ে আসলাম। তার পর আরো অন্য ক্লাস গুলো শেষ করলাম। কলেজ ছুটি হওয়ার পর বাহিরে আসার পর দেখি প্রেমা আর ওই ছেলেটা বেরিয়ে আসতে আছে। তখন আমি তাদের সামনে গিয়ে বললাম। 


আমি/: প্রেমা , তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে। 


ওই ছেলে বললো/: স্যার আমি কি থাকবো। নাকি চলে যাবো। 


আমি/: তুমি চলে যাও।


ওই ছেলে বললো/: ঠিক আছে, প্রেমা তুমি থাকো, আমি বাসায় গেলাম। 


প্রেমা/: নাহ ফারহান। দুজনে একসাথে যাবো। স্যার আপনি কি কথা বলবেন বলুন। 


আমি/: আমি তোমার সাথে একা কথা বলতে চাই।


প্রেমা/: স্যার আমার হাতে সময় নেই। আমার বাসায় যেতে হবে। আপনি তাড়াতাড়ি বলুন। 


আমি/: ঠিক আছে, যেহেতু তোমার তাড়া আছে। তাহলে আর বলবো না। তুমি যেতে পারো। 


প্রেমা আর কোনো কথা না ফারহান এর সাথে কলেজ থেকে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে বাসায় চলে গেলো। প্রেমার কথা গুলো শুনে অনেক কষ্ট পেলাম। 


আমি আর দাঁড়িয়ে না থেকে বাসায় চলে আসলাম। কোনো রকম আজকের দিনটা শেষ করলাম। 


পরের দিন কলেজ গেট দিয়ে ঢুকে, সামনে যেটা দেখলাম। সেটার জন্য আমি একদম প্রস্তুত ছিলাম না। 


  তোমার চিঠি পরতো যদি, আমার বাবার হাতে। ঘরের বাইরে আমাকে আর দিত নাকো যেতে।


   এবার তুমি রাগ করো না, করো নাকো ভঙ্গি। আজই তোমায় নিয়ে যাবো, দেখতে অমরসঙ্গী।


  তোমায় আমি ভালোবাসি, বলতে পাই লাজ। মনে বহু সাহস ভরে, চিঠি দিলাম আজ।

*

*

*

*

*

* চলবে

*

*

*

* তো কেমন হয়েছে জানাবেন। ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই লাইক এবং কমেন্ট দিয়ে পাশেই থাকবেন। 

*

*

* ধন্যবাদ সবাইকে পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন 🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿 রোমান্টিক গল্প লেখক রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post