গল্প/:::: ছদ্মবেশী মাফিয়া যখন কলেজ শিক্ষক।
*
*
* লেখক/::::: রাসেল চৌধুরী
*
*
: পর্ব/:::::::: ( ৩ ) ::::::: ( তিন ) :::::::::
*
*
*
*
*
*
* আমি চোখ বন্ধ করার পর প্রেমা এমন কিছু করবে। সেটা আমি কখনো ভাবিনি।
আমি চোখ বন্ধ করার সাথে সাথে প্রেমা আমার গালে একটা চুমু দিয়ে দৌড় দিয়ে ভিতরে চলে গেল। প্রেমা এটা কি করলো। আমি তো কিছুই বুঝতে পারলাম না।
আমি আর কোনো কিছু চিন্তা না করে বাসায় যেতে লাগলাম। এবার আপনাদের আসল ঘটনা খুলে বলি।
গতকাল রাতে নাজিম আমার সাথে দেখা করে। জীবনের কথা ওকে জিজ্ঞেস করলে, সে আমাকে অনেক কিছু খুলে বলে। তার পর আমি নাজিম আর রাফি কে বলছি, জীবন কে রাতে একটু আদর করে আসতে।
এমন আদর করতে বলছি, যেনো দুই তিন মাস আগে সুস্থ না হয়। আর একটা কাগজে লিখে দিতে বলছি। মাফিয়া ইজ বেগ। এটা যেনো রনি দেখতে পায়। আর এই এলাকার সবাই যেনো বুঝতে পারে, মাফিয়া তাদের এলাকায় আছে। তাই ওরা চিন্তা মুক্ত থাকতে পারবে। এই ছিলো গতকাল রাতের কাহিনী।
আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে বাসায় চলে আসলাম। কলিং বেল চাপ দেওয়ার পর খালা এসে দরজা খুলে দিলো। রাফি এবং তার গুলোকে একটা জায়গায় পাঠিয়েছি। তাই ওরা বাসায় নেই।
নিজের রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে রুমে চলে আসলাম। হঠাৎ দেখি মোবাইল ফোন বাজতে আছে। হাতে নিয়ে দেখি আম্মু ফোন দিছে।
আমি): আসসালামুয়ালাইকুম আম্মু কেমন আছো।
আম্মু/: আলহামদুলিল্লাহ বাবা ভালো আছি। তুই কেমন আছিস।
আমি): আমি ও ভালো আছি।
আম্মু/: তোকে যেটা বলার জন্য ফোন দিয়েছি। রাইসা ওর জামাই সহ আজকে বাসায় এসেছে। তুই কি কিছু দিনের ছুটি নিয়ে আসতে পারবি।
আমি/: আপু বাসায় আসছে। আমাকে তো একটুও বললো না।
আম্মু/: আমাদের কেও বলে আসে নাই। হঠাৎ করে চলে এসেছে।
আমি/: ওহ। আমি কালকে দুই দিনের ছুটি নিয়ে আসবো।
আম্মু/: ঠিক আছে। আমি এখন ফোন রাখি। সকালে সাবধানে চলে আসিস।
ঠিক আছে বলে ফোন কেটে দিলাম। তার পর একজনের কাছে ফোন দিয়ে কিছু কথা বলে ফোন কেটে একটা ঘুম দিলাম।
রাতে খাবার খেয়ে রুমে এসে প্রিন্সিপাল স্যার কে ফোন দিলাম। কিছুক্ষণ পর ধরলো।
আমি/: আসসালামুয়ালাইকুম স্যার কেমন আছেন।
প্রিন্সিপাল/: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি রাসেল। তুমি কেমন আছো। আর হঠাৎ ফোন দিলে যে।
আমি/: আমি ভালো আছি স্যার। আসলে স্যার আমার দুই দিনের ছুটি লাগবে। বড় আপু আজ দুই বছর পর বাসায় এসেছে। বড় আপু তার জামাইয়ের সাথে এতো দিন কানাডা ছিলো।
প্রিন্সিপাল/: ঠিক আছে। দুই দিনের বেশি যেনো না হয়। সামনে কিন্তু পরিক্ষা আসছে।
আমি/: ঠিক আছে স্যার। আমি সময় মতো চলে আসবো। এখন তাহলে রাখি। আসসালামুয়ালাইকুম।
প্রিন্সিপাল): ওয়ালাইকুম আসসালাম। আল্লাহ হাফেজ।
এ বলে প্রিন্সিপাল স্যার ফোন কেটে দিলো। আমি এবার রাফি কে ফোন দিলাম। রাফি ফোন ধরে বললো।
রাফি): জি ভাই বলেন।
আমি/: নাজিম কি তোর সাথে আছে।
রাফি/:। জি ভাই। নাজিম আমার সাথে। কথা বলবেন।
আমি/: সমস্যা নেই। তুই মোবাইল লাউড স্পিকার দেয়। আমি কি বলি, মন দিয়ে শুনবি।
রাফি এবং নাজিম/: বলেন ভাই।
আমি/: শুন আমি কালকে দুই দিনের জন্য বাসায় যাবো। তোরা ভালো করে রনির খুঁজ খবর রাখবি। সে কোথায় যায়, কি করে। আমাকে সব খবর দিবি। ওকে প্রো করলে, আসল মানুষ টাকে পেয়ে যাবো। এটা আমার মনে হয়। ওই মানুষ টার সাথে রনির সাথে যোগাযোগ আছে মনে হয়।
নাজিম/: ভাই আপনি কোনো চিন্তা করবেন না। আমি এই এলাকার ছেলে। আল্লাহ রহমতে সব রাস্তা ঘাট চিনি । আমরা আসল মানুষ টাকে খুঁজে বের করবো।
আমি/: ঠিক আছে। তোরা কাজে লেগে পড়। আমি এখন ঘুমাবো। সকাল সকাল রওয়ানা দিতে হবে।
এ বলে ফোন কেটে দিলাম, তারপর ঘুমিয়ে পড়লাম। পরের দিন একটা রিকশা নিয়ে বাস কাউন্টারে চলে আসলাম। একটা টিকেট কেটে বাসে উঠে বসলাম।
প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর নিজের বাসার সামনে চলে আসলাম। দারোয়ান চাচা আমাকে দেখে সালাম দিলো। আমিও ওনাকে সালাম দিলাম। চাচার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে দরজার সামনে এসে কলিং বেল চাপ দিলাম।
কিছুক্ষণ পর আম্মু এসে দরজা খুলে দিলো। আমাকে দেখে আম্মু বললো।
আম্মু): কিরে বাবা, তুই আসছিস। আসতে কোনো সমস্যা হয়নি তো।
আমি): না আম্মু, আসতে কোনো অসুবিধা হয়নি। এখন বলো, আপু দুলাভাই এবং আমার বুড়িটা কোথায়।
আম্মু): রাইসা ওর মেয়েকে রুমে দুধ খাওয়াচ্ছে। আর ওর জামাই তোর আব্বুর সাথে অফিসে গেছে।
আমি/: ওকে। তাহলে আমি আপুর সাথে দেখা করে আসি।
এ বলে আপুর রুমের সামনে এসে বললাম।
আমি/: আপু ভিতরে আসতে পারি।
আপু/: আরে রাসেল তুই। কখন আসলি। আয় ভিতরে আয়।
আমি/: আমি এইমাত্র আসলাম। তুই এমন করলি কেন। কাউকে না জানিয়ে আসলি যে।
আপু/: আসলে আমি সবাইকে সারপ্রাইজ দিতে বলি নাই। এখন বল কেমন আছিস।
আমি/: আমি ভালো আছি। তুই কেমন আছিস। আমার ভাগ্নি কি ঘুমিয়ে গেছে।
আপু): আমি ও ভালো আছি। আর তিথি কে দুধ খাইয়ে দিয়ে, ঘুম পাড়িয়ে দিলাম।
আমি/: ওহ, তা কতোদিন থাকবি এবার।
আপু/: এবার এক মাসের মতো থাকবো। আচ্ছা আমাকে একটা কথা বলবি।
আমি/: কি কথা আপু।
আপু/: তুই হঠাৎ অফিস ছেড়ে। কলেজে শিক্ষাগতা করতে গেলি কেন।
আমি/: আমার অফিস দেখাশোনা করতে ভালো লাগে না তাই শিক্ষাগতার চাকরি নিয়েছি। কলেজে ছাত্র ছাত্রী পড়াতে অনেক ভালো লাগে।
আপু/: তুই জানিস না। আব্বু একা অফিস চালাতে কষ্ট হয়।
আমি/: আরে আব্বুর কোথায় কষ্ট হচ্ছে। সাথে তো সিফাত আর নয়ন আছে। তারা দুজনে তো সবকিছু দেখে রাখে।
আপু/: ওহ। তোকে দেখে মনে হচ্ছে, তুই এখনো ফ্রেল হস নাই। তুই রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে আয়। আমি নিচে আছি।
আমি/: আচ্ছা ঠিক আছে।
এ কথা বলে আপু নিচে চলে গেল। আমি আমার রুমে এসে দেখি, রুমটা আগের মতোই আছে। ওয়াস রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে আসলাম। নিচে এসে দেখি আব্বু আর দুলাভাই তারা অফিস থেকে চলে এসেছে। দুলাভাই আমাকে দেখে বললো।
দুলাভাই/: কেমন আছো , সালা বাবু।
আমি): আমি অনেক ভালো আছি। তুমি কেমন আছো দুলাভাই।
দুলাভাই/: আমি ভালো আছি। তা বয়স তো আর কম হলো না। এবার কি বিয়ে সাদি করবে না।
আমি): এখন না দুলাভাই। আরো এক বছর পরে করবো।
আপু/: তখন বুড়ো বয়সে , তোকে কেউ মেয়ে দিবো।
আমি): অবশ্যই দিবো। আমি দেখতে কি খারাপ। তুই দেখিস নি, তোর বিয়ের সময় সব মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো।
আপু/: তুই আমার বিয়ের সময়, বাঁদর এর মতো লাফালাফি করছিস, তাই সব মেয়ে তোর দিকে তাকিয়ে ছিলো।
আব্বু/: কিরে , আপু দুলাভাই কে পেয়ে , তোর এই বুড়ো বাপকে ভুলে গেলি।
আমি/: আমার বন্ধুকে কি, আমি ভুলতে পারি। আপু দুলাভাই কে অনেক দিন পর দেখছি তো। তাই তোমার কথা ভুলে গেছি। এখন বলো, তুমি কেমন আছো।
আব্বু/: আমি ভালো আছি। তুই কেমন আছিস।
আমি/: ভালো আছি। তা সিফাত আর নয়ন ঠিক ভাবে কাজ করে।
আব্বু/: তারা আছে দেখে তো, আমি চিন্তা মুক্ত আছি। অফিস থেকে চলে আসতে পেরেছি।
হঠাৎ আম্মু সবার সামনে এসে বললো।
আম্মু/: অনেক কথা হয়েছে। সবাই খাবার খেতে আসো।
তার পর সবাই একসাথে খাবার খেতে চলে আসলাম। আমি খাবার খেয়ে নিজের রুমে চলে আসলাম।
দেখতে দেখতে দুই দিন পার হয়ে গেলো। পরিবারের সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম।
পরের দিন কলেজে গেট দিয়ে ঢুকে ভিতরে গিয়ে দেখি কলেজের মাঠে সকল ছাত্র ছাত্রী ভিড় করে আছে। আমি একটু ভিড় ঠেলে ভিতরে ঢুকে দেখি প্রেমা একটা মেয়েকে মারতে আছে।
কিন্তু কেউ কিছু বলছে না। আমি প্রেমার সামনে গেলাম। প্রেমা আমাকে দেখে ওই মেয়েকে মারা বন্ধ করে দিলো। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম।
আমি/: কি হয়েছে প্রেমা। তুমি ওকে এভাবে মারছিলে কেনো। কি করেছে ও।আর তোমরা সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি দেখছো। সবাই ক্লাসে যাও।
আমার কথা শুনে সকল ছাত্র ছাত্রী ক্লাসে চলে গেল। তখন প্রেমা বললো।
প্রেমা/: ও আমাকে বলে, আপনাকে নাকি ভালোবাসে। তাই ওকে উচিত শিক্ষা দিছি।
আমি/: আমাকে ভালোবাসলে, তোমার সমস্যা কি।
প্রেমা/: আমার অনেক সমস্যা। ও আপনাকে ভালোবাসতে পারবে না। আপনি শুধু আমার। কেউ আপনাকে ভালোবাসি কথাটা বললে, তার চোখ দুটি তুলে নিবো।
আমি/: তাই বলে, তুমি ওকে এভাবে মারবে।
প্রেমা/: মেরেছি, বেশ করেছি। আমার ভালোবাসার দিকে চোখ তুলে তাকালো কেনো।
আমি/: আমি কি বলছি, তোমাকে আমি ভালোবাসি। তাহলে তুমি এমন করলে কেন।
প্রেমা/: আপনি আমাকে বলেন নাই। কিন্তু আমি ছাড়া , আপনাকে কারো হতে দিবো না আমি।
আমি/: তুমি আসলেই একটা পাগল। তোমাকে ডাক্তার দেখাতে হবে।
প্রেমা/: আমাকে ডাক্তার দেখালে কিছু হবে না।
আমি/: দূর তোমার সাথে কথা বলে সময় নষ্ট করে লাভ নেই। আচ্ছা আমি ওর হয়ে তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তুমি প্লিজ কিছু মনে করো না।
মেয়েটা ঠিক আছে বলে ক্লাসে চলে গেলো। তখন প্রেমা আমাকে বললো।
প্রেমা/: আপনি ওর কাছে ক্ষমা চাইলেন কেনো। আর আপনি এই দুই দিন কলেজে আসলেন না কেনো। কোথায় গেছেন আপনি।
আমি/: আমি বাড়িতে গেছি। তাই কলেজে আসি নাই। আচ্ছা তুমি ওদিন এমন টা করলে কেন।
প্রেমা/: আপনি কিসের কথা বলছেন স্যার।
আমি/: আমাকে ওদিন চোখ বন্ধ করতে বলে, তুমি আমাকে চুমু দিয়ে দৌড় দিয়ে ভিতরে গেলে কেনো।
প্রেমা/: আমার ইচ্ছে হয়েছে, তাই আপনাকে চুমু দিছি।
আমি/: প্লিজ প্রেমা , তুমি এমন পাগলামি করো না। লেখা পড়ায় মন দাও। তোমার আব্বু জানতে পারলে আমাকে কলেজ থেকে বের করে দিবে। আর সেটা কি তুমি চাও।
প্রেমা/: সেটা আমি কখনো চাই না। এখন কোনো কথা না বলে, আমার শর্তের উত্তর দাও।
আমি/: ঠিক আছে আমি রাজি। তবে তোমাকে আমি প্রতি শুক্রবার ঘুরতে নিয়ে যাবো। আর বিকালে তোমাকে পড়াবো।
প্রেমা/: ঠিক আছে সমস্যা নেই। এখন ক্লাসে আসুন।
এ বলে প্রেমা চলে গেলো। আমি আর কোনো কথা না বলে কলেজের ভিতরে ঢুকে অফিস রুমে চলে গেলাম।
এবার আপনাদের একটা কথা বলি, আসলে প্রেমা কে প্রথম দেখায় আমিও ভালোবেসে ফেলেছি। কিন্তু তাকে এখন বলছি না, কারন আমি যে কাজে কলেজে শিক্ষকতা করতে আসছি, সেটা শেষ না করা পর্যন্ত ওকে মনের কথা বলবো না।
এ কারণে প্রেমা কে বেশি কিছু বলি না। কিন্তু প্রেমার পাগলামি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। না জানি ওকে পড়াতে গেলে, আমার সাথে কি করে, ।
আর কিছু না ভেবে ক্লাসে চলে গেলাম। সবাই দাঁড়িয়ে সালাম দিলো। সালামের উত্তর নিয়ে সবাইকে বসতে বললাম। তার পর পড়া শুরু করলাম।
প্রেমা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ওর আমার দিকে তাকালে কেমন যেনো ওর মায়ার পড়ে যাই। তো যাই হোক ক্লাস শেষ করে অফিস রুমে চলে আসলাম।
কলেজ ছুটি হওয়ার পর বাহিরে এসে বাইক নিয়ে আসতে আবার প্রেমা আমার সামনে আসলো। তখন আমি বললাম।
আমি/: কি ব্যাপার প্রেমা, তুমি আমার সামনে কেনো আসলে।
প্রেমা/: আপনি আমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসেন।
আমি/: প্রেমা এটা কিন্তু শর্তের মধ্যে ছিলো না।
প্রেমা/: আমি কিছু জানি না। আপনি আমাকে বাসায় দিয়ে আসেন।
আমি/: তোমার পাগলামি দিন দিন বাড়ছে। তোমাকে প্রথম দেখে তো এমন মনে হয় নাই।
প্রেমা/: আপনি জানেন না। আমার অনেক রাগ, আজ পর্যন্ত কোনো ছেলেকে ভালোবাসি নাই। কিন্তু আপনাকে দেখার পর অনেক ভালো লেগেছে। তাই তো আপনার সাথে পাগলামি করি।
আমি/; তোমার সাথে কথায় পারবো না। এখন নামো , তোমার বাসা চলে এসেছে।
প্রেমা/: দুর এতো তাড়াতাড়ি বাসা চলে এসেছে। বিকালে ঠিক টাইমে বাসায় চলে আসবেন।
আমি/: ঠিক আছে, কিন্তু তোমার আব্বুর কাছে কি বলছো আমার কথা।
প্রেমা/: কি, আমি যে আপনাকে ভালোবাসি, সে কথা নাকি।
আমি/: দুর, আমি বলছি, আমি যে তোমাকে পড়াবো । এটা কি তোমার আব্বুকে বলছো।
প্রেমা/: এটা আমি দুই দিন আগেই বলে রাখছি আব্বুকে। আব্বু রাজি হয়েছে। আমি বলছি, আপনি দুই তিন পর পড়াতে আসবেন।
আমি/: ঠিক আছে, আমি এখন বাসায় যাচ্ছি।
প্রেমা/: সাবধানে যাবেন।
আমি আর কোনো কথা না বলে বাসায় চলে আসলাম। প্রেমার সাথে এভাবে কথা না বললে , কিছু একটা করে ফেলবে। তার আব্বু যদি জানে আমার জন্য তার মেয়ে এমন করছে, তাহলে আমাকে কলেজ থেকে বের করে দিবে। কলেজ থেকে বের হয়ে গেলে, আমি কাজটা করতে পারবো না।
এখন রাস্তায় দিয়ে আসলে, সবাই আমাকে চিনে। আমি একজন কলেজে শিক্ষক। তাই কেউ আমাকে সন্দেহ করতে পারবে না। আর আমি কি কাজের জন্য এখানে আসা , সেটা গল্পের সাথে থাকলে জানতে পারবেন।
কলিং বেল চাপ দেওয়ার পর খালা এসে দরজা খুলে দিলো। আমি ভিতরে ঢুকে নিজের রুমে চলে আসলাম।
ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে রুমে চলে আসলাম। বিছানায় শুয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি রাফি অনেক গুলো ফোন দিছি। তাই আমি রাফি কে ফোন দিলাম।
আমি/: হুম বল। ফোন দিয়েছিস কেনো।
রাফি/: ভাই আজকে রনিকে দেখলাম। তার ভাই জীবন কে দেখতে এসেছে হাসপাতালে। রনি হাসপাতালে ঢুকার কিছুক্ষণ পর আরো দুইটা গাড়ি আসে হাসপাতালের , । কিন্তু ওই দুইটা গাড়ি থেকে কোনো লোক বের হয়নি।
আমি/: গাড়ি দুইটা কি এখনো আছে।
রাফি/: জি ভাই। এখনো আছে। কিন্তু রনি এখনো হাসপাতাল থেকে বের হয়নি।
আমি/: আমার মনে হয়, রনির সাথে কেউ ছদ্মবেশে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকছে। তুই আর নাজিম হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে দেখ। তবে তোদের যেনো চিনতে না পারে।
রাফি/: ঠিক আছে ভাই। আমরা ভিতরে ঢুকে, পরে আপনাকে সবকিছু জানাবো।
এ বলে রাফি ফোন কেটে দিলো। আমি মোবাইল বালিশের পাশে রেখে একটা ঘুম দিলাম।
বিকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাইক নিয়ে প্রেমাদের বাসায় চলে আসলাম। কলিং বেল চাপ দেওয়ার পর কাজের বুয়া এসে দরজা খুলে দিলো। তখন আমাকে বললো।
কাজের বুয়া/: আপনি কে, । কাকে চাই।
আমি/: জি আমি, এই বাড়ির মালিকের মেয়েকে পড়াতে আসছি।
কাজের বুয়া/: ঠিক আছে, ভিতরে আসুন।
আমি ভিতরে ঢুকে দেখি, একজন বাবার বয়সী লোক সোফায় বসে কফি খাচ্ছে আর পেপার পড়ছে। দেখে মনে হচ্ছে প্রেমার আব্বু। তখন আমি ওনাকে সালাম দিলাম।
আমি/: আসসালামুয়ালাইকুম।
প্রেমার আব্বু/: ওয়ালাইকুম আসসালাম। তুমি কে। তোমাকে তো চিনতে পারলাম না।
আমি/: আসলে আনকেল, প্রেমা আমাকে আসতে বললো। আমি হচ্ছি ওর কলেজের শিক্ষক।
প্রেমার আব্বু/: ওহ , তার মানে তুমি রাসেল। প্রেমা আমাকে তোমার কথা বলছে। তা তুমি কেমন আছো। বাসার সবাই কেমন আছে।
আমি/: জি আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি। বাড়ির সবাই ভালো আছে। তো আপনি কেমন আছেন আনকেল।
। প্রেমার আববূ/: আমি ভালো আছি। যাও, প্রেমা তার রুমে আছে।
। আমি/: আনকেল ওর রুম কোনটা , আমি তো চিনি না।
আনকেল/: ওপরে গিয়ে, হাতের ডান পাশের রুম টা প্রেমার।
আমি/: ওকে আনকেল।
এ বলে আমি ওপরে চলে আসলাম। আনকেল এর কথা মতো রুমের সামনে গিয়ে দরজা টোকা দিলাম। কিন্তু প্রেমার কোনো কথা বলছে না।
তাই আর কিছু না ভেবে রুমের ভিতরে ঢুকে গেলাম। রুমে ঢুকে চার পাশে তাকিয়ে আমি তো পুরো অবাক হয়ে গেলাম।
দেখি আমার ছবি , প্রেমার রুমের চার পাশে সাজিয়ে রেখেছে। কিন্তু প্রেমা এই ছবি গুলো কোথায় থেকে তুললো। আমার মাথায় তো কিছুই আসছে না।
হঠাৎ ওয়াস রুম থেকে প্রেমা বেরিয়ে আসলো। তাকে দেখে আমি সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেললাম।প্রেমা আমাকে দেখে বললো।
প্রেমা/: আরে স্যার, আপনি চোখ বন্ধ করলেন কেনো।
আমি/: তুমি বুঝো না, আমি চোখ কেনো বন্ধ করছি।
প্রেমা/: বুঝলে কি আর, আপনাকে বলতাম স্যার।
আমি/: তুমি আগে জামা কাপড় চেঞ্জ করো। আমি রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি। জামা কাপড় পড়া হলে, আমাকে ডাক দিও।
এ বলে যেইনা রুম থেকে বেরিয়ে আসবো। তখন প্রেমা যেটা করলো, সেটা আমি কখনো কল্পনাও করতে পারি নাই।
আমার হৃদয়ের সুপ্ত বাসনা, কি করে বোঝাই বলোনা। চাই শুধু আমি প্রেম ভালোবাসা, নাইকো কোনো ছলনা...
জীবন হলো জলের নৌকা, কখনো সুখের পাল তুলে, কখনো দুঃখের স্রোতে ভাসে, কখনো ছুটে যায় ভালোবাসার টানে, কখনো থেমে যায় অজানা অভিমানে।
*
*
*
*
* চলবে
*
* গল্পের কাহিনী এখন মাথায় কিছু ঢুকবে না। কাহিনী তো মাএ শুরু। সাথে থাকেন সব জানতে পারবেন।
*
*
*
* তো কেমন হয়েছে জানাবেন। ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই লাইক এবং কমেন্ট দিয়ে পাশেই থাকবেন।
*
*
* ধন্যবাদ সবাইকে পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন 🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿 রোমান্টিক গল্প লেখক রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿