গল্প/:::: ছদ্মবেশী মাফিয়া যখন কলেজ শিক্ষক।
*
*
* লেখক/''':: রাসেল চৌধুরী
*
*
* পর্ব/::::;;;;;:::: ( ২ ) ::::::: ( দুই )
*
*
*
*
*
*
* তার পর প্রেমা যেটা বললো। আমি তো অবাক হয়ে গেলাম। এটা কি করে সম্ভব। তাহলে তো আমার কাজ করতে অসুবিধা হবে। না না এটা আমি পারবো না।
প্রেমা/: স্যার আমি আপনাকে প্রথম যেদিন ক্লাসে দেখি। সেদিন আপনাকে আমার পছন্দ হয়ে যায়। এ কথায় আমি আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি। প্লিজ স্যার আপনি আমাকে ফিরিয়ে দিবেন না। আপনার পিছনে কলেজের অনেক মেয়ে ঘুরে। আপনাকে ভালোবাসি কথাটা বলার জন্য। আমি আপনাকে ছাড়া থাকতে পারবো না।
আমি): এই তুমি এটা কি বলছো। তুমি আমার সম্পর্কে জানো। আমি তোমার শিক্ষক। আমার সামর্থ নেই তোমাকে ভালোবাসার। কারন তোমার বাবা একজন বাংলাদেশের টপ বিজনেস ম্যান। সবচেয়ে বড় কথা হলো , তুমি আমার ছোট। এটা কখনো সম্ভব না।
প্রেমা/: আমি কিছু বুঝি না। আমি শুধু আপনাকে চাই। আমি আপনাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি।
আমি/: আমারি ভুল ছিলো। তোমার সাথে ফ্রি ভাবে কথা বলছি। আর তাতেই তুমি আমাকে ভালোবাসার কথা বলছো। পড়ালেখা শেষ করো, দেখবে আমার থেকে ভালো ছেলে পাবে।
প্রেমা/: আমি অন্য কোনো ছেলে চাই না। আমি শুধু আপনাকে চাই।
আমি/: প্রেমা তুমি বুঝার চেষ্টা করো। এটা তুমি আবেগে বলছো। কিছুদিন পর আবেগ কেটে যাবে। তখন সবকিছু ভুলে যাবে। তাই বলছি পড়ালেখায় মন দাও।
প্রেমা/: ঠিক আছে, আমি পড়ালেখায় মন দিবো। তবে আমার কিছু শর্ত আপনাকে পালন করতে হবে। তা না হলে আমি বার বার ভালোবাসার কথা বলবো।
এ আমি কার পাল্লায় পড়লাম রে ভাই। এ মেয়ে তো আমার মান সম্মান শেষ করে দিবে। কি আর করার, দেখি কি শর্ত দেয়। আমি বললাম।
আমি/: আগে বলো কি শর্ত। মানার মতো হলে মানবো।
প্রেমা/: আমার প্রথম শর্ত হলো। আপনি মেয়েদের সাথে বেশি কথা বলতে পারবেন না। সবসময় আমার সাথে কথা বলবেন। দ্বিতীয় শর্ত হলো। আপনি আমাকে প্রতিদিন বাসায় গিয়ে পড়াতে হবে। ৩য় শর্ত হলো আমাকে কয়দিন পর পর বাহিরে ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে।
আমি/: তোমার ২/৩ শর্ত আমি মানতে পারবো না। প্রথম শর্ত মানতে রাজি আছি। আমি এমনে মেয়েদের সাথে কথা কম বলি।
প্রেমা/: এটা হবে না। আমার ২/৩ শর্ত মানতে হবে। তা না হলে প্রতিদিন কলেজের সবার সামনে আপনাকে প্রফোজ করবো।
আমি/: ঠিক আছে, । আমাকে দুই টা দিন ভাবার সুযোগ দাও। আমি তোমাকে দুই দিন পর জানাবো।
প্রেমা/: ঠিক আছে। কিন্তু আপনি মানা করতে পারবেন না।
আমি/: ওকে। এখন বাসায় চলো।
প্রেমা): ঠিক আছে চলুন।
তার পর দুজনে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে, যে যার বাসায় যেতে লাগলাম।
আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম। কি মেয়েরে ভাই। আমাকে শাসনের উপর রাখছে। প্রথমে প্রেমা কে দেখে মনে করছি, সাদাসিধে মানুষ। এখন দেখি পুরো রাগি মেয়ে। আল্লাহ যানে আমার কপালে কি আছে।
এসব কিছু ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে আসলাম। বাইক পার্কিং করে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কলিং বেল চাপ দিলাম। কিছুক্ষণ পর যে দরজা খুলে দিলো। তাকে দেখে একটু অবাক হলাম।
আরে আপনারা ভাইবেন না প্রেমা। এটা হচ্ছে রাফি। গতকাল রাতে যার সাথে কথা বলছি। রাফি আমাকে দেখে বললো।
রাফি/: ভাই কেমন আছেন।
আমি/: আমি ভালো আছি। তুই কেমন আছিস। সাথে আর কেউ আসছে।
আসলে গতকাল রাতে, আমার বিকাশ থেকে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিছি। সেটা আপনাদের বলতে মনে নেই।
রাফি/: আমরা পাঁচ জন এসেছি। বাকিরা যে যার কাজ নিয়ে আছে। কেউ বাবার অফিস দেখাশোনা করে, কেউ ব্যবস্যা ধরছে। কেউ আবার বড় বড় অফিসে কাজ করে। সেটা তো আপনি ব্যবস্থা করে দিছেন। আমি বাবার অফিস দেখাশোনা করতাম, হঠাৎ ব্যবসায় লচ হয়ে যায়। তাই এতো দিন বেকার ঘুরা ঘুরি করছি। আর আমার হাতের লোক রুমে আছে।
আমি/: ঠিক আছে, এখন ভিতরে চল। খাওয়া দাওয়া করছিস।
রাফি): না,এখনি করি নাই। খালা বলছে খাওয়ার জন্য, কিন্তু আপনার জন্য অপেক্ষা করছি আমরা। একসাথে খাবো বলে।
আমি/: তুই তো জানিস, আমি দুপুরের খাবার ঠিক টাইমে খাই না। আমি খালাকে বলে গেছি, তোরা আসলে খাবার দিতে।
রাফি/: ভাই পরে কথা বলবো। আগে আপনি ফ্রেশ হয়ে নেন। খাবার খেয়ে তার পর কথা হবে।
আমি/: ঠিক আছে, তুই তোদের রুমে যা। আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
এ বলে আমি রুমে চলে আসলাম। ফ্রেশ হয়ে তাদের ঠেকে একসাথে খাবার খেতে লাগলাম। হঠাৎ রাফি বলল।
রাফি/: ভাই , আজ এক বছর পর আপনার সাথে বসে খাবার খাচ্ছি।
আমি/: এখন থেকে নিয়মিত খাবি। আমি একটা কাজে এই জায়গায় শিক্ষক হিসেবে আসছি। কাজটা শেষ হলে , নিজের বাসায় ফিরে যাবো।
রাফি/: কি কাজ ভাই।
আমি/: সেটা সময় হলে জানতে পারবি। এখন খাবার খা। আর তোর কাছে নাজিমের নাম্বার আছে।
রাফি/: আছে ভাই।
আমি/: ওকে ফোন করে বলবি , আমার সাথে দেখা করতে। তাকেও লাগবে, আমার কাজে।
রাফি/: ঠিক আছে ভাই। আমি ওকে ফোন করে দেখা করতে বলবো।
তার পর খাবার খেয়ে নিজের রুমে চলে আসলাম।
পরের দিন সকালে কলেজে ঢুকে দেখি আজকে জীবন কে দেখা যাচ্ছে না। আমি একটা মুচকি হাসি দিয়ে কলেজের ভিতরে যেতে লাগলাম। হঠাৎ কোথায় থেকে প্রেমা আমার সামনে এসে বললো।
প্রেমা/: স্যার একটা কথা শুনছেন।
আমি/: কি কথা।
প্রেমা/: গতকাল কারা যেনো, জীবন কে মেরেছে। এখন ও হাসপাতালে আছে। মনে হয় না দুই তিন মাসের মধ্যে সুস্থ হবে। এ কথা শুনে কলেজের সব ছাএ ছাত্রী অনেক খুশি হয়েছে। তবে আরেক টা খুশির সংবাদ আছে।
আমি/: আবার কি খুশির সংবাদ।
প্রেমা/: যারা জীবন কে মেরেছে। তারা শুনছি মাফিয়ার লোক। জীবনের গায়ের ওপর একটা কাগজে লিখে দিছে। মাফিয়া ইজ বেগ। আপনি ঠিকই বলছেন। মাফিয়া যদি বেঁচে থাকলে, অবশ্যই ফিরে আসবে। আপনার কথা সত্যি হয়েছে।
আমি /: তাহলে তো ভালোই। এখন জীবনের ভাই রনি কি করছে।
প্রেমা/: আমি শুনেছি, রনি নাকি মাফিয়ার কথা শুনে, ভয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসছে না।
আমি/: তাহলে ওই মাফিয়া কে সবাই ভয় পায়।
প্রেমা/: হুম স্যার। আমার অনেক ইচ্ছে। ওই মাফিয়া কে একটা বার দেখবো। কিন্তু কি করে দেখবো। এখনো কেউ ওনাকে দেখতে পায়নি।
আমি/: হয়তো নিজের কোনো সমস্যার কারণে সামনে আসে না।
প্রেমা/: আচ্ছা এসব কথা বাদ দেন। আমার কথায় এখন কি ভাবছেন।
আমি/: মাএ তো আজকে একদিন। এখনো কালকের দিন সময় আছে। তার পরে না জানাবো।
প্রেমা/: ঠিক আছে। আপনি এখন ক্লাসে যান। আমি বান্ধবীদের সাথে আসছি।
আমি/; ঠিক আছে।
এ বলে আমি প্রিন্সিপাল স্যার এর কেভিনে অনুমতি নিয়ে ঢুকলাম। তখন প্রিন্সিপাল স্যার বললো।
প্রিন্সিপাল/: রাসেল তুমি এসেছো। আজকে আমি অনেক খুশি। ওই জীবন জানোয়ার কে কারা যেনো গতকাল ডান্স পার্টি থেকে তুলে নিয়ে এসে, মেরে রনির বাসার সামনে ফেলে গেছে।
আমি/: আমি সব শুনেছি স্যার। আমার ছাত্রী প্রেমা আমাকে কলেজে আসার পর বলছে। আর শুনেছি মাফিয়া নাকি ওকে মেরেছে।
প্রিন্সিপাল/: হুম তুমি ঠিকই শুনেছো। ওই মাফিয়া কে একটা বার যদি দেখতাম, তাহলে ওনার পা ধরে সালাম করতাম।
আমি/: আমারো অনেক সখ স্যার। ওই মাফিয়া কে একটা বার দেখার।
প্রিন্সিপাল): তুমি কেনো। এই বাংলাদেশের সবার ইচ্ছে। ওই মাফিয়া কে একটা বার দেখবে। সে মাফিয়া সবসময় মানুষের বিপদে পাশে দাড়ায়। আজ এক বছর পর আবার ফিরে এসেছে।
আমি/: ঠিকই বলছেন স্যার। সবাই ওই মাফিয়ার জন্য দোয়া করবেন। যেনো সফল ভাবে , সব কাজ করতে পারে। তার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।
প্রিন্সিপাল/: কালকে তো শুক্রবার। আমি কালকে ওই মাফিয়ার জন্য মসজিদে মিলাদ পড়াবো। আল্লাহ যেনো ওর মতো ছেলে সবার ঘরে দেয়।
আমি/: ঠিক আছে স্যার। আমি এখন ক্লাসে যাই।
প্রিন্সিপাল/: ঠিক আছে যাও।
আমি প্রিন্সিপাল স্যার কে সালাম দিয়ে কেভিন থেকে বেরিয়ে ক্লাসের ভিতরে চলে গেলাম। ক্লাসের ভিতরে ঢুকে দেখি আজকে সকল ছাত্র ছাত্রী খুশি। আমাকে দেখে সবাই দাঁড়িয়ে সালাম দিলো। তখন আমি সবার উদ্দেশ্যে বললাম।
আমি/: কি ব্যাপার, তোমরা মনে হয় আজকে অনেক খুশি। ( যদিও জানি, তার পরেও ওদের থেকে শুনতে চাই)
হঠাৎ রোজা দাঁড়িয়ে বললো।
রোজা/: স্যার সবাই খুশি এর কারণ। জীবন হাসপাতালে আছে। তাকে কারা যেনো মারছে।
মিম/: স্যার ওর মতো জানোয়ার কে বাঁচিয়ে রেখে ভুল করছে। এখন যদি সুস্থ হয়ে আমাদের সাথে আবার অসভ্যতামি করে।
রোজা/: স্যার মিম ঠিকই বলেছে। তার পরেও আমাদের ভিতর ভয় কাজ করছে।
সবাই আমাকে নানা ভাবে বুঝিয়ে কথা বলছে। তখন আমি তাদের উদ্দেশ্য করে বললাম।
আমি/: আমার কথা শুনো। মাফিয়া একবার মাফ করে দিলে, দ্বিতীয় বার মাফ করে না। আমি মানুষের কাছ থেকে শুনেছি। সে মাফিয়া ঠান্ডা মাথায় কাজ করে। তোমরা কোনো চিন্তা করো না। মাফিয়া যখন ফিরে এসেছে। তাহলে কেউ তোমাদের কিছু করতে পারবে না।
প্রেমা/: আপনার কথা যেনো ঠিক হয়। আমিও জীবন কে মারার কথা প্রথমে খুশি হয়েছি। পরে ভাবলাম, ওতো এখনো বেঁচে আছে। যদি সুস্থ হয়ে আমাদের সাথে খারাপ কিছু করে।
আমি/: ওটা নিয়ে চিন্তা করো না। আল্লাহ সবসময় তোমাদের পাশে আছে। শুধু ওই মাফিয়ার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে বলবে, আল্লাহ ছাড়া কেউ যেনো ওই মাফিয়ার ক্ষতি করতে না পারে।
সবাই একসাথে/: ঠিক আছে স্যার ।
তার পর পড়া শুরু করলাম। আজকে তাদের খুশি দেখে তাড়াতাড়ি ক্লাস শেষ করে বাহিরে চলে আসলাম।
কলেজ ছুটি হওয়ার পর বাইকের কাছে আসার পর প্রেমা আমার সামনে আসলো। তখন আমাকে বললো।
প্রেমা): তুমি আমাকে একটু বাসার সামনে নামিয়ে দিবে। আজকে আমি গাড়ি নিয়ে আসি নাই।
আমি/: প্রেমা তোমার ব্যবহার হঠাৎ চেন্জ হয়ে গেল কেনো। আমি তোমার স্যার, সেটা কি তুমি জানো না।
প্রেমা/: আমি আর পারবো আপনাকে আপনি করে বলতে। আমি এখন থেকে তুমি করে বলবো।
আমি/: প্রেমা তুমি কি চাও, আমি এই কলেজ থেকে চলে যাই।
প্রেমা/: না এটা আমি চাই না।
আমি/: তাহলে আমাকে সম্মান দিয়ে কথা বলবে। কলেজের সব ছাএ ছাত্রী যে ভাবে কথা বলে। তুমিও আমার সাথে সে ভাবে কথা বলবে।
প্রেমা/: দূর স্যার, আমি আপনার সাথে এতোক্ষণ মজা করছি। আমি চেয়েছি, আপনাকে তুমি করে বললে আপনি কেমন রিয়েক্ট করেন।
আমি/: আমি কি তোমার ছোট, যে আমার সাথে মজা করবে। এমন মজা আর কখনো করবে না।
প্রেমা/: সরি স্যার, আমার ভুল হয়ে গেছে।
আমি/: ইটস ওকে ।
প্রেমা/: প্লিজ স্যার, আমাকে একটু বাসার সামনে নামিয়ে দেন। আমার গাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে।
আমি/: ঠিক আছে চলো। কিন্তু কোনো দুষ্টুমি করতে পারবে না।
প্রেমা/: ঠিক আছে করবো না।
আমি বাইকে উঠার পর প্রেমা উঠলো। তখন আমাকে বললো।
প্রেমা/: স্যার আমি তো কখনো বাইকে উঠি নাই। এখন তো আপনাকে ধরতে হবে।
আমি/: ঠিক আছে, তুমি আমার গাড়ে হাত দাও।
আমার কথা মতো প্রেমা আমার গাড়ে হাত রাখলো। প্রেমার হাত গাড়ে দেওয়ার পর শরীর দিয়ে হঠাৎ বিদ্যুৎ বয়ে গেছে। এই প্রথম কোনো মেয়েকে বাইকে করে নিয়ে যাচ্ছি। আমি বাইক চালাতে লাগলাম। তখন প্রেমা বললো।
প্রেমা/: স্যার আপনার আব্বু কি করে।
আমি/: সেটা জেনে তুমি কি করবে।
প্রেমা/: এমনে জিগ্গেস করলাম আর কি। বলুন না স্যার।
আমি/: আমার আব্বু কিছুই করে না। বড় বোন তার জামাইয়ের সাথে থাকে। আমার টাকা দিয়ে আব্বু আম্মু চলে।
আমি মনে মনে বললাম। আমার বাবার যা কিছু আছে। তার দশ ভাগের এক ভাগ তোমার বাবার নেই।
প্রেমা/: ওহ। আপনার অনেক কষ্ট হয় । না স্যার।
আমি/: আমার কোনো কষ্ট হয় না। আল্লাহ দিলে মা বাবাকে নিয়ে আমি অনেক সুখে আছি।
প্রেমা মনে মনে বলে। তাহলে আমাকে বিয়ে করে নাও। আমাকে বিয়ে করলে , তোমার কোনো কিছুর অভাব থাকবে না।
প্রেমা/: ওহ। স্যার আমার বাসা চলে আসছে। এটাই আমাদের বাসা।
আমি বাইক তাদের বাসার সামনে দাঁড় করালাম। প্রেমা বাইক থেকে নেমে বললো।
প্রেমা/: স্যার আমাদের বাসায় আসুন।
আমি/: আজকে যাবো না। অন্য একদিন যাবো।
প্রেমা/: এটা কেমন করে হয়। বাসার সামনে থেকে চলে যাবেন।
আমি/: রাগ করো না। আরেক দিন ঢুকবো বাসার ভিতরে। আমার বাসায় একটু কাজ আছে।
প্রেমা/; কাজ থাকলে তো আর জোর করা যাবে না। তবে আমার একটা রিকোয়েস্ট রাখবেন।
আমি/: কি রিকোয়েস্ট বলো।
প্রেমা/: আপনি একটু চোখ টা বন্ধ করুন।
আমি/: ঠিক আছে করলাম।
আমি চোখ বন্ধ করার পর প্রেমা এমন কিছু করবে। সেটা আমি কখনো দেখিনি।
গরুতে করে হাল চাষ, ছাগলে করে নষ্ট। অসৎ করে খারাপ কাজ, সৎ এ পায় কষ্ট। ছাগলের মুখ মানেনা বাধা, মানেনা কোনো নিষেধ। সে করবে পরের ক্ষতি, এটাই তার বিবেক।
সকাল বেলার সোনালী আলো, এক মনটা অনেক ভালো। কিচির মিচির ডাকছে পাখি, খুলে দেখো তোমার আঁখি। শুভ হোক আজকের দিন...
*
*
*
*
* চলবে
*
*
*
* তো কেমন হয়েছে জানাবেন। ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই লাইক এবং কমেন্ট দিয়ে পাশেই থাকবেন।
*
*
* ধন্যবাদ সবাইকে পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন 🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿 রোমান্টিক গল্প লেখক রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿