একটা দামী বাইক, গায়ে পুল হাতার একটা সাদা শার্ট, পরনে একটা কালো রঙের পেন্ট, নিয়ে কলেজের ভিতরে একটা ছেলে প্রবেশ করলো। দেখতে হিরোর মতো। কলেজের সকল ছাত্র ছাত্রী এক দেনে তাকিয়ে আছে।
ছেলেটা বাইক পার্কিং করে কলেজের ভিতরে ঢুকে প্রিন্সিপাল স্যার এর অফিস রুমে অনুমতি নিয়ে ঢুকলো, । প্রিন্সিপাল স্যার এর রুমে গিয়ে একটা চেয়ারে বসলো।
হুম ঠিকই ধরেছেন এই ছেলেটা আর কেউ নয়। আমিই। আজ থেকে এই কলেজে শিক্ষকতা করবো। আর পরিচয় জানা লাগবে না, শুধু নাম টা জেনে রাখুন। আমি রাসেল। বাকিটা গল্পের সাথে থাকুন সব জানতে পারবেন।
আমি): আসসালামুয়ালাইকুম স্যার কেমন আছেন।
প্রিন্সিপাল স্যার/; আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তুমি কেমন আছো রাসেল।
আমি/: আমি ভালো আছি স্যার।
প্রিন্সিপাল স্যার/: ঠিক আছে, চলো আমার সাথে। তোমাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিই।
আমি/: ঠিক আছে চলুন।
আমি আর প্রিন্সিপাল স্যার রুম থেকে বেরিয়ে অনার্স প্রথম বর্ষের ক্লাস রুমে আসলাম। সকল ছাত্র ছাত্রী প্রিন্সিপাল স্যার কে দেখে দাঁড়িয়ে গেলো। তার পর প্রিন্সিপাল স্যার বলতে লাগলো।
প্রিন্সিপাল স্যার/: ওনি হচ্ছে রাসেল। তোমাদের ইংরেজি নতুন শিক্ষক। (বাস্তবে গোড়ার ডিম ও জানি না ইংলিশ) । তোমরা সবাই ওনার সাথে পরিচয় হয়ে নিবে। এবং সবাই ভালো ব্যবহার করবে।
সবাই একসাথে বললো/ ওকে স্যার।
প্রিন্সিপাল স্যার আরো কিছুক্ষণ কথা বলে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেল। আমি একজন একজন করে পরিচয় নিতে লাগলাম। হঠাৎ একটা মেয়ে ক্লাস রুমের দরজা দাঁড়িয়ে বললো।
মেয়েটা/: ভিতরে আসতে পারি স্যার।
আমি/: হুম আসুন।
আমি না দেখে মেয়েটাকে বললাম আসুন। পরে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আমি তো অবাক হয়ে গেলাম। দেখতে চাঁন্দের মতো সুন্দর। এবার আমি মেয়েটাকে বললাম।
আমি/: তোমার নাম কি। আর কলেজে আসতে দেরি কেনো।
মেয়েটা/: স্যার আমার নাম প্রেমা ( গল্পের নায়িকার নাম, আবার কেউ বাঁশ থুক্কু ক্রাশ খাইয়েন না) আসলে বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে আসতে হঠাৎ রাস্তার মাঝখানে গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়, তার পর রিকশা নিয়ে আসতে দেরি হয়ে যায়।
আমি/: ঠিক আছে। তোমার সিটে গিয়ে বসো।
প্রেমা আর কোনো কথা না বলে একটা মেয়ের সাথে গিয়ে বসলো। আমি আবার পরিচয় নেওয়া শুরু করলাম। সবার পরিচয় নেওয়ার সময় প্রেমার দিকে তাকিয়ে দেখি, প্রেমা আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
আমি প্রেমার দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিলাম। আজকে সবার কাছ থেকে পরিচয় নিয়ে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেলাম। সবাইকে বলছি কালকে থেকে নিয়মিত ক্লাস করাবো।
কলেজ ছুটি হওয়ার পর বাইক নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় বলতে আমি এখানে একটা প্লাট নিয়ে একা থাকি। আমার কাজের সুবিধার জন্য।
বিছানায় বসে আম্মুকে ফোন দিলাম।
আমি/: আসসালামুয়ালাইকুম আম্মু কেমন আছো।
আম্মু/: ওয়ালাইকুম আসসালাম, আলহামদুলিল্লাহ বাবা ভালো আছি। তুই কেমন আছিস।
আমি/: আমিও ভালো আছি। আব্বু কি অফিসে।
আম্মু/: হুম, তোর অফিসে আছে।
আমি/: আপু কি ফোন দিয়েছে। আপু কেমন আছে।
আম্মু/: হুম, সকালে এক বার দিয়েছে। কিছুদিন পর ওর জামাই সহ আসবে।
আমি/: আচ্ছা ঠিক আছে আম্মু। তুমি ভালো থেকো। নিজের শরীরের যন্ত নিও, খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো করো। আমি মাএ কলেজ থেকে আসলাম। ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে একটু রেস্ট নিবো।
আম্মু/: ঠিক আছে বাবা, তাহলে রাখি।
আম্মু এ বলে ফোন কেটে দিলো। আমি বসে না থেকে ওয়াস রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে একটা ঘুম দিলাম।
আমার খাবার রান্না করার জন্য একজন খালাকে বাসায় রেখেছি। ওনার পাক পুরো আম্মুর রান্নার মতো।
বিকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে, বাহিরে চলে গেলাম হাঁটতে। একটা পার্কে বসে চার দিকে তাকিয়ে দেখতে লাগলাম। হঠাৎ কেউ একজন পিছন থেকে বললো।
প্রেমা/: আরে স্যার , আপনি এখানে কি করছেন।
আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি প্রেমা, সাথে আরো দুইটা মেয়ে আছে। তারা সবাই আমার ছাত্রী। তখন আমি বললাম।
আমি/: এমনে আসলাম, একটু ঘুরতে । তা তোমরা পার্কে কি করো।
প্রেমা/: স্যার , আপনার মতো আমরাও ঘুরতে আসলাম।
আমি/: ওহ।
প্রেমা/: স্যার কিছু মনে না করলে একটা কথা বলতে পারি।
আমি/: বলো , সমস্যা নেই।
প্রেমা/: স্যার আমি কি কখনো প্রেম করছেন। মানে আপনার কোনো গার্লফ্রেন্ড আছে।
আমি/: না হ, আমি কখনো প্রেম করি নাই। আর করার কোন ইচ্ছে নেই।
প্রেমা/: কেনো স্যার।
আমি/: এসব প্রেম ট্রেম আমার কাছে ভালো লাগে না। প্রেম করলে , একবারে বিয়ের পর বউয়ের সাথে প্রেম করবো।
প্রেমা/: স্যার আপনার বাসা কোথায়। পরিবারে কে কে আছে।
আমি/: তুমি এতো কিছু জেনে কি করবে।
প্রেমা/: ওমা , আপনি আমাদের স্যার। আপনার পরিচয় টা কি জানতে পারি না।
আমি/: আমার নাম রাসেল। পরিবারে আব্বু আম্মু এবং একটা বড় বোন আছে। তার বিয়ে হয়ে গেছে।
প্রেমা/: আমার নাম তো জানেন। আমার বাবা একজন বাংলাদেশের টপ বিজনেস ম্যান। আমি তার একমাত্র মেয়ে। আমার সাথে আমার বান্ধবী মিম এবং রোজা।
আমি/: খুব ভালো লাগলো পরিচয় হয়ে।
মিম/: স্যার কিছু মনে না করলে, আমাদের সাথে এক কাপ কফি খাবেন।
আমি/: খেতে পারি। কিন্তু বিল আমি দিবো।
রোজা/: স্যার বিল আমরা দিবো।
আমি/: তা হয় না। তোমরা আমার ছাত্রী। আমি কি করে তোমাদের বিল দিতে দিই।
প্রেমা/: ঠিক আছে স্যার। বিল আপনি দিয়েন। এখন চলুন।
আমি/: ঠিক আছে চলো।
তার পর ওদের সাথে একটা কপি সপে গিয়ে বসলাম। প্রেমা কফির ওয়াডার দিলো। কিছুক্ষণ পর কফি চলে আসলো। তাদের সাথে কফি খেয়ে , বিদায় নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। বিলটা কিন্তু আমি দিছি।
পরের দিন কলেজে ঢুকে দেখি কিছু ছেলে মেয়েদের ডিস্টাব করছে। আমি বাইক পার্কিং করে তাদের সামনে গেলাম। তখন আমি বললাম।
আমি/: এখানে কি হচ্ছে। মেয়েদের সাথে তোমরা এরকম করছো কেন।
তখন একটা ছেলে বললো।
ছেলে): সেটা কি তোকে বলতে হবে।
আমি/: বড়দের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয়, বাপ মা কি কিছুই শেখাই নাই।
ছেলেটা/: তুই কেরে । তোর সাথে সম্মান দিয়ে কথা বলতে হবে। তুই আমাকে চিনিস। আমি হচ্ছি এই এলাকার নেতার ভাই জীবন। আমার ভাইয়ের কথায় পুরো কলেজ চলে। এই এলাকার এমপি মন্ত্রী আমার ভাইয়ের কথায় উঠে আর বসে।
আমি): তাই বলে তুমি, এভাবে মেয়েদের উড়না নিয়ে খেলা করবে।
জীবন/: আমি সবকিছু করতে পারি। আর তুই কে, আমার সাথে এতোক্ষণ কথা বলছিস। কলেজের প্রিন্সিপাল আমাদের কিছু বলতে সাহস পায়না।
আমি/: আমি হচ্ছি , এই কলেজের নতুন শিক্ষক। গতকাল জয়েন্ট করছি।
জীবন/: তুই শিক্ষক, শিক্ষকের মতো থাক। আমাদের কিছু বলতে আসবি না। আবার যদি আসিস, তাহলে তোকে মেরে , এই কলেজ থেকে বের করে দিবো।
আমি আর কোনো কথা না বলে, তাদের ওখান থেকে চলে আসলাম। মেয়ে গুলো আমার দিকে কেমন করে যেন তাকালো। হঠাৎ প্রেমা আমার সামনে এসে বললো।
প্রেমা/: স্যার , আপনি ওদের সাথে কথা বলবেন না। এরা অনেক খারাপ।কেউ ওদের কিছু বলতে গেলে, হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
আমি/: তাই বলে কেউ , তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারবে না।
প্রেমা/: কারো কিছু করার নেই। সবাই মুখ বুজে সহ্য করে নেয়।
আমি/: ঠিক আছে। তুমি ক্লাসে যাও।
প্রেমা/: ঠিক আছে স্যার।
আমি আর কোনো কথা না বলে প্রিন্সিপাল স্যার এর রুমে অনুমতি নিয়ে গেলাম। তখন আমি প্রিন্সিপাল স্যার কে বললাম।
আমি/' আচ্ছা স্যার , বাহিরে কিছু ছেলে দেখলাম। মেয়েদের সাথে অসভ্যতামি করছে। কিন্তু কেউ তাদের কিছু বলছে না। এটার মানে কি।
প্রিন্সিপাল স্যার/: তুমি জীবনের কথা বলছো। এই এলাকার সবাই তার ভাইকে ভয় পায়। অনেক গুলো খুনের আসামি তার ভাই। কিন্তু আইন তার কিছুই করতে পারছে না। কারন ওর ভাই সবাইকে হাত করে রেখেছে।
আমি/: তাই বলে, সবাই ওদের অন্যায় অত্যাচার সয্য করবে। মানুষ কি সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে পারবে না।
প্রিন্সিপাল স্যার/: আমাদের কিছুই করার নেই। রনি নেতাকে সবাই এক নামে চিনে। তার ভয়ে মানুষ ঘর থেকে বাহির হয় না। প্রতিদিন দুই একটা খুন করে রাস্তায় ফেলে রাখে।
আমি/: ঠিক আছে স্যার , আমি তাহলে ক্লাসে যাই।
প্রিন্সিপাল স্যার/: যাও, তবে তাদের সাথে বেশি কথা বলো না। ওরা মানুষ না, ওরা একেক জানোয়ার।
আমি/: ঠিক আছে স্যার।
আমি আর কোনো কথা না বলে ক্লাস রুমে চলে আসলাম। সবাই দাঁড়িয়ে আমাকে সালাম দিলো। সবার সালাম এর উত্তর নিয়ে সবাইকে বসতে বললাম।
তার পর সবাইকে পড়াতে শুরু করলাম। কিন্তু তাদের পড়াতে পারছি না। শুধু আজকের কথা গুলো মাথায় ঘুরছে। আমাকে কিছু একটা করতে হবে। তা না হলে এদের জন্য মানুষ সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে পারবে না।
কোনো রকম ক্লাস টা শেষ করে বেরিয়ে আসলাম।
দেখতে দেখতে একটা মাস চলে গেল। তাদের অসভ্যতামি আরো বেড়ে গেছে। না অনেক ধৈর্য ধরেছি, আর না, ভেবেছি এই পদ টা ছেড়ে দিবো। কিন্তু না , দেশে আরো কিছু ময়লা আবর্জনা ভরে গেছে।
এদের নিপাত না করে আমি ছাড়বো না। যে রাসেল এর নাম শুনলে এমপি মন্ত্রী সব ভয়ে পেয়ে যায়। সেই দেশে আবার পাতি নেতা ভরে গেছে। এগুলো পরিস্কার করতে হবে।
অস্ত্র জমা দিয়েছি, কিন্তু ট্রেনিং এখনো জমা দিই নাই। আমাকে আর ভালো হয়ে থাকতে দিলো না। আবার আগের মতো সব কিছু শুরু করতে হবে।
রাতে বিছানায় বসে আমার আগের সিম টা চালু করলাম। প্রথমে রাফি কে ফোন দিলাম। রাফি ফোন ধরে বললো।
রাফি): আসসালামুয়ালাইকুম ভাই কেমন আছেন। অনেক দিন পরে ফোন দিলেন। আপনার নাম্বারে অনেক ফোন দিছি। কিন্তু ফোন বার বার বন্ধ বলছে।
আমি/: আমি ভালো আছি। ভেবেছি, এই পদ টা ছেড়ে দিবো। কিন্তু দেখি দেশে আবার ময়লায় ভরে গেছে। এখন বল আবদুল্লাহ কোথায়।
রাফি/: ভাই আবদুল্লাহ আমার সাথে ই আছে।
আমি/: ঠিক আছে। তুই আবদুল্লাহ এবং সাথে আরো কিছু লোক নিয়ে """ এই জায়গায় চলে আসবি।
রাফি/: ঠিক আছে ভাই। আর ওই এলাকায় তো আমাদের নাজিম থাকে। আপনি কোনো চিন্তা করবেন না। আমি সময় মতো লোক নিয়ে চলে যাবো।
আমি): তুই আসলে , ওর সাথে কথা বলবো। টাকা পয়সা আছে।
রাফি/: ভাই আসলে। ( তাকে আর বলতে না দিয়ে)
আমি/: ঠিক আছে, তোর বিকাশে টাকা চলে যাবে। তোদের যেনো কেউ না দেখে। সে ভাবে আসবি।
রাফি/: ঠিক আছে ভাই।
আমি ফোনটা কেটে দিয়ে শুয়ে পড়লাম। আর কিছু না ভেবে ঘুমিয়ে পড়লাম।
পরের দিন কলেজে গিয়ে দেখি আগের মতো জীবন মেয়েদের সাথে খারাপি করছে। মাথা ঠান্ডা করে ক্লাসে চলে গেলাম।
কোনো রকম ক্লাস শেষ করে বাহিরে আসার পর প্রেমা আমার সামনে আসলো। তখন প্রেমা বললো।
প্রেমা/: স্যার আপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
আমি/: কি কথা বলো।
প্রেমা/: চলুন স্যার, কোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে কফি খেতে খেতে কথাটা বলি।
আমি/: ঠিক আছে চলো।
আমি আর প্রেমা কলেজ থেকে বেরিয়ে আসতেই জীবন আমার সামনে এসে বললো।
জীবন/: কিরে , কলেজে শিক্ষকতা করতে এসে। ছাত্রীকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছিস।
আমি/: আমাদের পথ ছাড় বলছি।
জীবন/: যদি না ছাড়ি, তাহলে তুই কি করবি। (আমার কলার ধরে। )
আমার মাথা গরম হয়ে গেল। তখন প্রেমা বললো।
প্রেমা/: স্যার ওদের সাথে কথা বলে লাভ নেই। আপনি চলুন।
জীবন/: কেনো রে। আমরা কি ভালো না। একবার আমাদের সাথে বিছানায় যাস। দেখবি আমরা অনেক ভালো খেলতে পারি।
প্রেমা/: তোরা কি জীবনে মানুষ হবি না। মেয়েদের সাথে এভাবে কথা বলতে তোর লজ্জা করছে না।
জীবন/: আরে আমার লজ্জা থাকলে তো করবে। আমার কোনো লজ্জা নেই।
প্রেমা): স্যার, আপনি চলুন তো।
আমি আর কোনো কথা না বলে একটা রেস্টুরেন্টে চলে গেলাম। রেস্টুরেন্টে ঢুকে একটা টেবিলে গিয়ে বসলাম। তখন আমি বললাম।
আমি): বলো কেনো নিয়ে আসলে আমাকে। কি কথা বলবে।
প্রেমা/: আগে কফির ওয়াডার দিয়ে নিই।
প্রেমা একজন ওয়েটার কে ডাক দিলো। দুই টা কফির ওয়াডার দিলো। তখন প্রেমা বললো।
প্রেমা/: এখন তো দুপুরের খাবার এর টাইম। খাওয়া দাওয়া করে নিবেন।
আমি/: না , এখন খাবার খাবো না। আমি খাবার একটু দেরি করে খাই।
প্রেমা/: স্যার, আপনি জানেন, বাংলাদেশে একজন মাফিয়া ছিলো। তার ভয়ে সব নেতারা প্রস্রাব করে দিতো। কিন্তু ওনাকে কেউ সামনাসামনি দেখে নাই। ওনি দেশে সবসময় ভালো কাজ করতেন। কিন্তু গত এক বছর ধরে ওনার কাজ কেউ দেখে না। ওনি কি আছেন, নাকি মরে গেছেন। তা কেউ বলতে পারবে না। সে জন্য এসব দেশের এই অবস্থা, রাস্তা ঘাটে মেয়েরা এবং অন্যান্য মানুষ ঠিক ভাবে চলাফেরা করতে পারে না। ওনি যদি আবার ফিরে আসতেন। তাহলে এসব গুন্ডারা ভয়ে এসব খারাপি ছেড়ে দিতো।
আমি প্রেমার কথা শুনে মনে মনে বলতে লাগলাম। সে মানুষ টা যে আমি। তুমি আমাকে চিনতে পারো নাই। তুমি তো দুরের কথা, এখনো বাংলাদেশের মানুষ চিনতে পারে নাই। তখন আমি বললাম।
আমি/: যদি বেঁচে থাকে। তাহলে অবশ্যই তিনি ফিরে আসবে। আমার মন বলছে, ওনি এখনো বেঁচে আছে। খুব শীঘ্রই এসব ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করবে।
প্রেমা/: তাই যেনো হয় স্যার। আমরা রাস্তা ঘাটে, ওদের জন্য ঠিক ভাবে চলাফেরা করতে পারি না।
আমি/: হুম। এবার বলো আমাকে কেনো ডেকেছো।
প্রেমা/:
তার পর প্রেমা যেটা বললো। আমি তো অবাক হয়ে গেলাম। এটা কি করে সম্ভব। তাহলে তো আমার কাজ করতে অসুবিধা হবে। না না এটা আমি পারবো না।
- কাউকে ঠকিয়ে হয়তো ক্ষনিকের সুখ।
পাওয়া যায়.।- আজীবন সুখে থাকা যায় না.।
- সময় একদিন বুঝিয়ে দিবে।
- কাকে খুঁজতে গিয়ে কাকে হারিয়ে ফেলেছো।
*
*
* চলবে
*
*সাড়া পেলে পরবর্তি পর্ব লিখবো। রানিং গল্পের পরে।
*
* তো কেমন হয়েছে জানাবেন। ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি গল্প লিখি আমার মনের অনুভূতি থেকে বাস্তবের সাথে কোনো মিল নেই। সবাই লাইক এবং কমেন্ট দিয়ে পাশেই থাকবেন।
*
*
* গল্প//;:ছদ্মবেশী মাফিয়া যখন কলেজ শিক্ষক।
*
* লেখক/::: রাসেল চৌধুরী
*
* :::::::::::::::: সূচনা পর্ব:::::::::::::
*
*
* ধন্যবাদ সবাইকে পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন 🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿 রোমান্টিক গল্প লেখক রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿