গল্পঃ #সিনিয়র_আপু_যখন বউ। লেখক: #আবির_মাহমুদ শান্ত। পর্ব - ০৬ -️ ️[Love♥️Story]

 


গল্পঃ #সিনিয়র_আপু_যখন বউ।

লেখক: #আবির_মাহমুদ শান্ত।

পর্ব - ০৬ -️ ️[Love♥️Story]


রিমঝিম আপু ঘুমিয়ে আছে ৷

চোখের নিচে কালো দাগ পরে গেছে সারা রাত হয়তো ঘুমায় না ৷৷ 

আমি চুপচাপ গিয়ে রিমঝিম আপুর পাশে শুয়ে পরলাম ৷


একটু পর রিমঝিম আপুর ঘুম ভেংগে গেলো ৷ 

আমার দিকে এক ভাবে তাকিয়ে আছে ৷ কিছু বলতে যাবে ৷ তার আগেই রিমঝিম আপুর গোলাপি ঠোঁট দুটোর সাথে আমার ঠোঁট এক করে দিলাম ৷


রিমঝিম আপু ছটফট করতে লাগলো ৷ কিন্তু আমি ছারবার পাত্র নই ৷

কিছুক্ষন পর রিমঝিম আপু চুপচাপ হয়ে গেলো ৷

তখন রিমঝিম আপুকে ছেরে দিলাম ৷ রিমঝিম আপুকে ছেরে দেওয়ার সাথে সাথে 

ঠাস......!! দিলো এর কি😔


--তোর সাহস কেমন করে হয় আমাকে কিস করার আর তুই এখানে কি করছিস ? (রিমঝিম আপু)


* চুপ (আমি)


--কি হলো কথা বলছিস না কেনো এখানে কি করছিস ? (রিমঝিম আপু)


--আমার বউয়ের কাছে আমি আছি কার কি ৷ (আমি)


--বউ মানে ? (রিমঝিম আপু)


--বউ মানে বউ ৷ (আমি)


--আমি কারো বউ না ! (রিমঝিম আপু)


--ওহ তাহলে তুমি আমাকে ভালোবাস না ৷ (আমি)


--না ,, আমি রনিকে ভালোবাসি ৷ (রিমঝিম আপু)


* কি মেয়েরে বাবা এতো রাগ আর অভিমান ৷ (মনে মনে আমি)


--ওহ আচ্ছা ঠিক আছে। (আমি)


--আমি তো ভাবছিলাম তুমি আমাকে ভালোবাস। কিন্তু তুমি যখন আমাকে ভালোবাস না তাহলে কি আর করার । আমি দিশার কাছে যাই মেয়েটা কি ভালো রাগ করে না । প্রতিদিন একটা করে কিস দেয় (ওকে রাগানোর জন্য বললাম আমি)


--কি বললি ! দিশা তোকে কিস দেয় এত বড় সাহস ওর ৷ (রিমঝিম আপু)


--তুমি রাগ করছো কেনো ? তুমি তো আমাকে ভালোবাস না ৷ (আমি)


রিমঝিম আপু আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে কিছু বলছে না ৷ তারপর উল্টো দিক হয়ে শুয়ে পড়লো ৷

আমি পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম ৷ 

রিমঝিম আপু নিজেকে ছারা বার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না ৷


--এত রাগ কোথা থেকে আসে তোমার। আমি জানি তুমিও আমাকে ভালোবাস । তোমার আব্বু আর ভাইয়া আমাকে সব বলেছে বুঝলা ঢং করে লাভ নাই ৷ (আমি)


আমি রিমঝিম আপুকে ছেরে দিলাম ৷ 


--কি হলো কথা বলবা না। ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি (আমি)


রিমঝিম আপু আমার দিকে ঘুরে আমাকে জড়িয়ে ধরলো ৷


--খুব ভালোবাসি তোকে নিজের থেকেও বেশি কেন বুঝিস না তুই ? (কান্ন করতে কর‍তে রিমঝিম)


--তুমি তো আমাকে বলছিলা তোমার আর রনির বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে!! (আমি)


--সেটা তো তোর মুখ থেকে শুনার জন্য যে তুই আমাকে ভালোবাসিস । ওটা শুধু একটা নাটক ছিলো৷ (রিমঝিম আপু)


--জানো যেদিন রনি আমাকে বললো যে তোমাদের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে সেদিন মনে হচ্ছিল সারাজীবনের জন্য কিছু একটা হারিয়ে যাচ্ছে ৷ খুব কষ্ট হয়েছিলো সেদিন । (আমি)


--তাহলে বললি না কেনো? ( রিমঝিম আপু)


--যদি তুমি ছেরে চলে যেতে ৷ (আমি)


রিমঝিম আপু আমাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো ৷


--কোনোদিন তোকে যেতে দেবো না ৷

তুই চাইলেও না ৷ (রিমঝিম আপু)


--ওহ তাই বুঝি ! (আমি)


--হুম তাই ৷ আব্বু কি বললো? (রিমঝিম আপু)


--তোমার আমার বিয়ে ঠিক করছে ৷ (আমি)


--সত্যি (রিমঝিম আপু)


--হুম । এখন একটা কিস দেও ৷ (আমি)


--না বিয়ের পর দিবো ৷ (রিমঝিম আপু)


--ঠিক আছে আমি দিশার কাছে যাই ওর ঠোঁট দুটো কি মিষ্টি ৷ (আমি)


--কি বললি দিশা তোকে কিস করছে ৷ কই কিস করছে বল ৷ (রিমঝিম আপু)


--আমার ঠোঁঁটে!! (আমি)


রিমঝিম আপু তার ঠোঁটের সাথে আমার ঠোঁট এক করে দিলো ৷ অনেক্ক্ষণ পর ছেরে দিলো ৷


--তোর ঠোঁটে শুধু আমার ছোয়া থাকবে আর কারো না আর ওই মেয়েকে আজ আমি জেলে দিবো ৷ ( রিমঝিম আপু)


--আরে আরে আমি তো মিথ্যা বলছি দিশার সাথে আমার কিছুই হয় নি ৷ (আমি)


--কুত্তা, বাদর আমাকে কষ্ট দিয়ে ভালো লাগে তোর তাই না ! (রিমঝিম আপু)


--আরে আপু আমি আবার কি করলাম ?(আমি)


--ঠাস,,,,, আপু কাকে বললি ৷ (রিমঝিম আপু)


--সরি সরি সরি আর বলবো না ৷ (আমি)


--হুম মনে থাকে জেনো ৷ (রিমঝিম)


--এখন উঠো চলো খাওয়া দাওয়া তো মনে হয় করো না । শরীরের কি অবস্থা করেছো (আমি)


--না উঠবো না এভাবেই শুয়ে থাকবো ৷ (রিমঝিম)


--আচ্ছা আমি তুমি শুয়ে থাকো আমি নিচে থেকে খাবার নিয়ে আসছি ৷ (আমি)


--লাগবে না । চুপচাপ শুয়ে থাক ৷ (আমাকে জড়িয়ে ধরে)


রিমঝিম আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে । 

আর আমি পুরোনো কথা গুলো মনে করে হাসছি। কি থেকে কি হয়ে গেলো ৷

সময় বড় অদ্ভুত কার কপালে কি লেখা আছে কেউ বলতে পারে না ৷


--আর কতোক্ষন শুয়ে থাকবা এবার তো উঠো সোনা বউ আমার ৷ (আমি)


--বললাম তো উঠবো না ৷ (রিমঝিম)


আমি রিমঝিমকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিলাম তারপর রিমঝিম কে কোলে তুলে নিয়ে নিচে নিয়ে আসলাম ৷ কেউ দেখার আগে নামিয়ে দিলাম ৷


--কিছু খেয়ে নেও প্লিজ! (আমি)


--পারব না খেতে খাইয়ে দে!! (রিমঝিম)


--আচ্ছা দারাও। (আমি)


আমি রিমঝিম আপুর আম্মুকে ডাক দিলাম ৷ একটু পর তিনি আসলেন 

তারপর খাবার বেরে দিলেন ৷


রিমঝিম আপু রুমে চলে গেছে ৷ আমি খাবার নিয়ে রুমে আসলাম ৷ রিমঝিম বসে আছে ৷


--কি হলো চলে আসলা যে ? (আমি)


--এমনি খাইয়ে দেও ৷ (রিমঝিম)


আমি রিমঝিম আপুকে খাইয়ে দিলাম ৷


খাওয়া শেষ করে রিমঝিম আপুকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে বের হলাম ৷ আজ আমি খুব খুশি ৷

কিন্তু আব্বু আম্মু থাকলে আরো ভালো হতো ৷

সন্ধ্যায় রিমঝিম আপুকে বাসায় রেখে চলে আসলাম ৷পরেরদিন সকালে রিমঝিম আপু ফোন দিয়ে তাদের বাসায় ডাকলো ৷

যাওয়ার পর দেখি সবাই বসে আছে ৷


-- আবির রিমঝিম চাইছে তোমাদের বিয়েটা কালকেই হোক ৷ (রিমঝিমের আব্বু)


--কিন্তু আংকেল এত তারাতাড়ি আর আমি তো এখনো পড়ালেখা করি । (আমি)


--সেটা আমিও ওকে বললাম আগে তুমি পাশ করো একটা চাকরি করো। কিন্তু ও কিছুতেই মানতে চাচ্ছে না ৷ (রিমঝিমে আব্বু)


--আংকেল এটা নয় যে রিমঝিম কে বিয়ে করার পর আমি তাকে ভালো ভাবে রাখতে পারবো না । আমার আব্বু আম্মু যা রেখে গেছে তাতে আমি সারাজীবন বসে খেলেও শেষ হবে না ৷ কিন্তু আমি এখন বিয়ে করতে চাচ্ছি না ৷ (আমি)


তখন রিমঝিম আপু সাইডে রাখা ফুল দানিটা ছুরে মারলো দেওয়ালে।


--আমি যখন বলছি কাল বিয়ে হবে তার মানে কালকেই বিয়ে হবে আর বিয়ে না হলে আমি কিছু একটা করে ফেলবো আর তার দায়ি তোমরা হবে ৷ (রিমঝিম)


কথাটা বলেই রিমঝিম আপু উপরে চলে গেলো ৷

সবাই চুপচাপ হয়ে গেলো ৷


--আচ্ছা আংকেল আপনি বিয়ের ব্যবস্থা করুন (আমি)


--তুমি পারবে বাবা আমার পাগলি মেয়েটাকে দেখে রাখতে!!

তোমার কাছে আমরা সারাজীব ঋৃনি হয়ে থাকবো ৷ (রিমঝিমের আব্বু)


আমি উপরে চলে আসলাম ৷ রিমঝিম আপু বেলকনিতে গিয়ে দাড়িয়ে আছে ৷

আমি রিমঝিম আপুকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম।


রিমঝিম আপু আমাকে ও জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করে আর বলে আমি তেকে সত্যি খুব ভালোবাসি।

তুই আমাকে ছেড়ে কোথাও চলে যাস না প্লিজ আমি তোকে ছাড়া এই পৃথিবীতে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে।


আমি ও কাঁদতে থাকলাম আর চিন্তা করলাম যদি আব্বু আম্মু যদি বেঁচে থাকতো তা হলে তারা সত্যি অনেক খুশি হতো যে (রিমঝিম)এর মতো একটা মেয়ে আমার বউ হতে চলেছে।


হঠাৎ করে রিমিঝিম আপু আমাকে বললো -- আচ্ছা আমি না তোকে বলেছিলাম যে এই পৃথিবীতে তুই শুধু আমার।আর আমার সে স্বপ্ন পূরণ হতে চলছ।

কালকে সকালে তো আমাদের বিয়া তাই না। (রিমিঝিম আপু)


তখন আমি একটু মজা করে বললাম....!!


--তোমাকে কে বিয়ে করবে তুমি তো আমার থেকে সিনিয়র আমি এটা করবো না তোমাকে? (আমি)


কথাটা শুনে রিমিঝিম এর চোখ-মুখ লাল হয়ে গেলো যে কি একটা হয়ে গেলো হঠাৎ করে।

তখন আমি একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলতে থাকি......!!


--রিমঝিম তোমাকে রাগলে কিন্তু আরো সুন্দর লাগে। (আমি)


--যা তুই আমার সাথে কথা বলবি না আমি তোর কেউ না আমার কাছে কেন এসেছিস যা চলে যা!! (রিমঝিম-আপু)


--আচ্ছা আমি তোমার সাথে একটু মজা করছিলাম তুমি আমার কে জানো না এই পৃথিবীতে তুমিই আমার সব কিছু। (আমি)


--থাক আর নেকামি করতে হবে নাহ আমি বুজে গেছি তুই সত্যি সত্যি আমাকে ভালোবাসিস না আমি তোকে আমার হৃদয় দিয়ে ভালোবাসি!!(রিমিঝিম-আপু)


--আচ্ছা তুমি বাদ দাও তো এ সব জীবনে অনেক দিন একা কাটিয়েছি হঠাৎ করে তুমি আমার জীবনে এসেছো এখন কি আমি তোমাকে ছেড়ে দিব নাকি! (আমি)


--চলো আমরা এখন নিচে যাই তুমি আমাকে এখন এগিয়ে দিয়ে আসবে আমার এখন চলে যেতে হবে। (আমি)


--না কোথাও যেতে পারবি না সারাজীবন-সারাক্ষণ তুই আমার পাশে থাকবি""(রিমঝিম-আপু)


--আচ্ছা তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না আমি কথা দিচ্ছ! (আমি)


--হুম এই বার ভদ্র ছেলের মতো কথা বলছিস! আচ্ছা আমি আর তুই আজকে সারারাত গল্প করব।(রিমিঝিম-আপু)


--আমি আচ্ছা কালকে তো আমাদের বিয়ে তখন কালকে রাতে আমরা অনেক গল্প করব এখন আমার যেতে হবে জান,তুমি তো বুঝতে পারছো যে আমার আমি একা ছাড়া কেউ নাই আমার তো কিছু কেনা কাটা করতে হবে………!! (আমি)


--নাহ্ তোর কোন কিছু লাগবে না আমার শুধু তুই হলে হবে। (একটা হাসি দিয়ে রিমিঝিম-আপু)


কথা শুনে আমি রিমঝিম কে আবার বুকে জড়িয়ে নিয়ে বলি I love you আমি সত্যি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না।তুমি আমার সব কিছু রিমঝিম!!


--আচ্ছা চল এবার আমরা নিচে যাই আমার খুব খুদা লাগছে। (রিমঝিম)


--হুম চলো তা হলে আমি তোমাকে কোলে করে নিচে নিয়ে যাচ্ছি। (আমি)


--আচ্ছা চল তা হলে। (রিমিঝিম)


কোলে করে নিয়ে হাঁটছি আর বলছি ওহ্ কি যে খাও তুমি এত ওজন কেন??


--কি বললি সয়তান তোর জন্য এখন আমি এত চিকন হয়ে গেছি আর এখন তুই বলছিস আমি মোটা…….(রিমঝিম)


আমরা গল্প করতে করতে নিচে যাই!

ডাইনিং গিয়ে দেখি খাবার রেডি করে রেখেছে রিমঝিম এর আম্মু। আমি রিমঝিমকে আর রিমঝিম আমাকে খাইয়ে দেই আর বিভিন্ন গল্প করতে করতে আমার হঠাৎ করে ঘড়ির দিকে চোখ পড়ে যাই।


ও মা দেখি এখন ৯.৩০ বেজে গেছে আমাকে তো কিছু কেনাকাটা করতে হবে নতুন বউ এর জন্য। 

আমি বললাম আচ্ছা আমরা তাড়াতাড়ি খাবার শেষ করি চলো।খাওয়া শেষ করে আমি রিমঝিম কে বললাম যে আমার একটা ফিক্সড ক্লাইন্ট এর নক করার কথা রয়েছে আমার এখন চলে যেতে হবে।


--তুমি কিছু মনে করো না আমি সকালে তোমার বাসায় চলে আসব এখন আমার একটু যেতে হবে।

(আমি)


--আচ্ছা ঠিক আছে যা কিন্তু তাড়াতাড়ি আসবি কিন্তু তোকে যদি আমার ফোন করা লাগে তা হলে তোর সত্যি সত্যি খবর আছে। (রিমিঝিম-আপু)


--ওকে আমি কাল সকালে তোমার বাসায় চলে আসব তুমি কোন চিন্তা করো না। (আমি)


কপালে একটা চুমু খেয়ে আমি চলে আসলাম যদি ও আপুর একটু মন খারাপ হয়েছে কিন্তু কি বা করার আমার তো কিছু করতে হবে। 

হয়ত ওদের মতো বড়লোক আমি নয়,কিন্তু আমার আব্ব, আম্মু যা রেখে গেছে তা দিয়েই আমার চলে যাবে সারাজীবন রিমঝিম কে নিয়ে!


আমি দ্রুত বাসায় এসে ডয়ার থেকে কিছু টাকা নিয়ে আমি চলে যাই অলংকারের দোকানে শুনছি মেয়েরা নাকি অলংকারে অনেক ভালো দেখায়,আর আমি রিমঝিম কে ও সারাজীবন সুখে শান্তি তে রাখতে চাই।


কিছু গয়না কিনলাম মোটামুটি,বাসায় আসার আগে আব্বু আম্মু কবর টা জিয়ারত করে আসলাম আর তাদের কে বললাম যে তোমরা থাকলে আরো অনেক ভালো হতো কিন্তু তোমরা তো চলেই গেলে আমাকে একা রেখে,


আমার কপাল কেমন আম্মু তুমি ও থাকতে পারতা কিন্তু তা তো আর হলো না।

আমি দোয়া শেষ করেই আবার বাসায় চলে এলাম।


তাড়াহুড়া করতে করতে আমার মোবাইল টা নিতে ভুলে গিয়েছিলাম। দেখি আমার মোবাইলে রিমঝিম অনেক বার কল করছে,এস এম এস ও করছে যে আমার কি হয়েছে,আরো অনেক কিছু।কিন্তু আমি তো আর বসে ছিলাম না,আমি তো ওর জন্য কিছু কিনতে গেছিলাম আমি এসেই কল করি যে ও তো পাগল মেয়ে যদি কিছু করে ফেলে।


তা হলে তো আমি শেষ। কল করি কিন্তু ও রিসিভ করছে না মনে হয় আমার প্রতি ওর অভিমান হয়ছে তার জন্য রিসিভ করছে না।


আচ্ছা এখন আমি কি করি মাথায় তো কাজ করছে নাহ আমি কি এখন ওদের বাসায় যাইবো নাকি কি করব??


অনেক ভেবে চিন্তা করলাম যে আমি ওর আব্বুকে কল করে বলব ওর কি হয়ছে ওর আব্বু কি এখন ঘুম পড়ছে না থাক ওদেরকে ডিস্টার্ব করা ঠিক হবে নাহ।।🤔


আমার ওর বাসায় যেতে হবে তাই বলে আমি দৌড় শুরু করি!ওর বাসায় চলে যাই গেটের দারোয়ান চাচা আমাকে চেনেন তাই আর আমাকে আটকে রাখলো না।


আমি ওর বাসায় ওর রুমের কাছে যাই দেখি দরজা জানলা বন্ধ করে রেখেছ, ওহ মেয়েটা না যা করে একে নিয়ে আমি কি যে কবর। 


ওকে ডাকতে থাকলাম......!!


--রিমঝিম কই তুমি দরজা টা খোলো কি হয়ছে তোমার সোনা আমার উপরে কি তুমি রাগ করছো আমি তোমার জন্য বিজি ছিলাম তুমি আমাকে বোঝার চেষ্টা করো আমি শুধু তোমার তোমাকে ছাড়া আমি বেঁচে থাকব না। (আমি)


দেখি কোন সাড়া নাই কি হলো ও কি কোন কিছু তা হলে সত্যি সত্যি করছে নাকি। দরজা খোলো প্লিজ প্লিজ সোনা আমি তোমার কাছে চলে এসেছি।


আচ্ছা ওই জোছনা রাতে মনে হয় ও ছাদে গিয়েছে যাই তা হলে ছাদে গিয়ে দেখে আসি…… 


আমি দ্রুত ছাদে যাই যোজনা রাত তাই সব কিছু দেখা যাচ্ছে। নাহ ও তো কোথাও নাই খুজে পাচ্ছি না আচ্ছা ওর কি হলো তা হলে আমার উপরে কি তা হলে আবার রাগ করছে। আমি ছাদে থেকে একটা জোরে চিতকার করি যে হে আল্লাহ তুমি আমার সব কিছু কেড়ে নিও না।


এখন রিমঝিম ও আমাকে ছেড়ে কোথায় গেল অনেক জোরে চিতকার করতে থাকি বাসার সবার ঘুম ভেঙ্গে গেলো সবাই ছাদে চলে এলো আর আমাকে বলতে থাকে কি হয়ছে বাবা তুমি এত জোরে চিতকার কার করছো কেন।


--কি হয়েছে বাবা আমাদের বলো দেখি।


ওর ভাই ভাবি ওর আব্বু আম্মু সবাই আমার পাসে এসে দাড়িয়েছে আমার একটু ভয় ভয় লাগছে সবার সামনে!! কিন্তু কথা বলতে হবে আমি জোরে চিতকার করি রিমঝিম…….......!!


--কি হয়ছে বলো আমাদের বলো আমরা দেখছি এত চেচামেচি করো না বাবা।


আমি বললাম-- না মানে রিমঝিম কোথায় ওকে তো কল করলাম ফোনটা রিসিভ করল না কি হয়ছে আমি ওর রুমের কাছে এসে অনেক ডাকলাম কিন্তু ওর কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে আমি ছাদে আসি।।


-- আচ্ছা বুঝেছি। বাবা যা হয়েছে এবার চলো নিচে চলো নিচে গিয়ে দেখি।

 

তারপর নিচে গিয়ে দেখি রিমঝিম রুম থেকে বেরিয়ে আসছে।

আমি ওকে সবার সামনে জড়িয়ে ধরলাম আর বললাম তোমার কি হয়েছে ফোন টা কেন রিসিভ করলা না।।


রিমঝিম কোন কথা না বলে ওর আম্মুকে বলে।


-- দেখছো আমি তোমাকে বলেছিলাম যে দেখ ও রাতে এই রাড়িতে আসবে………………।।


(চলছে চলবে সাথে থাকুন)


প্রিয় বন্ধু গণ আশা করছি গল্পটি আপনাদের অনেক ভালো লাগছে।।

তবে এই পর্বটি কেমন হয়েছে আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে আমাকে উৎসাহিত করবেন।


#পরবর্তী_পর্বের_জন্য_অপেক্ষা_করুন

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post