গল্পঃ- মাফিয়া গার্লফ্রেন্ড পর্বঃ- ৩ + ৪

 

গল্পঃ- মাফিয়া গার্লফ্রেন্ড

পর্বঃ- ৩

লেখকঃ- নীল অনুভূতি(sumon)

.

সিজান:- দোস্ত নতুন প্রেম করছিস অাগে অামাদের বিরিয়ানি খাওয়া তার পরে বাড়ি যাস।

.

অামি:- তোরা অামার বন্ধু না শত্রু অামি মরছি অামার সমস্যা নিয়ে অার তোরা অাসছি বিরিয়ানি খেতে। তোরা থাক অামি বাসায় গেলাম।

.

বাসায় এসে.....

.

অামি:- অাম্মু অামি কালকে থেকে অার কলেজে যাবো না।

.

অাম্মু:- কেন বাবা কি হয়েছে?

.

অামি:- কি অার হতে বাকি অাছে!! কালকে থেকে অার কলেজে যাবো না। দরকার হলে অন্য কলেজে ভর্তি হবো।

.

অাম্মু :- পাগলামি বাদ দে কলেজে না গেলে হয় নাকি!!

.

দুররররররর ভালো লাগে না কিছু।  তারপরে দুই দিন রাগ করে কলেজে যাইনি।

.

--দুই দিন পরে কলেজে গেলাম।  বন্ধুদের সাথে অাড্ডা দিচ্ছি এমন সময় নিশাত এসে...

.

নিশাত:- সুমন তুই দুই দিন কলেজে অাসিস নাই কেন?

.

অামি:- কলেজে অাসি নাই সেই প্রশ্নের উত্তর অাপনাকে দিবো কেন?

.

নিশাত:- দেখ সুমন তোকে অামি সত্যি অনেক ভালো বেসে ফেলেছি। তুই দুই দিন কলেজে না অাসার কারনে অামার খুব মন খারাপ হয়েছিলো। তোকে না দেখলে অামার কিছু ভালো লাগে না।

.

অামি:- এসব অালগা পিরিত অামাকে দেখাতে অাসবেন না। অাপনার এমন অালগা পিরিত দেখার টাইম অামার নেই।।

.

নিশাত:- তোর সাথে ভাল ভাবে কথা বলছি বলে তোর ভাব বেড়ে যাচ্ছে তাই না?? তুই হয়তো জানিস না অামি কি করতে পারি অার না পারি।

.

অামি:- দয়া করে অাপনি যদি অামাকে অার বিরক্ত না করেন তাহলে অনেক খুশি হবো। 

.

--এই কথা বলতেই নিশাত অার কোন কথা না বলে চলে গেলো।

.

ফাহিম:- দোস্ত নিশাত মনে হয় তোকে সত্যি অনেক ভালোবাসে।  যাই করিস ওকে এভাবে বার বার ফিরিয়ে দেওয়াটা তোর একদম ঠিক হচ্ছে না।

.

অামি:- তোর এই সব ফালতু কথা বন্ধ কর। বেশি কথা না বলে চল এখন ক্লাসে যাবো। 

.

ফাহিম :- অাচ্ছা চল তাহলে।

.

-----পরের দিন কলেজে একটু সকাল সকাল চলে অাসলাম। ফাহিম অার সিজান এরা দুই জন এখনো কলেজে অাসি নি তাই অামারও একা একা ভাল লাগছে না তাই কলেজে গাছের নিচে অানমনে বসে হোড ফোনটা ব্যাগের ভিতর থেকে বের করে কানে লাগিয়ে ফুল ভলিউম দিয়ে গান শুনতে লাগলাম। কিছুক্ষন পরে কলেজের গেটের দিকে তাকিয়ে অামি অবাক হয়ে গেলাম।  দেখে মনে হচ্ছে একটা পরী হেটে অামার দিকে অাসছে। অামি অবাক হয়ে তাকিয়ে ভাবছি পরীটা মনে হয় অাজকে প্রথম কলেজে অাসছে এর অাগে তো কখনো এমন সুন্দর মেয়ে এই কলেজে দেখেনি। অামি নিজের গায়ে চিমটি কেটে দেখলাম স্বপ্ন দেখছি নাকি বাস্তবে দেখছি। পরীটা দেখতেছি অামার দিকেই অাসছে। একটু কাছে অাসতেই বুঝতে পারলাম এটা নতুন কোন মেয়ে না এটা হলো নিশাত। নিশাত অাজকে অাগের মতো ছেলেদের পোশাক পরে অাসেনি মেয়েদের পোশাক পরে এসেছে তাই এতো সুন্দর লাগছে।।

.

--অামি নিজের চোখ দুটোকে নিশাতের দিকে না দিয়ে মোবাইলেই দিকে দিয়ে গেম খেলতে লাগলাম। দেখেও না দেখার ভান করে মোবাইলে  গেম খেলছি

.

--নিশাত সামনে এসেই বললো......

.

নিশাত:- i love you sumon (হাতে এক গুচ্ছ গোলাপ ফুল নিয়ে)

.

অামি:- সামনে না তাকিয়ে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলাম অামি এখন লেবু খাবো না। অাপনি অাসতে পারেন।( অাসালে কানের মধ্যে হেডফোনে গান হচ্ছে তাই নিশাত অাইলাভ ইউ বলেছে অামি মনে করছি কেউ অামাকে লেবু খেতে বলছে।)

.

নিশাত:- অারে তোকে লেবু খেতে বলছি না সামনের দিকে তাকিয়ে দেখ। অার কান থেকে হেড ফোনটা খোল

.

--অামি সামনে তাকিয়ে দেখি নিশাত এক গুচ্ছ গোলাপ নিয়ে দাড়িয়ে অাছে। অামি একটু ভাব নিয়ে বললাম কিছু বলবেন?

.

নিশাত:-  অামি তোমাকে ভালবাসি।।

.

অামি :- সরি অামার দ্বারা সম্ভব না!!

.

নিশাত:- এই তোর কি সমস্যা। বার বার কেন অামাকে ফিরিয়ে দিচ্ছি। নাকি ভাব বেড়ে যাচ্ছে তোর?

.

অামি :- ভাব দেখানোর কি অাছে অামি অাপনাকে ভালবাসি না।

.

এবার নিশাত অামার শার্টের কলার ধরে.... অামার সাথে বেশি ভাব দেখাতে অাসবি না শুধু তোকে ভালবাসি বলে তুই এখনো সোজা হয়ে হাটতে পারছিস। না হলে তোকে মেরে হাত পা সব ভেঙ্গে দিতাম।।

.

অামি:- পুরনো ডাইলোগ বাদ দেন একই কথা বার বার শুনতে অামার ভাল লাগে না।।

.

নিশাত:- তোকে দুই দিন সময় দিলাম অামার উত্তরটা যেনো পেয়ে যাই। মনে থাকে যেনো মাত্র দুই দিন।

.

অামি:- দুই দিন তো দুরের কথা দুই বছর পরেও অামার কাছে থেকে অাপনার উত্তর পাবেন না।।  যতো সব ফালতু মেয়ে।

.

--নিশান মন ভার করে চলে গেলো। অামি অাবার কানের ভিতরে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে লাগলাম। এমন সময় সিজান অার ফাহিম অামার সামনে উপস্থিত।

--ফাহিম:- কি রে দোস্ত অাজ মনে হচ্ছে সকাল সকাল কলেজে চলে অাছি। নিশ্চয় নিশাত কে দেখার জন্য তাড়াতাড়ি কলেজে অাসছি তাইনা।( হেসে বললো)

.

--পাশে থেকে সিজান হা হা দোস্ত  অামরাও সব বুঝি নিশাতকে নিশ্চয় তোর ভাল লাগে অার দেখার জন্য এতো অাগে কলেজে চলে অাসছি।

.

অামি:- তোদের জন্য কি অামি সকাল সকাল কলেজেও অাসতে পারবো না। অাজ একটু তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙ্গেছে তাই চলে অাসছি অার কি। 

.

ফাহিম:- হুম বুঝি বুঝি সব বুঝি। অামাদেরকে ভুল বুঝাস না।

.

অামি:- অামাকে নিয়ে মজা না করে চল এখন ক্লাসে যাবো। 

.

সিজান:- অাচ্ছা চল।।

.

----তার পরে ক্লাস শেষ করে বাসায় এসে অাম্মুকে বললাম..

.

--অামি:- অাম্মু তুমি অাব্বুকে বলো যে অামি অার এই কলেজে পড়বো না। এখান কার মেয়েরা একদম ভালো না।

.

অাম্মু:- তোর বাবা পাশের রুমে টিভি দেখছে যাহ তুই গিয়ে বল।  অার কলেজের মেয়েরা কি শুধু তোর পিছনেই লাগে।

.

অামি:- অাম্মু তুমি খুব ভাল করেই জানো অামি বাবাকে খুব ভয় পাই এসব কথা অামি বাবাকে বলতে পারবো না তুমি একটু বলো।

.

অাম্মু:- তুই যদি বলতে না পারিস তাহলে অামিও বলতে পারবো না।

.

অামি:- ঠিক অাছে তোমাকেও বলতে হবে না। অাজ থেকে লেখাপড়া কলেজে যাওয়া সব বাদ।

.

অাম্মু:- পাগলামি বাদ দিয়ে খেয়ে নে.

.

-----অামি:- তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।

.

--পরের দিন মনটা খারাপ ছিলো তাই কলেজে যাইনি। অার কলেজে গিয়েই বা কি করবো ওই মেন্টাল মেয়ের জন্য কলেজে গিয়ে কোন শান্তি নেই। প্রতিদিন একটা না একটা সমসা তৈরি করবেই।। বিকেল বেলা রুমে বসে মোবাইলে গেম খেলছি। এমন সময় রুমে কলিং বেল বেজে উঠলো।

.

অাম্মু:- সুমন দেখতো বাবা কে এসেছে দরজাটা খুলে দে।

.

---অামি রুমের দরজা খুলতেই দেখলাম

রুমের সামনে এক ভদ্র লোক দাড়িয়ে অাছে

.

অামি:- কে অাপনি?  কি চাই?

.

ভদ্রলোক:- অামি যেই হয় না কেনো।  তোমার নাম কি সুমন?

.

অামি:- জি অামার নাম সুমন।

.

ভদ্রলোক:- অামাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললো বাহ জামাই তো দেখতে অনেক সুন্দর অামার মেয়ের পছন্দ অাছে বলতে হয়।

.

অামি:- জামায় মানে?  অাপনার মাথা ঠিক অাছেতো অামি তো এখনো বিয়েই করলাম না তাহলে অাপনার জামায় হলাম কি করে?

.

ভদ্রলোক:- বিয়ে করো নি তো কি হয়েছে বাবা সময় হলে বিয়েও হবে।

.

অামি:- অাপনি কে বলুনতো?

.

ভদ্রলোক:- অামি নিশাতের বাবা। 

.

---ভদ্রলোকের কথা শুনে অামি থ হয়ে গেলাম।


ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।


চলবে...............


গল্পঃ- মাফিয়া গার্লফ্রেন্ড

পর্বঃ- ৪

লেখকঃ- নীল অনুভূতি ( sumon)

.

অামি:- অাপনি কে বলুনতো?

.

ভদ্রলোক:- অামি হলাম নিশাতের বাবা।

.

--ভদ্রলোকের কথা শুনে অামি একদম চুপ হয়ে গেলাম।

.

নিশাতের বাবা:- অারে বাবা চুপ  করে অাছো কেন? তোমার বাবা মা কোথায়?

.

অামি:- কোন কথা না বলে হাতের ইশারায় দেখিয়ে দিলাম।

.

--এই মেয়ে দেখছি এবার অামার  মান সম্মানের তেরোটা বাজিয়ে দিবে এখন কি করবো অামি ভেবে পাচ্ছি না। রুমের ভিতরে বাবা মা অার নিশাতের বাবা কি যেনো সব বলা বলি করছে। অামি বাইরে দাড়িয়ে অাছি। এমন সময় বাবা অামাকে ডেকে....

.

বাবা:- সুমন অামি এসব কি শুনছি কলেজে গিয়ে লেখা পড়া না করে মেয়েদের সাথে ছি ছি অামার মান সম্মানের কিছু রাখলি না তুই।( রেগে গিয়ে বললো)

.

অামি:- না মানে বাবা......(মাথা নিচু করে নরম সুরে)

.

বাবা:- একদম কথা বলবি না। বিয়াদপ হয়ে যাচ্ছিস দিন দিন।।

.

অামি ঃ- বাবা অামার কথাটা তো শুনো?

.

বাবা:- তোর কোন কথা শুনতে চাই না অামি।

.

---এমন সময় নিশাতের বাবা বলে উঠলো....

.

নিশাতের বাবা:- অাপনি অযথা অাপনার ছেলেকে বকা বকি করছেন। অামার এক মাত্র মা মরা মেয়ে অনেক অাদর যত্নে ওকে বড় করেছি। অাসলে অামার মেয়ে অাপনার ছেলেকে পছন্দ করে। ওরা একই কলেজে পড়ে।  অামার এক মাত্র মেয়ে ওর ছোট থেকে সমস্ত চাওয়া পাওয়া পুরন করেছি। অার ওর এখন একটাই চাওয়া অার সেটা হলো অাপনার ছেলে!! অামার টাকা পয়সার কোন কিছুর অভাব নেই অাপনি যদি অাপনার ছেলের সাথে অামার মেয়ের বিয়ে দেন তাহলে অনেক সুখে থাকবে ওরা।

.

বাবা:- অামাকে টাকা পয়সার লোভ দেখাচ্ছেন তাই না। বেরিয়ে যান অামার বাসা থেকে।

.

নিশাতের বাবা:- অাপনি কাজটা কিন্ত একদম ঠিক করলেন না।  অাপনার হয়তো অামার সম্পর্কে কোন ধারনা নেই তাই এমন ব্যবহার করেলেন।

--এই বলে নিশাতের বাবা চলে গেলেন।.অাম্মু পাশে কোন কথা না বলে চুপচাপ দাড়িয়ে অাছে।

.

--বাবা এমনিতেই অনেক রাগি মানুষ। বাবার সামনে অামি কখনো মাথা উচু করে কথা বলিনি। টাকার কথা বলাতে বাবা অারো বেশি রেগে গেছেন।

.

--পরের দিন কলেজে গিয়েই নিশাতকে ঠাস করে একটা থাপ্পড় দিয়ে। নিজেকে কি ভাবেন অাপনি? অামার মান সম্মানেরতো একদম তেরোটা বাজিয়ে দিয়েছেন এবার কি অামার পরিবারের সবার সম্মানের তেরোটা বাজাতে চান অাপনি?

.

--নিশাত কোন কথা না কান্না করতে লাগলো।

.

নিশাত:- তুই অামাকে থাপ্পড় মারলি তাই না? অামার বাবা অাজ পর্যন্ত অামাকে থাপ্পড় মারার সাহস পায়নি অার তুই....

এর উচিৎ জবাব তোকে দিবো।

.

অামি:- অাগে ভাবতাম শুধু অাপনার মাথার তার ছিড়া এখন দেখছি বাবা মেয়ে দুজনের মাথার তার ছিড়ে গেছে সময় থাকতে ভাল ডাক্টার দেখান না হলে পুরোটাই মেন্টাল হয়ে যাবেন।

.

--নিশাত কান্না কন্ঠে রাগি লুক নিয়ে অামার সামনে থেকে চলে গেলো।

.

সিজান:- তোকে নিয়ে অার পারি না কেন মেয়েটার সাথে বার বার এমন করছিস। তুই নিশাতকে দেখে কি একটুও বুঝতেছিস না তোকে অনেক ভালবাসে।

.

অামি:- বেশি কথা বলবি না অার অামাকে দিয়ে এসব ভালবাসাবাসি হবে না।

.

সিজান:- অাচ্ছা তোর যেটা ভাল মনে হয় তুই সেটাই কর।

.

----অামি কি করবো কিছু ভেবে পাচ্ছি না। ক্লাস শেষ করে বাসায় এসে রুমের ভিতরে ঢুকেই অামি অবাক হয়ে গেলাম এসব কি অবস্থা রুমের। ঘরের জিনিস পত্র সব কিছু ভাংচুর এলোমেলো। অাব্বু অাম্মু ডেকে কোথাও পেলাম না। সমস্ত রুম তন্ন তন্ন করে করে খুজে কোথাও কাউকে পেলাম না। টেনশনে অামার মাথায় একদম কাজ করছে না। নিশ্চয় কোন কিছু একটা হয়েছে। টেবিলের উপরে একটা কাগজ দেখতে পেলাম। কাগজে লেখা অাছে.....

----তোর বাবা মা কে  কিডন্যাপ করে নিয়ে এসেছি।  তোর বাবা মা কে যদি তোর কাছে ফিরে পেতে চাস তাহলে নিচের ঠিকানায় দুই ঘন্টার মধ্যে চলে অায়।

.

--অামি লেখাটা পড়ে দেরি না করে কাগজে লেখা ঠিকানায় চলে গেলাম।

.

--সেখানে গিয়ে যা দেখলাম সেটা দেখার জন্য অামি একদম প্রস্তুুত ছিলাম না। 

.

--অামার বাবা মা নিশাতের বন্ধুরা এবং নিশাতের বাবাও সেখানে উপস্থিত এবং সবাই মিষ্টি মুখ করছে।

.

অামি:- বাবা মা তোমরা ঠিক অাছোতো?

.

বাবা:- ঠিক থাকবো না কেন। মেয়েটা এতো সুন্দর নম্র ভদ্র তুই অাগে কেন অামাদের বলিসনি?

.

অামি:- বাবা তোমার মাথা ঠিক অাছেতো?  কি বলছো এসব? এই মেয়ের মাঝে তুমি ভদ্রতা কোথায় পেলে অামি সেটাই তো বুঝতে পারছি না।

.

বাবা:- কে ভদ্র অার অভদ্র সেটা তুই অামাকে বোঝাতে অাসবি না অামি যথেষ্ট বুঝি। তোর থেকে অামার বউমা অনেক নম্র ভদ্র অাচার ব্যবহার সব দিক থেকে তোর চেয়ে হাজার গুন ভালো।

.

অামি:- বাবা কি বলছো এসব তোমার ছেলে এখনো বিয়ে করলো না অার তুমি ওকে বউমা বানিয়ে ফেলেছো?  এরা নিশ্চয় তোমাকে বাজে কিছু খাইয়েছে!!

.

বাবা:- বেশি কথা বলিস না। 

.

অামি:- বাবা তুমি ওই মেয়েটার মাঝে কি এমন দেখে তোমার ছেলের বউ মনে হচ্ছে?

.

বাবা:- অনেক কিছু দেখেছি। ওর অনেক গুন অাছে যা তোর মধ্যে নেই। তোর মতো গাঁধা এই পৃথিবীতে অার একটা অাছে বলে অামার মনে হয় না। 

.

---বাবার কথা শুনে নিশাত মিছি মিছি হাসতেছে অার এদিকে ওর হাসি দেখে অামার রাগে গা জ্বলতেছে।

.

অামি:- বাবা মা তোমরা বাসায় চলো না হলে মাথাটা একেবারে খারাপ করে দেবে এরা।

.

বাবা:- বাসায় যাবো মানে!!  বাসায় যদি যেতে হয় তাহলে বউমাকে সাথে করে নিয়ে যাবো।

.

অামি:- অাম্মু তুমি চুপ করে অাছো কেন বাবাকে প্লিজ তুমি বোঝাও।

.

অাম্মু:- মেয়েটা কিন্ত অামার খুব পছন্দ হয়েছে। এমন লক্ষি মেয়ে পাওয়া ভাগ্যের বেপার।

.

অামি:- অাম্মু তুমিও?  এখন দেখছি এরা তোমাদের মাথা একদম নষ্ট করে দিয়েছে। তোমরা এখানে থাকো অামি গেলাম।

.

--অামি যখনি পিছন ঘুরে হাটা শুরু করলাম সাথে সাথে চার পাচ জন ছেলে এসে অামাকে ধরে একটা রুমের ভিতরে অাটকে রাখলো।

--এখন অামি কি করবো রুম থেকে বের হবার কোন সিস্টেম নেই। চুপ চাপ অামি রুমের ভিতরে বসে অাছি এমন সময় নিশাতও রুমের ভিতরে এসে অামার জামার কলার ধরে বললো.......

.

নিশাত:- তোকে বলেছিলাম না সময় হলে তোকে দেখে নিবো। অাজ তোকে অামি বিয়ে করবো। অার এই বিয়েতে অামার হবু শশুর শ্বাশুড়িও রাজি। তাই বেশি কথা না বলে তুইও রাজি হয়ে যা।

.

অামি:- এই বিয়ে অামি কখনো করবো না। অার মরে গেলেও না।  অাপনার মতো ফালতু মেয়েকে এই সুমন কখনো বিয়ে করবে না।

.

নিশাত:- অার কিছুক্ষন অপেক্ষা কর  

শুধু কাজী সাহেবের অাসার অপেক্ষা মাত্র।

.

অামি:- অসম্ভব।

.

---কিছুক্ষন পরে একটা ছেলে এসে অামাকে পান্জাবি পাজামা দিয়ে বললো.....

---জামায় বাবু এগুলো অাপনার বিয়ের পোশাক তাড়াতাড়ি এগুলো পরে রেডি হয়ে যান কিছুক্ষনের মধ্যে কাজী সাহেব চলে অাসবেন।

.


ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।


চলবে.......

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post