গল্পঃ- মাফিয়া গার্লফ্রেন্ড পর্বঃ- ৫ + ৬

 গল্পঃ- মাফিয়া গার্লফ্রেন্ড

পর্বঃ- ৫

লেখকঃ- নীল অনুভূতি(sumon)

.

--কিছুক্ষন পরে একটা ছেলে এসে অামাকে পান্জাবি পাজামা দিয়ে বললো.....

.

--জামায় বাবু এগুলো অাপনার বিয়ের পোশাক তাড়াতাড়ি এগুলো পরে রেডি হয়ে যান কিছুক্ষনের মধ্যে কাজী সাহেব চলে অাসবেন।

.

অামি:- তোর পোশাকের মাথায় থাঠা পড়ুক সালা। বের হ অামার রুম থেকে। (রাগ দেখিয়ে)

.

--অামি চুপচাপ রুমের ভিতরে বসে অাছি।  কি করবো মাথায় কিছু অাসছে না। চার দেওয়ালের মাঝে অামি এখন বন্দি।.

--এমন সময় বাবা রুমের ভিতরে এসে......

.

বাবা:- কি হলো সুমন তুমি এখনো রেডি না হয়ে বসে অাছো। তাড়াতাড়ি পোশাক পরে নাও কাজী সাহেব চলে এসেছে।

.

অামি:- বাবা তোমাদের কোথাও ভুল হচ্ছে এখনো সময় অাছে। ভাল করে সব কিছু ভেবে চিন্তা করে দেখো।

.

বাবা:- এতো কিছু ভাবার সময় নেই। মেয়েতো পছন্দ হয়ে গেছে।

.

--কিছুক্ষন পরে সবাই জোর জবরদস্তি করে  করে অামার মুখ দিয়ে তিন বার কবুল বলিয়ে নিলো। মনে মনে ভেবে বসলাম বাসায় গিয়ে বাসর ঘরে না ঢুকে সোজা বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবো তবুও এই মেয়ের সাথে অামি সংসার করবো না।

.

--বিয়ে শেষে বাসায় অাসার সময়.....

.

নিশাতের বাবা:- অামার একমাত্র অাদরের মেয়ে অাজ অাপনাদের হাতে তুলে দিলাম দেখে শুনে রাখবেন। অামার মেয়েকে কখনো যেনো কষ্ট দিয়েননা।

.

অাম্মু :- অাপনি একদম চিন্তা করবেন না বিয়াই সাব অাপনার মেয়েকে নিজের মেয়ের মতো করে রাখবো।

.

--অামি কিছু না বলে চুপচাপ বোবার মতো কথা শুনে যাচ্ছি।

.

অাম্মু:- বিয়ে তো হয়ে গেলো তাহলে অাজকে অামরা অাসি।

.

নিশাতের বাবা:- এতো তাড়াতাড়ি চলে যাবেন?

.

অাম্মু:- অাত্নীয় যখন হয়ে গেছেন তখন অার কি যখন মন চাইবে তখনি চলে অাসবো।

.

নিশাতের বাবা:- অাচ্ছা ঠিক অাছে।

.

--তারপরে নিশাতদের বাসা থেকে অামাদের বাসায় চলে অাসলাম। বাসায় অাসতেই অামার যেই ভাবনা সেই কাজ রুম থেকে বেরিয়ে সোজা গেটের দিকে দিলাম দৌড়......

এমন সময় পিছন থেকে....

.

বাবা:- সুমন তুই এভাবে কোথায় যাচ্ছিস। অাগে রুমের ভিতরে যা।

.

অামি:- না মানে বাবা এই তো কোথাও যাচ্ছি না।( নরম সুরে)

--বাধ্য ছেলের মতো বাবার কথা মতো রুমের দিকে হাটা শুরু করলাম। দুররররর পালিয়ে যাওয়া অার হলো না। রুমে ঢুকে দেখি নিশাত ইয়া বড়ো একটা ঘুমটা দিয়ে বসে অাছে।

.

--অামি রুমে ঢুকতেই নিশাত উঠে এসে অামার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে যাবে অামি এমন সময় পা সরিয়ে নিয়ে বললাম........

.

--এসব ঢং অাপনার করা লাগবে না। অামি অাপনাকে অামার স্ত্রী হিসেবে মানি না অার কখনো মানবোও না। এখন অামার সামনে থেকে সরে দাড়ান। অামার ঘুম পেয়েছে ঘুমাবো।

.

--নিশাত অামার সামনে থেকে সরে গেলো। এবং অামার  পিছু পিছু এসে খাটের উপরে  বসলো।

.

অামি:- কি বেপার অাপনি খাটের উপরে কেন বসছেন?

.

নিশাত:- তাহলে কি করবো? (ভারি কন্ঠে)

.

অামি:- কি করবেন মানে অাপনি সোফায় গিয়ে নয়তো ফ্লোরে গিয়ে ঘুমান। অামার সাথে ঘুমানোর চেষ্টা একদম করবেন না।

.

নিশাত:- ফ্লোরে ঘুমাবো মানে এই শীতে ফ্লোরে ঘুমানো যায় নাকি?

.

অামি:- যদি ফ্লোরে ঘুমাতে না পারেন তাহলে সোফায় অথবা দাড়িয়ে ঘুমান যতো সব।

.

--নিশাত কিছু না বলে চুপচাপ দাড়িয়ে রয়লো।

.

অামি:- এভাবে দাড়িয়ে না থেকে যেটা বললাম- সেটা করেন।

.

নিশাত:- কিছু না বলে সোফায় গিয়ে বসে বসে কান্না করতে লাগলো।।

.

অামি:- অাপনি কান্না করেন অার যাই করেন যেনো কোন শব্দ না হয়। অামার ঘুমের মাঝে কেউ ডিস্টার্ব করলে সেটা একদম সয্য করতে পারিনা।

.

--এই বলে অামি নিশাতের গায়ে একটা কোম্বল ছুড়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।

.

--অনেক রাতে ঘুমের মাঝে মনে হলো কেউ যেনো কান্না করতেছে।

--অামি উঠে দেখি নিশাত সোফায় বসে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করছে।

.

অামি:- কি সমস্যা অাপনার এতো রাতে না ঘুমিয়ে কেন কান্না করছেন?

.

নিশাত:- সেটা তোমাকে জানা লাগবে না।(কান্না কন্ঠে)

.

অামি:- অামি অাপনাকে না বললাম কেউ ঘুমের মাঝে অামাকে ডিস্টার্ব করলে সেটা একদম সয্য করতে পারিনা। কান্না না করে যান ঘুমিয়ে পড়ুন।(রাগ দেখিয়ে)

.

---এই কথা বলতেই নিশাত চুপচাপ সোফার উপরে শুয়ে পড়লো। অামিও সেই সাথে অাবার ঘুমিয়ে পড়লাম।

.

--পরের দিন সকালে অামি গভীর ঘুমে বিভোর এমন সময় কে যেনো অামার গায়ে হাত দিয়ে ডাকতেছে।

.

--অামি চোখ খুলতেই...

.

নিশাত:- সকাল হয়েগেছে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে অাসো বাবা মা খাবার টেবিলে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।

.

অামি:- অাচ্ছা অাসছি অাপনি এখন যান।

.

--তারপরে অামি উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে খাওয়ার টেবিলে বসলাম। নিশাত অামার সামনে গিয়ে বসলো।

.

--খাওয়ার সময় অাম্মু নিশাতকে বলতেছে এটা একটু নাও ওটা অারেকটু নাও...... এসব দেখে অামি রেগে গিলে বললাম এতো জোর করে খাবার দেওয়ার কি অাছে পেটে ক্ষুধা লাগলে এমনিতেই খেয়ে নিবে।

.

অাম্মু:- তোর কি কোন কান্ডব জ্ঞান নেই খাওয়ার সময় কি এসব কথা বলতে হয়।.

--অামার কথা শুনে অাব্বুও অামার দিকে রাগ দেখিয়ে চোখ বড় করে তাকালো।.

.

--অামি মাথা নিচু করে খাওয়া শেষ করে রুমে চলে অাসলাম। নিশাতও একটু পরে রুমে অাসলো। বাইরে ঘুরতে যাবো বলে রেডি হচ্ছি এমন সময় নিশাত বললো....

.

--কোথায় যাবে তুমি?

.

অামি:- যেখানেই যাই না কেন সে প্রশ্নের উত্তর কি অাপনাকে দিতে হবে।

.

নিশাত:- হ্যা অবশ্যই দিতে হবে কারন অামি তোমার স্ত্রী..

.

অামি:- অামি অাপনাকে স্ত্রী হিসেবে মানি না। অার অাপনি কখনো স্ত্রীর অধিকার দেখাতে অাসবেন না।

.

নিশাত:- তোমার সাথে নরম ভদ্র ভাবে কথা বলছি বলে কি তোমার ভাব বেড়ে যাচ্ছে নাকি?

.

অামি:- সরি..!! এখানে ভাব নেওয়ার কিছু নাই যেটা সত্য সেটাই বলছি। এখন সামনে থেকে সরে দাড়ান বের হবো

.

নিশাত:- তোমার সাথে অামিও যাবো

.

অামি:- কোথায় যাবেন অাপনি?

.

নিশাত:- কোথায় অাবার তুমি যেখানে যাবে অামিও সেখানে যাবো।

.

অামি:- পাগল না মাথা খারাপ অাপনাকে অামার সাথে নেওয়ার টাইম নাই।

.

--এই বলে অামি বেরিয়ে পড়লাম পিছন ঘুরে তাকিয়ে দেখি নিশাত মন খারাপ করে অামার দিকে তাকিয়ে অাছে।

.

--সারাদিন এদিক ওদিক ঘুরে ফিরে রাত দশটার দিকে বাসায় অাসলাম।

.

বাবা:- কি বেপার সুমন সারাদিন কোথায়  ছিলি?  অার এখন কয়টা বাজে ঘড়ির দিকে কি একবারও তাকিয়েছিস?

.

অামি:- না মানে বাবা কোথাও যাইনি। বাসায় ভাল লাগছিলো না তাই বাইরে একটু ঘুরতে গিয়েছিলাম।.

.

বাবা:- এমন ভুল যেনো অার দ্বিতীয় বার না হয়।(রাগ দেখিয়ে ধমক দিয়ে।)

.

অামি:- অাচ্ছা!!!!!

+---এই বলে অামি সোজা রুমে চলে গেলাম। রুমের ভিতরে ঢুকে দেখি নিশাত খাবার নিয়ে বসে অাছে।


ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

.

চলবে.......


গল্পঃ- মাফিয়া গার্লফ্রেন্ড

পর্বঃ- ৬

লেখকঃ- নীল অনুভূতি( sumon)

.

বাবা:- এমন ভুল যেনো অার দ্বিতীয় বার না হয়।(রাগ দেখিয়ে বললো)

.

অামি:- অাচ্ছা বাবা!!! এই বলে অামি সোজা রুমের ভিতরে ঢুকে দেখি নিশাত খাবার নিয়ে বসে অাছে।

.

নিশাত:- এতো রাত পর্যন্ত কোথায় ছিলে তুমি? কতো বার তোমাকে তোমাকে ফোন দিয়েছি একবার ও ফোনটা রিসিভ করার প্রয়োজন মনে করোনি তুমি?

.

অামি:- ফোন Silent করে রাখছিলাম পকেটে ছিলো খেয়াল করিনি। 

--এই বলে ওয়াশ রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে খাওয়া শুরু করে দিলাম।

.

--নিশাত অামার খাওয়া দেখে অবাক হয়ে অামার দিকে তাকিয়ে অাছে।

.

অামি:- এভাবে তাকিয়ে না থেকে একটু অন্য দিকে তাকান। খাওয়ার সময় কেউ অামার দিকে চেয়ে থাকলে পেট ভরে খেতে পারিনা। 

.

--এই কথা বলতেই নিশাত মুখ ঘুরিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকলো। অামি খাওয়া শেষ করে এসে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে পড়লাম।

.

--অামি শুয়ে অাছি নিশাত  অামার পাসে এসে বসে বললো....

.

নিশাত:- তুমি তোমার মতো খেয়ে শুয়ে পড়লে অামি খেয়েছি কি না একবার ও জ্বিগেসও তো করতে পারতে?

.

অামি;- প্রয়োজন মনে করিনি তাই। কারন যার পেটে ক্ষিধা লাগবে সে নিজেই খেয়ে নিবে। এখানে জ্বিগাসা করার কিছু নেই।

.

--নিশাত অার কিছু না বলে মন খারাপ করে শুয়ে পড়লো।

.

অামি:- এই অাপনি অামার পাশে কেন শুচ্ছেন?

.

নিশাত :- তো কোথায় শুবো?

.

অামি:- কোথায় শুবেন মানে!!! অাপনার জন্য ফ্লোর অার না হয় সোফা অাছে। অাপনি ভুল করেও কখনো স্ত্রীর অধিকার অামাকে দেখাতে অাসবেন না। যান যান নিচে গিয়ে ঘুমান।

.

নিশাত:- তোমাকে অামি কিছু বলছি না বলে তুমি বেশি বেড়ে যাচ্ছ মনে হচ্ছে?  অামি তোমার স্ত্রী তাই অামি তোমার পাশেই শুবো তোমার যা ইচ্ছে করে নাও।

.

অামি:- এটা অসম্ভব!!

.

নিশাত:- অসম্ভবকে সম্ভব করায় অামার কাজ তোমাকে যেমন অামি জোর করে বিয়ে করেছি অাজ অামি জোর করে তোমার পাশে শুবো এই বলে নিশাত জোরে চিৎকার করে বলতে লাগলো....

---অাম্মু অাপনার ছেলে অামাকে ফ্লোরে ঘুমাতে বলছে অার খারাপ ব্যবহার করছে অামার সাথে!

.

--এই কথা বলতেই অামি নিশাতে মুখ চেপে ধরে.....

.

অামি:- এই কি করছেন অাপনি চুপ করেন। অাম্মুকে কেন ডাকিতেছেন?  অাপনি অামার পাশেয় শুবেন দয়া করে অাম্মুকে ডাকিয়েন না।।

.

নিশাত:- সত্যি বলছেন তো?

.

অামি:- হ্যা সত্যি বলছি। প্লিজ অাম্মুকে ডাকিয়েন না। না হলে অাম্মু অামার বারোটা বাজিয়ে দিবে। তবে একটা একটা শর্ত অাছে?

.

নিশাত:- কি শর্ত?

.

অামি:- মাঝখানে বালিশ থাকবে। অামার থেকে দুরত্ব বজায় রাখবেন ওকে?

.

নিশাত:- ওকে।

.

--তার পরে ঘুমিয়ে পড়লাম।।

.

--সকাল বেলা ঘুমের মাঝে কেমন জানি নরম নরম অনুভব করলাম। মনে হচ্ছে কেউ অামাকে জড়িয়ে ধরে অাছে।

চোখ খুলে দেখতেই অামি ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠলাম।।

.

নিশাত:- কি হলো এভাবে লাফ মেরে উঠলেন কেন? কি সমস্যা?

.

অামি :- অাপনি অামাকে এভাবে জড়িয়ে ধরে অাছেন কেন? অাপনাকে না অামি বললাম দুরত্ব বজায় রাখবেন। ছি ছি লজ্বা লজ্বা!!😇😇

.

নিশাত:- লজ্বা পাওয়ার কি অাছে অামিতো তোমার স্ত্রী 😄😄

.

অামি:- অাপাকে অামি অাগেও বলেছি অার এখনো বলছি অাপনাকে অামি স্ত্রী হিসেবে মানি না।

.

---এই বলে অামি উঠে ফ্রেশ হয়ে  নাস্তা করে কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছি

.

--পিছন থেকে নিশাত এসে.....

---এতো সকালে কোথায় যাবে তুমি?

.

অামি':- কলেজে যাবো।

.

নিশাতা:- অামিও যাবো?

.

অামি:- অাপনি কলেজে যাবেন নাকি পার্কে যাবেন সেটা অাপনার বিষয় অামাকে বলার কি অাছে!!

.

নিশাত:- অামিও তোমার সাথে কলেজে যাবো। 

.

অামি :- সরি!!! অাপনি অাপনার মতে যান অামি অামার মতো যাবো।

.

নিশাত:- অাম্মু অাপনার ছেলে অামাকে কলেজে নিয়ে যাচ্ছে না;;

.

অাম্মু:- কি হচ্ছে সুমন তুই কউমাকে কলেজে নিয়ে যাবি না কেন?

.

অামি:- এমনি!!

.

অাম্মু:- অামি বলছি তুই বউমাকে তোর সাথে করে কলেজে যাবি। অার অাসার সময় বউমাকে সাথে করে নিয়ে অাসবি। অন্য কোন কথা শুনতে চাই না।

.

অামি:- যান তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নেন😣😣😣😣😣(রাগ দেখিয়ে)

.

--দুজনে কলেজে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম। রাস্তায় রিকশার জন্য অনেক ক্ষন ধরে দাড়িয়ে অাছি।।

.

ধুররররর একটা রিকশাও অাসে না।

.

---অনেক ক্ষন পরে একটা রিকশা অাসলো...

.

অামি:- এই যে রিকশাওয়ালা মামা দাড়ান।

.

---নিশাতকে রিকশায় উঠিয়ে দিয়ে ভাড়াটা দিয়ে......

---মামা ওকে কলেজের গেটে নামিয়ে দিবে।

.

নিশাত:- তুমি যাবে না?

.

অামি:- যাবো কিন্ত অাপনার সাথে না।

.

--নিশাত মুখটা একবার এদিক একবার ওদিক ঘুরিয়ে রাগ দেখিয়ে চলে গেলো।

.

--কিছুক্ষন পরে অামিও অন্য একটা রিকশায় করে কলেজে চলে গেলাম।।

--কলেজের গেটে ঢুকতেই সিজান অার ফাহিম দৈড়ে এসে....

.

ফাহিম:- দোস্ত কি শুনছি এসব বিয়া করেছিস নাকি তাও অাবার নিশাত কে।

.

অামি':- ওসব অনেক কাহিনি পরে বলবো সব চল এখন কেম্পাসে বসে জমিয়ে অাড্ডা দিবো।

.

সিজান:- দাওয়াত কিন্ত পেলাম না। তবে ভাবির হাতের রান্না খাওয়ার জন্য একদিন চলে অাসবো তোর বাসায়।

.

অামি:- পরে দেখা যাবে এখন চল অাড্ডা দিবো।

.

.- সিজান:- ওকে চল।

.

--তারপরে অাড্ডা দিয়ে ক্লাস শেষ করে বাসায় ফেরার সময় সময় যেনো নিশাতকে সাথে করে নিয়ে অাসি এটা অাম্মুর নির্দেশ তাই বাসায় অাসার জন্য নিশাতকে কেম্পাসে খুজতে লাগলাম। দেখলাম একটু দুরে গাছের নিচে বসে বান্ধবিদের সাথে বসে গল্প করছে। অামি ওখানে যেতেই নিশাতের হারামজাদি বান্ধবি গুলো অামাকে উদ্ভট প্রশ্ন করতে লাগলো.....

---দুলাভাই বাসর রাত কেমন কাটলো। দুলাভাইকে কে না অাজ হেব্বি লাগছে। বাসর রাতে বিড়াল মারছেনতো।অামাদের বান্ধবি কেমন করে অাদর করে দুলাভাই। এমন অারো অনেক কিছু বলতে লাগলো। 

ওদের এমন কথা শুনে অামি লজ্বায় মুখ ফিরিয়ে নিলাম।

.

নিশাত:- তোদের কি লজ্বা বলে কিছু নাই...

.

নিশাতের বান্ধবি:- দুলাভাইয়ের সামনে অাবার লজ্বা কিসের 

.

নিশাত:- তোরা চুপ করবি নাকি মাইর খাবি।

এই কথা বলতেই সবাই চুপ হয়ে গেলো।

.

অামি:- চলুন বাসায় যেতে হবে।

.

নিশাতের বান্ধবি :- এতো তাড়াতাড়ি বাসায় কেন দুলাভাই অামার বান্ধবি কি অাজ অাপনাকে অাদর কম করেছে😜🤪

.

অামি:- অাপনি যাবেন নাকি অামি চলে যাবো( রাগ দেখিয়ে)

.

নিশাত:- হ্যা যাবো চলো। এই তোরা থাক অামি গেলাম।

.


নিশাতের বান্ধবি:- এখন তো বর পেয়ে গেছিস অামাদের সাথে সময় দেওয়ার মতো তোর সময় নাই। অাচ্ছা যা। ( হেসে বললো)

.

--তারপরে নিশাতকে নিয়ে এক সাথে বাসায় চলে অাসলাম। অাসার সময় তেমন রিকশা না পাওয়ার কারনে একই রিকশায় করে অাসলাম।।

.


ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।


চলবে...........

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post