বাড়িওয়ালার দাজ্জাল মেয়ে❤ লেখক: সানভি আহম্মেদ আবির ❤ পর্বঃ১..

 


বাড়িওয়ালার দাজ্জাল মেয়ে❤

লেখক: সানভি আহম্মেদ আবির ❤

পর্বঃ১..


ব্যচলার আমি ব্যচলার, 

বিন্দাস লাইফে কোন পেইন নেই আমার।

আংকেল আমি আপনার মেয়ের জামাই হইতে আ....

মনের সুখে গান গাচ্ছিলাম আর বাসা খুজছিলাম, এমন সময় কোন হইমুন্তির পো আমার গানের বারোটা বাজিয়ে দিলো।


আমার জামা কাপড় সব গাড়ি দিয়ে ভিজিয়ে দিলো।

আবে শালা হইমন্তির পো গাড়ি চালাতে জানস না আবার গাড়িতে উঠস কেন। কে জানি এদের লাইসেন্স দিয়েছে।


আবে এতো গালি দিচ্ছি থামসে না কে। এটলাস্ট একটি সরি বললে তো পারতো। 


ওরতো গাড়ির সব গ্লাস বন্ধ করা শুনবে কিভাবে?

না এভাবে থাকলে হবে না। হাতের কাছে একটি ইট পাইলাম জুরছে মারলাম গাড়িতে।

হায় হায় কার গাড়িতে মারলাম। এটা অন্য গাড়িতে লাগলো কেন? আমার দুই বছরের ক্রিকেট অভিজ্ঞতায় একদিনও স্টাম্পের বাহিরে বল যাইনি। কিন্তু এতো বড় গাড়িতে কেন মিস হলো। হাতের দিকে তাকালাম না হাত তো ঠিকই আছে। এবার সামনে তাকিয়ে দেখলাম যেই গাড়ি আমায় ভিজিয়েছে সেই গাড়ি সামনে চলে যাচ্ছে। তার মানে যখনি ইট ছুড়লাম তখনই অন্য গাড়ি সামনে চলে আসে।

এখন কি হবে?

আগে পকেট চেক করি, নাহ বেশি নয় মাত্র দুইশো টাকা, দুই শ টাকায় কাচ পাওয়া যাবে না। 

এসব ভাবতে না ভাবতে একটি মেয়ে গাটি থেকে নেমে এলো। 

ঃএই যে মিস্টার গাড়ি কি আপনার বাপের?

ঃ না আমার বাপের হলেতো কোন সমস্যাই হতো না। এডজাস্ট করে নিতো। তা গাড়িটি কার?

ঃগাড়ি আমার বাপের আর গাড়ির কি করেছিস দেখতে পাচ্ছিস।

ঃজি গ্লাসে ফাটল দরেছে।

ঃতাতো আমিও দেখতে পাচ্ছি।

ঃএই ম্যাডাম দেখন না ওদিকে গ্লাসে ফাটল ধরায় কি সুন্দর আলপনার মতো মনে হচ্ছে।

ঃ আহা ধারুন হয়েছে চারুশিল্পী। কি দারুন কি দারুন

ঃ আসলে আমি নিজের প্রসংসা নিজের সামনে শুনতে কি রখম লাগে। তারপরে তারিফ করার জন্য ধন্যবাদ। 

ঃ তোর ধন্যবাদ এর গোষ্ঠী কিলাই। টাকা বের কর। ৫০০০ টাকা দে। গ্লাস নস্ট করেছিস।

ঃআসলে হয়েছে কি, এই দেখছেন কাকতাড়ুয়া? 

ঃকই কই?

ঃআরে ম্যাডাম অন্যদিকে নয় আমার দিকে তাকান দেখতে পাচ্ছেন কাকতাড়ুয়া। 

ঃহাহা একদম ভুতের মতো লাগছে আর তোকে ম্যাচুয়েডও হয়েছে।

ঃআর বইলেন না ম্যাফাম এক গাড়ি এসে আমার এই হাল করেছে। যখনই ওর গাড়িতে ইট নিক্ষেপ করেছিলাম তখনই আপনার গাড়ি সামনে চলে আসে। 

সেইদিনের মতো গোসল করে মেসে থাকলাম।পরদিন সকালে উঠে বাসা খুজতে বের হলাম।

এক বাসায় দেখতে পেলাম টু লেট বোর্ড দেওয়া। যাই দেখে আসি

ঃএই কই যাচ্চেন?(দারোওয়ান)

ঃ জি ভিতরে যাচ্চি। বাসা দেখতে।(আমি)

ঃআচ্চা যান

বাসায় গিয়ে দেখলাম এক আন্টিকে

ঃআসসালামু আলাইকুম আন্টি। 

ঃওয়ালাইকুম সালাম, কে বাবা তুমি?

ঃজি আন্টি আমি বাসা নেওয়ার জন্য আসছি।

ঃতা তুমি বিয়ে করেছো?

ঃআন্টি এই বাচ্চা ছেলেটারে দেখে কি মনে হয় বিবাহিত। 

ঃদেখো আমরা ফ্যামিলি ছারা বাসা ভাড়া দেব না।

ঃ আন্টই আমি কোন ঝামেলা করবো না। আমি অনেক ভালোছেলে।

ঃসরি তুমি আসতে পারো।

এখান থেকে বের হয়ে আসছি। এভাবে অনেক বাসায় গেলাম সবাই একই কথা বলে।

ধুর কিছু ভালো লাগে না। আমাদের মতো ব্যাচেলর ছেলে মেয়েদের কি থাকার কোন অধিকার নাই। বাসায় উঠতে বলে বিয়ে করো। আর বিয়ে করতে গেলে বলে চাকরি আর বাসা আনো।

আরে বাবা এই চাকরি জন্য আসতে হয় শহরে লেখাপড়া করার জন্য আর লেখাপড়ার জন্য থাকতে হয় বাসায়। কিন্তু এই লোক গুলো কেন এসব বুঝে না

সন্ধ্যার পরে একবাড়িতে গেলাম।

আমি জানি এখানে বলবে ব্যাচেলর নট এলাও। তবুও গেলাম

আংকেলের সাথে পরিচিত হলাম

ঃআংকেন আমি বাসা নেওয়ার জন্য আসছি। যদি দিতেন তাহলে খুব ভালো হত।

ঃদেখে মনে হচ্ছে ভদ্র ছেলে। বাসা দিতে পারি তবে কিছু শর্ত আছে। 

১.কোন ফ্রেন্ড নিয়ে বাসায় আসতে পারবে না।

২.রাত করে বাসায় ফেরা যাবে না।

ঃআমি রাজি।

ঃতাহলে কালকে তোমার সব জিনিস পত্র নিয়ে এসো। কেমন?

ঃজি আংকেল। এখন আসি। আসসালামু আলাইকুম। 

আহ কি খুশি লাগতাছে আজ বাসা পেয়ে গেছি।

আজ সব জিনিস পত্র নিয়ে নতুন বাসায় উঠেছি।ঘরে সব জিনিস পত্র সাজিয়ে নিচে নামতেছি।

ঃআউ কেরে দেখে চলতে পারিস না।

ঃ সরি সরি আমি খেয়া..বলতে পারিনি দেখি একটি মেয়ের সাথে ধাক্কা খাইছি আর মেয়েটি আর কেউ নয় 

মেয়েটি হচ্ছে অই কারওয়ালি।

ঃএবার কোথায় যাবে মনু। গতপরশু তো পগারপার হয়ে গেছিলে আজ তোকে ছাড়ছি না। টাকা আদায় করেই ছাড়বো।

কি ডেঞ্জারাস মেয়েরে বাবা।সব সময় রাগ করে।

ঃজি কিসের টাকা(আমি)

ঃঅই আমার গাড়ির কাচ ভাংলে আর এখনই ভুলে গেলা। আজ তুই কোথায় যেতে পারবে না।

ঃজি আজ থেকে আমি কোথায় যাবো না। আজ থেকে আমি এখানেই থাকবো।

ঃকি কি এখানেই থাকবে না। তুই আমার বাসায় থাকবে? 

ঃএটা আপনার বাসা?

ঃহা হা এটা আমার ভাসা। আর জিনিসপত্র গুছিয়ে নাও। বাসা ছাড়তে হবে।

কপাল সবই কপাল। এতো কসট করে ভাসা বের করলাম আর যে কিনা ওই পেত্নির বাসা।

আব্বু আব্বু তুমি আমাকে না জিগায়ে বাসা বাড়া দিলে কেন?

ঃকেন মা ছেলেটা তো ভালো। তাই বাসা দিয়ে দিসি। আর ওর ভার্সিটি এখান থেকে কিছু দুরে তাই দিয়ে দিছি।

ঃবাবা ওকে বাসা থেকে বের করে দাও।

ঃকেন ও কি করেছে?

ঃআব্বু ও

ঃআংকেল আমি আসলে...... সব বললাম। আচ্চা আমাকে এই একমাস থাকতে দিন। যদি আমার কোন বাজে আচরণ দেখতে পান তাহলে বের করে দিবেন। 

ঃআচ্চা ঠিক আছে।

ঃধন্যবাদ। আসি আংকেল। 

ঃকই যাচ্ছ?

ঃজি হোটেলে যাচ্ছি দুপুরের খাবার টা খেয়ে আসি।

ঃতোমার কোথায় যেতে হবেনা আজ আমাদের বাসায়ই খাবে।

আমি আপত্তি করেও পারলাম না। শেষমেস খেতেই হলো।

খাওয়া শেষ করে রুমে এসে গা এলিয়ে দিলাম। আজ অনেক দখল গেছে। 

ঘুম থেকে উঠলাম।

পরদিন সকালে ভার্সিটি যাচ্চি। এমন সময় আংকেলের ডাক

ঃকই যাচ্ছো তুমি?

ঃজি ভার্সিটিতে যাচ্ছি।

ঃতা তুমি কোন সাব্জেক্ট নিয়ে পড়তেছো?

ঃজি আংকেল ক্যামিক্যাল ইনজিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সাইন্স।

ঃ খুবই ভালো।

ঃএই আর কি

ঃএকটা কথা রাখবে বাবা?

ঃআরে বলুন আংকেল। আপনি আমার বাবার সমান। আপনার কথা কি আর ফেলতে পারি।

ঃআমার মেয়ে মধু এইবার ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে। সামনে এইচইসসি এক্সাম। তুমি তো সন্ধ্যার পরে কোথায় যাও না।আমি বলিকি যদি তুমি সন্ধ্যার পরে একটু সময় দিতে।

ঃআচ্চা আংকেল। কোন সমস্যা নাই।

ঃআর হ্যা তুমি আজ থেকে কিছু রান্না করবে না।

ঃঅমা তাহলে আমি খাব কি?

ঃতুমি আজ থেকে আমাদের বাসায় খাবে।

তারপর ভার্সিটি থেকে এসে ফ্রেশ হয়ে একটা ঘুম দিলাম। 

ঠক ঠকঠক 

দরজায় আওয়াজ শুনে ঘুম থেকে উঠলাম।

ঃএই তুই এতো সময় ঘুমাস?

ঃআসলে 

ঃবলতে হবে না ফ্রেশ হয়ে আয়। তুই আমাকে পড়াবে? আব্বু বলছেন।

ওমা এটা মেয়ে না আরো কিছু। এমন করে বলছে যেন ও আমাকে পড়াচ্ছে।

তার পর ফ্রেশ হয়ে আসলাম।

ঃএই নে নাস্তা আব্বু বলছেন খেয়ে নিতে।

ঃখাওয়া শেষ হলে আমাকে পড়িয়ে উদ্ধার কর।

ঃএই এরখম বলো কেন। আমি তো তোমার টিচার। একটু রেস্পেক্ট করো।

ঃআমার বয়ে গেছে রেস্পেক্ট করবো।

আজ যদি বাদশা আলমগীর বেচে থাকতেন তাহলে তিনি এই মেয়েকে দেখে আত্বহত্যা করতেন। এতো কস্ট করে তিনি শিক্ষকের মর্যাদা দিলেন আর এই মেয়ে সব ধোলায় মিশে দিয়েছে।

ঃকি আর করার এমনিতেই আছি মাইকার চিপায়। তারউপর আমাক কাছে ৫০০০ য়াকা পায়। সব সহ্য করতে হবে। কবে যে লাথি মেরে বাসা থেকে বের করে দিবে এই মেয়ের কোন ঠিক নাই।

ঃআচ্চা কোন্টাতে বেশি দুর্বল তুমি?

ঃজৈব রসায়ন, জৈব রসায়ন বের করলে পড়ার ইচ্ছা মাটি হয়ে যায়।

ঃআচ্চা বের করোতো। দেখি 

তারপর অকে ভালো ভাবে পড়ালাম। ওকে পড়াতে আমারই ফেনা বের হয়ে গিয়েছিল তবুও ইজ্জতের দিকে তাকিয়ে ওনেক কস্টে বুঝিয়ে দিলাম। (আপনারা যাইরা সাইন্সের তারা অবশ্যই এই পাঠ সম্পর্কে অবগত আছেন)।

এই ভাবে তিন দিনে জৈব রসায়ন ক্লিয়ার করে দিলাম।

এদিকে মধু ভাবছে ছেলেটাকে যতোটা খারাপ ভেবেছিলাম ততটা নয়। একদিন না হয় ভুলে আমার কাচ ফাটিয়েছে। 

যেই পড়াটা আমার লাইফের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছিল। সেটা মাত্র তিনদিনে ও ক্লিয়ার করে দিল।

পরদিন ভার্সিটি থেকে এসে গান শুনছি। এমন সময় মধু আসলো। হাতে বই আর নাস্তার বাটি।

ওর হাত থেকে নাস্তার বাটি নিয়ে খেতে লাগলাম। 

যখন নাস্তা শেষ করে পানি খাচ্ছিলাম তখন মধু যা বললো আমার মুখ থেকে পানি বের হয়ে গেলো

!.

.ভূলত্রটি খমার নজরে দেখবেন প্লিজ 


Waiting for next part.

Thank you..

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post