বাড়িওয়ালার দাজ্জাল মেয়ে😘 পর্বঃ2.🙏


 বাড়িওয়ালার দাজ্জাল মেয়ে😘

পর্বঃ2.🙏

লেখক: সানভি আহম্মেদ আবির ❤


যখন নাস্তা শেষ করে পানি খাচ্ছিলাম তখন মধু যা বললো আমার মুখ থেকে পানি বের হয়ে গেলো।

ঃআপনার পড়া আমার খুব ভালো লেগেছে। আমার জৈব রসায়ন একদম ক্লিয়ার। আজ ক্লাস টেস্টে আমি ফার্স্ট হয়েছি।

ঃআপনি! তুই থেকে ডাইরেক্ট আপনি। 

ঃকেন বললে কি কোন প্রব্লেম। আর গুরুজন কে সম্মান দিতে হয় তাই আপনি বললাম।আর এখন থেকে সব সময় বলবো।

ঃআচ্চা ঠিক আছে বলিও। আজ কি পড়বেন।

ঃজি আজ ফিজিক্স পড়বো।

আমি ওকে ফিজিক্স শেষ করে নিজের পড়তে বসলাম।

এভাবে চলতে লাগলো মাস খানেকের মতো। বাসা থেকে টাকা পাঠিয়েছে। যাই বাড়ির বাড়াটা মিটিয়ে আসি।

ঃআংকেল আসবো(আমি)

ঃআরে আসো আসো।

ঃজি আংকেল এই নিন মাসের ভাড়াটা।

ঃআরে আরে কি করছো। তুমি ভাড়া দিচ্ছো কেন? তোমাকে ভাড়া দিতে হবে না। তুমি আমার বাসায় থাকছো এটাই অনেক। আর আমার মেয়েকে পড়াচ্ছো সেটাতো থেকেই গেলো। 

ঃশোন তোমাকে বাড়িভাড়া দিতে হবে না। তোমার সব ফ্রি। এখন থেকে তুমি আমাদের পরিবারের সদস্য।

,

আংকেলের কথা শুনে ভালো লাগলো। যাহ এই মাসে ৫০০০ টাকা বেচে গেলো। ফুল মাস্তি করা যাবে।

ঃআসবো(মধু)

ঃহা আসো।বসো।

বই বের,,,, হায় এটা আমি কি দেখছি। আমার সামনে যেন এক্টা পরি বসে আছে। প্রথমেতো খেয়াল করিনি।

ঃকি হলো এভাবে হা করে বসে আছেন কেন মশাতো ডুকে যাবে।

ঃএইযে শুনছেন,হ্যালো 

ঃহা হা কি বলো।

ঃএভাবে কি দেখছিলেন আমার দিকে তাকিয়ে। 

ঃনা মানে আমি একটু চিন্তা করছিলাম কেপলারের সুত্র নিয়ে। (ডাহা মিথ্যা, সত্য বললে একদম টিচিং এর মান সম্মান কিছুই থাকতো না) 

ঃআমাকে কেমন লাগছে?

ঃসুন্দর লাগছে।এখন পড়তে বসো।

আজ ওকে দেখেই তো পুরো ক্রাস খেয়েছি। মনের মধ্যে ঘন্টা বেজে গেসে। কিন্তু আমি বাহিরে ঘন্টা বাজালে সব শেষ হয়ে যাবে। স্কুলের সাথে স্কুলমাস্টারকেও ছুটি দিয়ে দিবে বাড়িওয়ালা আংকেল। তাই আপাতত সাইলেন্ট মুডে ঘন্টা বাজাইলাম।

ঃআজ আর পড়বো না গল্প করবো।

এই মাইয়া বলে কি গল্প করবে

ঃআচ্চা করো গল্প(আমি)

ঃগল্প কি আর একা করা যায়? সাথে তুমিও করতে হবে।

ঃআমি পারিনা।

ঃআচ্চা শুনেন আপনার গার্লফ্রেন্ড আছে?

ঃআরে এতো কমন আমার অনেক গুলো গার্লফ্রেন্ড আছে?

ঃফাজলামি করো। অনেকগুলো মানে? মানুষের গার্লফ্রেন্ড থাকেতো একটা। আর তোমার অনেক গুলো। আমি বিশ্বাস করিনাম

ঃহিহি। সত্যি আমার অনেকগুলো আছে। এর মাঝে বেস্ট গার্লফ্রেন্ড দুইটা আছে।

ঃকিহ বেস্ট গার্লফ্রেন্ড? 

ঃআচ্চা বেস্ট গার্লফ্রেন্ড আর সাধারণ গার্লফ্রেন্ড এর মাঝে পার্থক্য কি?

ঃআমার বেস্ট গার্লফ্রেন্ড গুলো আমারে তুই বলে আমিও তুই বলি। অদের সাথে সব সময় আড্ডা দেই। দুইজন এক্সাথে হলে তো খুবইমজা হয়। কিন্তু তোমাদের অখানে আসার পর থেকে ওদের সাথে মিট করতে পারছিনা।আর সাধারণ গার্লফ্রেন্ড বলতে এই কারো সাথে কলেজ সম্পর্ক আবার কারো সাথে ভার্সিটির সম্পর্ক। 

ঃএকমিনিট তোমার এসব ফ্রেন্ড। প্রেমিকা না তো।

ঃ আরে প্রেমিকা হতে যাবে কেন?

ঃতাহলে বললে গার্লফ্রেন্ড? 

ঃহে গার্লফ্রেন্ডই তো। ওরা কি আমার বয় ফ্রেন্ড। গার্লফ্রেন্ড মানে মেয়ে বন্ধু। ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড় আর এটা জানো না।

ঃআমার জানায় কম ছিলো গুরু।আরও সামান্য যদি তোমার গার্লফ্রেন্ড সম্পকে বলতে তাহলে আমি পাগল হয়ে যেতাম।

ঃএবার বলো আপনার প্রেমিকা আছে?

ঃএই কি বলো আমার প্রেমিকা আসবে কোথা থেকে। যখনই কোন মেয়ে আমাকে গার্লফ্রেন্ড এর সাথএ দেখে তখন ভাবে ওরা আমার প্রেমিকা। তাই কোন মেয়ে আর কপালে জুটে নি।

ঃতোমার এতো শখ কেন প্রেমিকা বানানোর। তোমার রো বেস্ট গার্লফ্রেন্ড আছে?

ঃআমার না অনেকদিনের শখ প্রেমিকাকে কিস করবো। তাই।

ঃশুধু কিস করবে?

ঃহ্যা

ঃকিস করে ওর সাথে সম্পর্ক শেষ করে দিবে?

ঃএই না না আমি অনে বিয়ে করবো।

আজ অনেক গল্প হইছে এখন যাও।

তারপর ও চলে গেলো। এভাবে দিন চলছে আমার। আজ আমার ভার্সিটির একটি অনুস্টান। তাই সকাল সকাল চলে গেলাম না খেয়েই। মধু এই সময় ঘুমে ছিল। জেগে থাকলে খাওয়ার জন্য বলতো।

ভার্সিটি গিয়ে অনুস্টানে জয়েন হলাম। অনুস্টান শেষ হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। তারপর বাসায় আসলাম। বাসায় এসে আংকেল কে দেখলাম।

ঃআংকেল আজ আমি খুবই ট্রায়ার্ড। আজ মধুকে পড়ায়ে পারবো না।

ঃঅকে যাও রেস্ট নাও।খাবার খাইয়ে ঘুমিও।

ঃআমি খুবই ক্লান্ত ছিলাম তাই তারাতাড়ি ঘুম চলে আসলো।খাওয়া আর হলো না। পরে শুনলাম আংকেল নাকি অনেকবার ডেকেছে আমি জবাব দেই নি। আসলে আমি ঘুমালে এতো সহজে উঠি না। এর জন্য নিজের বাড়িতে থাকতে প্রতিদিন আম্মুর হাতের ঝাড়ুর বাড়ি খেতে হতো।

পরদিন বিকালে আমি যথারিতি গান শুনছি আর মধুর অপেক্ষা করছি। কিন্তু ও আসছে না।

যাই নিচে গিয়ে দেখে আসি।

ঃআংকেল মধু কই পড়তে আসলো না।

ঃজানিনা ও রুমে আছে যাও গিয়ে দেখে আসো।

ঃআচ্চা আংকেল।

আমি গিয়ে মধুর দরজায় নক করলাম।

ঃকে 

ঃজি আমি ফাহাদ আসবো

ঃআসেন

ঃতুমি পরতে যাচ্ছো না কেন?

ঃনা আমি আর পড়তে যাবো না। আপনি আমায় মিথ্যা বলছেন। 

ঃআমি কি মিথ্যা বললাম?

ঃআপনি বললেন আপনার প্রেমিকা নেই। আর কালকে ভার্সিটির ফাংশনে একটি মেয়েকে জড়িয়ে ধরলেন কেন?

ঃআরে ও আমার প্রেমিকা না। আর আমি অকে জড়িয়ে ধরিনি ও আমাকে ধরেছে। আর আমার প্রেমিকার সাথে তোমার পড়তে না যাওয়ার কি সম্পর্ক? 

ঃআছে সময় হলে বুঝবেন।

আচ্চা চলেন পড়তে। 

ঃআপনি যান আমি রেডি হয়ে আসছি।

আমি আমার রুমে চলে আসলাম। কিন্তু ওর আসার কোন খবর নাই। আধা ঘন্টা হয়ে গেলো ধুর ভাল্লাগে না।

এর মাঝে ও চলে আসলো। ওরে রুমে দেখলাম ড্রেস পরা আর এখন শাড়ি পরে আসছে কেন?

ঃকেমন লাগছে আমাকে?

ঃতার আগে বলো আপনি হঠাৎ শাড়ি পরলেন কেন?

ঃসেটা আমি যেই কারনেই হোক। পরে বুঝবেন। আগে বলুন কেমন লাগছে?

ঃঅসাধারণ লাগছে তোমায় যেন আকাশ থেকে কোন পরি নেমে এসেছে।

দেখলাম ওর চুক মুক উজ্জল হয়ে গেছে।

তার পর ও চলে গেলো। আমি তো ওর চিন্তায় পড়ে গেলাম 

আমার ভার্সিটিতে যখন অনুস্টান ছিল তখন মধু আর অর বান্ধবীরা চলে আসে আমাদের ভার্সিটিতে। তারা আমাদের ভার্সিটির ফাংশন দেখে খুবই আনন্দিত হয়। 

মধু এদিক ওদিক তাকাচ্ছিল আর দেখছিলো। হঠাৎ চোখ পড়ল একদিকে। আমার এক বান্ধবী আমাকে জড়িয়ে ধরেছে। এটা দেখে মধুর খুব রাগ হয় এবং অনেক কস্ট পায়। সেখান থেকে সে সোজা বাসায় চলে আসে।

বাসায় আসার পর সে ভাবে

ফাহাদ এতো খারাপ ও বাহিরে মেয়েদের জড়িয়ে ধরে। ছি ছি ফাহাদ। আমি কখনো এসব ভাবিনি।

এসব ভাবতে ভাবতে চেয়ে দেখি আমার চোখে জল এসেছে।

কিন্তু কেন?

আমার চোখে জল আসল কেন? না না এ হতে পারে না। আমি ফাহাদ কে নিয়ে এতো ভাবি কেন। ওতো জাস্ট আমার টিচার। ও বাহিরে যা কিছুই করে না কেন আমার কি? 

কিন্তু মেয়েটা কে হতে পারে। ও তো বলল ওর কোন প্রেমিকা নেই। ওই মেয়ে যদি ওর প্রেমিকা হয় তাহলে আমি এটা মেনে নিতে পারবো না। আমি ওকএ মেরে ফেলব।

ঃধুর কি ভাবি আমি। তাহলে কি আমি ওকে ভালো বেসে ফেললাম। আমার ওকে কি ভালোবাসা উচিৎ হবে।

ভালবাসা বলে কয়ে আসে না। হঠাৎ চলে আসে। আমি এখন কি করবো। আমি যদি অকে বলি আর ও যদি রাগ করে চলে যায়।

এসব ভাবছে আর রাগ হচ্ছে শুধু এই মেয়ের জন্য। 

পরদিন বিকালে মধু পড়তে আসল। এখন প্রতিদিন খুব সেজেগুজে আসে। আমি এর আগা মাথা কিছুই বুঝিনা।

হয়তো এমনিতেই হবে।

পড়া শেষ করে যখন মধু চলে যাবে তখন আমি ডাক দিলাম

ঃমধু?(আমি)

ঃজি বলেন(মধু)

ঃএই নাও এটা বাসায় নিয়ে খুলবে(হাতে একটা খাম দিয়ে)

ঃআচ্চা।

মধু ভেবে পাচ্ছে না কি হবে এই খামের ভিতর।

লাভ লেটার? 

তাহলে কি ফাহাদ ও আমায় ভালবাসে। ইয়াহ হু। আমার লাইন ক্লিয়ার। আমাকে আর কস্ট করতে হবে না।

বাসায় মধু তার রুমে আসলো। যখনই খুলতে যাবে তখন

ঃআপামনি খেতে আসেন? আংকেল আর ভাইয়া আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন?(কাজের মেয়ে)

ঃআসছি।

খাওয়া দাওয়া শেষ করে মধু নিজের দরজা লক করলো। 

আহ কি আনন্দ ফাহাদ আমাকে লাভ লেটার দিসে?

আমি কালকেই ওকে হ্যা বলে দিবো। আর আপন করে নিবো।

আই লাভ য়ু ফাহাদ

আস্তে আস্তে খামের মুখ খুলল 

মধু যখনই খামের মুখ খুলল এবং ভেতরে যা দেখতে পেল তা দেখে সে অভাক। সে ভাবতেই পারেনি এমন হবে!❤

ভেতরে দেখে যে ৫০০০ টাকা। আর একটি চিরকুট। 

"আপনার কাচ ভেঙেছিলাম তাই আপনার কাচের টাকা দিয়ে দিলাম। টাকা দিতে কিছুটা দেরি হয়ে গেছে তাই সরি"

চিরকুটটা দেখে মধুর সেই লেভেলের রাগ উঠছে।

ওই হাদারামকে কি আমি টাকা খুজেছি বাসায় আসার পর থেকে। ওইদিন না হয় রাগের মাথায় বলেছিলাম টাকার কথা তাই বলে কি দিয়ে দিবে৷ আর আমার বাবার কি টাকা কম আছে যে আমি গাড়ির কাচ লাগাতে অন্যের কাছ থেকে টাকা নিবো।মন চাচ্ছে এখন কি যে করি ওকে।

ঃঠক ঠকঠক (মধু আমার দরজায় নক করছে)

ঃআমি ঘুমে

ঃঠক ঠক ঠকঠক 

ঃএই অসময় কে এলো ঝামেলা করতে। রাত প্রায় দুটোর কাছকাছি।

ঃকে?

ঃআমি

ঃআমি কে?

ঃএই দরজা গুলোতে, আমাদের বাসায় মানুষ কতজন। বআবা আর আমি।আর মেয়ে মানুষ শুধু আমি। এখন মেয়ে কন্ঠ শুনেও বলছো কে?

দরজা খুলো

এতো রাতে ও কেন? আর ওর কথা শুনে বুঝতে পারছি মধু এখন অনফায়ার এ আছে। আল্লাহ জানে কি হবে।

লাইট অন করে ভয়ে ভয়ে দরজা খুল্লাম

ঃকি ব্যাপার এতো রাতে কেন?

ঃআমাকে এতো রাতে আনতে তুমি বাধ্য করলে তাই না এসে পারলাম না। 

ঃআচ্চা বসো

ঃতোর বসার গোষ্ঠীর ষষ্ঠী পুজো করি।

ঃএতো রাগছো কেন?

ঃরাগছি কি আর সাধে। আমাকে তুমি টাকা দিলে কেন?

ঃতুমি তো টাকা পাইতে তাই দিলাম।

ঃএকদিন রাগ করে বলছিলাম তাই বলে দিতে হবে(কান্না কান্না করে)

তুমি বাসায় আসার পর থেকে একদিন ও কি বলেছিলাম তুমি টাকা দাও।

ঃআসলে আমি কারো রিন থাকা পছন্দ করি না।

ঃকি রে মা এতো রাতে তোমরা ঝগড়া করছো কেন?(মধুর বাবা)

ঃআংকেল শুনু

ঃতুমি থামোতো।আব্বু ও আমাদের বাসায় আসার আগে একদিন ভুল করে আমাদেএ গাড়ির কাচ ভেঙেছিলো। এখন ও এর টাকা দিয়েছে। তাই ঝগড়া করছি।

ঃবাবা তুমি ঠিক করোনি।

ঃআংকেল আমি আর এরখম করবো। কারো গাড়িতে ঢিল মারবো না।

ঃআরে তোমাকে ঢিল মারার কথা কে বলেছে। তুমি যে টাকা দিয়েছো সেটা উচিৎ হয় নি। আমি তোমাকে পরিবারের একজন সদস্য মানি আর তুমি টাকা দিবে তা হতে পারে না।

ঃআব্বু তুমি যাও তো।আমি দেখছি

ঃআচ্চা তুমি যা বুঝো করো। তারাতারি ঘুমাইও। 

বলে উনি চলে গেলেন

ঃএই নাও 

ঃকি 

ঃটাকা, যা তুমি দিয়েছিলে। 

ঃনা আমি নিতে পারবো না। 

ঃআচ্চা এক কাজ করো। এই টাকা তুমি রাখো আর আমাকে তুমার পছন্দ মতো কিছু গিফট দিয়ে দিয়ো।

এই বলে হাতের মধ্যে টাকা গুজে দিয়ে চলে গেলো।

,

আমি তো এখন মাইকার চিপায় পড়ে গেছি।

আমায় যদি বলতো কান ধরে একশ উঠবস করতে তাহলে আমি নির্ধিদ্বায় করতাম। কিন্তু পছন্দ মতো, ইম্পসিবল😭😭😭

কারন আমি আজ পর্যন্ত যা কিছু কিনেছি কারো পছন্দ হয় নি। 

দোকানে প্রথমে পছন্দ হয়। যেই বাসায় এসে দেখি কেল্লাফতে, তখন পস্তাতে থাকি এটা আমি কেন কিনলাম।

আজ মধু বলছে তাকে তার পছন্দ মতো কিছু গিফট করবো।

এখন আমি কি করবো প্রথমত আমি পছন্দ মতো কিছু কিন্তে পারি না তার উপর মেয়ে মানুষের পছন্দে হবে। এই মেয়ে জাতির কিছু পছন্দ হতে হলে অনেক সময়ের দরকার। 

একবার কলেজ থাকতে আমার এক বান্ধবীর সাথে ওর একটি ড্রেস কিন্তে গিয়েছিলাম। বিশ্বাস করেন ভাই 2.00 টায় গিয়েছিলাম আর ফিরছিলাম ৬.০০ টায়।এর পর থেকে শপথ নিয়েছিলাম মেয়ে মানুশএর সাথে কখনো কিছু কিনতে যাবো না।

একটি কথা ভেবে দেখুন ওরা অনেক আইটেম দেখার পরও ওদের চয়েজ করতে এতো সময় যায় আর আমি একটি কিছু আনবো আর পছন্দ হয়ে যাবে। তাতো কখনো সম্ভব নয়। 

পরদিন বিকালে আল্লার নাম নিয়ে একটি শপিং মলে প্রবেশ করলাম। 

কি নেওয়া যায় এখনো ঠিল করতে পারছি না।

দেখি একটি শাড়ি নিয়ে নেই। 

একটি শাড়ির দোকানে গেলাম

ঃভাই একটি ভালো মানের শাড়ি দেখান তো।

ঃদোকান্দার কয়েক কালারের শাড়ি দিলো। কিন্তু আমার একটি কালো রঙের শাড়ি চয়েজ হলো। 

এই শাড়ি না নিয়ে বাসায় ফিরলাম। যখনই বাসায় ঢুক্তে যাবো তখনি মনে পরল এটা আমি কি ধরনের শাড়ি কিনলাম। পরলে মনে হবে যেন ও কারো শোক সভায় শ্রদ্ধা জানাতে কালো রঙের শাড়ি পরে আসছে। 

ধুর যা হবার হবে এটা দিয়ে দিবো।

ঃকই আমার গিফট আনছো।( মধু)

ঃহ্যা এই নাও। (ব্যাগটি দিয়ে)

আমি সোজা রুমে চলে আসলাম। 

বিকালে মধু পরতে আসলো

মধু আমার দেওয়া শাড়ি পরেছে। আমিতো অভাক

ভাবছিলাম মধু আমার দেওয়া শাড়ি দেখেই ফেলে দিবে কিন্তু এখন দেখি পুরো উল্টো সে আমার শাড়ি পরেছে।

ঃকেমন লাগছে আমাকে? 

ঃতার আগে বলো শাড়ি কি তোমার পছন্দ হয়েছে।

ঃঅপছন্দের কোন কিছু পড়া আমার অভ্যাস নাই। 

ঃতার মানে পছন্দ হয়েছ?

ঃহম্ম

ঃআর তোমাকেও অনেক সুন্দর লাগছে।

ঃধন্যবাদ 

আচ্চা এখন পড় অনেক গল্প হলো। সামনে তোমার টেস্ট এক্সাম। এখন থেকে মন দিয়ে লেখাপড়া করো। 

তারপর মধুকে পড়িয়ে বিফায় করলাম।

রাতে শুয়ে আছি। হঠাৎ ফোন বাঝতে শুরু করলো।

যেই নাম্বারটা দেখলাম আমি অভাক হয়ে গেলাম

waiting for next part.

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post