বাড়িওয়ালার বেডি❤
লেখক: সানভি আহম্মেদ আবির ❤
পর্ব:3🙏
রাতে শুয়ে আছি। হঠাৎ ফোন বাঝতে শুরু করলো।
যেই নাম্বারটা দেখলাম আমি অভাক হয়ে গেলাম।
আরে এতো সিমরানের ফোন।
ভয়ে ভয়ে রিসিভ করলাম।
ঃএই কুত্তা কই তুই?
কি মেয়েরে বাবা ফোন দিয়েই বলে কুত্তা।
ঃজি আপু আমি সিলেট আছি।
ঃএই আমি তোর কোন জন্মের আপু লাগি। আমারে আপু বলিস
ঃআপু ভুল হয়ে গেছে আর বলবনা আপু।
ঃআবার আপু
ঃসরি সরি
ঃঠিক আছে। আর শোন আমিও সিলেট আছি আমার সাথে দেখা কর এক্ষুনি।
ঃকিহ তুই সিলেট। আচ্চা দেখা করবো।(যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত হয়)
বুজলেন না তো। ও হচ্ছে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড সিমরান। বেস্টফ্রেন্ড হলে কি হবে জমের সাথে ওর সরাসরি কন্টাক্ট আছে। সব সময় দৌড়ের উপর রাখে।
বিকালে রেডি হয়ে বের হয়ে ওর সাথে দেখা করতে এলাম।
ঃহায় কেমন আছিস তুই।
ঃতুই হায় তোর কাছে রাখ। আগে বল তুই এখানে আমাকে না জানিয়ে আসলে কেন। বলে আমাকে মারতে লাগলো।
ঃসরি রে। আমি কাউকে জানাইনি।
তারপর ওর সাথে অনেক গল্প করলাম আর ঘুরলাম।
ঃআচ্চা আজ অনেক ঘুরলাম এখন যাই।
ঃঅকে যাই বলে সিমরান আমাকে জড়িয়ে ধরলো
ঃআমিও অকে জড়িয়ে ধরলাম।
হঠাৎ দেখি মধু কান্না কান্না চোখে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
ঃমধু মধু
ঃও কিছু না বলে চলে গেলো
কিরে মেয়েটা তোকে দেখে কান্না করলো কেন?
ঃজানি না রে।
ঃআমাকে লুকোচ্ছিস(কান টেনে)
ঃশোন স্কুল কলেজে থাকতে আমার কারনে তোর কখনো প্রেম কপালে জুটে নি। সবাই কে বলতাম আমি তোর গার্লফ্রেন্ড। আর কারো সাহস আছে তোর সাথে প্রেম করার।
ঃকিহ
ঃকিন্তু আজ আর নয়। আমার মনে হয় মেয়েটা তোকে সত্যিই ভালোভাসে। আমি ওর সাথে কথা বলবো।
ঃআরে সব বকছিস। মেয়েটা আমার স্টুডেন্ট। ও কেন আমাকে ভালোবাসতে যাবে আর আমি কেন ওকে ভালবাসবো।আর টিচার স্টুডেন্ট এর প্রেম কখনো সম্ভব নয়।
ঃতুই কি গুলে গেছিস আমার বাবা মার কথা। ওরাইতো টিচার স্টুডেন্ট ছিলো।
ঃআচ্চা পরে কথা বলবো
এদিকে মধু ভাবছে, ও আমাকে ধুকা দিল। ও বলল ওর কোন গার্লফ্রেন্ড নাই। তাই আমি ওকে নিয়ে কতো স্বপ্ন সাজিয়েছি। দিন রাত শুধু তাকে নিয়ে ভাবছি। কি করবো এখন আমার মরে যেতে ইচ্ছে করছে।
কিন্তু ও তো বলল ওর বেস্ট ফ্রেন্ড আছে। হতেও পারে এই মেয়েটি ওর বেস্ট ফ্রেন্ড।
নাহ ওকে একবার এই ব্যাপারে কথা বলে দেখবো।
বিকালে আমি বাসায় এসে আরামসে ঘুম দিলাম।
ঘুম থেকে উঠে চা খাচ্ছি।
এমন সময় মধু আসলো।
ওর চোখমুখ লাল হয়ে আছে। মনে হয় অনেক কান্না করছে আর রেগে আছে।
ঃকি ব্যাপার তোমাকে এমন লাগছে কেন?
ঃআমাকে যেমনই লাগুক আগে বল তোর সাথে মেয়েটা কে ছিল?
ঃকোন মেয়েটা?
ঃআহা এখন সাধু সাজছে। পার্কে যেই মেয়েটার সাথে চিপকা চিপকি করেছিলে অই মেয়েটা কে ছিলো।
ঃআরে ও আমার বেস্ট গারফ্রেন্ড সিমরান।
ঃবেস্ট ফ্রেন্ড বলে কি জড়িয়ে ধরতে হবে?
ঃআরে ও এমনি।স্কুল কলেজে থাকতে ওর কারনে কোন মেয়ে আমার সাথে প্রেম করতে পারেনি। সবাইকে ও বলতো আমি তার বয়ফ্রেন্ড।
ঃতাহলে তো ওকে একটা ধন্যবাদ দিতে হয়।
ঃকেন তুমি ওকে ধন্যবাদ দিবে আমার তো ওকে মারতে ইচ্ছে করছে।
ঃওর জন্যই তো আজ তুমি সিঙ্গেল। আর আমি তোমাকে পেতে যাচ্ছি।(মনে মনে)
ঃকিছু বললে?
ঃনাহ কিছু না।
ঃআজ পড়তে আসবে না।
ঃনা পড়বো আজ তোমার সাথে আমাকে ঘুরতে হবে।
ঃএই না না রাতে আমি কারো সাথে ঘুরতে পারবো না।
ঃযদি তুমি আমাকে নিয়ে না ঘুরো তাহলে আমি আব্বুকে বলবো তুমি আমাকে মারছো।
ঃএই না না আমি রাজি চলো।
তারপর আমি আর মধু রাত ১০ঃ০০ টা পর্যন্ত ঘুরলাম।
কিছুদিন পর আমার এক্সাম শুরু হল।
আমাকে সকাল সকাল বাসা থেকে বের হতে হয়।
অন্যদিন আমি আট্টায় ঘুম থেকে উঠি আজ সাড়ে পাচটায় উঠলাম৷ নামাজ শেষ করে কিছু পড়া দেখে সাটটার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে ভার্সিটি তে গেলাম পরিক্ষা দিতে।এই সময় আংকেল আর মধু দুইজনই ঘুমে। আমি তাদের ডিস্ট্রাব করলান না।তাই হোটেলে কিছু নাস্তা করে নিলাম।আমি বাহিরে তেমন খাওয়া হয়না আর এখন খেতে ইচ্ছে করে না।
দুপুরে বাসা আসার পর মধু আমাকে বলল
আজ এতো সকাল কই গিয়েছিলে। আর ফোন বন্ধ কেন?জানো কতো চিন্তা হচ্ছিলো তোমার জন্য।
ঃআসলে আমার পরিক্ষা শুরু হইছে।তাই সকাল যেতে হয়।
ঃতাহলে আমাকে বলে গেলে না কেন?
ঃআসলে তুমি ঘুমে ছিলো তাই ডাকলাম না।
ঃআসো খাবার সিচ্ছি তোমাকে।
ঃআমি খেয়ে এসেছি।
ঃমিথ্যা বলে লাভ নাই। আমি জানি তুমি খাওনি।
আমি আর কিছু বললাম না। এমনি পেঠে লেগেছে তাই চুপচাপ খেতে গেলাম।
পরদিন যথাসময়ে উঠে পড়ছি।
এমন সময় দরজায়
ঃঠক ঠকঠক
দরজা খুলে আমিতো অভাক
ঃআরে তুমি এতো সকাল?
ঃহ্যা আমি
ঃহাতে কি?
ঃখাবার। আমি তোমার জন্য খাবার রান্না করে নিয়ে এসেছি।
ঃতুমি খাবার রান্না করতে গেলে কেন? আর তুমি আমার জন্য খামাকা কস্ট করতে যাবে না।
ঃএখন থেকে আমি প্রতিদিন উঠবো আর তোমার জন্য খাবার রান্না করবো।
এই বলে সে আমার হাতে খাবারের বাটি দিয়ে চলে গেলো।
ঃএই শোন শোনতো
কে শুনে কার কথা, চলে গেলো।
ও আমার এতো কেয়ার করে কেন?
ওকি আমাকে ভালবাসে?
না এটা কখনো সম্ভব নয়। আংকেল আমাকে নিজের ছেলের মতো দেখেন। উনি আমাকে পরিবারের সদস্য মানেন। আমি উনার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করতে পারবো না।
এভাবে চলে গেলো সব পরিক্ষা। মধু প্রতিদিন সকালে আমার জন্য খাবার এনে দেয়। আমার খুব কেয়ার করে।
পরিক্ষা শেষ হওয়ার পর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে ফিরতে অনেক রাত হয়ে গেলো।
বাসায় আসতেই আংকেল বলল
কি ব্যাপার ফাহাদ আজ এতো দেরি করে বাসায় ফিরলে কেন?
ঃসরি আংকেল, আসলে পরিক্ষা শেষ হয়েছে তাই বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে দেরি হয়ে গেলো। ঃঠিক আছে আর এমন করো না।
তারপর আমি রুমে চলে আসলাম।
কিছুক্ষণ পর মধু খাবার নিয়ে আসলো।
ঃআজ এতো দেরি করলে কেন? আর এতো ফোন দিলাম ধরলে না কেন?
ঃকই দেখিতো
ফোন বের করে দেখি মধুর ৫০ টা ফোন।
ঃসরি ফোন সাইলেন্ট মুডে ছিলো। আর আমিতো বন্ধুদের সাথে খেয়ে এসেছি।
ঃতোমার সাথে খাবো বলে আমি খাইনি। তুমি না খেলে আমি কিন্তু খাবো না।
ঃআচ্চা সামান্য খাবো কিন্তু।
তারপর ও একটি প্লেটে খাবার দিতে লাগলো।
ঃকি ব্যাপার তুমি খাবে না?
ঃহ্যা খাবো তবে এক প্লেটে।
ঃহ্যা
তারপর দুজন খেতে বসলাম। মধু খাবার হাতে নিয়ে হাত আমার দিকে দিচ্ছে।
কি ব্যাপার মধু খেতে হলে হাত তো ওর মুখে নিতে হবে।
একি ও আমার মুখের দিকে হাত আনছে কেন?
ঃহ্যা করো
ঃ
ঃকি হলো হা করো।আমি তোমাকে খাইয়ে দিচ্ছি
ঃ
ঃপ্লিজ হা করো।
তারপর আমি হা করলাম ও আমাকে খাইয়ে দিলো
তারপর মধু বলল কি আমাকে খাইয়ে দিবে না?
আমাকে খাইয়ে দিলো আর আমি যদি না দেই তাহলে ইজ্জতের একটা ব্যাপার সেপার আছে না।
তাই আমি মধুকে খাইয়ে দিতে থাকলাম।
ঃআউচ, কামড় দিলে কেন?
ঃসরি সরি (হেসে হেসে)
মধু প্লেট গরে নিয়ে গেলো। কিছুক্ষন পর আবার আসলো।
ঃকি হলো এতো রাতে আবার আসলে কেন? আংকেল দেখলে কি মনে করবে
ঃনা দেখবে না।
ঃআমি তোমাকে কিছু বলতে চাই।
ঃহা বলো।
তার পর মধু যা বলল তা শুনে আমি অভাক হয়ে গেলাম।
আমি যা ভায় পাইছি তাই ই হলো?????
তারপর মধু যা বলল তা শুনে আমিতো অবাক!
ঃআমি কি করে যে বলি তোমাকে। বলতে ও সাহস পাচ্ছি না আবার না বলেও পারছিনা।
এই কথাটি বলার জন্য আমি ছটপট করছি।
আসলে আমপনার সাথে থাকতে থাকতে কখন যে আপনাকে ভালবেসে ফেলেছি।
খাইতে গেলে তোমাকে দেখি বস্তে গেলে তোমাকে দেখি। সব জায়গায় শুধু তুমি আর তুমি। আমার হ্রদয়ের সবটুকু জায়গা জুড়ে শুধু তুমিই আছো
আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি। প্লিজ আনাকে ফিরিয়ে দিও না।
ঃদেখো এসব কিছু তোমার আবেগ। আর এই সম্পর্ক কখনো সম্ভব নয়। আংকেলের বিশ্বাস আমি কখনো ভাংতে পারবো না।
ঃযদি তোমি আমাকে ভাল না বাসো তাহলে আমি মরে যাবো। তোমাকে ছাড়া এই পৃথিবীতে বেচে থেকে লাভ কি?
ঃপ্লিজ পাগলামি করোনা।
ঃতুমি হয়তো আমার রাগ সম্পর্কে যানো না আমি একবার যাই বলি তা আদায় করেই ছাড়ি।
ঃআচ্চা আমাকে ভাবতে হবে। আমাকে কিছু সময় দাও।
ঃঠিকআছে কালসকালে আমাকে হ্যা উত্তর দিবে।
এই বলে মধু চলে গেলো।
আমি বোকার মতো দাড়িয়ে রয়েছি। কি করবো ভেবে পাচ্ছি না।
আংকেলএর কোন ছেলে নাই বলে আমাকে ছেলে মনে করে আমাকে তার পরিবারের সদস্য বানিয়েছেন। আর এখন যদি রিনি শুনেন আমি তার মেয়ের সাথে,,,,,
া না এটা কখনো হতে পারে না। আমি আংকেলের বিশ্বাস কখনো ভাংতে পারবো না।
আর এখানে থাকলে সেটা কখনো সম্ভব হবে না।
মধু যেই ভাবে শুরু করছে তাতে আমিও দুর্বল হয়ে পড়ছি। আমি কেন যে কেউ মধুকে পছন্দ করবে। আর আমি কোন মহাপুরুষ নয় যে আমি নিজেকে সংযত রাখতে পারবো।
আমি কাল সকালেই চলে যাবো।
এখানে থাকতে পারবো না।
আজ আর না ঘুমিয়ে সবকিছু প্যাক করলাম। কাল সকাল মধু ঘুম থেকে উঠার আগেই চলে যেতে হবে হবে।
যথারীতি সকালে উঠে বাসা থেকে বের হচ্ছি। এওমন সময় আংকেল
ঃকি ব্যাপার এতো সকালে কই যাচ্ছো।
ঃমধু আপনাকে বলে নি? পরিক্ষা শেষ হইছি।এখন ভার্সিটি বন্ধ তাই একটু বাসায় যাচ্ছি।
ঃবাসায় যাচ্চ ভালো কথা সাথে এতো কাপড় চোপড় কেন।
ঃএখন মধুর ও এক্সাম শেষ আর আমার ভার্সিটি বন্ধ তাই মাস খানিক বাড়িতে থাকবো।
ঃআচ্চা সাবধানে যাও আর গিয়ে ফোনে দিও।
ঃজি আংকেল।
মন চাচ্ছে না বাসা ছেড়ে যাই। সবাইকে কেমন আপন মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে এদের সাথে রক্তের সম্পর্ক। চলে যেতে ইচ্ছে করছে না।
চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেলো
ঃআরে তুমি কাদছো কেন?
ঃআসলে আংকেল আপনাদের ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না তাই কস্ট হচ্ছে।
ঃতারাতারি চলে আসবে। তুমি বাসায় না থাকলে আমাদের কারো ভালো লাগবে না।
তারপর বাসে করে নিজ গ্রামে চলে আসলাম।
ভার্সিটি খুললে চুপি চুপি ক্লাস করে চলে আসবো যাতে মধু দেকগতে না পায়।
এদিকে মধু ঘুম থেকে উঠে নাচতে নাচতে আমার দরজার সামনে গেলো
ঃঠক ঠক
ঃও দরজা খুলছে না কেন। আবার ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে গেলো। রুমের দিকে চাইতেই মধু অবাক হয়ে গেলো
রুমে আমার জিনিস পত্র কিছুই নেই। টেবিলের উপর একটি সাদা কাগজ পড়ে আছে আর সেটাতে লিখা আছে।
"আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাস। আর আমি এখানে কিছুদিন থাকলে হয়তো আমি তোমার প্রতি দুর্বল হয়ে পরতাম। তাই চলে গেছি। পারলে ক্ষমা করে দিও।"
মধু এই চিঠি পড়ে জোরে একটি চিৎকার দিলো। চিৎকার শুনে তারাতাড়ি আংকেল আসলেন।
ঃকি হইছে মা চিৎকার দিলি কেন?
ঃবাবা ও চলে গেছে।( কাদতে কাদতে)
ঃনা রে মা ও বাসায় গেছে আবার চলে আসবে।
ঃনা বাবা ও আর আসবে না।
ঃকেন আসবে না।
তারপর মধু তার বাবাকে সব কিছু বলল।
ঃমা ও তোকে মনে হয় ভালবাসে না তাই চলে গেছে। তুই ওকে ভুলে যা।
ঃনা বাবা এটা কখনো সম্ভব নয়। আমি যদি ফাহাদকে না পাই তাহলে মরে যাবো।
আংকেলের তার মেয়ের স্বভাব সম্পর্কে খুব ভালো বাবে জানা আছে। মধু যাই বলে তাই করে।
ঃআচ্চা অকে ফোন দেতো।
ঃবাবা ওর ফোন বন্ধ।
আচ্চা তুই নাস্তা কর। ও ফোন অন করুক তারপর আমিও কথা বলে দেখবো।
ঃনা বাবা যতক্ষণ পর্যন্ত আমি ফাহাদের সাথে কথা না বলছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমি কিছুই খাবো না।
ঃদেখ মা পাগলামি করিস না।
তুই খাবার খা আমার লক্ষি মা।
ঃআব্বু তুমি আমার ভালবাসাকে পাগলামি বলছো?
ঃমা তুই খাবার খা। আমি কথা দিচ্ছি ফাহাদকে তোর কাছে এনে দেব।
ঃসত্যি বলছো তো।
ঃহম্ম সত্যি
ঃঠিক আছে এই ব্রেকফাস্ট করছি। এরপর যদি ফাহাদকে না এনে দাও তাহলে আমি কিন্তু আর খাবার খাইবো না।
তারপর কাজের মেয়ে খাবার দিলো মধু ব্রেকফাস্ট করলো।
ঃআচ্চা মা আমি একটু বাহিরে যাচ্ছি একটি কাজে আর ফাহাদের ভার্সিটিতে গিয়ে ওর খুজ নেব।
এই বলে তিনি চলে গেলেন।
সারাদিন কাজ করলেন।পরে আমার ভার্সিটির সামনে দিয়ে আসছেন।
একবার মনে হলো যাই খুজ নিয়ে আসি। পরে ভাবলাম না থাক, মধু এখনো ছোট এসব ওর আবেগ দু একদিন এক্টু আদটু এরুপ করবে পরে ঠিক হয়ে যাবে।
বাসায় যেতে যেতে অনেক রাত হয়ে গেলো। আমি ঘরে প্রবেশ করে দেখলাম মধুর রুম বন্ধ করা। মনে হয় ঘুমিয়ে গেছে। ডাকলাম না অকে। এখন ঘুমিয়ে গেছে। আবার জাগালে পাগলামি শুরু করবে।কাজের মেয়ে খাবার রেডি করে চলে গেসে তার বাসায়। আমি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাহিরে একটু হাটাহাটি করে বাসায় গেলাম।
কি ব্যাপার মধু এখনো ঘুম থেকে উঠে নি? অন্য দিন তো এমন হয় না।
ঃমধু মধু দরজা খুলো (জোরে ধাক্কাচ্ছেন)
ঃস্যার আপামনি কাল দুপুরে না খেয়ে দরজা বন্ধ করে রুমে ডুকলেন।
আমি খেতে ডাকলে উনি বললেন ভালো লাগছে না। রাতেও খেলেন না।
ঃকিহ দুই বেলা উপোস আমার মেয়ে। রাবিস আমার মেয়ে না খেয়ে আছে আর তুমি আমাকে বললে না।
ঃআবার দরজা ধাক্কাচ্ছেন কিন্তু খুলছে না। শেষে বাধ্য হয়ে দরজা ভেঙে ফেললেন আংকেল।
ঃদরজা খুলে তিনি যা দেখতে তা দেখে চিৎকার করে উঠলেন।
ঃনা এ হতে পারে না। আমার মেয়ের কি হলো।
!
!
waiting for next part