বাড়িওয়ালার দাজ্জ্বাল মেয়ে❤
পর্বঃ৮
লেখক: সানভি আহম্মেদ আবির
মধুকে অপারেশন থিয়েটারের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমন সময়
ঠাস ঠাস,,,,,,,,
সুভাষ মধুর দু গালে দুটি থাপ্পড় মারলো।
ঃছিহ মধু ছিহ।
তুমি আমাকে এত বড় ধোকা দিয়েছো। তুমি আমার সাথে প্রতারণা করেছো আমি ভাবতেই পারছিনা।
আমিতো তোমাকে ভালবেসেছিলাম আর তুমি আমাকে ধোকা দিলে?
ঃতুমিই তো আমাকে প্রপোজ করেছিলে।(মধু)
ঃহ্যা মানছি আমি তোমাকে প্রপোজ করেছি। তোমাকে পাওয়ার জন্য কতো কিছুই না করেছি।
তবে তুমি যে বিবাহিতা সে কথা আমাকে গোপন করলে। তার থেকে বড় তুমি মা হতে চলছে তারপরেও আমার সাথে প্রেম করতে রাজি হয়ে ছিলে।
ঃনিশ্চুপ(মধু)
ঃতুমি যে এতো বাঝে মেয়ে আগে জানলে আমি কখনো তোমাকে ভালবেসে আমার সময় নস্ট করতাম না।
ঃ
ঃনিশ্চয়ই তোমার মনে প্রশ্ন জেগেছে যে আমি এতো কিছু জানলাম কি করে, তাইনা?
ঃ
ঃতাহলে শোন।
ঃযে আব্বুকে না যানিয়ে আমি তোমার নস্ট মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছিলাম আজ তার জন্যই আমি বেচে গেছি।
তুই যেদিন হাসপাতালে এসে তোর প্রেগ্ন্যাসি টেস্ট করে বেবি এব্রোশন করতে চাচ্ছিলে সেদিন হঠাৎ করে আমার আব্বুর হার্ট অ্যাটাক হয়।
আমি তারাতাড়ি তাকে এই হাসপাতালে নিয়ে আসি।
আমার আব্বুকে ডাক্তার অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেলো কিছুক্ষণ পর ডাক্তার বেরিয়ে আসলো।
ঃডাক্তার আমার আব্বুর কি খবর? উনি ঠিক আছেন তো?
ঃআল্লাহর অশেষ কৃপায় এ যাত্রায় বেচে গেলেন। কিন্তু আবার হলে বিষয়টি খুব গুরুতর পর্যায়ে চলে যাবে। আর আপনি আমার ক্যাবিনে আসুন।
ঃজি ডক্টর।
তারপর আমি ডাক্তারের কেবিনে গেলাম।
ঃআপনার আম্মু আসেন নি?
ঃ উনি বেচে নেই😭😭
ঃসরি ফর দ্যাট।
আর শুনুন এখন থেকে উনাকে আর কোন ধরনের টেনশন করতে দিবেন। আপনার বাবার প্রচুর রেস্টের দরকার। সব সময় হাসি খুশি রাখার চেস্টা করবেন।
ঃজি ডক্টর।
আপনাকে সংখ্য ধন্যবাদ।
এই বলে চেয়ার থেকে যখনি উঠতে যাবো তখনি একটি ফাইলের দিকে আমার নজর গেলো।
ফাইলের উপরে লিখা
ফাতেমা আক্তার মধু। মধুর নাম কেন?
আমার মধুর আবার কিছু হলো নাতো।
ঃডক্টর?
ঃজি বলুন
ঃএই ফাইলটা একটু দেখাবেন প্লিজ।
ঃসরি ফর দ্যাট। উনার ফাইল আমি দেখাতে পারবো না। এটি একটি প্রাইভেট কেইস।
ঃপ্লিজ ডক্টর ও আমার হবু বউ। কিছুদিন পর আমরা বিয়ে করবো।
এই কথা শোনার পর ডক্টর আমার দিকে অগ্নি দৃস্টিতে তাকিয়ে যা বলল তা শোনার পর আমার কান স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ঃকিছুদিন পর বিয়েই যখন করবেন তখন বাচ্চা এব্রোশন করছেন কেন?
ঃকিহ বাচ্চা! বাচ্চা কোথা থেকে আসবে?
আমি তো মাত্র একদিন শুধু কিস করেছি। এতে বাচ্চা কি করে?
তারপর হাসপাতাল থেকে এসে তোমার খুজ নিয়ে সব কিছু জানতে পারি।
আমার ঠিক ওই মুহুর্তে মনে হচ্ছিলো তোমাকে খুন করে ফেলবো।
কিন্তু করিনি কেন যান। কারন তুমি সারাজীবন এভাবে নিজের পাপের অগ্নি গর্তে নিজে সারাজীবন জ্বলে ছাই হবে৷ আমি তোমাকে খুন করলে তুমি বেচে যেতে আর ফেসে জেতাম আমি।আমি এতো বোকা না। আর আমি যেটা শুনিছি তোমার হাসবেন্ড মনেহয় না তোমাকে আবার ফিরিয়ে নিবে। তোমার হাসবেন্ড কে অনেক খুজেছি তার কাছে সরি বলার জন্য। কিন্তু পাইনি। তাকে কখনো পেলে আমার পক্ষ থেকে সরি বলে দিও।
আসি এখন বাই।
এই হলে সুভাষ চলে গেলো।
ঃ,কি হলো আসুন তারাতাড়ি (ডাক্তার)
ঃডাক্তারকে কিছু না বলে মধু কেদে কেদে বাসায় চলে আসলো।
এখন আসি আমার দিকটায়।
আজ আমি ভার্সিটিতে গেলাম।
টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিকে চান্স পেয়েছি।
ভর্তির সব কার্যক্রম সমপন্ন করে আসলাম। অরিয়েন্টেশন ক্লাস শুরু হবে আগামী সপ্তাহে।
চার দিন বাকি আছে। আমি পড়াশোনার পাশাপাশি একটা জবও জোগাড় করে নেই। জার্মানিতে বেশ ইনকাম করার সোর্স আছে।
বুঝা যাচ্ছে মাসে এক থেকে দেড় লাখের মতো ইনকাম করা যাবে।
আমি বড়লোক হবো। টাকা পয়সা গাড়ি বাড়ি করবো। মধুকে দেখিয়ে দিবো আমিও পারি।
এসব ভাবতে ভাবতে নেই নিজের বাসায় চলে আসলাম।
ভার্সিটিতে গিয়ে একটা ফ্রেন্ড হয়েছিলো। নাম তন্ময়। ওর বাড়ি হচ্ছে গোজরাট, ইন্ডিয়া।
আমি বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছি তখন ও ফোন দিয়ে বলল যে বাহিরে বেড়াতে যাবে।
তারপর আমিও ওর সাথে চলে গেলাম বেড়াতে।নতুন দেশ, নতুন জায়গায় আসতে পেরে মনে খুবই আনন্দ বিরাজ করেছিলো। এখান কার পরিবেশটা খুবই মনমুগদ্ধকর।অনেক ভালো লাগলো। রাতে বাসায় ফিরলাম।
এদিকে মধু বাসায় এসে দরজা বন্ধ করে কান্না করতে থাকে। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত কান্না করতে থাকে।
মধুর কান্নার আওয়াজ শুনে আংকেল মধুর রুমের দরজায় নক করলেন।
মধু দরজা খুলে দিলো।
ঃকি হয়েছে সারাদিন থেকে দেখছি কান্না করছিস?
ঃআব্বু আমাকে মাপ করে দিও।
ঃকেন কি হইছে?
ঃআব্বু আমি...............
ঃছিহ ছিহ তুই আমার নিজের মেয়ে হয়ে এসব করতে পারলে।
ঃপ্লিজ আব্বু আমাকে ক্ষমা করে দাও।আমার অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে।
ঃক্ষমা আমার কাছে নয় ফাহাদের কাছে চা।
ঃমধুর তারাতাড়ি ফোন বের করে ফাহাদকে ফোন দিতে লাগলো।
কিন্তু প্রতিবারই ফোন সুইচ অফ বলে।
ঃমধু হতাশ হয়ে পড়ে।
ঃআব্বু এখন কি হবে। ফাহাদকে কি আমি পাবো না।।
ঃআমি কি করে বলব। তোর আগে ভাবা উচিত ছিল।
ঃকালকে ওর বাড়ি থেকে আসবো। তারা বলতে পারবে ফাহাদ কোথায়। এখন ভাত খেয়ে নে।
কাজের মেয়ে মধুর টেবিলের উপর খাবার রেখে দিয়ে গেলো। মধু খাবার খাচ্ছে না। শুধু কান্না করতেই আছে।
এভাবে কান্না করতে করতে রাত প্রায় ১ টা হয়ে গেলো।
মধুর হঠাৎ মনে পড়লো আমার কথা
"আমার বাচ্চাটার যত্ন নিও"
যদি আমি নিজেকে কস্ট দেই তাহলে আমদের বাচ্চাও কস্ট পাবে। পরে উঠে ভাত খেয়ে নিলো।
ভাত খেয়ে বিছানায় বসে আছে। আর ভাবছে
ঃআমি ওর সামনে কোন মুখ নিয়ে যাবো। আমি ওর সামনে কখনো যেতে পারবো না।আমি ওর যে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছি তা কখনো ফিরিয়ে আনতে পারবো না। এখন আমাকে নিজের কাছে ঘৃনিত মনে হচ্ছে। এতোটা নিচে নামতে পারলাম আমি।এখন যদি আমি ফাহাদের সামনে ভালবাসা নিয়ে যাই তাহলে সেটা নিতান্ত হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়।আমি আমার ভুল বুঝে এখন ওকে ভালবাসি এটা ও কখনো বিশ্বাস করবে না।
আমি আর এই পৃথিবীতে থাকতে চাচ্ছিনা। আমি আমার পাপের প্রায়শচিত্য করতে হবে। আমার পাপের একমাত্র শাস্তি হচ্ছে মৃত্যু।
তারপর মধুর ফ্যানের সাথে একটি শাড়ি বেধে নিজের গলায় পেচালো।
মধু যে নেই নিজেকে ফাসি দিতে যাবে তখনই নিজের পেঠে থাকা বাচ্চার কথা মনে পড়ে গেলও।
আমি নিজে যদি একা হতাম তাহলে নিজেকে মেরেই ফেলতাম। আমি যে পাপি আমার মরাটাই শ্রেয়।
কিন্তু এই নিস্পাপ বাচ্চার কি হবে?
ও কি অপরাধ করেছে?
আমার অপরাধের ফল আমার বাচ্চা ভোগ করবে কেন?
এইসব চিন্তা করে মধু নিজেকে ফাসি দিতে পারলোনা।
এখন মধু আর ঘর থেকে বাহির হয় না। সারাদিন ঘরের মধ্যে বসে থাকে। কখনো হাসি খুশি থাকে না।
আমার বাড়িতে গেয়িছিল অনেকবার কিন্তু আব্বু আম্মু আমার কথা কিছু বলেনি। কেননা তারা আমাকে প্রমিজ করেছিলো।
এভাবে কেটে গেলো আরো তিনটি মাস।
আজ মধুর ডেলিভারি হয়েছে।
ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে মধু।
মধু তার সন্তানের মুখ দেখেই খুশিতে কেদে উঠে।
মা মেয়ে দুজনই বেশ ভালো আছে।
মধু আর আগের ভার্সিটিতে যায় না। সে আমি যে ভার্সিটিতে পড়তাম সেই ভার্সিটিতে ট্রান্সফার হয়ে এসেছে।
এখন সে ভার্সিটিতে ক্লাস করে। ভার্সিটিতে কোন ছেলেদের সাথে কথা বলে না। আমার শেষ সৃতি মেয়েটিকে নিয়ে বেচে আছে।
এভাবে কেটে যায় চারটি বছর। আমি মাস্টার্স কমপ্লিট করে জার্মানিতেই একটি জব করি।
এখন আমার অনেক টাকা পয়সা আছে।
কিন্তু খুব বেশি সুখী নই।
আব্বু আম্মু সবসময় বলে দেশে যাবো কিন্তু দেশের কথা বললেই মধুর কথা মনে পড়ে যায়। তাই আর যাওয়া হয়ে উঠে না।
একদিন ফেসবুকে ঘাটাঘাটি করছি।
হঠাৎ আমাদের ভার্সিটির পেইজে একটি নিউজ দেখলাম।
আগামী মাসে আমাদের ভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠান। তাই সকল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের জন্য আবদার করা হয়েছে।
জার্মানি আসার পর থেকে কোন ফ্রেন্ডদের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ হয় নি। তাদের খুব মিস করছি আর ভার্সিটির সবচেয়ে আনন্দ দায়ক দিন হলো সমাবর্তন অনুষ্ঠান।
তাই আর নিজেকে এখানে টিকিয়ে রাখতে পারলাম না।
অনুষ্ঠানের দু দিন আগে দেশে রওয়ানা দিলাম।
এয়ারপোর্টে থেকে সোজা আমাদের বাসায় চলে আসলাম।
বাড়িতে দরজায় নক করার পর আম্মু দরজা খুলে অবাক হয়ে গেছেন।
ঃফাহাদ তুই। আসার আগে আমাদের জানালি না কেন?
ঃসারপ্রাইজ কেমন দিলাম আম্মু।
ঃযানস বাবা আজ আমি অনেক খুশি। আমার ছেলে ফিরে এসেছে।
ঃহ্যা আমিও অনেক খুশি তোমাকে পেয়ে।
ঃআর কখনো বিদেশে যাওয়ার নাম মুখে আনবি না।
ঃঠিক আছে আম্মু। আর বিদেশ যাবো না। আব্বু কোথায়?
ঃতোমার আব্বু বাজারে গেছে। এক্ষুনি চলে আসবে।
তুই গিয়ে ফ্রেশ হো।
ঃঠিক আছে।
তারপর আব্বু বাসায় আসলে কোশল বিনিময় করলাম।
রবিবার সকাল রওয়ানা দিলাম ভার্সিটির উদ্দেশ্যে।
খুব আনন্দ লাগছে। অনেক দিন পর বন্ধু বান্ধবীদের সাথে দেখা হবে।
সকাল দশটায় ভার্সিটিতে পৌঁছে গেলাম।
একি আমাদের ব্যাচের কাউকে দেখিনা কেন?
ঃএইযে শোন ব্যাচ ২৪ এর স্টুডেন্টরা কোথায় বলতে পারবে?
ঃউনারা cep ডিপার্টমেন্টএর পিছনের মাঠে বসে আছেন।
ঃআচ্চা ধন্যবাদ।
তারপর আমি ওদের অখানে গেলাম।
সবাই মাঠে বসে গোল হয়ে গান গাচ্ছে।
আমি যেতেই সবাই আমাকে ভুত দেখার মতো আমার দিকে তাকালো।
লিমন এসে আমাকে মারতে লাগলো।
ঃহারামী এতোদিন কোথায় ছিলি।
তোরে কতো খুজা খুজেছি কিন্তু কোথায় পায় নি।
কই ছিলি।
ঃতারপর সব বললাম মধুর বিষয় ছাড়া।
এগারো টার দিকে অনুষ্ঠান শুরু হলো।
প্রথমে আমাদের সিনিয়র ব্যাচের স্টুডেন্ট দের গাউন পরিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সম্মাননা দিচ্ছেন। তারপর আমাদের দিলেন।
সব স্টুডেন্ট এর পরনে কালো গাউন। দেখতে কি অপরুপ লাগছিলো।
আমাদের সম্মাননা দেওয়ার পর আমরা আমাদের নিজ আসনে বসে পড়লাম।
হঠাৎ আমার চোখে ভাসলো একটা বাচ্চা মেয়ে কাদতেছে।
বয়স আনুমানিক তিন থেকে চার বছর হবে।
আমি আবার ছোট বাচ্চাদের একদম পছন্দ করিনা। কিন্তু আজ কেন যানি এই মেয়েটির প্রতি আলাদা মায়া কাজ করছে। এক অজানা আকর্ষণ টেনে নিচ্ছে মেয়েটির প্রতি।
আমি ওর কাছে গেলাম।
ঃকি হয়েছে বাবু কাদছো কেন?
ঃকাদছে
ঃকেদো না। কেদো না। আচ্চা তোমার আম্মু কোথায়?
ঃআরো জোরে কাদছে।
তারপর আমি ওকে কোলে নিয়ে বাহিরে আসলাম।
একটি দোকানে গিয়ে কয়েকটি চকলেট কিনে দিলাম।
চকলেট পেয়ে মেয়েটির কান্না বন্ধ করছে।
আমি আবার আমার আসনে ফিরে আসলাম। মেয়েটি আমার কোলে বসে চকলেট খাচ্ছে।
ঃকিরে মেয়েটি কে?(লিমন)
ঃজানিনারে কাদছিলো তাই কোলে নিয়েছি।
খুব কিউট তাইনা?
ঃহা রে খুব কিউট।
ঃতোরে বলতে ভুলেই গেছি। আজ বিকালে আমার বাসায় যেতে হবে।
ঃকেন?
ঃতোর ভাবির সাথে দেখা করে আসবে।
ঃকিহ ভাবি, তুই বিয়ে করেছিস?
ঃহ্যা এই কয়েকদিন হলো।
ঃহারামী আরো কয়েকটি দিন পরে করলে কি হতো? আমি এসে বিয়েটি খেতে পারতাম।
ঃআমি কি জানি তুই আসবে। জানলে কি আর করতাম।
হঠাৎ মেয়েটি আম্মু আম্মু বলে চিৎকার করে উঠলো।
ঃকোথায় তোমার আম্মু?
ঃমেয়েটি আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে সামনের দিকে দেখালো।
ঃআমি চেয়ে দেখলাম একটি মেয়ে সম্মাননা নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছে।
মনেহয় তার মেয়েটিকে খুজার জন্য তাড়াহুড়ো করছে।
কিন্তু মেয়েটির মুখ দেখা যাচ্ছে না। শুধু পিছন দিক দেখা যাচ্ছে।
ঃলিমন চল মেয়েটিকে তার মায়ের কাছে দিয়ে আসি।
ঃচল
তারপর আমরা এই মেয়েটি যে দিকে গিয়েছিলো, আমরাও সেদিকে চোখ চললাম। কিছুক্ষণ পর একটি ক্লাস রুমে প্রবেশ করলাম।
এখানে অনেক ছেলে মেয়ে বসে আছে।
ঃহঠাৎ সিমরান বলে একটু আওয়াজ হলো।
সাথে সাথে আমার কোলে থাকা মেয়েটি আম্মু আম্মু বলে কাদতে লাগলো।
ঃআম্মু তুমি কোথায় গিয়েছিলে তোমায় কতক্ষন ধরে খুজছি। আসো আমার কোলে।
ঃএই নিন আপনার মেয়েটিকে আর দেখেশুনে রাখবেন।
এই বলে যখনই মেয়েটির দিকে ঘুরলাম।
আমি অবাক!
!
waiting for next part.
ছোট করে দেওয়ার জন্য দুঃখিত