বাড়িওয়ালার দাজ্জাল মেয়ে❤
পর্বঃ১o....last???
লেখক: সানভি আহম্মেদ আবির
আমি ওদের দেখেও না দেখার ভান করে সিমরানকে গোসল করাতে লাগলাম।
একটু পরে ঘরে গেলাম। ঘরে যাওয়া মাত্র মধু আমার কাছে দৌড়ে এসে সিমরানকে কোল থেকে নিয়ে গেলো।আর কান্না করতে লাগলো। আমি এখানে না দাড়িয়ে নিজের রুমে এসে কাপড় চেঞ্জ করতে লাগলাম।
এমন সময় মধু আসলো।
ঃ কি ব্যাপার আপনি এখানে আসলেন কেন? আর দেখছেন না আমি ড্রেস চেঞ্জ করছি। বের হন আমার রুম থেকে।
ঃ আমি তোমার স্ত্রী,আমি আসার অধিকার আছে।
ঃওয়েট ওয়েট আপনি স্ত্রী মানে কি? আপনি একসময় আমার স্ত্রী ছিলেন কিন্তু এখন নয়। আমাদের ডিবোর্স হয়ে গেছে।
ঃনা আমাদের ডিবোর্স হয় নি। আমি ডিবোর্স পেপার ছিড়ে ফেলেছি।
ঃএটা তোমার একান্ত ব্যাপার।
এমন সময় আব্বু আম্মু রুমে আসলো
ঃফাহাদ কি শুনি এসব?(আব্বু)
ঃকিক কি কিছু না আ আব্বু(ভয়ে ভয়ে)
ঃএমনিতেই পাচ বছর অকে ছেড়ে বাহিরে ছিলে।ওর কি কস্ট হয়নি, আবার দেশে এসেও কস্ট দিছো।আরেকদিন যদি শুনি বৌমাকে কস্ট দিছো তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না।
ঃজি আব্বু
তারপর আমি আর সিমরান রেডি হয়েছি লিমন এর বাসায় যাওয়ার জন্য।
ঃকোথায় যাওয়া হচ্ছে?(আব্বু)
ঃজি আব্বু একটা ফ্রেন্ড ইনবাইট করেছিলো তার বাসায় যাচ্ছি।
ঃফ্রেন্ডের বাসায় যাচ্ছো ভালো কথা কিন্তু তুমি একা কেন? মধু কোথায়?
ঃনা আমি একাই যাবো।
ঃবেশি সাহস হয়ে গেছে তাইনা?
মা মধু কই রেডি হয়ে আসো।
ঃআব্বু আমি রেডি হয়ে বসে আছি।
আব্বুর ডাকের সাথে সাথে মধু একটি নীল শাড়ি পরে চলে আসলো।
কি মেয়েরে বাবা আমি তো ওকে কিছুই বলি নি। তারপরেও সব জেনে গেছে। ধুর।
ঃযা মধুকে নিয়ে যা।
তারপর গাড়ি নিয়ে বের হলাম। আমি নিজে ড্রাইভ করে যাবো। তাই গাড়িতে বসলাম। মধুও দেখি সামনে বসে পড়লো।
ঃসামনে কি পেছনে যান?
ঃআমি সামনেই বসবো।
ঃফাজলামী করবে না। এক থাপ্পড় দিয়ে দাত সবটি ফেলে দিবো।
ঃতুমি আমাকে বকা দিচ্ছো আমি কিন্তু আব্বুকে বলবো?
ঃএই প্রবলেম কু তোর কথায় কথায় আব্বুকে টানস কেন?
একটু চিল্লায়ে বললাম। আমার কথা শুনে সিমরান কান্না শুরু করলো।
ঃআম্মু কান্না করো না। এই নাও চকলেট খাও।
তবুও কান্না করছে। কান্না থামছে না। ঃ আমার কাছে একবার দিবে কি?(মধু)
ঃএই নাও।
সিমরান মধুর কোলে যেতেই কান্না বন্ধ করে দিলো। তারপর মধু নিশ্চুপ হয়ে পেছনে গিয়ে বসে পড়লো।
যেই না মধু পিছনে বসলো তখনই আবার সিমরান কান্না শুরু করলো। সিমরান আঙুল দিয়ে সামনে দেখিয়ে কান্না করছে।
ঃসিমরানলে নিয়ে সামনে আসেন।
আমার কথা শুনে মধু খুব খুশি হয়ে সামনে আসলো।
মধু সামনে আসলে আমি গাড়ি চালানো শুরু করলাম।
এদিকে সিমরান খুব খুশি একবার আমার কাছে আসে আর একবার মধুর কাছে। ওর এসব কান্ড দেখে আমি আর মধু হাসছি। ওর সাথে খেলা করবো বলে গাড়িটা খুব আস্তে আস্তে চালালাম।
একসময় আমরা লিমনের বাসায় গিয়ে পৌছলাম। লিমন আমাকে দেখে খুব খুশি হইছে কিন্তু পরক্ষণেই ও জিজ্ঞেস করলো।
ঃআরে ওই দিনের মেয়েটা না। তর সাথে এখনো আছে? ওর মাকে খুজে পাসনি?
ঃআরে ও আমার মেয়ে আর ওইযে ওর মা।
ঃকিহ তোর মেয়ে আছে। আর তুই বিয়ে করলে কবে?
ঃছয় বছর হইছে বিয়ে করেছি।
ঃ কিন্তু একটি বারও আমাদের জ্বানালি না।
ঃসে অনেক কাহিনী তোকে পরে একদিন বলবো।
ঃআচ্চা ঠিক আছে।
লিমনের বাসায় খাওয়ার সময় মধু আমার পায়ে অনেকবার পা দিয়েছে কিন্তু ভদ্রতার খাতিরে কিছু বলতে পারিনি।
তারপর লিমনের বাসা থেকে বিকেলে বাসায় ফিরলাম।
আসার পথে মধু আমার সাথে অনেক কথা বলার চেষ্টা করেছে কিন্তু আমি কিছুতেই কথা বলিনি।
বাসায় এসে আব্বু জিজ্ঞেস করলেন
ঃবৌমা ভ্রমণ কেমন হলো?
ঃজি আব্বু খুব ভালো হইছে।
ঃফাহাদ তোমার সাথে কোন খারাপ বিহেভ করেনিতো।
ঃনা আব্বু।
তারপর আমি বাহিরে একটু আড্ডা দিতে চিলে গেলাম। ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়ে গেছে।
যখন বাসায় এসে কলিং বেল টিপ দিলাম সাথে সাথেই মধু দরজা খুলে দিলো।
ঃএতো রাত বাহিরে কি করছিলে?
ঃকি করছিলা তা আপনাকে বলতে হবে?
আর হ্যা আমি রাতে একটি মেয়ের সাথে রুম ডেটে ছিলাম।
ঃ মধু নিশ্চুপ
ঃএবার খুশি।
ঃফ্রেশ হয়ে এসো আমি খাবার বেড়ে দিচ্ছি।
ঃআমি বাহিরে খেয়ে আসছি খাবোনা।
ঃআমিও খাইনি, সামান্য খাবে।
ঃএক কথা কয়বার বলা লাগে হম্ম।
অকে ঝাড়ি দিয়ে রুমে চলে আসলাম। বিছানায় আমি শুয়ে পড়লাম।
মিনিট খানেক পরে মধু এসে বিছানায় উঠলো।
ঃএই যে কি করছেন?
ঃঘুমাবো তো
ঃঘুমাবে ভালো কথা কিন্তু বিছানায় শুতে পারবে না।
ঃকিন্তু কেন?
ঃআমি বলছি তাই
ঃসিমরান রাতে ঘুম থেকে উঠে আকে না পেলে কান্না করবে তাই আমি ওর পাশে শুতে চাই। প্লিক না করবে না।
(আসলেই মধু ঠিক বলেছে কালকে মাঝরাতে সিমরান ঘুম থেকে উঠে প্রচুর কান্না করছিল।)
ঃআচ্চা আসেন।
আমার কথা শুনে মধু প্রচুর পরিমাণে খুশি হয়ে খাটে উটল।
ঃতুমি কোথায় যাচ্ছো?
ঃআমি সুফায় যাচ্ছি।
আমার কথা শোনার পরই মধুর হাসি মাখা মুখে মেঘ জমে গেলো।
ঃআচ্চা তুমি বিছানায় থাকো আমি সুফায় চলে যাচ্ছি। তোমাকে সুফায় রেখে আমি ঘুমাতে পারবো না।
শেষ মেষ সিমরানের কথা ভেবে ওর সাথে বিছানায় ঘুমাতে রাজি হলাম।
ঃদেখুন ঘুমাতে পারি এক শর্তে.
ঃ
ঃসিমরান মাঝে থাকবে আর আপনি এইদিকে আসতে পারবেন না।
ঃআমি রাজি
তারপর আমরা ঘুমালাম
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মধু আমাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে।
আমি ছাড়িয়ে নিতে চাইলে ও পারছিনা।
কেন জানি আমার খুব ভালো লাগছে।
পরক্ষণেই মধুর অতিতের কথা গুলো মনে পড়ায় সব বিরক্তিতে রুপ নিলো।
আমি মধুকে ধাক্কা দিয়ে ছাড়িয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।
তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করার পর আব্বু আমাকে তার রুমে ডাকলেন।
ঃজি আব্বু ডাকছিলেন আমাকে?
ঃহা ডাকছিলাম
শোন,,,,
আব্বুর কথা গুলো শুনে আমি আব্বুকে বললাম আব্বু আমাকে ভাবতে দিন।
ঃঠিক আছে বিকালে জানাইও আমাকে।
আব্বু আমাকে রুমে ডেকে পাঠালেন।
ঃজি আব্বু বলেন।
ঃযেই জন্য ডাকছি তা হলো আমি মধুর ব্যাপারে কিছু কথা বলতে চাই।
ঃআব্বু ওর সম্পর্কে কি বললেন আমরা খুব সুখী আছিতো।
ঃআমার কাছে মিথ্যা বলছিস। এর আগেতো কখনো আমাকে মিথ্যা বলতিনা।
ঃসরি আব্বু, একচুয়ালি মধুর সাথে,,
ঃআমাকে বলতে হবে না আমি সব জানি।
ঃআপনি জানেন?
ঃহ্যা সব জানি। আর এখন তোমার সিদ্ধান্ত কি?
ঃআব্বু আমি ওর সাথে সংসার করতে পারবো না। ও আমাকে অনেক কস্ট দিয়েছে। তাই আমি অকে ছেড়ে দিবো।
ঃপারবে ছাড়তে?
ঃকেন নয় অবশ্যই পারবো।
ঃআর সিমরান কে?
ঃ নীরব
ঃপারবে তুমি?
ঃআমি সিমরানকে ছাড়তে পারবো না।আমি সিমরান কে আমার কাছে রাখবো।
ঃহাহাহাহা
ঃআব্বু হাসেন কেন? আমি এখানে হাসার মতো কিছু বলেছি?
ঃহ্যা অবশ্যই হাসার মতো কথা বলেছো তাই হাসছি।
ঃসিমরান তোমার মেয়ে এটা জানতে পেরেছো এই কিছুদিন হলো। আর এতেই খুব মায়াতে জড়িয়ে পড়লে, তুমি তোমার মেয়েকে যেকোন মুল্যে কাছে রাখতে চাও।
ঃহ্যা।
ঃতাইলে একটি বারো মধুর দিকটা বিবেচনা করলে না যে যেই মা তার মেয়েকে দশ মাস পেটে ধারণ করেছে, পাচ বছর কতো কস্ট করে লালন পালন করেছে সে কিভাবে তার মেয়েকে ছেড়ে চলে যাবে। এই কথাটি বলতে তোমার কি বিবেক বাধা দিচ্ছে না।
ঃকিন্তু আব্বু ও তো সিমরানকে মেরে পেলতে চাইছিলো।
ঃহ্যা চাইছিল তখন সে হয়তো ভুলের আজ্ঞাবসত হয়ে এইদিকে পা বাড়িয়েছিলো। পরে সে তার ভুল বুঝতে তো পারছে। আর তুমি কি ধরনের পিতা ছিলে যে তোমার সন্তান কে ঝুকির মুখে ফেলে বিদেশ চলে গেলে৷ তুমি কি পারতে না দেশে থেকে এর একটি সমাধান করতে?
ঃ আমি নিরব
ঃআমি চাই তোমরা আবার এক হও। নতুন করে সব শুরু করো। তোমাদের জন্য না হলেও আমার নাতনির জন্য করো।
যদি তোমরা আলাদা হয়ে যাও তাহলে এর প্রায়সচিত্ব সারাজীবন আমার নাতনিকে ভুগতে হবে। সারাজীবন সে একজন বাবা বা মায়ের অভাব ভোগ করতে হবে। সে সবার কাছে ছোট থাকতে হবে যে তার মা অথবা বাবা তার সাথে নেই।
ঃ
ঃদেখ আমি যা বুঝানোর তোমাকে বুঝিয়েছি। এখন আমি তোমাকে জুর করবো না। তুমি কি করবে তোমার মর্জি।
রুমে এসে কোনভাবেই শান্তিতে থাকতে পারছি না। তাই ছাদে গিয়ে সিগারেট জ্বালিয়ে খেতে লাগলাম। বার বার আব্বুর কথাগুলো কানে বাঝছে। কি করবো আমি। সিমরানকে আমি কখনো ছাড়তে পারবো না আবার কস্ট দিতেও পারবো না। কিন্তু মধুর দেওয়া কষ্টগুলো মনে পড়লে ওর প্রতি ঘৃণার সৃষ্টি হয়।
আমার জন্য না হলেও সিমরান এর জন্য আমাকে আবার নতুন করে জীবনকে সাজাতে হবে।
ছাদ থেকে নিচে গেলাম। মধুকে রুমে পেলাম না। বাহিরে উকি দিয়ে দেখলাম মধু আর আম্মু রান্না করছে আর সিমরান ফ্লোরে বসে খেলছে।
আমি সিমরানকে কোলে করে রুমে নিয়ে এসে ওর সাথে খেলা করতে লাগলাম।
কিছুক্ষণ পর মধু আসলো
ঃ আম্মু বলছেন খাবার এর জন্য ডাকছেন।
ঃআর আপনি ডাকছেন না?
আমার কথা শুনে মধু কেমন হকচকিয়ে গেলো। খেয়াল করলাম ওর চোখের কোনে পানি চলে এসেছে। কিছু না বলে ও চলে গেলো।
কিন্তু ওর চোখে পানি এলো কেনো।
যাইহোক খেতে গিয়ে বসলাম। মধু সবাইকে খাবার সার্ভ করছে।
ঃবৌমা তুমিও বসো একসাথে খাবো। (আব্বু)
সিমরান আমার পাশের চেয়ারে বসা ছিলো আমি ওকে কোলে নিয়ে চেয়ার খালি করে দিলাম।
তারপর মধু এসে চেয়ারে বসলো।ড
আমার এরুপ বিহেভ দেখে মধু অভাক হচ্ছে।
খাওয়া শেষ করে আমি বাজারে গেলাম। বন্ধুদের সাথে কিচ্ছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে আসবার সময় সিমরান এর জন্য কয়েকটি ড্রেস আর মধুর জন্য একটি নীল রঙের শাড়ি আর কিছু চকলেট কিনে বাড়িতে আসলেম।
বাড়িতে কলিং বেল বাজাতেই মধু দরজা খুলে দিলো।
্আপনার এতো দেরি হলো কেনো।
ঃবাজারে একটু কাজ ছিলো।
ঃসিমরান ঘুমিয়ে গেছে?
ঃহ্যা ও ঘুমিয়ে গেছে আর আপনার খাবার রুমে আছে। আসেন আমি বেড়ে দিচ্ছি।
ঃআমি রুমে গেলাম মধু ভাত বেড়ে দিচ্ছে।
ঃতুমি খাইছো?
ঃ
ঃকথা বলনা কেন?
ঃআমার ভাল লাগছে না তাই খাইনি।
ঃ আচ্চা যাও আরেকটি প্লেইট নিয়ে এসো।
মধু জায়গায় দাড়িয়ে আছে প্লেইট আনতে যাচ্ছে না।
ঃআচ্চা তাইলে এক প্লেটে খাব বসো।
ঃমধু আমার সামনে বসলো আর দুজন একপ্লেটে খাবার খাচ্ছি।
ঃকাদছো কেন?(ওর চোখে জ্বল দেখে)
ঃকতদিন পর একসাথে খাবার খাচ্ছি তাই খুশিতে কান্না চলে আসছে।
আমি আর কিছু না বলে খাওয়া শেষ করলাম।
ঃদেখোতো কেমন হলো সিমরানকে কি মানাবে?
ঃহ্যা অনেক সুন্দর। আগেতো তুমি কোন কিছুই ভাল কিনতে পারতে না। এখন দেখি খুব ভাল পারো।
ঃ এখন আমি একজন বাবা। বুঝতে হবে না।
ঃওকে ঘুমিয়ে পড়ি।
ঃতারপর আমরা খাটে উঠলাম।
ঃকোথায় যাচ্ছো।
ঃজি কোলবালিশ আনতে যাচ্ছি। নাও পরে তোমার সমস্যা হবে।
ঃলাগবেনা চলে এসো।
মধু কেমন খুশি খুশি লাগছে। তারপর ও বিছানায় আসলো।
সিমরান কে মাঝে রাখলাম আর আমরা দুজন দুইপাশে।
কিছুক্ষণ পর আমার নিচে কি যেন খচখচ করছে। আমি উঠে দেখি সিমরান এর একটি ড্রেস আমার নিচে পড়ে আছে।
ঃআমি এটি উঠালাম। এটি জায়গা মতো রাখলে না?
ঃআমি ভুলেই খাটের উপর রেখছিলাম। দাও আমি আলনাতে রাখছি।
ঃআচ্চা নাও।
মধু আলনারে রেখে আবার এসে শুয়ে পড়লো।
কিছুক্ষন পর মধু বলল।
ঃএই যে শোনছো।
ঃহ্যা বলো।
ঃএখনো ঘুমাওনি
ঃঘুমালে তোমার জবাব দিতে পারতাম না।
ঃআচ্চা মেয়ের জন্য ড্রেস আনলে আর মায়ের জন্য কিছু আনলে না যে?
ঃআমার ঘুম পাচ্ছে।
ঃতারমানে কিছু আননি?
ঃআলমারিতে একটা ব্যাগ আছে। ঘুম ঘুম কন্ঠে বললাম।
ঃআমার কথা শুবে মধু দৌড়ে আলমারি খুলল। তারপর ব্যাগটা খুলে দেখে ওর জন্য একটা শাড়ি আর অনেকগুলো চকলেট রাখা।
এগুলো দেখে মধু খুব খুশি হলো। ও ওয়াসরুমে গিয়ে শাড়িটি পরে আমার কাছে আসলো।
ঃএই যে দেখো।
ঃহু কি
ঃএই ওঠো।
ঃবলো কি?(আমি ঘুমের ভান করে শুয়ে আছি)
ঃতাড়াতাড়ি ওঠো।
আমি ওঠে দেখলাম মধু আমার দেওয়া শাড়িটি পরে আছে আর মুচকি মুচকি হাসছে।
ঃএতো রাতে তুমি আমার শাড়ি চেইঞ্জ করলে কেনো।
ঃতুমি শাড়ি এনেছো আর আমি পড়বো তাকি হয়। এখন বলো কেমন লাগছে আমায়?
ঃহ্যা অনেক সুন্দর লাগছে।
ঃআগে যেরখম বলতা সেরখম বলনা প্লিজ?
ঃতোমাকে পরির মতো লাগছে।
হঠাৎ মধু আমার গালে একটা পাপ্পি দিয়ে গেলো।
আমি থ হয়ে দাড়িয়ে আছি। এটা কি হলো।
চলো ঘুমাই এখন।
আচ্চা চলো।
খাটে গিয়ে হলো আরেক সমস্যা সিমরান খাটে বাকা হয়ে শুয়ে আছে। আর আমার জায়গা দখল করে আছে।
ঃসিমরানকে মাঝে নিয়ে এসো।
ঃওকে নাড়লে ঘুম ভেঙে যাবে। এখানে থাক।
আমরা না হয় এইপাশে থাকি।
তাইলে টিক আছে।
মধু মনে মনে সিমরানকে ধন্যবাদ দিচ্ছে আমার জায়গা দখল করার জন্য।
তারপর আমরা ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে উঠে দেখি মধু আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আমার উপর শুয়ে আছে। আমি ওকে ছাড়াতে পারছি না।
তাই আমিও ওর দিকে তাকিয়ে রয়েছি। একটু পর মধুর ঘুম ভাঙলো। মধউ দেখে যে আমি ওর দিকে চেয়ে আছি কিন্তু বুঝতেই পারছিনা যে মধু ঘুম ভেঙে গেছে।
ঃএভাবে কি দেখছো।
ঃ
ঃহ্যালো
ঃঅহ হ্যা হ্যা
ঃকি মশাই কোথায় ছিলেন?
ঃতোমার দুই নয়নে হারিয়ে! বলেই জিবে কামড় দিলাম ধুর কি বলে ফেললাম।
ঃআর কতদিন এভাবে নিজেকে দুরে রেখে নিজে কস্ট পাবে আর আমাকেও কস্ট দিবে।
ঃ
ঃআমি তোমাকে কথা দিচ্ছি তোমাকে আমি জীবনএ আর কখনো কস্ট দিবো না। এই আমি সিমরান এর কসম খেয়ে বললাম। প্লিজ তুমি আমাকে আপন করে নাও। আমি আর এভাবে পারছি না। বলেই কেদে দিলো।
ঃতুমি সত্যি কস্ট দিবে নাতো।
ঃএকদম সত্যি।
ঃআমি ওর চোখের জ্বল মুছে দিচ্ছি। অকে আজ থেকে আমি তোমাকে আপন করে নিলাম।
এভাবে চলতে লাগলো আমাদের সুখের সংসার।
আর মাঝে মাঝে রোমান্টিক দুষ্টুমি।
আরো কত কি সেটাও কি সুনবেন না কি,
,,,,,,,,,,সমাপ্ত।।