প্রতারণা or ধোকা
Writers Motiur Rahman
পর্ব ০১
New Story 3 December 2020.
১ম সিজনের পর,,
আমি সুস্থ হওয়ার পর সবকিছু আবার আগের মতোই ভালো চলছিল আমাদের দিনকাল।
নীলা আর আমার ভালোবাসা অনেক গভীরে চলে যায় যা একেওপরকে ছাড়া মোটেও থাকতে পারে না।
আমি নীলাকে প্রচণ্ড ভালোবাসি যা আপনাদের বলে বুঝানো আমার পক্ষে সম্ভব নয় পরস্পর নীলাও ঠিক তাই আমাকে পাগলের মত ভালোবাসে। কিন্তু এ ভালোবাসা কি সারাজীবন থাকবে.? হয়তো হ্যা হয়তো না🤔
সেদিনের মতো ভুল বুঝাবুঝির পর নীলা আমাকে কখনওই আর কষ্ট দেয়নি। অনেকটা খেয়াল রাখে সে ফোনের পর ফোনে যোগাযোগ রাখে। বিষয়টা পরিবারের সকলে জানাজানির পর আমাদের সম্পর্ক মেনে নেই এবং বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। পড়াশোনা শেষ তাই বিয়েতে কারোর মত বা বাধা নেই।।
এক মাস পর আমাদের বিয়ে।
যতোই দিন যায় ততোই যেনো বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসতে থাকে।
বিয়ের কিছু দিন আগে নীলা হঠাৎ কেনো যানি পাল্টে যেতে থাকে যা আমি কখনো কল্পনা করিনি, হঠাৎ করে কথা বলা বন্ধ, ফোন করলে ফোনে বিজি কখনো বা একটু কথা বলে ফোন বন্ধ কেমন যেন এড়িয়ে চলতে থাকলো। যে মানুষ আমার সাথে কথা না বলে থাকতে পারে না আজ সে কেমনে থাকতে পারছে না কথা বলে, এর পেছনে কি কারন থাকতে পারে.?
কি দোষ করেছি যে আমাকে এতো এতো কষ্ট দিচ্ছে এভাবে। কি এমন ভুল কাজ করেছি যে যার কারনে এভাবে কষ্ট দিচ্ছে আমায়।
তার এসব এড়িয়ে চলা আমাকে অনেক কষ্ট দিচ্ছিলো বার বার কি করবো কিছু মাথায় আসছিল না। তাই কিছু না ভেবেই বিষয়টা জানার জন্য নীলাদের বাসায় যায়।
তারপর কলিং বেল বাজাতেই নীলার মা মানে আন্টি দরজা খুলে দিলেন,,
আমি- আসসালামু আলাইকুম আন্টি
আন্টি - অলাইকুম আসসালম আরে মতিউর তুমি কেমন আছো বাবা তুমি!
আমি:- আলহামদুলিল্লাহ ভালো আন্টি আপনি কেমন আছেন!
আন্টি - ভালো বাবা আসো ভিতরে আসো বসো।
আমি- না মানে আন্টি আসলে আমি বেশিক্ষণ বসবো না, একটু নীলার সাথে দেখা করে চলে যাবো নীলা কি বাসায় আছে আন্টি .?
আন্টি- হ্যা বাবা নীলা ওর রুমে আছে।
আমি- আচ্ছা ঠিক আছে আন্টি আমি দেখছি।
আন্টি- আচ্ছা যাও।
তারপর নীলার রুমে যেতেই একটা আওয়াজ শুনেই থমকে দাঁড়িয়ে গেলাম,, নীলা কার সাথে যেনো ফোনে হেসে হেসে কথা বলছে ঠিক বুঝতে পারছিলাম না।
নীলা আমার আাসার উপস্থিতি ডের পেয়ে থতমত খেয়ে শুয়া থেকে এক লাফে বিছানা ছেড়ে দাঁড়িয়ে গেলো আমি ততক্ষণে নীলার কাছে চলে এসেছি, নীলা আমাকে দেখে বিচলিত অভাক চোখে বলতে লাগলো,,,
নীলা- তু-তু- তুমি আমার বাসায় কখন আসলে!
আমি- কেনো তোমার বাসায় কি আসতে পারি না নাকি আসতে বারণ আছে?
নীলা- না মানে সেটা বলি নি তু-তুমি আজ হঠাৎ আমার বাসায় ক কি মনে করে আসলে।
আমি- এতো তুতলাচ্ছো কেনো কি হয়েছে তোমার আর কার সাথে এতো হেসে হেসে কথা বলছিলে.?
নীলা- কয় কিছু না তো। আআমার এক ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলছিলাম । এতো প্রশ্ন না করে এখন তাড়াতাড়ি বলো কেনো এসেছ.? ।
আমি- এতো তাড়া করছো কেনো.? আমি যে তোমার কাছে এসেছি সেটা কি তুমি একটুও খুশি হওনি।
নীলা- এতে খুশি হবার কি আছে। কি জন্য এসেছ সেটা বলো আমার কাজ আছে!
আমি- ওহ আমার থেকে তোমার কাজের প্রয়োজন বেশি হয়ে গেলো এখন বাহ ভালো কয়েকদিন পর আমাদের বিয়ে আর তুমি আমার সাথে এসব কেনো করছো কেনো বলো.?(একটু জোরে)
নীলা- আমি আবার কি করলাম তোমার সাথে!
আমি- বাহ তুমি দেখছি আগের থেকে অনেকটা বদলে গেছো! আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে তুমি খুব ভালোই আছো তাই না।
নীলা- খারাপ থাকার প্রশ্নই আসে না ভালো আছি বলেই তো এতদিন বেচে আছি এখন তোমার সাথে কথা বলার সময় নেই আমার কাজ আছে তুমি এখন আসতে পারো!
আমি- এখানে চলে যাওয়ার জন্য আসেনি তোমার সাথে কথা বলতে এসেছি।
নীলা- কি বলতে চাও তাড়াতাড়ি বলো!
আমি- তুমি কি আমাকে সত্যি কারের ভালোবাসো নাকি এসব নাটক শুরু করেছ
নীলা- আমি কোনো নাটক করছি না।
আমি- তাহলে আজ এতদিন পর দেখা হলো কয় বললে না তো আমি কেমন আছি কিভাবে আছি! আমার অবস্থার কথা একবারও জানতে চাইলে না খোজ নিলে না তুমি, কেনো এমন করছো আর ফোনে কথা বলছো না কেনো? বলো জবাব দাও নীলা...
নীলা- নিশ্চুপ---
আমি- কি হলো চুপ করে আছো কেনো আমি কিছু জানতে চাইছি!
নীলা- বিয়ের পর সব উত্তর পাবে এখন কিছু বলতে পারবো না আর এখন বলারও প্রয়োজন মনে করি না এখন আসতে পারো তুমি!
আমি- বিয়ের পরে নয় নীলা এখনি তোমাকে সবকিছু আমায় বলতেই হবে নয়তো আমি যাচ্ছি না, কেনো আমার সাথে এমন করছো তা আমাকে আজ জানতেই হবে নয়তো আমি যে শান্তি পাবো না এ কয়েকদিন।
নীলা- বললাম তো আমি পারবো না এখন বলতে, যদি বেশি রকম করার চেষ্টা করেছো তো এ বিয়ে বন্ধ করে দিবো আমি ভালোই ভালোই বলছি যদি তোমার ভালো চাও তো এখন আসতে পারো গুডবাই, (রেগে) এ বলে চলে গেলো!
আমি- নীলা দাড়াও প্লিজ আমার কথাটা একবার শুনো প্লিজ উফ চলেই গেলো এখন কি করি এখন কিছুই তো জানতে পারলাম না। নীলা কেনো আমার সাথে এভাবে রেগে রেগে কথা বলছে আগে তো এমন ছিলো না আবার কিছু বলতে গেলেই ঝামেলা বা বিয়ে বন্ধ করে দিতে পারে তাই চলে যাওয়াটাই ভালো এর পিছনে কিছু একটা কারন আছে সেটাও বলছে না এসব করার মানেটা কি? যাই হোক এখন মাথা না ঘামিয়ে বিয়ের পরে জানা যাবে এসবের বিষয়গুলো। তারপর না হয় দেখা যাবে কারনটা কি। তারপর না হয় বুঝাবো সেদিন এভাবে আমাকে কষ্ট দেওয়া হুম।
তারপর আন্টির সাথে কিছু কথা বলে বাসায় বাসায় চলে আসি...
দেখতে দেখতে বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসলো,,
আজ আমার বিয়ে অথচ নীলা এ পর্যন্ত আমার সাথে ফোনে একটি বারের জন্যেও কথা বলেনি আমিও বিরক্ত করতে চাইনি।
সবাই বিয়েতে হাসি-খুশি থাকলেও খুশি নেই একজনের মন তার দুশ্চিন্তা বেড়েই চলেছে কাউকে বুঝতে দেইনি মনের গোপন কথা গুলো। জানি না আমার সাথে কি ঘটতে চলেছে।
হ্যা আমার সাথে কি ঘটতে চলেছে নিজেও জানি না আমি।
তারপর দুই পরিবারের সম্মতিতে ভালোভাবে বিয়েটা সম্পূর্ণ হয়ে গেলো।
এখন রাত ১২টা ছাদে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার পর বন্ধুরা সকলে মিলে জোর করে আমাকে বাসর রুমে ঢুকিয়ে দিলো। তারপর দরজা লাগিয়ে নীলার সামনে দাঁড়িয়ে আছি নীলা মাথায় বড় ঘোমটা দিয়ে খাটের মাঝখানে বসে আছে।
আমি মন ভার করে নীরবে দাঁড়িয়ে আছি তার সামনে, আমাকে এখন কি করা উচিৎ সেটা বুঝে উঠতে পারছিলাম না।
অনেকেই হয়তো ভাবছেন ভালোবাসার মানুষের সাথে বিয়ে হওয়ার পরে তো আমার খুশি হওয়ার কথা কিন্তু মন খারাপ কেনো.? আর হবেই বা না কেনো তার ব্যবহার, তার অবহেলা যে আমাকে প্রতিটা দিন প্রতিটা মুহূর্তে ভালো থাকতে দেইনি কি করে খুশি থাকে বলেন।
তারপর কিছু না ভেবেই ওর পাশে বসলাম। মনে কিছুটা রাগ অভিমান থাকলেও সেটা ভালোবাসার কাছে ঠিকই হার মানতে হয়।
নীলাকে ভেবেই ঘোমটা সরাতেই বড়সড় একটা শকট খেলাম, এ আমি কাকে দেখছি! তাকে দেখার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। আসলে সে.. .?
কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন আসলে সে কে হতে পারে? আপনাদের সাড়া পেলে নেক্সট গল্প লিখা শুরু করবো ধন্যবাদ সবাই কে।
To For Continue New Story