গল্পঃভদ্র_ছেলে_Vs_রাগী_মেয়ে পর্বঃ১+ ২

 —এই ছেলে এদিকে আয়।😏

(কতগুলো মেয়ের মধ্যে একটা মেয়ে)


ভার্সিটির গেট দিয়ে ভিতরে আসতেই একদল মেয়ের মধ্যে একজন আমায় ডাক দিলো, আমি তাদের সামনে গিয়ে!😒


—আপু আমায় ডেকেছেন?🙁

(আমি)


—এখানে তুই ছাড়া, আর কে আছে শুনি?

(আরেকটা মেয়ে)


আমি এপাশ-ওপাশ তাকিয়ে দেখি, এখানে আমি ছাড়া আর তো কেউ নেই!😤


—তোরা সবাই চুপ থাক, এ-ই তোর নাম কি রে?😊

(মাঝখানের মেয়েটা)


—আবির,

আর আপনার নাম?🤨

(আমি)


—নীলাদ্রি নীলা!😊

(মাঝখানের মেয়েটা হালকা হেসে মানে নীলা)


—আপু আমি তাহলে আসি?😒

(আমি)


—আমি তোকে যেতে বলেছি?😡😡

(নীলা রেগে)


—নাহ্।🙁

(আমি ভয় পেয়ে)


—তাহলে?

(নীলা)


—ক্লাসের টাইম হয়ে গেছে?😒

(আমি)


—কোন ইয়ারে পড়িস?

(নীলা)


—অনার্স ১ম বর্ষে!😒

(আমি)


—আচ্ছা যা।

(নীলা)


ক্লাসে যেতে যেতে নাহয় আমার পরিচয় টা দিয়েই দি!😇 আমি আবির, বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। এবার অনার্স ১ম বর্ষে পড়ি! আর বাকিটা নাহয় গল্পেই জেনে নিয়েন।😊


ক্লাস শেষ করে আমি, জিসান, রনি বাসার দিকে যাচ্ছি তখনি কে যেন আমার নাম ধরে ডাকতেছে,🤔


—আবির,

(মেয়েলি কণ্ঠে)


আমি পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি নীলা আপু একটা বাইকের উপর বসে আছে, আর আমাকে হাত নেড়ে ইশারা করছে তার কাছে যেতে!🥱 


—এই চল, আপু ডাকতেছে!😊

(আমি)


আমার কথা শুনে ওরা দৌড়ে চলে গেল, কিন্তু আমি বুঝতে ছিনা ওরা কেন দৌড়ে চলে গেল।🤔 কালকে ওরা আসলে জেনে নিবো।🥱 আমি নীলা আপুর কাছে গিয়ে,


—আপু আমায় ডেকেছ?😏

(আমি)


—হুম,

তোর বাসা কোথায়?🤨

(নীলা আপু)


—ওইদিকে!😪

(আমি হাত দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে)


—বাইক চালাতে পারিস।😏

(নীলা)


—জ্বি আপু।

(আমি)


—এই নে চাবি।😊

(নীলা, আপু আমার হাতে বাইকের চাবি দিয়ে)😤


—হুম।

(আমি)


আমি বাইকে উঠতেই নীলা আপু পিছনে উঠে বসলো,🥱 বাইকটা স্টার্ট দিতেই আপু আমাকে জড়িয়ে ধরে বসলো!😤 নীলা আপুর বান্ধবী গুলোর দিকে চেয়ে দেখি ওরা মুসকি মুসকি হাসতেছে?🤔 তারপর ভার্সিটি থেকে বের হয়ে, আপুকে বললাম!😪


—আপু আমরা কই যাবো?😏

(আমি)


—বাসায়!

(নীলা) 


আমি বাইক চালাচ্ছি আর ওনি পথ দেখিয়ে দিচ্ছেন,😤 হঠাৎ!


—এখানে দাঁড়া।😊

(নীলা)


আমি বাইকটা একটা বাসার সামনে দাঁড় করাতেই নীলা আপু বললেন,


—চল ভিতরে যাবি!😇

(নীলা আপু)


আমি বাসাটার দিকে তাকিয়ে দেখি বাসাটা বেশ বড়, আর সুন্দরও!😊


—এটা কার বাসা?😤

(আমি)


—আমার!😊

(নীলা আপু হালকা হেসে) 


—বাসাটা খুব সুন্দর!🥱

(আমি)


—আর আমি?😌

(নীলা)


—আপু হঠাৎ এমন প্রশ্ন?🤨

(আমি)


—আরে বল-না?😌

(নীলা)


—আপনিও খুব সুন্দর!😊

(আমি)


আসলে নীলা আপু দেখতে খুব সুন্দর।🤨 


—হু।

চল ভিতরে যাবি?

(নীলা আপু)


—নাহ্,

আম্মু রাগ করবে?😒

(আমি)


—কেন?🤔

(নীলা)


—দেরিতে গেলে আম্মু বকবে।😏

(আমি)


আমার কথা শুনে নীলা তো হাসতে হাসতে শেষ,😁😁 তারপর বলল?😪


—তুই কি এখনো পিচ্চি না-কি?😁😁

(নীলা আপু এবলে আবারো হাসতে লাগলো)


—আপু আমি গেলাম।🙁

(আমি)


—সরি,😊

(নীলা)


—হু।

(আমি)


—এখান থেকে তোর বাসা আর কদ্দূর?😊

(নীলা)


—২ মিনিটের পথ।

(আমি)


—কাল থেকে ভার্সিটিতে যাবার সময় আমাকে সাথে করে নিয়ে যাবি বুঝলি!😊

(নীলা)


—আচ্ছা।

(আমি)


—আর শুন,

তোর নাম্বারটা দে তো?

(নীলা)


তারপর নীলা আপুকে নাম্বার দিয়ে বাসায় চলে আসলাম।🥱 


—আম্মু খিদে লাগছে খাবার দাও।🥱

(আমি)


আমি আর আম্মু খাবার খেয়ে নিলাম।🥰 আর আব্বু অফিস শেষ করে একবারে বিকেলে বাসায় আসে!🥱 


—আবির,

(আম্মু)


—জ্বি আম্মু।

(আমি)


—আজ ভার্সিটি কেমন কাটলো?🤨

(আম্মু)


—ভালোই তবে?😤

(আমি)


—কি?

(আম্মু)


—কিছু না।

(আমি)


আম্মুকে নীলা আপুর কথা বললে, না জানি আবার নীলা আপুর মতো হাসাহাসি শুরু করে নাকি!😌

রাত্তে একসাথে সবাই খেতে বসছি তখন,


—ভার্সিটি কেমন লাগছে?

(আব্বু)


—ভালোই তো!😊

(আমি)


রাত্তে ঘুমিয়ে পড়লাম, সকালে ফোনের শব্দে ঘুম ভেঙে গেল!😒 ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি আননাম্বার থেকে কল আসছে? একবার দুবার রিং হতেই ফোনটা রিসিভ করলাম।😤 ফোনটা ধরতেই!😪


#চলবে..............


#গল্পঃভদ্র_ছেলে_Vs_রাগী_মেয়ে


#লেখকঃRJ_Rafy


#পর্বঃ১


#গল্পঃভদ্র_ছেলে_Vs_রাগী_মেয়ে


#লেখকঃRJ_Rafy


#পর্বঃ২


—হ্যালো অভ্র?😊

(মেয়েলি কণ্ঠে)


—হুম।

(আমি এখনো ঘুমের ঘোরে)


—ভার্সিটি যাবে না?😏

(মেয়েলি কণ্ঠে)


—হুম,

যাবো তো!😒

(আমি)


—কখন যাবি?😡😡

(মেয়েলি কণ্ঠে)


আমি এবার ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি আননাম্বার থেকে কল আসছে, আসলে এতক্ষণ ঘুমের ঘোরে ছিলাম তাই  ফোনে কি বলছি নিজেই জানি নাহ্!🤪


—হ্যালো কে আপনি?🤨

(আমি)


—আমি নীলা!😊

(নীলা)


তারমানে আমি এতক্ষণ নীলার সাথেই কথা বলতেছিলাম, আমি ফোনটা আবার হাতে নিয়ে দেখি ৯.৪০ ছুঁইছুঁই।


—জ্বি আপু!😇

(আমি)


—তাড়াতাড়ি আমার বাসার সামনে আয়?😤

(নীলা)


ফোনটা কেঁটে বাথরুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিলাম, তারপর রেডি হয়ে, দৌড়ে নীলা আপুর বাসার সামনে চলে গেলাম।😪 ওখানে গিয়ে দেখি নীলা আপু বাইকের উপর বসে আছে, আমি ওনার কাছে যেতেই ওনি বাইক থেকে নেমে আমার সামনে এসে?😇


—এ নে চাবি!😊

(নীলা আপু আমার হাতে বাইকের চাবি দিয়ে) 


—হুম।

(আমি)


তারপর আমি বাইক চালাচ্ছি আর ওনি আ।আকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে! আমার কাছে কেমন যেন লাগতেছে?😇 তবুও কিছু বলতে পারতেছিনা, কারণ ওনি আমার সিনিয়র, আর আপুও বটে?😊


—আসতে এত দেরি করলি যে?😤

(নীলা)


—ঘুম থেকে উঠতে লেট হয়ে গেছে।😏

(আমি)


—নাস্তা করছিস!😊

(নীলা)


—হ্যাঁ মানে না!😇

(আমি)


—এখানে দাঁড়া।

(নীলা)


—কেন আপু?🤨

(আমি)


—বাইক দাঁড় করাতে বলছি দাঁড় করা!😪

(নীলা আপু)


বাইক থেমে আমি নামতেই, নীলা আপু আমার হাত ধরে একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলো,🥱 তারপর একটা টেবিলে গিয়ে বসল, সাথে আমিও!😊 


—কি খাবি বল?😊

(নীলা)


—জ্বি আপু,

আমি তো বাসায় খেয়ে আসছি!😤

(আমি)


—থাপ্পড় চিনস?😊

(নীলা আপু রাগি চোখে তাকিয়ে) 


—কেন আপু?🤔

(আমি)


—তোকে দিবো তাই!😡😡

(নীলা আপু রাগি চোখে তাকিয়ে) 


—আমি আবার কি করলাম?🙁

(আমি)


—আমার সামনে মিথ্যে বলার জন্য?😡😡

(নীলা আপু)


—সরি!😌

(আমি)


তারপর রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে আমি আর নীলা আপু ভার্সিটিতে চলে, বিলটা নীলা আপু ই দিয়েছে?🥱 ভার্সিটি গেট দিয়ে ভিতরে আসতেই দেখি ভার্সিটির সকল স্টুডেন্টরা আমাদের দিকে চেয়ে আছে!🤔 বাইক টা পার্ক করে চাবিটা আপুর কাছে দিয়ে ক্লাসে দিকে যেতেই কিছু ছেলে আমার পথ আটকে দাঁড়ালো!😪


—তোর নাম কি রে?😡😡

(ছেলে গুলোর মধ্যে একজন) 


—জ্বি ভাই,

আবির!😊

(আমি)


—নীলার সাথে তোর এত কিরে,

ভার্সিটিতে আসতে একসাথে আসিস আবার যাবার সময় একসাথে, হ্যাঁ?😡😡😡

(ছেলেটা আমার সার্টের কলার ধরে) 


—নীলা আপু নিজেই বলেছে,

প্রতিদিন আসার সময় ভার্সিটিতে নিয়ে আসতে আর যাবার সময়ও!🙁

(আমি)


—সে যায় হোক,

তোকে যেন আর ওর আশেপাশে না দেখি?😡😡

নেক্সট টাইম যদি তোকে ওর আশেপাশে দেখি তাহলে আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবে না!😡😡😡

(ছেলেটা)


ছেলেটা আমাকে ছেড়ে দিয়ে চলে গেল, আর আমি মন খারাপ করে ক্লাস রুমে গিয়ে বসলাম।🙁 আজ পর্যন্ত কেউ আমার সাথে এমন বিহেব করেনি যতটা ওই ছেলেগুলো করেছে!🙁🙁


—কিরে দোস্ত,

তুই মন খারাপ করে বসে আসিছ কেন?🤔

(জিসান আমার পাশে বসে)


—নাহ্ এমনিই, 

আচ্ছা তোরা কালকে দৌড়ে চলে গেলি কেন?🤨

(আমি)


—তুই নীলা আপুকে তো চিনস।😤

(জিসান)


—হুম।

(আমি)


—আচ্ছা তার আগে বলতো,

তুই আজকে নীলা আপুকে নিয়ে ভার্সিটি আসার সময় সবাই তোর দিকে তাকিয়ে ছিল তো?🤨

(জিসান)


—হুম,

কিন্তু ওরা কেন তাকিয়ে ছিল?😒

(আমি)


—নীলা আপু হচ্ছেন এ ভার্সিটির হাজারো ছেলের ক্রাস! আর আজ পর্যন্ত কতছেলে ওনার পিছনে ঘুরেছে তার হিসেব নেই, আর ওনি তোর সাথে ভার্সিটিতে আসায় ওরা সবাই তোর দিকে তাকিয়ে ছিল।😊 

(জিসান)


—ওহ।

(আমি)


সবে গিয়ে বুঝলাম ভার্সিটির বড় ভাই গুলো কেন আমার সাথে এমন করলো!😪

হঠাৎ জিসান বলল,


—আর কালকের কথায় বলি, ওনি যে পরিমাণ রাগি। তার সামনে যেতেও আমার হেব্বি ভয় করে।😒

(জিসান)


—কেন?🤔

(আমি)


—একবার একটা ছেলে ওখানে প্রপোজ করাতে ওনি ছেলেটাকে যে পিটানো টাই না দিলেন। ছেলেটা গোটা ১ মাস হাসপাতালে ভর্তি ছিল।😒 আর এ ভার্সিটির এমন কোনো ছেলে মেয়ে নাই যে ওনাকে ভয় পায় না, আর ভার্সিটি টা ওনার কথায় চলে!🙁

(জিসান)


জিসানের কথা শুনে বুঝলাম, ওরা কালকে কেন পালাইছে!😪 তারপর ক্লাস শেষ করে আমরা তিনজন মানে, আমি, জিসান, রনি বাহিরে আসতেই একটা মেয়ে এসে আমাদের সামনে দাঁড়ালো!😤


#চলবে..........


বিজি থাকার কারণে এতদিন গল্প দতে পারিনি, আর হ্যাঁ গল্পটা এবার থেকে প্রতিদিন গল্প পাবেন!😊

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post