—এই ছেলে এদিকে আয়।😏
(কতগুলো মেয়ের মধ্যে একটা মেয়ে)
ভার্সিটির গেট দিয়ে ভিতরে আসতেই একদল মেয়ের মধ্যে একজন আমায় ডাক দিলো, আমি তাদের সামনে গিয়ে!😒
—আপু আমায় ডেকেছেন?🙁
(আমি)
—এখানে তুই ছাড়া, আর কে আছে শুনি?
(আরেকটা মেয়ে)
আমি এপাশ-ওপাশ তাকিয়ে দেখি, এখানে আমি ছাড়া আর তো কেউ নেই!😤
—তোরা সবাই চুপ থাক, এ-ই তোর নাম কি রে?😊
(মাঝখানের মেয়েটা)
—আবির,
আর আপনার নাম?🤨
(আমি)
—নীলাদ্রি নীলা!😊
(মাঝখানের মেয়েটা হালকা হেসে মানে নীলা)
—আপু আমি তাহলে আসি?😒
(আমি)
—আমি তোকে যেতে বলেছি?😡😡
(নীলা রেগে)
—নাহ্।🙁
(আমি ভয় পেয়ে)
—তাহলে?
(নীলা)
—ক্লাসের টাইম হয়ে গেছে?😒
(আমি)
—কোন ইয়ারে পড়িস?
(নীলা)
—অনার্স ১ম বর্ষে!😒
(আমি)
—আচ্ছা যা।
(নীলা)
ক্লাসে যেতে যেতে নাহয় আমার পরিচয় টা দিয়েই দি!😇 আমি আবির, বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। এবার অনার্স ১ম বর্ষে পড়ি! আর বাকিটা নাহয় গল্পেই জেনে নিয়েন।😊
ক্লাস শেষ করে আমি, জিসান, রনি বাসার দিকে যাচ্ছি তখনি কে যেন আমার নাম ধরে ডাকতেছে,🤔
—আবির,
(মেয়েলি কণ্ঠে)
আমি পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি নীলা আপু একটা বাইকের উপর বসে আছে, আর আমাকে হাত নেড়ে ইশারা করছে তার কাছে যেতে!🥱
—এই চল, আপু ডাকতেছে!😊
(আমি)
আমার কথা শুনে ওরা দৌড়ে চলে গেল, কিন্তু আমি বুঝতে ছিনা ওরা কেন দৌড়ে চলে গেল।🤔 কালকে ওরা আসলে জেনে নিবো।🥱 আমি নীলা আপুর কাছে গিয়ে,
—আপু আমায় ডেকেছ?😏
(আমি)
—হুম,
তোর বাসা কোথায়?🤨
(নীলা আপু)
—ওইদিকে!😪
(আমি হাত দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে)
—বাইক চালাতে পারিস।😏
(নীলা)
—জ্বি আপু।
(আমি)
—এই নে চাবি।😊
(নীলা, আপু আমার হাতে বাইকের চাবি দিয়ে)😤
—হুম।
(আমি)
আমি বাইকে উঠতেই নীলা আপু পিছনে উঠে বসলো,🥱 বাইকটা স্টার্ট দিতেই আপু আমাকে জড়িয়ে ধরে বসলো!😤 নীলা আপুর বান্ধবী গুলোর দিকে চেয়ে দেখি ওরা মুসকি মুসকি হাসতেছে?🤔 তারপর ভার্সিটি থেকে বের হয়ে, আপুকে বললাম!😪
—আপু আমরা কই যাবো?😏
(আমি)
—বাসায়!
(নীলা)
আমি বাইক চালাচ্ছি আর ওনি পথ দেখিয়ে দিচ্ছেন,😤 হঠাৎ!
—এখানে দাঁড়া।😊
(নীলা)
আমি বাইকটা একটা বাসার সামনে দাঁড় করাতেই নীলা আপু বললেন,
—চল ভিতরে যাবি!😇
(নীলা আপু)
আমি বাসাটার দিকে তাকিয়ে দেখি বাসাটা বেশ বড়, আর সুন্দরও!😊
—এটা কার বাসা?😤
(আমি)
—আমার!😊
(নীলা আপু হালকা হেসে)
—বাসাটা খুব সুন্দর!🥱
(আমি)
—আর আমি?😌
(নীলা)
—আপু হঠাৎ এমন প্রশ্ন?🤨
(আমি)
—আরে বল-না?😌
(নীলা)
—আপনিও খুব সুন্দর!😊
(আমি)
আসলে নীলা আপু দেখতে খুব সুন্দর।🤨
—হু।
চল ভিতরে যাবি?
(নীলা আপু)
—নাহ্,
আম্মু রাগ করবে?😒
(আমি)
—কেন?🤔
(নীলা)
—দেরিতে গেলে আম্মু বকবে।😏
(আমি)
আমার কথা শুনে নীলা তো হাসতে হাসতে শেষ,😁😁 তারপর বলল?😪
—তুই কি এখনো পিচ্চি না-কি?😁😁
(নীলা আপু এবলে আবারো হাসতে লাগলো)
—আপু আমি গেলাম।🙁
(আমি)
—সরি,😊
(নীলা)
—হু।
(আমি)
—এখান থেকে তোর বাসা আর কদ্দূর?😊
(নীলা)
—২ মিনিটের পথ।
(আমি)
—কাল থেকে ভার্সিটিতে যাবার সময় আমাকে সাথে করে নিয়ে যাবি বুঝলি!😊
(নীলা)
—আচ্ছা।
(আমি)
—আর শুন,
তোর নাম্বারটা দে তো?
(নীলা)
তারপর নীলা আপুকে নাম্বার দিয়ে বাসায় চলে আসলাম।🥱
—আম্মু খিদে লাগছে খাবার দাও।🥱
(আমি)
আমি আর আম্মু খাবার খেয়ে নিলাম।🥰 আর আব্বু অফিস শেষ করে একবারে বিকেলে বাসায় আসে!🥱
—আবির,
(আম্মু)
—জ্বি আম্মু।
(আমি)
—আজ ভার্সিটি কেমন কাটলো?🤨
(আম্মু)
—ভালোই তবে?😤
(আমি)
—কি?
(আম্মু)
—কিছু না।
(আমি)
আম্মুকে নীলা আপুর কথা বললে, না জানি আবার নীলা আপুর মতো হাসাহাসি শুরু করে নাকি!😌
রাত্তে একসাথে সবাই খেতে বসছি তখন,
—ভার্সিটি কেমন লাগছে?
(আব্বু)
—ভালোই তো!😊
(আমি)
রাত্তে ঘুমিয়ে পড়লাম, সকালে ফোনের শব্দে ঘুম ভেঙে গেল!😒 ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি আননাম্বার থেকে কল আসছে? একবার দুবার রিং হতেই ফোনটা রিসিভ করলাম।😤 ফোনটা ধরতেই!😪
#চলবে..............
#গল্পঃভদ্র_ছেলে_Vs_রাগী_মেয়ে
#লেখকঃRJ_Rafy
#পর্বঃ১
#গল্পঃভদ্র_ছেলে_Vs_রাগী_মেয়ে
#লেখকঃRJ_Rafy
#পর্বঃ২
—হ্যালো অভ্র?😊
(মেয়েলি কণ্ঠে)
—হুম।
(আমি এখনো ঘুমের ঘোরে)
—ভার্সিটি যাবে না?😏
(মেয়েলি কণ্ঠে)
—হুম,
যাবো তো!😒
(আমি)
—কখন যাবি?😡😡
(মেয়েলি কণ্ঠে)
আমি এবার ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি আননাম্বার থেকে কল আসছে, আসলে এতক্ষণ ঘুমের ঘোরে ছিলাম তাই ফোনে কি বলছি নিজেই জানি নাহ্!🤪
—হ্যালো কে আপনি?🤨
(আমি)
—আমি নীলা!😊
(নীলা)
তারমানে আমি এতক্ষণ নীলার সাথেই কথা বলতেছিলাম, আমি ফোনটা আবার হাতে নিয়ে দেখি ৯.৪০ ছুঁইছুঁই।
—জ্বি আপু!😇
(আমি)
—তাড়াতাড়ি আমার বাসার সামনে আয়?😤
(নীলা)
ফোনটা কেঁটে বাথরুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিলাম, তারপর রেডি হয়ে, দৌড়ে নীলা আপুর বাসার সামনে চলে গেলাম।😪 ওখানে গিয়ে দেখি নীলা আপু বাইকের উপর বসে আছে, আমি ওনার কাছে যেতেই ওনি বাইক থেকে নেমে আমার সামনে এসে?😇
—এ নে চাবি!😊
(নীলা আপু আমার হাতে বাইকের চাবি দিয়ে)
—হুম।
(আমি)
তারপর আমি বাইক চালাচ্ছি আর ওনি আ।আকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে! আমার কাছে কেমন যেন লাগতেছে?😇 তবুও কিছু বলতে পারতেছিনা, কারণ ওনি আমার সিনিয়র, আর আপুও বটে?😊
—আসতে এত দেরি করলি যে?😤
(নীলা)
—ঘুম থেকে উঠতে লেট হয়ে গেছে।😏
(আমি)
—নাস্তা করছিস!😊
(নীলা)
—হ্যাঁ মানে না!😇
(আমি)
—এখানে দাঁড়া।
(নীলা)
—কেন আপু?🤨
(আমি)
—বাইক দাঁড় করাতে বলছি দাঁড় করা!😪
(নীলা আপু)
বাইক থেমে আমি নামতেই, নীলা আপু আমার হাত ধরে একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলো,🥱 তারপর একটা টেবিলে গিয়ে বসল, সাথে আমিও!😊
—কি খাবি বল?😊
(নীলা)
—জ্বি আপু,
আমি তো বাসায় খেয়ে আসছি!😤
(আমি)
—থাপ্পড় চিনস?😊
(নীলা আপু রাগি চোখে তাকিয়ে)
—কেন আপু?🤔
(আমি)
—তোকে দিবো তাই!😡😡
(নীলা আপু রাগি চোখে তাকিয়ে)
—আমি আবার কি করলাম?🙁
(আমি)
—আমার সামনে মিথ্যে বলার জন্য?😡😡
(নীলা আপু)
—সরি!😌
(আমি)
তারপর রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে আমি আর নীলা আপু ভার্সিটিতে চলে, বিলটা নীলা আপু ই দিয়েছে?🥱 ভার্সিটি গেট দিয়ে ভিতরে আসতেই দেখি ভার্সিটির সকল স্টুডেন্টরা আমাদের দিকে চেয়ে আছে!🤔 বাইক টা পার্ক করে চাবিটা আপুর কাছে দিয়ে ক্লাসে দিকে যেতেই কিছু ছেলে আমার পথ আটকে দাঁড়ালো!😪
—তোর নাম কি রে?😡😡
(ছেলে গুলোর মধ্যে একজন)
—জ্বি ভাই,
আবির!😊
(আমি)
—নীলার সাথে তোর এত কিরে,
ভার্সিটিতে আসতে একসাথে আসিস আবার যাবার সময় একসাথে, হ্যাঁ?😡😡😡
(ছেলেটা আমার সার্টের কলার ধরে)
—নীলা আপু নিজেই বলেছে,
প্রতিদিন আসার সময় ভার্সিটিতে নিয়ে আসতে আর যাবার সময়ও!🙁
(আমি)
—সে যায় হোক,
তোকে যেন আর ওর আশেপাশে না দেখি?😡😡
নেক্সট টাইম যদি তোকে ওর আশেপাশে দেখি তাহলে আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবে না!😡😡😡
(ছেলেটা)
ছেলেটা আমাকে ছেড়ে দিয়ে চলে গেল, আর আমি মন খারাপ করে ক্লাস রুমে গিয়ে বসলাম।🙁 আজ পর্যন্ত কেউ আমার সাথে এমন বিহেব করেনি যতটা ওই ছেলেগুলো করেছে!🙁🙁
—কিরে দোস্ত,
তুই মন খারাপ করে বসে আসিছ কেন?🤔
(জিসান আমার পাশে বসে)
—নাহ্ এমনিই,
আচ্ছা তোরা কালকে দৌড়ে চলে গেলি কেন?🤨
(আমি)
—তুই নীলা আপুকে তো চিনস।😤
(জিসান)
—হুম।
(আমি)
—আচ্ছা তার আগে বলতো,
তুই আজকে নীলা আপুকে নিয়ে ভার্সিটি আসার সময় সবাই তোর দিকে তাকিয়ে ছিল তো?🤨
(জিসান)
—হুম,
কিন্তু ওরা কেন তাকিয়ে ছিল?😒
(আমি)
—নীলা আপু হচ্ছেন এ ভার্সিটির হাজারো ছেলের ক্রাস! আর আজ পর্যন্ত কতছেলে ওনার পিছনে ঘুরেছে তার হিসেব নেই, আর ওনি তোর সাথে ভার্সিটিতে আসায় ওরা সবাই তোর দিকে তাকিয়ে ছিল।😊
(জিসান)
—ওহ।
(আমি)
সবে গিয়ে বুঝলাম ভার্সিটির বড় ভাই গুলো কেন আমার সাথে এমন করলো!😪
হঠাৎ জিসান বলল,
—আর কালকের কথায় বলি, ওনি যে পরিমাণ রাগি। তার সামনে যেতেও আমার হেব্বি ভয় করে।😒
(জিসান)
—কেন?🤔
(আমি)
—একবার একটা ছেলে ওখানে প্রপোজ করাতে ওনি ছেলেটাকে যে পিটানো টাই না দিলেন। ছেলেটা গোটা ১ মাস হাসপাতালে ভর্তি ছিল।😒 আর এ ভার্সিটির এমন কোনো ছেলে মেয়ে নাই যে ওনাকে ভয় পায় না, আর ভার্সিটি টা ওনার কথায় চলে!🙁
(জিসান)
জিসানের কথা শুনে বুঝলাম, ওরা কালকে কেন পালাইছে!😪 তারপর ক্লাস শেষ করে আমরা তিনজন মানে, আমি, জিসান, রনি বাহিরে আসতেই একটা মেয়ে এসে আমাদের সামনে দাঁড়ালো!😤
#চলবে..........
বিজি থাকার কারণে এতদিন গল্প দতে পারিনি, আর হ্যাঁ গল্পটা এবার থেকে প্রতিদিন গল্প পাবেন!😊