ওসির_মেয়ে_যখন_বউ পর্বঃ ০4

 

গল্পঃ#ওসির_মেয়ে_যখন_বউ
  লেখকঃ#Mahbub_Rohman_Shuvo
পর্বঃ ০4

এরপর  জামিনুর কেয়ার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে । পকেট থেকে একটা ডায়মন্ডের রিং  বের করে ,,কেয়ার সামনে ধরল আর বলতে লাগলো,,,,

🌷 জামিনুরঃ  জানিনা  ভালোবাসি  কি করে বলতে হয়।  কিন্তু  ভালবাসি তোমাকে এটাই জানি।  ভালোবাসি  আজ থেকে নয় গত ছয় মাস ধরে।। কিন্তু তোমাকে বলে উঠার সাহস হয়নি আমার। আজ  বলে দিলাম কেয়া ভালোবাসি তোমায়।  I love  you love u you and rally love love you.  do you  love me???

 কেয়া কোন  কথা না বলে কিছুক্ষণ নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল,, এবং তার সামনে কি হচ্ছে তা বোঝার চেষ্টা করল।

🌷  জামিনুরঃ  কি  হলো নিশ্চুপ কেন বল???? do you love me??

🔰 সোনালিকাঃ  জামিনুর  দেখছিস না কেয়া  নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এর মানে কি তুই বুঝিস না ??

 জামিনুর বুঝতে পারল কেয়া হয়েছে তাকে রিজেক্ট করে দিয়েছ তাই দাঁড়িয়ে  পরল।  এবং  চোখ দিয়ে অশ্রু বের হতে লাগলো।  আর  জামিনুর আমাকে বলল,,,

🌷জামিনুরঃ শুভ চল আমরা এখান থেকে চলে যাই।  আমি আগে  থেকে জানতাম কেয়া আমাকে কখনো ভালো বাসবে না৷ আর আমি আজ তার প্রমান ও পেলাম।  ( কান্না করে দিয়ে) 

এটা বলে জামিনুর চলে আসতে যাবে ঠিক তখনি কেয়া এসে সবাইকে অবাক করে দিয়ে জামিনুর কে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো।  

💔কেয়াঃ i love you tuna.  I love relly love you..

জামিনুর তো কেয়ার মুখে টুনা নাম শুনে অবাকের শেষ পর্যায়ে চলে গেছে। 

🌷জামিনুরঃ টুনা নাম টা তুমি কই থেকে পাইছো??

💔কেয়াঃ কেনো??

🌷জামিনুরঃ না এমনি। 

কেয়া হেসে দিয়ে বললো। 

💔কেয়াঃ এমনি তাইনা?? 

🌷জামিনুরঃ না মানে হলো গিয়ে??

💔কেয়াঃ আচ্ছা আমি বলি।  

🌷জামিনুরঃ কি বলবা??

💔কেয়াঃ তেমন কিছু না৷  "ভালো বাসার রাজ কন্য " এটা আমার আইডি।।

🌷জামিনুরঃ রায়হান ভাই তুই আমারে ধর?? আমার কেমন জানি মাথাটা ঘুরছে।।

আমিঃ কেনো রে তোর আবার মাথা ঘুরছে কেনো??

🌷জামিনুরঃ আমার ভালোবাসর মানুষটি আমাকে এতো দিন  ভালোবসি বলে আসছে আর আমি তা জানতেও পারলাম না। কত বড় পোড়া কপাল আমার। 

কেয়া তো জামিনুর এর কাহিনি দেখে মিটি মিটি হাসছে। 

কেয়ার কাহিনি দেখে তো সবাই পুরাই অবাক সে যে তলে তলে এতো কিছু করে বেরাচ্ছে তা কেউই টের পায়নি,,,, তখন রিয়া কেয়াকে বললো,,,,

🔺রিয়াঃ কিরে কেয়া তুই তো দেখি খুব খুব  সেয়ানা। সামনা সানি তুই ভাজ মাছ টাও উল্টে খেতে জানোস  না।  আর  তলে তলে গিয়ে ট্রাক চালাস।

💔 কেয়াঃ  কি  করব বল প্রথম দেখাতেই ওকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি ।  তাইতো  আমি ওর ফেসবুক আইডি নিয়ে আমার ফেক আইডি দিয়ে ওকে বারবার আই লাভ ইউ বলছি।  কিন্তু  ও রিজেক্ট করে দিয়েছে । 
 
🔰 সোনালিকাঃ  হইছে  হইছে তোরা  থাম এখন।  তো  আজ আজকে আমাদের ট্রিট দিবে।  সাথে জামিনুর তো আছেই।

💔 কেয়াঃ  আচ্ছা  চল কি আর করার??

 ওদের  ট্রিট এর কথা  শুনে আমি ওখান থেকে চলে আসতে যাব।  ঠিক  তখনই জামিনুর আমাকে বলল,,,,

🌷 জামিনুরঃ  কিরে  ভাই তুই কই যাচ্ছিস??

 আমিঃ  বাসায়  একটু কাজ আছে কাজটা করতে যাব। 

🌷  জামিনুরঃ  কাজ  পরে করা যাবে। এখন তুই আমাদের সাথে  রেস্টুরেন্টে চল। 

🔰 সোনালিকাঃ  এক্ষেত্রে  কেটে নেওয়ার কি দরকার নেই শরীর থেকে কি বিশ্রী গন্ধ বেরোচ্ছে ।  মনে হচ্ছে  এখনি বমি করে দেবো।

🌷  জামিনুরঃ সোনালিকা এটা  কিন্তু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। 

আমিঃ  আরে  থাম  আমার জন্য তো দেখি ঝগড়া করবি নাকি।  এর  থেকে ভালো হবে তোরা রেস্টুরেন্টে  যা আমি বাসায়। 

 🔺রিয়াঃ ও যখন এত না করছে । তখন ওকে নেওয়ার কোন দরকার নেই।  এই থেকে বরং আমরা  যাই তো মজা করতে পারব এই  খ্যাত  কে  হয়তো  রেস্টুরেন্ট দেখা পাবো না। 

  আমি ওদের  কথা শুনে একটু  মুচকি হাসি দিলাম ।আর বলতে লাগলাম,,,

আমিঃ  দোস্ত  তোরা  যা আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। 

 এটা বলে আমি ওখান থেকে চলে আসলাম।  আরে সোনালিকা  এবং ওরা গেল রেস্টুরেন্টে। 
 আমিও  খাবার জন্য আমার নিজের রেস্টুরেন্টে গেলাম।  এটা  বর্তমানে শহরের এক নাম্বার আছে।  আমি  ওখানে গিয়ে অবাক হয়ে গেলাম।  কারণ  ওখানে সোনালিকা জামিনুর কেয়া এবং রিয়া ছিল। 

 আমি গিয়ে আড়ালে তাদের যাতে তাদের  কথা এবং তাদেরকে দেখতে পারি।  তখন একজন মেয়েওয়েটার এসে আমাকে বলতে লাগলো। 

🍡ওয়েটারঃ  আসসালামুয়ালিকুম  স্যার।  স্যার কেমন  আছেন??

আমিঃ  তুমি কেমন  আছো?? আর তোমার নাম রুহি,,  তাই  না।

🍡রুহিঃ  হ্যাঁ  স্যার আমি রুহি। 

 আমিঃ  তো  কাজ কেমন চলছে???? বেতন ঠিকমত পাও তো??

🍡রুহিঃ  হ্যাঁ  স্যার।  তো বলুন আপনি কি খাবেন??

 এরপর আমি খাবার অর্ডার দিয়ে দিলাম। ও আমার জন্য খাবার নিয়ে আসলো।

 সোনালিকা বারবার খালি  আমার টেবিলের দিকে তাকাচ্ছে। তখন  কেয়া  বলে উঠলো,,

💔 কেয়াঃ  কিরে  সোনালিকা তুই খাচ্ছিস না কেন আর বারবার  ওই টেবিলটার দিকে  তাকাচ্ছিস কেনো??

🔰সোনালিকাঃ  ওই  ছেলেটার দিকে তাকিয়ে দেখতো ।  ওকে  রায়হানএর মত দেখা যাচ্ছে না??

💔কেয়াঃ  কোন রায়হান  ওই ছেলেটা??

🔰 সোনালিকাঃ হ্যাঁ ঠিক বলেছিস খ্যাত টাই। 

💔কেয়াঃ  ও এখানে  আসতে যাব কেন ওর কি বাপের সাধ্য আছে এই হোটেলে আসার।  কত  দামী একটা হোটেলে দেখেছিস। 

🔰 সোনালিকাঃ  ঠিক  বলেছিস ও তো আসতে যাবে না আমার হয়তো মনের ভুল। 

💔কেয়াঃ  ওই  খ্যাতটার কথা বাদ দিয়ে এখন তুই একটু খাবার খা তো। 

 এরপর সোনালিকা আর বাকি সবাই খাবার খেতে লাগলো।  খাবার শেষ করে  যে যার মতো বাসায় যাবার পালা। কেয়া  রিয়া ও জামিনুরের বাসা একদিকে  তাই তারা একসাথে যাবে বলেও সিদ্ধান্ত নিল।।  আর সোনালিকার বাসা অন্য দিকে তাই সোনালিকা আলাদা যাবে।  

 তারা তিনজন চলে গেল তাদের বাসায়  যেতে লাগলো আর সোনালিকা একা একা যাচ্ছে তাই আমি তার পিছু নিলাম।  কারণ আমার মনে  হচ্ছিল আজ সোনালিকা  আর কোনো বিপদ হবে।

 কিছুদুর যাওয়ার পর কয়েকজন লোক   সোনালিকা  কে ঘিরে ধরল। 

🔰 সোনালিকাঃ  এই  আপনারা কারা ???? আর এভাবে আমাকে ঘিরে ধরেছেন কেন ???

 তখন পাশে  থেকে একটা গাড়ি থেকে একটা লোক বেরিয়ে আসলো।  যাকে  দেখে হয়তো সোনালিকা কিছুটা ভয়  পেয়েছে ,,  ওকে  দেখেই সোনালিকা তোতলাতে তোতলাতে বললো,,,,

🔰সোনালিকাঃ র র র রবিন তু তু তুমি??? 

☢️রবিনঃ হ্যাঁ আমি।  আর আজই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছি৷  

🔰সোনালিকাঃ তত তত তো এ এ এখানে কেনো??

☢️রবিনঃ তোকে এখন ধর্ষন করবো।আর আমার জ্বালা মিটাবো। 

🔰সোনালিকাঃ আমি কিন্তু এখন চিৎকার করবে। 

☢️রবিনঃ কর দেখি কেমন করতে পারিস??

🔰সোনালিকঃ বাঁচাও বাঁচাও।  কেউ আমাকে বাঁচাও।

☢️রবিনঃ ঐ তোরা দিখছিস কি?? ওকে ধর। 

এই বলে লোক গুলো সোনালিকা কে জোর করে গাড়িতে উঠাতে যাবে ঠিক তখন আমি ওখানে গিয়ে বলতে লাগলাম,,,

আমিঃ এই যে ভাইয়ারা কি করছেন কি??

☢️রবিনঃ এই তোর এখনে কোন কাজ নেই তুই এখন থেকে যা। 

আমিঃ কেনো ভাই? আমি এখানে থাকলে সমস্য টা কি??

☢️রবিনঃ ঐ তোরা  ঐ হালারে ধর ও যেনো বাঁচতে না পারে??

এটা শুনে ওরা একেক করে আমাকে মারতে আসলো।আর আমি ও ধুম ধাম করে মারতে থাকলাম। 

প্রায় ১০ মিনিট সবাইকে ধুমছে ধোলাই করছি।  একেক জন রাস্তায় একেক জায়গায় পরে আছে। এরপর রবিন আসলো আমাকে মারার জন্য৷  আমি একটা ছুড়ি নিয়ে রবিনের গলায় দিলাম এক টান।  ও ওখানেই পরে গেলো।  আর ছটপট করতে করতে মারা গেলো। 

এরপর আমি রবিন কে উদ্দেশ্য করে বললাম। 

আমিঃ তুই সোনালিকা কে কি করবি?? ধর্ষন করবি তাই না তুই আমার ভালোবাসার মানুষটিকে ধর্ষন করবি তাই তো।  ওকে দেখ তোর আজ কি হাল করি৷  

এটা বলে সোনালিকাকে চোখ বন্ধ করতে বলে আমি সেই ছুড়িটা নিয়ে বুকে লিখে দিলাম ধর্ষক৷  আর তার যৌনাঙ্গ টা কেটে দিলাম। 

তখন সোনালিকা এসো সোজা আমকে জরিয়ে ধরলো। তখন যে কি ফিংস হচ্ছিলো তা আমি বলে বুজাতে পারবো না।  কিছু ক্ষন পর সোনালিকা আমার বুক থেকে মাথাটা উঠিয়ে বলতে লাগলো??

🔰সোনালিকাঃ কে তুমি?? 

আমিঃ কে আর হবো??  আমি তো রায়হান৷ 

🔰সোনালিকাঃ জানি তুমি রায়হান কিন্তু তোমার আসল পরিচয়টা কি??

আমিঃ এটাই আমার আসল পরিচয়।। 

🔰সোনালিকাঃ তো তুমি কি আমাকে ভালোবাসো??

আমিঃ হুম আর তোমার জন্য এখানে আসা। 

🔰সোনালিকাঃ মানে??

আমিঃ কিছুনা। 

🔰সোনালিকাঃ এতো হেয়ালি নাকরে বলো তো তুমি কে আরনকি তোমার আসল পরিচয়।  

আমিঃ আমি হলাম গিয়ে রায়হান। ছিলাম রাজশাহি আর এখন থাকি ঢাকা। 

🔰সোনালিকাঃ তাহলে তুমি কবে থেকে আমাকে ভালো বাসো??

আমিঃ তমি যখন রাজশাহিতে বেড়াতে গিয়েছিলে একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে। সেই দিন তোমাকে আমি প্রথম দেখাতে ভালোবেসে ফেলি। এর জন্যই আমি ঢাকা আসি। 

🔰 সোনালিকাঃ রাজশাহীতে  তোমার বাবা কি কাজ করে??

আমিঃ  বাবা একজন বিজনেসম্যান।  রায়হান  গ্রুপ অফ কোম্পানির নাম কখনো শুনেছেন আপনি??

চলবে নাকি...........
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post