ওসির_মেয়ে_যখন_বউ পর্বঃ ০৫

 

গল্পঃ#ওসির_মেয়ে_যখন_বউ
  লেখকঃ#Mahbub_Rohman_Shuvo
পর্বঃ ০৫

 সোনালিকাঃ  শুনেছি তো।  এটা  বর্তমানে বাংলাদেশে কেন সারা বিশ্বের মধ্যে হয়তো এক নাম্বারে আছে।। এর সাথে তোমার কী সম্পর্ক??

আমিঃ  এই রায়ান গ্রুপ অফ  কম্পানি হলো আমার বাবার??

🔰 সোনালিকাঃ  কি  তুমি এত বড়লোক??

 আমিঃ  না  আমার বাবা বড়লোক । আমি না??

🔰 সোনালিকাঃ যেটা তোমার বাবার  সেটা  তো তোমারই তাই না??

আমিঃ  না ,, সেগুলো কিছুই আমার না।

🔰 সোনালিকাঃ  কেন ??( অবাক হয়ে)

আমিঃ  পরে  একদিন বলবো নি। আজ শুধু এইটুকু জেনে রাখ আমি বেঁচে থাকতে তোমাকে কোন ক্ষতি করতে পারবেনা।  যে  আসবে তাকে আমি এই রবিনের মত খালাস করে দেবো।  খুব  ভালোবাসি যে তোমায়।

🔰 সোনালিকাঃ  এতো  ভালোবাসো আমায়। 

আমিঃ  হয়তো  নিজের থেকেও বেশি।

🔰সোনালিকাঃ  তাহলে  প্রপোজ করছে না কেন আমাকে??

আমিঃ  কি  সত্যি আমি প্রপোজ করি তুমি আমাকে গ্রহণ করবে??

🔰 সোনালিকাঃ  করব না কেন অবশ্যই  করবো। 

 আমিঃ  কালকে  পুরে ভার্সিটির সামনে আমি তোমাকে প্রপোজ করব।

🔰সোনালিকাঃ  আচ্ছা  দেখা যাবে ??

আমিঃ  হুম । 

 এরপর আমি  সোনালিকা তার  বাসায় দিয়ে আসলাম।

 আজ আমি খুব খুশি কারণ আমার দুইটা মিশন কমপ্লিট হয়েছে।

 এক হল সোনালিকা কে নিজের করে পেয়েছি ।আর দুই নম্বর টা না হয় পরে জানবেন।

 পরদিন সকালে আমি আমার আসল গেটাফে ভার্সিটিতে গেলাম।। মানে কোট   প্যান্ট পরে ।  চুলগুলো ছিলো স্পাইক করা।  দেখতে  পুরো হ্যান্ডসাম।  যে কোন মেয়ে  পছন্দ প্রথম  দেখাতে ক্রাশ খাবে।  নিজের  প্রশংসা আর কত করবো  আর নাই বা করলাম।

 আমি বাইক নিয়ে সোজা ভার্সিটিতে ঢুকে গেলাম আর এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলাম।  সব  মেয়েরা আমার দিকে হা হয়ে তাকিয়ে রয়েছে। 

 আমি তাদের দিকে চোখ না দিয়ে চলে গেলাম সোনালিকা কেয়া ও  রিয়ার এখানে।  ওখানে  গিয়ে  একটা  গাছের নিচে বাইকটা পার্ক করে তাদের সামনে গেলাম। 

 রিয়া কেয়া ও সোনালিকা এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।। মনে হচ্ছে যেন তারা আমাকে গিলে খাবে এখন। 

🔺 রিয়াঃ  কে তুমি।। আগে তো কখনো এই ভার্সিটিতে দেখিনি??

💔  কেয়াঃ  তোমাকে  কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে মনে  হচ্ছে কোথাও যেন দেখেছি তোমাকে??  কিন্তু  কই দেখেছি??

  সোনালিকা বেশ  কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থাকার পর বলল,,,

 🔰সোনালিকাঃ  রায়হান  তুমি???

আমিঃ হুম  আমি। 

🔺 রিয়াঃ এটা খ্যাত রায়হান?? 

আমিঃ হুম রায়হান কিন্তু খ্যাত না??

🔺রিয়াঃ তুমি এতো স্টাইলিশ কি করে হলে?? 

আমিঃ ভালো বাসা সব কিছু করতে পারে।।

🔺রিয়াঃ ওহহ তাই?? তো তুমি কাকে ভালোবাসো। 

আমিঃ আমি ভালোবাসি সোনালিকা কে। 

এরপর আমি হাটু গেড়ে সোনালিকার সামনে  বসে হাত থেকে একটা ডায়মন্ড এর নেকলেস বের করে সোনালিকার সামনে ধরে বললাম,,,,,,

আমিঃ ভালোবাসি তোমায়। আমার জিবনের থেকেও বেশি ভালো বাসি তোমায়। ভালোবাসি না আমি তোমার বাহিরের সুন্দর্যকে।  ভালোবাসি তোমার ঐ চোখ দুটিকে যেটা দেখলে আমার সকল ক্লান্তি দুর হয়ে যায়৷  আমি  তোমার ঐ চোখ দুটিকে দেখে কাটিয়ে দিতে চাই আমার এই জিবন।  ভালো বাসতে চাই আমার হৃদয় গভির থেকে। 
 সোনালিকা তুমি কি দিবে সেই সুযোগ।  আমাই কি ভালো বাসবে???

🔰সোনালিকাঃ হুম খুব খুব ভালো বাসবো তোমায়।  

এটা বলে আমাকে উঠিয়ে আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।  এমন ভাবে ধরলো যেনো তাকে ছেড়ে দিলেই আমি হারিয়ে যাবো।  

প্রায় ১০ মিনিট পর সোনালিকাকে ছেড়ে দিলাম। এর পর আমি তার গোলাপ ময় ঠোঁটের মাঝে আমার ঠোঁটটা ডুবিয়ে দিলাম। এমি সোনালিকার ঠোঁট দুটি সমানে চুসে যাচ্ছি৷  সোনালিকাও আমাকে বাঁধা দিচ্ছে না। আমি তার নেশায় পুরা পাগল হয়ে গেছি।  ঠিক তখনি কেয়া বলে উঠলো,,, 

💔কেয়াঃসোনালিকা এটা কি করছিস তুই?? এটা একটা পাবলিক প্লেস। 

কেয়ার কথা শুনে আমাদের ২ জনেরই হুস ফিরলো৷  আমার একে ওপর কে ছেড়ে দিলাম।  ২ জনই লজ্জায় কিছু বলতে পারলাম না। 

আমি আশে পাশে তাকিয়ে দেখি সব জায়গায় ক্যাম্পাসের সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে।  রিয়া তো হা হয়ে দেখছে। আমি সব লজ্জা শরম দুরে রেখে বললাম। 

আমিঃ রিয়া আপনি মুখটা একটু বন্ধ করেন তা নাহলেমআপনার মুখে মাশা মাছি এমন কি একটা হাতিও অনায়াসে ডুকে যাবে। 

রিয়া তার মুখটা বন্ধ করে।  একবার আমার দিকে একবার সোনালিকার দিকে তাকাচ্ছে৷  এটা দিখে সোনালিকা বলছে,,,

🔰সোনালিকাঃ এটাকি করছিস তুই??

রিয়াঃ কি আর করবো আমি আমার ফ্রেন্ডকে দেখছি।  যে কিনা কোন ছেলেকে সহ্য করতে পারতো না।  আজ সেই একটা ছেলেকে জরিয়ে ধরেছে সাথে লিপ কিছ৷  তাও এই পাবলিক প্লেসে।  কি করে সম্ভব এটা??

🔰 সোনালিকাঃ প্রেমে পরলে সবই সম্ভব। তা আমি আজ হারে হারে টের পেলাম৷  

🔺রিয়াঃ আমি তো দেখতেই পাচ্ছি। 

🔰সোনালিকাঃ হুম 

🔺রিয়াঃ তো এখন ট্রিট দে। 

🔰সোনালিকাঃ ওকে চল তাহলে রেষ্টুরেন্টে।  

🔺রিয়াঃ হুম চল।  কেয়া তুই ও চল। 

💔কেয়াঃ না আমি যাবো না।

🔰 সোনালিকাঃ কেনো??  তোর আবার কি হলো??

💔কেয়াঃ আসলে আজ আমাদের ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ও এখনো আসে নি। 

🔰 সোনালিকাঃ দেখ চলে আসবে।

💔কেয়াঃ আমার মন বলছে তার কিছু একটা হয়েছে।

🔰 সোনালিকাঃ আরে বাহ বাহ কেয়া তো দেখি এক দিনে জামিনুরে প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে।

💔কেয়াঃ আমি তো শুধু হাবুডুবু খাচ্ছি তুই তো মিষ্টি ও খেয়ে নিলি। 

কেয়ার কথা শুনে সোনালিকা কিছুটা লজ্জা পেলো। আর কিছু বললো না।  

কিছু ক্ষন পর একটা গাড়ি আসলো৷  আর গাড়িটা হলো জামিনুরের য

🔰 সোনালিকাঃ ঐ তো তোমার আশিক চলে এসেছে।

💔কেয়াঃ আমার আশিক মানে??

🔺রিয়াঃ তোর আশিক মানে তুই বুজিস না??

💔কেয়াঃ না বুজি না।

🔰 সোনালিকাঃ মানে জামিনুর চলে এসেছে। 

💔কেয়াঃ কই কই। 

🔰 সোনালিকাঃ ঐ তো এইদিকে আসছে। 

 কিছুক্ষণ পর জামিনুর আমাদের কাছে আসলো।  যাকে দেখে  মনে হচ্ছিল সে কোন কারনে খুব ভযে় আছে।  তার  চোখে-মুখে আমি ভয়ের আবাস দেখতে পেলাম। কিন্তু  কী কারণে আমি তো বুঝতে পারলাম না। 

 তাই আমি জামিনুর কে জিজ্ঞেস করলাম। 

আমিঃ  কিরে  কি হয়েছে তোর তোর চোখে মুখে এমন ভয়ের আবাস কেন??

🌷 জামিনুরঃ‌‌ কক কক কক কক কই নাতো??

আমিঃ  না হলে  ভালো।। চল তাহলে??

🌷 জামিনুরঃ  কই যাবি??

 আমিঃ রেস্টুরেন্টে  যাবো আমি । সোনালিকাকে প্রপোজ করেছি তো আর সেও একসেপ্ট করেছে।  সেই খুশিতে  ভাবছিলাম তোদের ট্রিট দেই ।  যদি  তুই ট্রিট গ্রহণ করিস।

🌷জামিনুরঃ ওকে।  চল তাহলে। 

💔কেয়াঃ আমাদের না আজ ঘুড়তে যাওয়ার কথা ছিলো।

🌷জামিনুরঃ ওহহহ কেয়া আমার মনে ছিলো না তো। ( চিন্তিত হয়ে) 

আমার এখন খুব সন্দেহ হলো জামিনুর কে নিয়ে।  সে এমন বিহেব করছে কেনো।  তার তো এই রকম করার কথা না৷  সে তো সব সময় হাসিখুশি  থাকতে তো এখন এমন করতেছ কেন ?  এ  প্রশ্নের উত্তর কেবলমাত্র জামিনুর আমাকে দিতে পারবে । 

আমিঃ  জামিনুর  একটু এদিক আয়তো।

🌷জামিনুরঃ কে কেক  কেক কেন ??

আমিঃ  তুই  আজ এভাবে তুই কথা বলছিস কেন। 

🌷 জামিনুরঃ কই  নাতো। 

আমিঃ  আচ্ছা তুই  একটু সাইডে চলে ।। তোর সাথে কিছু কথা আছে আমার।

 এই বলে আমি জামিনুর কে একরকম জোর করে ভার্সিটির পিছন দিকটা নিয়ে গেলাম ওখানে সচরাচর কোন লোক আসে না তাই।  আমি  একটা জিনিস বারবার খেয়াল করছি জামিনুর প্যান্টের পকেটে হাত আছে।  হাত  সরানোর কোন নাম গন্ধই নেই। 

 আমি জামিনুরকে নিয়ে ভার্সিটির পিছন দিকটা যাওয়ার পর ,,জামিনুরের হাত ধরে দিলাম এক টান ।  টান  দেওয়ার সাথে সাথে  হাতটা পকেট থেকে বের হয়ে  গেল। হাত বের করার পর তার পকেট থেকে  যা বের হলো তা দেখার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।

 কারণ জামিনুর পকেট থেকে একটা হ্যান্ড পিস্তল বের হলো।  আমি তো রীতিমতো অবাক হয়ে গেলাম। 

 আমিঃ  কিরে  জামিনুর  তোর কাছে পিস্তল কেন??

🌷জামিনুরঃ  এ  এ এমনি , এমনি।

আমিঃ   কি হয়েছে তা সত্যি করে আমাকে বল।

 তখন জামিনুর দৌড়ে আমার পায়ে এসে জাপটে ধরল আর বলতে লাগলো,,,,

🌷 জামিনুরঃ  ভাই  আমাকে মাফ করে দে। ভাই আমি এমনটা করতে চাই নি ভাই আমাকে মাফ করে দে প্লিজ ভাই। ( কান্না করতে করতে)
 
 জামিনুর এর কাহিনী গুলো তো আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। জামিনুর এমনটা কেন করছে আমার কিছুই মাথায় আসছে না। প্রথমে তার কাছে বন্দুক ছিল আর এখন সে আমার পা ধরে মাফ চাইছে।। কাহিনী টা কি??

আমিঃ জামিনুর  তুই এমন করছিস কেন??  আমাকে খুলে বল তো । আর তুই আমার পা ধরছে কেন ??

চলবে...........

কেমন লাগলো প্লিজ জানান।।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post