পর্বঃ১২ (শেষ পর্ব)
লেখকঃ শাওন আহমেদ নীল
আমি কোনো কথা না বলেই হাটতে লাগলাম।
রিমি দৌড়ে এসে আমার সামনে দাড়ালো।
রিমিঃ প্লিজ ভুল হয়ে গেছে।
আমি কিছু না বলে পাশ কাটিয়ে বাইক
নিয়ে চলে গেলাম।
সত্যিই আজকে রিমির কথা গুলো তিরের মতো
লেগেছে। এগুলা ভাবছি আর বাইকের স্পিড
বারাচ্ছি।
হঠাত করেই সামনে দেখি একটা কার
এসে পড়েছে। আমি গাড়ি সাইট করতে গিয়ে
রাস্তার লেম্পপোস্টের সাথে বারি খেলাম।
আস্তে আস্তে আমার চোখ জাপসা হয়ে আসছে।
কিছু মানুষ দৌরিয়ে আমার দিকে আসছে।
তারপর আমার আর কিছু মনে নাই যখন আমার
ঙ্গ্যন ফিরলো তখন আমি হাসপাতালে।
আমার সামনে একটা চেয়ারে আম্মু বসে আছে।
মনে হয় গুমিয়ে পড়ছে।
আর রিমি আপু আমার হাতের উপড় মাথা দিয়ে শুয়ে আছে।
আমি আম্মুকে ডাক দিলাম। আম্মু আমার ডাক শুনে তাকালো, আম্মু এসেই আমাকে জরিয়ে দরলো।
আম্মুঃ তর ঙ্গ্যান ফিরেছে বাবা?
আমিঃ হুম।
আম্মুঃ জানিস কতো টেনশনে ছিলাম।
আমিঃ কিছু হয়নি ত আমার।
আম্মুঃ জানিস তুই ৩ দিন অঙ্গান ছিলি।
আমিঃ হুম।
তারপর রিমি আম্মুকে বললো বড় আম্মু তুমি একটু বাহিরে যাও। তারপর আম্মু চলে গেলো। রিমি আপু
আমার মাথার কাছে এসে বসলো। রিমি আপুর
চোখের নিচে কালো দাগ পরে গেছে মনে হয়
ঠিক মতো গুমাই নি।
রিমির আপুর চোখে
রিমিঃ প্লিজ মাফ করে দে?
আমিঃ কে আপনি?
রিমিঃ আর কখনো অবিশ্বাস করবো না।
আমিঃ আম্মু (জুরে চিল্লিয়ে বললাম)
আমার ডাক শুনে আম্মু আসলো।
আমিঃ আব্বু কোথায়।
আম্মুঃ একটু আগে অফিসে গেলো।
আমিঃ এখানে আর কতোদিন থাকতে হবে।
আম্মুঃ ডাক্তারের সাথে তর আব্বু কথা বলছে
আজকেই রিলিজ করে দিবে।
আমিঃ ওহ।
তারপর আমি বাসায় চলে আসলাম পায়ে অনেক ব্যথা পেয়েছি। হাটতে সমস্যা হচ্ছে।
তারপর রিমি আপুকে দরতে আসলো।
আমিঃ প্লিজ এই চরিত্রহিন ছেলেকে টাচ করার
কোনো দরকার নাই।
রিমিঃ ওই কথা নিয়ে এখনো পড়ে আছত।
আমিঃ প্লিজ আপনি যান এখান থেকে।
তারপর রিমি আপু কান্না করতে করতে বাসার
ভিতরে চলে গেলো৷।।
তারপর আম্মু আমাকে দরে রুমে নিয়ে গিয়ে
শুয়িয়ে দিলো
আম্মুঃ দেখ তদের কি হয়েছে আমি জানি না।
বাট মেয়েটা তকে অনেক ভালোবাসে ওরে আর
কষ্ট দিস না।
আমিঃ এসব কথা এখন না বলি।
তারপর আম্মু রুমে চলে গেলো।
এভাবে চলে গেলো পনেরো দিন।
এই কদিনে রিমি আপুকে অনেক ইগনর করেছি
এবং অনেক কষ্ট ও দিয়েছি। কখনো আমার কাছে
আসতে দেয় নি।
এখন আমি অনেকটাই সুস্থ তাই ভাবলাম আজকে
কলেজে যাবো।
তারপর আমি রেডি হয়ে কলেজের জন্য বের হচ্ছি।
তখনি রিমি আপু আসলো।
রিমিঃ কই যাচ্ছিস
আমিঃ কলেজে।
রিমিঃ একটু ওয়েট কর আমিও যাবো।
আমিঃ স্যরি একটু কাজ আছে তারাতারি যেতে হবে।
তারপর আমি কলেজে চলে আসলাম জয় আর
রাজু,, এখন ও আসে নাই।
আমি কলেজে এসে মাঠে বসে ফোট টিপতে
লাগলাম।
তখনি একটা মেয়ে এসে আমার পাশে বসলো।
মেয়েটা হয়তো নতুন আগে কখনো দেখিনী।
মেয়েটাঃ এই যে মি.
আমিঃ আমাকে বলছেন।
মেয়েটাঃ আপনাকে ছারা ত কাউকে দেখি না।
আমিঃ হুম বলেন।
মেয়েটাঃ আপনার নাম?
আমিঃ নীল,,, আপনার?
মেয়েঃ মাহিয়া।
আমিঃ ওহ।
মাহিয়াঃ আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি।
আমিঃ হুম।
মাহিয়াঃ ওকে ফ্রেন্ডস ( এটা বলেই মাহিয়ার হাটতা বারিয়ে দিলো তারপর আমি মাহিয়ার সাথে হ্যন্ড সেক করলাম) তখনি রিমি আপু আসলো
রিমিঃ বাহ্ এটাই তর দরকারি কাজ?
আমিঃ না।
রিমিঃ আমি না হয় একটা ভুল করেই ফেলেছি।
তাই বলে এভাবে কষ্ট দিবি।
আর মেয়েটা কে?
আমিঃ গার্লফ্রেন্ড।
রিমিঃ সত্যি
আমিঃ হুম
তারপর রিমি আপু আর কিছু না বলে চলে গেলো
বুজলাম না এ কথা শুনার পরেও রিমি আপু এভাবে চুপ থাকলো কি করে।
মাহিয়াঃ এটা কে? আর ওনাকে গার্লফ্রেড বললেন কেন?
তারপর মাহিয়াকে সব কথা খুলে বললাম।
সব শুনে মাহিয়া বললো আপুটা আপনাকে অনেক
ভালোবাসে আর কষ্ট দিয়েন না। আর ভালোবাসার
মানুষকে ওই অবস্থায় দেখলে যে কারো মাথা নষ্ট
হয়ে যাবে।
আমিঃ হুম।
তারপর আমি ক্লাসে চলে গেলাম ক্লাসে গিয় দুইটা ক্লাস করে চলে আসলাম কেম্পাসে।
তখন ফোনে একটা কল আসলো দেখি আম্মু ফোন দিয়েছে।
আমিঃ হ্য আম্মু বলো।
আম্মুঃ রিমি সুসাইড করার চেষ্টা করছিলো ও এখন হাসপাতালে।
আমিঃ কি বলছো এসব।
আম্মুঃ হুম।
তারপর আমি আম্মুর কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে
হাসপাতালে চলে আসলাম। হাসপাতালে গিয়ে
দেখি রিমি আপু শুয়ে আছে। রিমি আপুর হাতে ব্যন্ডেজ। রিমি আপুর আব্বু আম্মুও এসেছে।
আমিঃ কেমন আছো বড় আম্মু।
বড় আম্মুঃ এইতো ভালো,, তুই কেমন আছিস।
তারপর আম্মু আব্বু বড় আম্মু আর বড় আব্বু রুমের বাহিরে চলে গেলো।
আমি গিয়ে রিমি আপুর পাশে বসলাম।
আমিঃ এমন করার মানে কি?হাট কাটছো কেন?
রিমিঃ তর জানার কোনো দরকার নাই।
আমিঃ তাই বলে হাত কাটবা যদি তোমার কিছু হতো।
রিমিঃ ওই মেয়েটা কে?
আমিঃ ফ্রেন্ড জাস্ট আজকেই পরিচয়।
রিমিঃ তাহলে ওই সময় বললি কেন গার্লফ্রেন্ড
আমিঃ এমনি।
রিমিঃ এখানে আসছিস কেন যা এখান থেকে তর
সাথে আমার কোনো কথা নায়।
আমিঃ স্যরি ত।
রিমিঃ এতোদিন খোব কষ্ট দিছস।
এখন অনেকখন আদর করবি।
আমিঃ ওকে।
তারপর রিমি আপুকে অনেকখন কিস করলাম।
রিমিঃ যা ত আব্বু আর বড় আব্বু কে ডাক দে।
তারপর সবাই রুমে আসলো।
রিমিঃ আব্বু আমি আজকেই বিয়ে করবো।
বড় আব্বুঃ আগে তুই সুস্থ হ মা।
রিমিঃ না আজকেই এখানেই।
আব্বুঃ ওকে মা তাই হবে।
আমিঃ তাই বলে হাসপাতালে বিয়ে।
রিমিঃ হুম।
তারপর আর কি কাজি ডেকে এনে আমাদের হাসপাতালেই বিয়ে হয়ে গেলো। আমরা বাসায় চলে আসলাম, রাতে রুমে এসে দেখি রিমি বসে আছে।
রিমিঃ এই এতোক্ষন লাগে আসতে?
আমিঃ স্যরি
রিমিঃ স্যরি দিয়ে কিছু হবে না এখন আমার পরিপুর্ণ ভালোবাসা চাই এই বলেই নিধী আমার ঠোঁটে চুমু খেলো
আমিঃ আজকে কিছুই হবে না
রিমিঃ তুই বললেই হলো, এখন আমাদের বিয়ে হয়ছে তর পুরো শরীরে আমার অধিকার আছে
আমার যা ইচ্ছা করব তর সাথে
আমিঃ আরে পাগলি আমি কি না করছি, আজকে ত তোমার শরীর ভালো না।
রিমিঃ তর ছোঁয়া পেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
আর বউয়ের ডাকে ত সারা দিতেই হবে। আমিও জাপিয়ে পড়লাম রিমির উপর, রিমির বোকে থেকে শাড়ির আঁচল টা খুল ফেললাম, দুর পার্সোনাল কথা আপনাদের কেন বলতাছি? ওকে বাই এখন বাসর করব
#সমাপ্ত