বড় আপু পর্ব_৪


 ★★বড় আপু★★★
#লেখক_আসিফ
~~~পর্ব_৪~~~

-- কেন,,যাবে না?(নিধি)

-- তর সাথে গেলে,,,সবাই আমাকে রাগাবে,,,বলবে আপুর সাথে কোথায় যাচ্ছি?

-- সেটা আমি দেখে নিব চলো,,,(নিধি আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো)

কেনাকাটা শেষ করে বাসায় চলে আসলাম,,,,

এবার খুব ভালোকরে লেখা পড়া করতে থাকি,,,। নিধি আমাকে সব কিছুতে হেল্প করে যাচ্ছে।আমার পরিবর্তন দেখে সবাই খুশি।।এদিক দিয়ে ক্রিকেট খেলাটা দিন দিন কমে যাচ্ছে।।আমার একার না সবার খুশির জন্য লেখা পড়া করছি।

পরিক্ষা দিয়ে যে সময়টা ফ্রি পেয়েছি,,।আবার স্পোর্টিং ক্লাবে প্রেক্টিস শুরু করে দিছি।বলতে পারেন ক্রিকেট খেলাই আমার লাইফ।।।এখন আর কেউ বাধা দিচ্ছে না।।পড়ার সময় পড়া খেলার সময় খেলা।।

নিধিও এইস এস সি পরিক্ষা শেষ করে ফেলছে।।

আজ আমার রেজাল্ট দিবে,,,,কিছুটা ভয়ে আছি,,এবার ফেল করলে চারবার আর মুখ দেখানো যাবে না।।অন্যবারের মতো বাসা থেকে বের হয়নি আজ।ঘুমিয়ে আছি,,,,নিধি এসে,,

-- আসিফ,,,ভাই তুমি জিপিএ ৫ পাইছো?(নিধি আমাকে জড়িয়ে ধরে)

-- এই ছাড় ছাড় কি করছিস? কি হইছে চিল্লাস কেন?(নিধিকে সরিয়ে দিয়ে ভেবাচেকা হয়ে বসে পরলাম)

-- ভাইয়া তুমি,,পাশ করছো তাও খুব ভালো করে,,,(নিধি খুশিতে আত্মহারা)

-- চার বার পরিক্ষা দিয়ে পাশ করছি অকে,,,বাচ্চা পুলাপাইন ও চারবার পরিক্ষা দেওয়া লাগে না।।(আসলে এতবার পরিক্ষা দিয়ে পাস করছি তাই মনে তেমন আনন্দ খুজে পাচ্ছি না।তবে একটু অন্য রকম লাগছে। আমি কলেজে উঠতে পারছি অবশেষে)

-- বড় আব্বু কিন্তু বেশ খুশি আজ,,.

-- হুম ভালো,,তুই কেমন খুশি।।(নিধিকে বললাম)

-- আমি ত সবচেয়ে বেশি খুশি।(নিধি)

-- খুশি হলে কি দিবি দিয়ে যা.?

নিধি হঠাৎ ই আমার মুখের কাছে নিধির মুখ নিয়ে এসেছে,,,,

-- কি করছিস নিধি,,,(ভয়ে আত্নংকে)

-- তোমার উপহার দিচ্ছি,,,(আমার গালে ছোট এক্টা কিস করে পালাই গেছে।)
এটা কি হলো,,,নিধির এমন ব্যাহার অবাক করে দিলো।।

আব্বু আমাকে শহরে পাঠিয়ে দিবে ঠিক করছে,,,।শহরে মামার অইখানে থাকবো,,,শহরে একটা কলেজে ভর্তি হলাম,,,যেটা মামার বাসা থেকে যেতে মাত্র পাচ মিনিট লাগে,,,?

ব্যাগপত্র গুছিয়ে নিয়েছি,,,,শহরে চলে যাবো সুনে নিধির মুখটা কালো করে আছে,,,মন ভালো নেই হয়তো।। আমাকে দেখলে জোর করে হাসে ঠিক ই কিন্তু মনে যে কষ্ট সেটা ভালো করেই বুঝতে পারছি।।

আমারও খুব খারাপ লাগছে নিধির জন্য।কিন্তু এলাকাতে থাকা সম্ভব না,,,,।চারবারে পাশ এলাকার সবাই জানে।।তাই আমার ইচ্ছে ছিল শহরে যাওয়াতে।।

এখনি রওনা দিবো ঢাকার উদ্দেশ্যে।। নিধিকে খুজে পাচ্ছিলাম না।। খুজতে ছাদে গেলাম,,,নিধি ছাদের এক কোনে আনমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।।। বার বার চোখ মুছছে।তাহলে কি নিধি কান্না করছে।

-- নিধি,,,?(পিছন থেকে ডাক দিলাম)

-- হুম ভাইয়া বলো,,,(চোখের পানি লোকানোর চেস্টা)

-- কাদছিস কেন পাগলি?

-- শহরে গিয়ে আমাকে ভুলে যাবে নাতো?(নিধি কান্না সুরে বললো)

-- নারে পাগলি,,,তকে কখনো ভুলা যাবে? তুই ত আমারর রক্তের সাথে মিশে গেছিস!(আমার চোখ ভিজে গেছে প্রায়)

-- তুই আমাকে ফোন দিবা,,,মেসেজ করবা,,,(আমাকে জড়িয়ে ধরে)

-- হুম দিবো,,,তোর রেজাল্ট কেমন হইছে জানাস কিন্তু?(নিধিকে ছেড়ে নিচে চলে আসছি নিধিও আসছে)

-- নিজের খেয়াল রেখো?

-- তুই ও রাখিস।।

আম্মু,,আব্বুকে সালাম করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।।।

বাসে বসে আছি,,,পাশের সীটটা খালি পড়ে আছে।।আনমনে বিধিকে ভাবছি,,বিধির ভালোবাসা খুব মনে পরছে।।।

হঠাৎ করে কোথায় থেকে যেন তিন চারজন মেয়ে বাসে এসে পড়লো।।।বাসে তিন টা সীট ফাকা ছিল,,,আমার পাশেরটা আর পেছনে দুটা ।। পেছনে দুজন আমার পাশে একজন বসে পরছে।মেয়েগুলার মধ্যে যে সবচেয়ে সুন্দরি মেয়েটা সেই মেয়েটাই পাশে বসেছিল।।দেখেই বুঝা যাচ্ছে খুব স্মার্ট।।

তাদের বকবকানি চলছে গাড়ি যত এগুচ্ছে ঢাকার দিকে তাদের বকবকানির পরিমান ও বেড়ে চলছে।।
আমি নিথর হয়ে কানে হেডফোন লাগিয়ে চোখ বন্ধ করে গান সুনছি,,,

হঠাৎ,,, হেডফোন টা কে যেন খুলে ফেলছে। এত পাশের স্মার্ট মেয়েটা।,,,।

--কি ব্যপার তোমাকে কখন থেকে ডাকছি তুমি সুনছো না কেন?(স্মার্ট মেয়ে)

--(আমি কিছু না বলে আবার কানে হেডফোন গুজিয়ে দিলাম)

এবার দেখি রেগে মেগে হেডফোনটা আবার খুলে ফেলছে।।
আমি দেখতে পুরো কিঊটের ডিব্বা,,শুধু লেখাপড়ার জন্য পিছিয়ে।এলাকায় যতটা প্রেম করছি,,,পরে দেখা গেছে প্রেমিকা আমার সিনিয়র)

-- ভাব দেখাচ্ছো খুব??<(মেয়েটা)

-- ভাব দেখাবো কেন? আর আপনি আমাকে তুমি তুমি করছেন কেন? অপরিচিত লোকদের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় জানেন না?(কথা গুলো বিরক্তি নিয়ে বললাম)

চলবে,,,
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post