গল্প : রিকশা চালক ছেলেটি যখন কোটি পতির ছেলে পর্ব : ৯

 

গল্প : রিকশা চালক ছেলেটি যখন কোটি পতির ছেলে 
পর্ব : ৯
লেখক : নিরব আহমেদ কাওছার 
..
.

> আচ্ছা আপনার আব্বু আম্মু আছে ( মেয়েটি বললো)  

> হুম আছে কেন কি হয়েছে ( আমি মিথ্যা কথা বললাম)  

> আসলে আপনার চেহারা আর আমার আব্বুর চেহারা প্রায় একি দেখতে ( মেয়েটি বললো)  

> চেহারা  মিলহতেই পারে  আমি তো আর আপনার পরিবারের কেউ না এটা নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই এখন উঠেন আমি আপনাকে নামিয়ে দিয়ে আসি  আপনি টাকা দিলে আমার লাভ হবে  ( আমি বললাম)  

> আচ্ছা ঠিক আছে চলেন ভাইয়া ( মেয়েটি বললো)  

তারপর মেয়েটি আর কোনো কথা  বললো না   রিকশায় উঠে বসলো । 
 মেয়েটির বয়স আমার চেয়ে অনেক কম তাই হয়তো ভাইয়া বলে ডেকেছে আমায়  সবাই তো আর এক রকম নাহ তারপর  আমি রিকশা চালিয়ে যেতে লাগলাম কিছুটা পথ যাওয়ার পর মেয়েটি বললো। 

> আচ্ছা ভাইয়া আপনার নাম কি কোথায় থাকেন ( মেয়েটি বললো)  

> আমার নাম নিরব আহমেদ আমি সামনের ওই বস্তিতে থাকি  ( আমি বললাম)  

> হুম চিনতে পারছি  আচ্ছা আপনি কি লেখা পড়া করেন ( মেয়েটি বললো)  

> হুম ইন্টারে পড়ি আজ ভর্তি হয়ে আসলাম ( আমি বললাম)  

> আপনার আব্বু কি করে ( মেয়েটি বললো)  

> এখন কি বলবো । আমি তো যানি না আমার আব্বু আম্মু কে সত্যিটাই বলে দেই ( আমি মনে মনে বললাম )  

আমার চুপ করে আছি  দেখে মেয়েটি আবার বললো । 

> কি হলো ভাইয়া বলেন ( মেয়েটি বললো)  

> আম্মু কে গিয়ে আজ বলবো আব্বু মতো দেখতে একটা ভাইয়াকে দেখেছি ( মেয়েটি আসতে আসতে বললো)  

তখন আমি বলতে যাবো ঠিক  তখনি রিকশার পিছনে একটা গাড়ি এসে জোরে ধাক্কা মারলো রিকশায় বসে থাকা  মেয়েটা মাটিতে পড়ে গেলো আমি সাথে সাথে নেমে মেয়েটি কে উঠাইলাম তখন মেয়েটি নিজেকে সামলে নিলো মেয়েটার হাত একটু কেটে গেছে আমি তখন  না দেখে গাড়িটা কে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলাম।। 

> কোন শালারে দিনে দুপুরে নেশা করে গাড়ি চালায় দেখা চালাতে পারিস না  ( আমি রাগী গলায় বললাম)  

তারপর গিয়ে দেখলাম  অনেক দামি গাড়ি BMW আর সামনে তাকিয়ে দেখি ড্রাইভার এর যায়গায় নিলা বসে আছে আর হাসছে এটা দেখে প্রচন্ড রাগ হতে লাগলে তখন নিলা বের হয়ে আসলো হাসতে হাসতে আর বললো। 

> কি কেমন দিলাম ধাক্কা তর রিকশায় ( নিলা হাসতে হাসতে বললো)  

 আমি রাগি গলায় বললাম।। 

> দেখে গাড়ি চালাতে পারেন না আরেকটু হলে তো অনেক বড় দুর্ঘটনা হয়ে যেতো ( আমি বললাম) 

তখন নিলা হেসে বললো। 

> হলে হতো তা আমার কি তুই মরতি আমি তো চেয়েছিলাম তকে আজ আমার গাড়ি দিয়ে তকে রাস্তার সাথে মিশিয়ে দিতে কিন্তু তারপর আবার ভাবলাম আর একটু কষ্ট দিয়ে মারি   ( নিলা বললো) 

> আপনি মেয়ে না হলে এতখনে আপনার বারোটা বাজিয়ে দিতাম একেতো আমার রিকশার ক্ষতি করছেন তারউপর আবার ওই মেয়েটার ও । 
 আপনার জন্য রিকশা থেকে পড়ে গেছে মেয়েটা হাত কেটে গেছে   ( আমি বললাম)  

তখন নিলা ঠাসস করে আমায় দুটি চর দিয়ে বললো। 

> ছোটলোকের  বাচ্চা তর সাহস কত তুই আমায় ঠেড দিচ্ছিস তকে আজ মেরেই ফেলবো ( নিলা বললো)  

নিলা এই বলে আরো কয়েকটি চর দিলো লাথি দিতে যাবে  তখন রাস্তায় থাকা মানুষ গুলো নিলাকে নিয়ে একটু দূরে চলে গেলো আমি মন খারাপ করে চলে আসলাম দোষ না করেও মার খেতে হলো । 
 মেয়েটির কাছে এসে দেখি তার হাত দিয়ে রক্ত পড়ছে তখন আমি বললাম ।। 

> একি আপনার হাত দিয়ে তো অনেক রক্ত পড়ছে যলদি চলেন ডাক্তার এর কাছে ( আমি বললাম)  

 > ভাইয়া সমস্যা নেই একটু কেটে গেছে  কিছু হবে না  ( মেয়েটি বললো)  

> ভাইয়া যেহেতু বলছো তাহলে ভাই হিসেবে কথাটা শুনো এখন চলো ( আমি বললাম)  

আর কিছু বললো না মেয়েটি পাশেই একটা ঔষধ এর ফার্মেসি দেখলাম সেখানে নিয়ে গেলাম যাওয়ার পর  ব্যান্ডেজ  করে দিলো আর কিছু ঔষধ দিলো তারপর তাকে নিয়ে  রিকশায় করে তার ঠিকানা অনুযায়ী নামিয়ে দিয়ে আসলাম আজ আর রিকশা চালাতে পারবো না রিকশা গ্যারাজে নিতে হবে ধাক্কা দেওয়ার কারনে রিকশার পিছনে সব বাঁকা হয়ে গেছে তারপর রিকশা  গ্যারাজে দিয়ে চলে আসলাম বোনটার জন্য চকলেট নিয়ে বাসার আসার পর বোনটা আমায় দেখে দৌড়ে আসলো আর জরিয়ে দরে বললো।। 

।।

> আমার ভাইয়া এসে গেছো আমার লক্ষি ভাইয়া  ( লিমা বললো)  

> তাই নাকি আমি তর লক্ষি ভাইয়া ( আমি বললাম)  

> হুম  লক্ষি ভাইয়া এখন আমার চকলেট দাও আমি বসে খাই ( লিমা বললো)  

> হুম আমার চকলেট পাগলি বোন ( আমি বললাম) 

> হুম যলদি দাও এখন চকলেট ( লিমা বললো)  

তারপর চকলেট গুলো বোনটার হাতে দিলাম চকলেট গুলো পেয়ে   খুশিতে লাফাতে লাফাতে  চলে গলো ।। 

।।

এইবাবে কেটে গেলো তিনটি দিন আজ কলেজে যাচ্ছি  সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হলাম সাথে বোনটাকে নিয়ে।  বোনটা  আজ  বললো ইস্কুলে যাবে তাই সাথে নিয়ে যাচ্ছি বোনটাকে ইস্কুলে দিয়ে তারপর আমি কলেজে যাবো তারপর  বোনটিকে ইস্কুলে দিয়ে আমি কলেজে চলে আসলাম। ভিতরে যাওয়ার পর নিলা সামনে আসলো এসে বললো। 

> সরি নিরব তোমার সাথে আমার খারাপ ব্যাবহার করা ঠিক হয়নি আমার দোষ ছিলো আমি দুঃখিত ( নিলা বললো) 

আমি নিলার কথা শুনে সত্যি অবাক হয়ে গেছি যে মেয়ে আমার সয্য করতে পারে না সে মেয়ে এসে আমায় সরি বলছে এটা কি সত্যি নাকি মিথ্যা অভিনয় আমার বিস্যাস হচ্ছে নাহ । তখন নিলা আবার বললো। 

>  আমি যানি তুমি বিস্যাস করবে না আমার সাথে কলেজ এর পিছনে নদীর ধারে  চলো তোমার সাথে  কিছু কথা আছে প্লিজ  ( নিলা করুন কন্ঠে বললো) 

> আচ্ছা ঠিক আছে চলেন  ( আমি বললাম)  

তারপর নিলার সাথে চলে গেলাম কলেজ এর পিছনে যাওয়ার পর  তখন নিলা বললো । 

> আমায় ক্ষমা করে দাও অনেক অত্যাচার করেছি তোমার উপর প্লিজ ( নিলা করুন গলায় বললো)  

> হুম ক্ষমা করে দিয়েছি আপনি যেহেতু আপনার ভুল বুঝতে পারছেন তাই ক্ষমা করে দিলাম ( আমি বললাম)  

> সত্যি বলছো তুমি ( নিলা বললো)  

> হুম সত্যি ( আমি বললাম)  

> আচ্ছা একটু চোখ বন্ধ করো তোমায় সারপ্রাইজ দিবো প্লিজ ( নিলা বললো)  

।।

 আমি আর কিছু না ভেবে চোখ বন্ধ করলাম ।। 

।।

কিছুখন পর  কেউ আমার চোখে বেধে ফেললো সাথে মুখ বেধে ফেললো  আর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর  সাথে সাথে লাঠি দিয়ে মারতে লাগলো অনেক খন মেরে থামলো আমার হাত পা  কেটে গেছে মনে হচ্ছে ঝালাপোড়া করছে অনেক।  হাত  ভেঙে  গেছে মানে হয় হাত আমি নড়তে পারছি না কথা বলার শক্তি ও নেই আমার ।। 
তখন আমার চোখ থেকে কাপড় সরিয়ে দিলো একটু তাকিয়ে দেখি পাঁচ জন ছেলে হাতে হকিস্টিক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তারমানে আমায় এতখন হকিস্টিক দিয়ে মেরেছে সাথে নিলা দাঁড়িয়ে আছে আর হাসছে তখন নিলা বললো। 

> তুই কি মনে করেছিস আমি তর কাছে সত্যি ক্ষমা চেয়েছি আরে তর  মতো ছোটলোকের কাছে ক্ষমা চাইতে যাবো কেন সেদিন এর প্রতিশোধ নিলাম তর জন্য মায়া আমায় চর দিয়েছে ( নিলা বললো)  

>.........

বানান গুলো ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। 

কমেন্টে কিছু কথা বললাম প্লিজ সবাই এটা শুনবেন 

অপেক্ষায় থাকুন তার পরের পর্ব জন্য খুব তারাতাড়ি পরের পর্ব আপলোড করবো।।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post