গল্পঃ সিনিয়র বিধবা মেয়ে পার্টঃ ৯

গল্পঃ সিনিয়র বিধবা মেয়ে

নামঃ_সিনিয়র_বিধবা_মেয়ে

পার্টঃ ৯

লেখকঃ_Osman

সাফাঃ আমি বুঝিনা।তর ২৪ বছর বোধহয় তুই কি করে এখনো সিংগেল আছত। এই পর্যন্ত কোনো মেয়ের শরীরে স্পর্শ করছত। ২৪ বছরে কোনো মেয়ের শরীরে স্পর্শ করচ নাই তুইতো ছেলে হওয়ার যোগ্যতা রাখছ না। তর মতো ছেলেদের দেখ ৫-১০ টা গার্লফ্রেন্ড। প্রতিদিন এক জনের সাথে রাত কাটায়।
আর তুই। হা হা।তুইতো ছেলে হিসেবে কলংক। দেখ তর সামনে কে দাঁড়িয়ে আছে।  আমি সাফা তকে আর কষ্ট করতে হবে না।  আমি এসে গেছি। তর আর সিংগল থাকতে হবে।

(এই বলে সাফা এগুতে থাকে।) 

(আমি জানি সাফা আমাকে এসব কথা বলে। আমাকে উত্তেজিতো করতে চাচ্ছে। কিন্তু আমি না আমি তার ফাঁদে পা দিবো না।না! না! কোনোভাবেই না।আমি নিচে তাকিয়ে আছি।না না।এসব কি হচ্ছে আমার সাথে। না!না!। সাফা আমার শরীরে হাত দিছে। আল্লাহ তুমি আমাকে সেই শক্তি দেও। আমি যাতে শয়তানকে প্রতিহত করতে পারি। সাফা আমার শরীরে হাত দিয়ে আমার গাড় টিপতে থাকে।প্রথম টিপ দেয়াতে আমি তার হাত ধরে ফেলি। ধরে দাড় করিয়ে কসিয়ে একটা চড় দেই। দিয়ে গাড়ে ধরে আমার রুম থেকে বের করে বললাম। 

আমিঃ তুইতো একটা বেশ্যা মাগী। তুই আমাকে কি সুখ দিবি। আর তর থেকে ভালো মেয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। তুই তার কাছে আশার যোগ্যতাই রাখিস না। আমি একটু আগে সত্যিকারের শয়তানকে দেখতে পাইছি তর মাঝে। কিন্তু সে আল্লাহ আমাকে রক্ষা করছে।শুন আরেকবার যদি আমাকে ডিস্টার্ব করস।তাহলে আমি দারোয়ানকে ডাক দিয়ে। গাড় ধাক্কা দিয়ে বৃষ্টির ভিতর বাসা থেকে বের করে দিবো। তাই চুপচাপ বামের পাশের ঘরে গিয়ে ঘুমা।

(সাফা চুপচাপ পাশের রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়। আমি আমার রুমের দরজা লাগিয়ে দেই। বিছানায় শুয়ে আল্লাহকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। এখন যদি আমার সাথে সাফা যা করার করে ফেলতো।আর কোনো ভাবে যদি এটা লোক জানাজানি হতো।তাহলে আমাকে এই বেশ্যার সাথে বাকি জীবন কাটাতে হতো। না পেতাম সুমাইয়াকে না পেতাম জীবনে কোনো শান্তি। সুমাইয়া বলেছিলো যেকোনো বিপদে আল্লাহকে শরণ করতে।আজ বিপদের সময় আল্লাহকে শরণ করছি।
থ্যান্ক গড। আমি সুমাইয়ার কথা চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে গেলাম।) 

( সুমাইয়া আনাসের সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে সব সময় মন ভালো থাকে। রাতের বেলা ভালো ঘুম হয়। সকাল বেলা ওঠে আনাসের সাথে প্রথম কথা বলে। সুমাইয়া আনাসকে বিধবা হওয়ার কথা বলতে চাই। কিন্তু সেরকম কোনো সুযোগই পাচ্ছে না। বিয়ের কথা বললে আনাস বলে। বিয়েতো তোমাকে আমি অবশ্যই করবো কিন্তু আর কিছুদিন পর। সুমাইয়া জিজ্ঞেস করে কেনো? তখন আনাস বলে কারণ বিয়ে করলে ডেট করার মজা চলে যাবে।বিয়ের আগে ইচ্ছে মতো ডেট করে নিই আনাসের এরকম পাগল মার্কা কথা শুনে সুমাইয়া মনে মনে হাসে। এই এক সপ্তাহ সুমাইয়া ভিতর থেকে বুঝতে পারে সুমাইয়া আনাসকে মন থেকে ভালোবাসে। আনাসকে ছাড়া সুমাইয়া বাঁচতে পারবে না। প্রতিদিন রাতে সুমাইয়া আনাসের সাথে কথা বলে। কথা বলার পর প্রতিদিন বলে "আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি আনাস। অনেক অনেক।আমি তোমাকে ছাড়া বাচবো না।"  আর কোল বালিসকে আনাস ভেবে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে যায়।
একদিন রাত্রে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। আর আনাসের সাথা কথা বলে। কথা বলা শেষ হলে ঠিক করে সকালে আনাসের এখানে গিয়ে তার বিধবা কথাটা শুনাবে। যেই ভাবা সেই কাজ। পরদিন সকালে সুমাইয়া আনাসের এখানে যায়। দিনটা ছিলো শুক্রবার। তাই অফিসের কোনো টেনশন নাই। আনাসের বাসার দরজার সামনে গিয়ে কলিং বেল টিপ দিলো। একজন মেয়ে এসে দরজা খুলল। সুমাইয়া চোখে বিশ্বাস করতে পারছে না। আনাসের রুমে মেয়ে আসবে কোথা থেকে। আর কাউকেতো দেখছি না। শুধু একজন মেয়ে)
 
সুমাইয়াঃ কে আপনি? আর এখানে কি?
আপনাকেতো চিনা মনে হচ্ছে না। 

সাফাঃ আমাকে চিনেন না। আমি আনাসের ভালোবাসা। 

সুমাইয়াঃ মানে।

সাফাঃ আনাসের EX আমি । 

সুমাইয়াঃ আপনি আনাসের বয়ফ্রেন্ড ইমপসিবল।

সাফাঃ পসিবল। আর কাল রাতে আমরা খুব এনজয় করি। একজন আরেকজনের সাথে।

সুমাইয়াঃ কিসের এনজয়?

সাফা ভিতরের ভিজা কাপড় গুলো দেখিয়ে বলল।

সাফাঃ এইবার বুঝতে পারছেন।

সুমাইয়াঃ তাহলে এতদিন আনাস আমাকে ধোকা দিলো।

সাফাঃ আপনি কে?

সুমাইয়াঃ আমি তার কেউ না।

সাফাঃ ও বুঝতে পারছি। আপনিও আনাসের প্রতারকের শিকার। আর কতজনকে জানি এরকম ভোগ করছে।
অবশেষে আমার সাথে। আমি তাকে মন থেকে ভালোবাসতাম আপু। মন থেকে।

সুমাইয়াঃ সে আপনার সতিত্ব লোট করছে।

সাফাঃ হুম আপু। আপনি তার ফাঁদে পা দিয়েন না।

সুমাইয়াঃ কোথায় সে?

সাফাঃ রুমে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। 

সুমাইয়াঃ আপনার গালে কিসের দাগ?

সাফাঃ গতকাল সে আমার গালে এমন কিস করছে।একেবারে দাগ বানিয়ে ফেলছে।

সুমাইয়া এসব কথা কানে বিশ্বাস করতে পারছে না। 

(সুমাইয়া কাঁদতে কাঁদতে সেখান থেকে চলে আসে। নিজের বাসায় এসে দরজা বন্ধ করে। জুড়ে জুড়ে কাঁদতে থাকে।আর বলতে থাকে।আমি এটা কি শুনলাম। আনাস এতো নিচো মনের মানুষ। সে একটা প্রতারক। সে কিভাবে আমার সাথে এরকম করতে পারলো। তার বাসায় একজন মেয়ে এটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। সে কেনো মেয়ে আনবে?। সে যে সময় আমার সাথে কথা বলে তখনতো মনে হয় মন থেকে কথা বলে। তার মানে আনাস একটা প্রতারক আমি কাকে এতদিন ভালোবেসে ছিলাম। আজ থেকে তার সাথে কোনো যোগাযোগ নাই। সিম ব্লক লিস্টে ফালায়ছে আনাসের নাম্বার। ফেলে কাঁদতে লাগলো। দুপুর বেলা সুমাইয়া নানা বাড়ি চলে যায়। ঢাকার বাইরে।) 

(আমি ঘুম থেকে ওঠে দেখি সাফা নাই। সাফার কাপড় গুলো নাই। তারমানে সে চলে গেছে। ভালোই হইছে।আরেকটা জিনিস আমি অবাক হলাম।প্রতিদিন সুমাইয়া আমাকে ফোন দেয় আজকে ফোন দেলো না।আমিই ফোন দেই। ফোন দিয়ে দেখি বেস্ত । ভাবলাম মনে হয় ঘুমাচ্ছে মোবাইল বেস্ত  আছে। দুপুর গড়িয়ে আসছে। এখনো ফোন দিলো না। ব্যাপার কি আমি ফোন দেই বেস্ত। বিকাল হয়ে গেলো ফোন দেওয়ার কোনো খুজ খবর নাই। আমি রেডি হয়ে গেলাম তাদের বাড়ির দিকে। দেখি বেলকনিতে আসে কিনা। না তাদের  বাড়িতেতো কাউকে দেখা যাচ্ছে না। তাদের বাসায় যাবো। না আগামীকাল পর্যন্ত দেখা যাক। রাত হয়ে গেলো এখনো সুমাইয়ার কোনো খুঁজ নাই।আমি পুরো টেনশনে পড়ে গেলাম। কোথায় হাওয়া হয়ে গেলো।  ফোনের নাই কোনো খুঁজে। আমি পরদিন অফিস করে গেলাম সুমাইয়ার বাড়ির এখানে। এবার সোজা তার বাসায় এসে নক করলাম।দরজা খুলল একজন মহিলা সেটা সুমাইয়ার মা।)

আমিঃ আন্টি আসসালামু আলাইকুম। 

মাঃ আলাইকুম আসসালাম।

আমিঃ আন্টি কেমন আছেন? 

মাঃ ভালো বাবা তুমি কেমন আছো? 

আমিঃ ভালো আন্টি সুমাইয়া আছে।

মাঃ তোমাকে চেনা মনে হচ্ছে। 

আমিঃ আমি আপনাদের বাসা দেখতে আসছিলাম। পরে আর আসা হয় নাই।

মাঃ ও মনে পড়ছে। তুমি আনাস।

আমিঃ হুম। 

মাঃ কিন্তু সুমাইয়াতো নাই।

আমিঃ নাই মানে কোথায়? 

মাঃ তার নানীর বাসায়।

আমিঃ কখন গেছে। 

মাঃ গতকাল সকালে কোথা থেকে জানি এসে রেডি হয়ে চলে যায় নানির বাসায়।

আমিঃ আচ্ছা তার নানীর বাসার ঠিকানা দেয়া যাবে। 

মাঃ না বাবা সে যাওয়ার আগে বলে গেছে অপরিচিত কাউকে ঠিকানা না দিতে।

আমিঃ আমি সুমাইয়াকে ভালো করে চিনি আর সেও আমাকে ভালো করে চিনি। 

মাঃ তার অনুমতি ছাড়া ঠিকানা দিতে পারবো না। 

আমিঃ আচ্ছা সে কোন অফিসে চাকরি করে সেটা বলা যাবে। 

মাঃ না। 

আমিঃ দেখেন আন্টি আপনি আমার মায়ের মতো। আমারতো মা নাই। প্লিজ আমাকে একটু ঠিকানাটা দিয়ে হেল্প করেন। 

মাঃ সরি বাবা আমি পারবো না।

আমিঃ ওকে তাহলে যাই।দোয়া করবেন আসসালামু আলাইকুম। 

(এই বলে চলে আসলাম।  আমার সামনে সব অন্ধকার লাগছে। আমি কোনো চিন্তা না করেই। সিগেরেট খাওয়া শুরু করলাম। আমি বাসায় আসলাম।  এসে বিছানায় শুয়ে ভাবতে লাগলাম সুমাইয়া কি আমাকে ধোকা দিলো। না না সে এরকম করতে পারে না। আমার কিছু ভালো লাগছে না। আচ্ছা সুমাইয়া কি তাহলে গতকাল সকালে আমার এখানে আসছিলো আর সাফাকে দেখে চলে যায়। কিছু বুঝে আসছেনা। সে মনে হয় আমার নাম্বার ব্লক লিস্ট ফালায়ছে।
অন্য কারো মোবাইল দিয়ে ফোন দেয়া যেতে পারে।তার আগে আমি ফোন দিয়ে নেই। ফোন দিলাম একই কথা বেস্ত আছে। আমি পাশের ফ্ল্যাটের একজনের কাছ থেকে মোবাইল নেই।নিয়ে নাম্বার টাইপ করে ফোন দিলাম। ফোন ঢুকলো।
দুতিন বার দেওয়ার পর রিসিভ হলো।)

সুমাইয়াঃ আসসালামু আলাইকুম হ্যালো কে?

(আমি কোনো কথা বলছি না। সুমাইয়ার কন্ঠ শুনে আমার কিজে ভালো লাগছে।)

সুমাইয়াঃ হ্যালো কে?

আমিঃ সুমাইয়া আমি আনাস।

সুমাইয়াঃ তুই কেনো ফোন দিছত?
ফোন কেটে দিলো। আমি আবার ডায়াল করলাম। 

আমিঃ প্লিজ প্লিজ সুমাইয়া ফোনটা কেটো না প্লিজ আমার কথা শুনো।প্লিজ 

সুমাইয়াঃ তর কি কথা শুনবো। তুইতো একটা প্রতারক একটা ধোকা বাজ।শেষ মেশ আমার মতো একজনকে তুই ধোকা দিলি।আল্লাহ তর উপর গজন ফেলবে
বলে দিলাম। 

আমিঃ তুমি এসব কি বলছো। আমি কিছু বুঝতাছি না। হ্যালো সুমাইয়া। সুমাইয়া হ্যালো হ্যালো প্লিজ ফোনটা কাটিস না।

(আবার ফোন কেটে দিলো।) 

চলবে......

ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন। 
আর প্লিজ হ্যাপি রেটিং দিবেন। ❤❤
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post