পার্টঃ ১০
লেখকঃ_Osman
আমিঃ তুমি এসব কি বলছো। আমি কিছু বুঝতাছি না। হ্যালো সুমাইয়া। সুমাইয়া হ্যালো হ্যালো প্লিজ ফোনটা কাটিস না।
(আবার ফোন কেটে দিলো।)
(আমি আবার ডায়াল করলাম।বেস্ত আছে। আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। আমি মোবাইলটা দিয়ে দেই। বাসায় এসে ভাবতে লাগলাম। সুমাইয়ার হঠাৎ করে কি হয়ে গেলো। আমি বলে প্রতারক আমি তাকে ধোঁকা দিছি।কী ধোকা দিছি সুমাইয়া তোমারে আমি?। আমি চিন্তা করতে লাগলাম কখন থেকে সুমাইয়া এরকম হয়ে গেলো। সুমাইয়ার মা বলল সকাল বেলা কোথা থেকে জানি এসে নানির বাড়ি চলে যাই। তারমানে সকালে কিছু হইছে। কি হইছে সকালে।তাহলে কি সকালে সুমাইয়া আমার এখানে আসলো।আসলেতো সাফার সাথে দেখা। সাফা কিছু বলছে যার কারণে সুমাইয়া এরকম করছে। সাফায় বোধহয় কিছু বলছে যার কারণে সুমাইয়া এরকম করছে। আমি তাড়াতাড়ি বাসা থেকে বের হলাম। রেস্টুরেন্টে গেলাম। রেস্টুরেন্টে পেয়ে গেলাম। দেখি কয়েকটা ছেলের সাথে আড্ডা দিচ্ছে। আমি হাত ধরে রেস্টুরেন্ট থেকে বের করলাম।)
সাফাঃ হাত ধরে টানছত কেনো?
আমিঃ তুই বাইরে আয় তকে বুঝাচ্ছি।
(বাইরে বের করে বললাম)
আমিঃ তুই জানিস না তুই কি করছত?
সাফাঃ আমি জানি তুই আমার কাছে আসবি।
আমিঃ তুই সুমাইয়াকে কী বলছত?
সাফাঃ তাকে শুধু বলছি তুই আমার EX। আর গতকাল রাতে আমরা খুব এনজয় করি।
আমিঃ কেনো বললি কেনো বললি।কেনো কেনো কেনো....?
আমি কাঁদতে শুরু করলাম।
সাফাঃ কেনো ঐদিন রাতের বেলা আমাকে চড় মারছত।আর আমি বেশ্যা মাগী না হ্যা আমি বেশ্যা যা। তর কাছে আমি বেশ্যা।
আমিঃ তুই কেনো এমন করলি। আমি তর কি ক্ষতি করছিলাম?
সাফাঃ তুই আমার কোনো ক্ষতি করছত না।বরং তুই আমার উপকার করছত। কিন্তু তুই আমারে চড় দিলি কেনো? আমি সব সয্য করতে পারি কিন্তু চড় সয্য করতে পারি না।
আমিঃ সামান্য চড় দেয়াতে তুই আমার জীবনটা শেষ করে দিলি। আমি সুমাইয়াকে ভালোবাসতাম।
সাফাঃ ভালোবাসতি হা হা। এখনকার ছেলেরা বলে ভালোবাসে।
আমিঃ তর কি মনে হয়?
সাফাঃ দেখ যা হবার হয়ে গেছে। এখন আমার আর কিছু করার নাই।
আমিঃ তুই আর কি করতি? যা করারতো করেই ফেলছত।
সাফাঃ তাহলে আমি যাই।
আমিঃ কিন্তু যাওয়ার আগে এটা নিয়ে যা।
আমি তাকে কষিয়ে চড় দিলাম। দিয়ে বললাম।
আমিঃ শুন তুই একটা বেশ্যা এটা এখন প্রমান করলি।তর যেদিন ডিভোর্স হয়েছিলো সেদিন যদি তুই তর বাবা মার কাছে মাফ চাইতি। সব সময় যদি সবার আড়ালে থেকে আল্লাহর কাছে দোয়া করতি। আর সব সময় পর্দা করতি তাহলে তুই আজকে নতুন স্বামী নিয়ে আর হয়তো বেবি নিয়ে সুখে থাকতি। না তুই কি করছত তুই রাস্তায় রাস্তায় মাগীদের মতো ঘুরে বেড়ায়ছত।যেখানে টাকা পাইছত সেখানে চলে গেছত। আর আমার মতো ছেলেদের ভালোবাসা নষ্ট করছত। তর কি দরকার ছিলো সুমাইয়াকে এটা বলার। সকালে আমাকে তুই ১০০টা চড় দিতি। সুমাইয়াকে এতো গুলো কথা না বলে। তর দুঃখতো মাত্র শুরু। সামনে তর জন্য নরক অপেক্ষা করছে। নরক অপেক্ষা করছে।এখনো সময় আছে ভালো হওয়ার। ভালো হয়ে যা।আর যেদিন তর মনে হবে তুই আগের থেকে চেন্জ হয়ে গেছত। আগের থেকে ভালো হয়ে গেছত।তাহলে প্লিজ সুমাইয়াকে ফোন করে বলে দিস কথা গুলো তুই মিথ্যা বলছত।
(এক শ্বাসে কথা গুলো বলি।কোথা থেকে দুজন ছেলে এসে বলল আনাস ভাই কোনো সমস্যা।)
আমিঃ না। (আমি বাবা মা মারা যাওয়ার আগে। এলাকার বস ছিলাম। আনাস বললে আমাকে সবাই চিনে। বাবা মারা যাওয়ার পর এসব ছেড়ে দেই। কিন্তু এলাকায় যদি কোনো সমস্যা হয়। তাহলে
বিচার করার জন্য এখনো ডাক দেয়। এলাকায় পাওয়ার নাই বললে ভুল হবে।
যেহেতু এই এলাকায় আমার জন্ম তাহলে পাওয়ারতো থাকবেই। দুজনকে আমি চিনি তারা আমার আগের ফ্রেন্ড ছিলো।
কিন্তু মা বাবা মারা যাওয়ার পর আস্ত আস্ত বন্ধু কমাতে থাকি। আস্তে আস্তে শূন্যের কোঠায় আমার ফ্রেন্ড।এখন আমি একা চলি।)
(আমি চলে আসি। বাসায় এসে সুমাইয়ার কথা চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে গেলাম।)
(সুমাইয়া মামার বাড়ি চলে আসে।আনাসের থেকে দুরে থাকতে। তার কারণ আনাস একটা ধোঁকাবাজ। সুমাইয়ার কেনো জানি মনে হচ্ছে আনাস এরকম না। অচেনা একটা মেয়ের কথা শুনে আনাসকে যা ইচ্ছে তাই বলছে। ধুর খারাপ নাহলেই বলছে।এখন যে করেই হোক আনাসকে ভুলে থাকতে হবে। এভাবে কষ্ট করে এক মাস চলে যায় মামার বাড়ি এখন আর আনাসকে এতো মনে পড়ে না। কারণ দোষটা তার। ৬ সপ্তাহে পর সুমাইয়া বাড়ি যায়। সুমাইয়া মামার বাড়ি থেকে অফিস করছে।
বাড়ি এসে সকালে। বিকাল বেলা বেলকনিতে দাড়িয়ে আছে এমন সময় দেখে আনাস। ভিতরটা কেমন যেনো চিন চিন করে ওঠলো।সে ভিতরে চলে যায়।
ভিতরে গিয়ে আগের সৃতি গুলো মনে করতে থাকে। কে জানি কলিং বেল টিপ দিলো। সুমাইয়ার মা গিয়ে দরজা খুলল।
মা দেখে আনাস।)
মাঃ বাবা কি প্রয়োজন?
আনাসঃ আন্টি সুমাইয়া।
মাঃ সুমাইয়া তকে কে জানি ডাকছে?
(সুমাইয়া যায়। গিয়ে আনাসকে কাছ থেকে দেখে। দেখে হ্রদয়টা মোচড় দিয়ে ওঠে।)
সুমাইয়াঃ কি চান আপনি? আপনি যে একটা প্রতারক।
আনাসঃ ওকে আমি প্রতারক।আমি ধোঁকাবাজ। আমি তোমাকে ঠকাইছি। তাহলে ব্রেকাপ করতে চাও। না
সুমাইয়াঃ আপনার মতো প্রতারকের সাথে আমার কোনো রিলেশন ছিলোনা।
আনাসঃ প্লিজ আমার কথাটা শুনো। প্লিজ এখানে না সাদে চলো। প্লিজ প্লিজ।
সুমাইয়াঃ আপনার সাথে আমি সাদে যাবো আপনি এটা ভাবলেন কি করে?
আনাসঃ প্লিজ আমাকে একা রেখে চলে যেয়ো না। আমার জীবনে কেউ নাই। কেউ নাই ভাবছিলাম তোমাকে আপন করে তোমার সাথে বাকি জীবনটা পার করে দিবো।প্লিজ আমাকে একা রেখে চলে যেয়ো না। এই ছয় সপ্তাহের প্রত্যেকটা দিন আমি এখানে এসেছি। প্লিজ প্লিজ সুমাইয়া চলো।
সুমাইয়াঃ ওকে।দাড়ান।
(সুমাইয়া ভিতর থেকে মোবাইলটা নেয়।
ভালো করে একটা ওড়না পরে নেকাব বানিয়ে। আর আনাসের সাথে সাদে যায়।
সাদে গেলে আনাস বলে।)
আনাসঃ তুমি কিন্তু আমাকে বলেছিলে তুমি আমাকে হান্ড্রেড পার্সেন্ট বিশ্বাস করো।
সুমাইয়াঃ বলেছিলাম কিন্তু এখন না।
আনাসঃ তুমি এখন আর আমাকে বিশ্বাস করো না?
সুমাইয়াঃ না। আর কেনই বা করবো কারণ আপনি মেয়েদের সতিত্ব লোট করছেন। আপনি কতো মেয়েদের ধোকা দিছেন।শেষ মেষ আমাকে। তকে আমি কেনো বিশ্বাস করবো?
আনাসঃ তোমাকে এসব কথা সাফা বলছে তাই না। শুনো আমার কথা শুনো।
এই সাফা হলো একটা বেশ্যা। সে আমাদের ক্লাস ফ্রেন্ড ছিলো। ডিভোর্স হওয়ার পর থেকে। সে রাস্তায় রাস্তায় বেশ্যাদের মতো ঘুরে বেড়ায়। ঐদিন রাতে যেদিন সকালে তুমি আমার কাছে আসছিলা তার আগের দিন রাতে প্রচন্ড্র বৃষ্টি ছিলো। তোমার সাথে কথা বলার পর সে আসে আমার এখানে। বলে ফ্রেন্ডের বাসা থেকে যাচ্ছে বৃষ্টির জন্য যেতে পারছেনা। তাই আমি তাকে ভিতরে এনে
তাকে থাকতে দিছি। সে রাতে অপকর্মের জন্য আহ্বান করে।কিন্তু তাকে আমি চড় দিয়ে রুম থেকে বের করে দেই।
সুমাইয়াঃ আর ঐ ভিজা কাপড় গুলো।
আনাসঃ ওগুলো হলো গতরাতে বৃষ্টিতে ভিজে বাসায় আসছিলো সে গুলো। বিশ্বাস করো আমি একটা কথাও মিথ্যা বলি নাই।
সুমাইয়াঃ নাইস স্টোরি। এভাবে গল্প বানিয়ে আর কতো মেয়েকে ফাঁদে ফেলে ভোগ করছেন।
আনাসঃ আর এসব কথা বলোনা।আমি সয্য করতে পারছিনা। প্লিজ আমার কথা গুলো বিশ্বাস করো।
সুমাইয়াঃ আপনার কথার মধ্যে আমার একবিন্দু বিশ্বাস নাই.........
(কে জানি সুমাইয়ার মোবাইলে কল দিলো। সুমাইয়া ধরে আনাসের থেকে দুরে
চলে যায়।)
+
(ভালো লাগলে পেজে একটা লাইক দিবেন)
সুমাইয়াঃ আসসালামু আলাইকুম কে।
সাফাঃ আমি সাফা।
সুমাইয়াঃ কেনো ফোন করেছেন?আবার আনাসের নামে কিছু বলবেন। প্লিজ বলার দরকার নাই।
সাফাঃ না আনাসের নামে কিছু বলবো না।
চলবে......
ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন।
আর প্লিজ হ্যাপি রেটিং দিবেন। ❤❤