গল্পঃ সিনিয়র বিধবা মেয়ে পার্টঃ ১১

গল্পঃ সিনিয়র বিধবা মেয়ে

নামঃ_সিনিয়র_বিধবা_মেয়ে 

পার্টঃ ১১

লেখকঃ_Osman

সুমাইয়াঃ কেনো ফোন করেছেন?আবার আনাসের নামে কিছু বলবেন। প্লিজ বলার দরকার নাই। 

সাফাঃ না আনাসের নামে কিছু বলবো না।

সুমাইয়াঃ তাহলে কেনো ফোন করলেন ?

সাফাঃ আসলে ঐদিন সকালে সব গুলো কথা আমি মিথ্যা বলছিলাম।

সুমাইয়াঃ কি?

সাফাঃ হুম। সব কথা আমি আপনার কাছে বানিয়ে বানিয়ে বলছি আপনার কাছে। 

সুমাইয়াঃ কেনো?

সাফাঃ কারণ গতরাতে সে আমাকে চড় দিয়েছিলো সেই রাগে আমি তার নামে সব বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা বলছি।যাতে আপনাদের ব্রেকাপ হয়।

সুমাইয়াঃ সে কেনো আপনাকে চড় দিবে?

সাফাঃ কারণ তাকে আমি রাতে অপকর্মে আহ্বান করছিলাম।তার কারণে একটা চড় খাইছি। আর ঐ ভিজা কাপড় গুলো রাতের বৃষ্টিতে ভিজা কাপড়। সুমাইয়া আসলে তুমি তাকে এখনো চিন্তে পারনাই।
অার তোমারো ঠিক হয় নাই অন্য আরেকজনের কথা শুনে আনাসকে কষ্ট দেওয়া। সুমাইয়া তুমি অনেক ভাগ্যবতি 
কারণ তুমি আনাসের মতো একজন মানুষকে পেয়েছো। আমি আনাসকে চিনি তার মতো ছেলে আমি আর দেখিনি। তুমি সত্যিই অনেক ভাগ্যবতি। তোমাকে মিথ্যা বলার জন্য আমাকে মাফ করে দিয়ো।
রাখি।বায়

(আমি ভাবতেছি সুমাইয়া কার সাথে এতক্ষন কথা বলছে। আবার কোনো বয়ফ্রেন্ড নাকি।কে জানি আমি যে এখানে আছি বোধহয় ভুলেই গেছে। তাহলে কি সুমাইয়ার কথা শেষ। তার মানে আমাদের সম্পর্ক শেষ। শেষ যেহেতু এখানে থেকে লাভ নাই। চলে যাই। আমি হাটা শুরু করলাম। আনাস ডাকে পিছনে তাকাই।
দেখি সুমাইয়া আমাকে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো।বলল)

সুমাইয়াঃ সরি আনাস সরি। আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিছি। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও।

(এই বলে আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো।)

আমিঃ আমি জানতাম একদিন তুমি সত্যি কথাটা জানবা।

সুমাইয়াঃ সরি আমাকে মাফ করে দেও।
 
আমিঃ তোমার উপর আমার কোনো রাগ নাই। আমি এটাই চেয়েছিলাম তুমি আবার ফিরে আসো। 

সুমাইয়াঃ আমি তোমাকে ্অনেক ভালোবাসি। 

আমিঃ আর আমিও। এখন নেকাবটা খোলো। 

সুমাইয়াঃ হুম।

সুমাইয়া নেকাব খুলে। আমি তাকে কিস করতে যাবো।এমন সময় সে আমার মুখ হাত দিয়ে বলল।

সুমাইয়াঃ যা শয়তান এখন না।

আমিঃ প্লিজ একটু।

সুমাইয়াঃ বিয়ের দিন মন ভরে দিউ।

আমিঃ কবে বিয়ে করবে।

সুমাইয়াঃ তুমি কবে করবা। 

আমিঃ আমার মন চাচ্ছে এখনই করে ফেলতে।

সুমাইয়াঃ তোমাকে কিছু কথা বলা দরকার। 

আমিঃ বলো আজ আমি তোমার সব কথা শুনবো।

সুমাইয়াঃ সে কথা শুনার তুমি আমাকে বিয়ে না করতে পারো।

আমিঃ তাহলে থাক পরে বইলো।

সুমাইয়াঃ না এখন বলবো।

আমিঃ আচ্ছা বলো। 

সুমাইয়াঃ আমি বিবাহিত। 

আমিঃ মানে হোয়াট?

সুমাইয়াঃ আমার একজন স্বামী ছিলো।
আমার আরো তিন বছর আগে বিয়ে হয়।

আমিঃ তাহলে তোমার স্বামী কোথায়? 

সুমাইয়াঃ মারা গেছে।  বিয়ের একমাস পর। 

আমিঃ তার মানে তুমি বিধবা। আমাকে আগে বলো নাই কেনো?

সুমাইয়াঃ আমি তোমাকে বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে সুযোগ তুমি আমাকে দেও নাই। 

আমিঃ ওহুম।

আমি চিন্তায় পরে গেলাম। এতোদিন একটা বিধবা মেয়ের সাথে রিলেশন করলাম। আমি বললাম 

আমিঃ সুমাইয়া সন্ধ্যা নেমে এসেছে বাসায় চলে যাও। 

সুমাইয়াঃ ওকে রাতে কল দিবা। 

আমিঃ ওকে।

(সুমাইয়া চলে যায়। আমি বাসায় আসি। বাসায় এসে আমার মাথায় চিন্তার রাজ্যে।😒। আমি একটা বিধবা মেয়ের প্রেমে পড়লাম। শেট শেট....ফা**।শেট আমার আগেই তার কথাটা শুনার দরকার ছিলো। তাহলে এতদিনে তাকে মানিয়ে নিতাম।না!না!সুমাইয়াকে ভুলা সহজ না।
আমি ভাবছিলাম আমিই হবো তার মুখ দেখা প্রথম ব্যাক্তি।আমিই হবো তাকে কিস করা প্রথম ব্যাক্তি। শেট শেট....।
তার জন্য এতো কষ্ট করলাম। এখন তারে ছেড়ে দেওয়া অসম্ভব। এমন সময় সুমাইয়ার কল।)

সুমাইয়াঃ কি করো?

আমিঃ কিছু না। 

সুমাইয়াঃ আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনি।

আমিঃ না না কিসের কষ্ট। তোমার সাথে রিলেশন হওয়ার পরতো কষ্টের ভিতরে আছি।

সুমাইয়াঃ সরি সব দোষ আমার। 

আমিঃ কারো দোষ নয়।

সুমাইয়াঃ তোমার যদি আমার ভালো না লাগে। তাহলে থাক আমি মেনে নিতে পারবো।

আমিঃ সুমাইয়া আমি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি শুধু আমাকে জাস্ট কিছু সময় দাও।

সুমাইয়াঃ ওকে রাখি।বায়। 

(যতোই কথা বলো সুমাইয়া আমি তোমাকে ভুলতে পারবো না। আর ভুলা বোধহয় সম্ভব না। আমি শেট শেট....।  আমি ভাবলাম বিধবা হইছেতো কি হইছে? ধুর সুমাইয়াকে ছাড়া আমি বাঁচবো না। সুমাইয়া আমি তোমাকে ভালোবাসি।  তাহলে সুমাইয়া আমার সিনিয়র বিধবা। সুমাইয়া আমি বিয়ে করলে তোমাকেই করবো। আমি সুমাইয়াকে কল্পনা করে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে ওঠে অফিসে গেলাম। গিয়ে কাজে মনোযোগ দিলাম। 
একজন লোক এসে বলল।বস আমাকে ডাকতাছে। আমি বসের অফিসে গেলাম।)

আমিঃ স্যার কিছু বলবেন? 

বসঃ হুম বসো।

আমি বসলাম।

আমিঃ স্যার..

বসঃ দেখো তুমি অনেকদিন ধরে এই অফিসে কাজ করছো। তুমি আমাদের বিশ্বাস অর্জন করেছো। তোমার কাজের প্রতি আমি অনেক খুঁশি। 

আমিঃ থ্যানকিউ স্যার।

বসঃ দেখো আমাদের আর এরকম কোনো লোক প্রয়োজন নাই। পিউনের কাজ করার। তাই তুমি চাকরিটা ছেড়ে দিতে পারো।

আমিঃ কিন্তু স্যার আমার ভুলটা কি বলেন?

বসঃ তোমার কোনো ভুল নাই। আমাদের আর পিউন লাগবে না।

আমিঃ ওকে স্যার। 

(আমি চলে আসি। সেই রেষ্টুরেন্টে গিয়ে বসলাম।কিছু ভালো লাগছে না।এমনই এক প্যারায় আছি। আরেকদিক দিয়ে চাকরিটা চলে গেলো। সুমাইয়াকে একটা ফোন দেই।)

আমিঃ হ্যালো সুমাইয়া কি করো?

সুমাইয়াঃ মাত্র গোসল করলাম।

আমিঃ ভালো। একটা বেড নিউস আছে।

সুমাইয়াঃ কী বেড নিউস?

আমিঃ আমার না চাকরিটা চলে গেছে।

সুমাইয়াঃ কেনো?

আমিঃ তাদের বলে আর পিউন দরকার নাই।

সুমাইয়াঃ তুমি এতো টেনশন করছো কেনো আমি আছি না। আমি চাকরি করবো আর তুমি বাড়ির ভিতরের কাজ সামলাইবা।

আমিঃ সত্যি। 

সুমাইয়াঃ হুম।

আমিঃ তুমি কি বাইরে বের হইবা।

সুমাইয়াঃ এখন মাত্র কাজ থেকে আসলাম খুব বরিং লাগছে। এখন বের হতে পারবো না।

আমিঃ ওকে। বায়। রাখি।

(সুমাইয়াকে আজ রাতে প্রোপোজ করবো।টাকা পয়সা নিয়ে আমার কোনো টেনশন নাই। কারণ বাবা যে সম্পত্তি রেখে গেছে তা আমার নাতি পুতি সবাই বসে খেতে পারবে।) 

সাফাঃ কিরে দোস্ত এখানে কি করেছিস? 

আমিঃ কে আপনি? আর আমিই কবে আপনার দোস্তো হইলাম।

সাফাঃ আমাকে চিনতে পারছস না। আমি সাফা।

আমিঃ তুই এরকম বোরকা পড়ে পর্দা করতাছত। তকেতো চেনাই যাচ্ছে না।
তাহলে তুই নিজেকে চেঞ্জ করে ফেলছত।

সাফাঃ হুম। দুই মাস পর আমার বিয়ে। 

আমিঃ কি বলিস? 

সাফাঃ হুম।। তর ঐদিনের কথা ভেবে আমি নিজেকে চেঞ্জ করে ফেলেছি। আর আমি সাকসেস হইছি। একছেলে আমাকে পছন্দ করছে। 

আমিঃ ভালো বিয়ের দাওয়াত দিস।

সাফাঃ কেনো দিবোনা অবশ্যই।তর জন্যই এতটুকু।  দোস্ত তকে অনেক ধন্যবাদ। 

আমিঃ ওকে কিছু খাবি। আমার না তাড়া আছে।

সাফাঃ কিসের তাড়া। বস তর সাথে কথা বলি।

আমিঃ ওকে বল।

সাফাঃ তর সুমাইয়ার কি খবর?

আমিঃ ভালো হেই না বিধবা।

সাফাঃ বিধবা হইছেতো কি হইছে? 

আমিঃ আমারো তাই কথা।

সাফাঃ তাকে কবে বিয়ে করবি?

আমিঃ এখনো ঠিক করি নাই।

সাফাঃ তাড়াতাড়ি করে ফেল।নাহলে দেখবি পাখি ওড়াল দিবে।

আমিঃ তাহলে আমি যাই। তুই যা খাওয়ার খা আমি পরে বিল দিয়ে দিবো।

সাফাঃ তুই যা।

(আমি বাসায় আসলাম।এসে কাপড় চেঞ্জ করলাম।সন্ধ্যা হলে পারফিউম দিয়ে। একটা ফুলের তোরা নিয়ে সুমাইয়ার বাসার সামনে গেলাম।)

চলবে.....

ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন। 
আর প্লিজ হ্যাপি রেটিং দিবেন। ❤❤
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post