পর্বঃ ১২
লেখকঃ শাওন আহমেদ নীল
আমিঃ হ্য মামা বল।
জয়ঃ মামা নিধী আপু সব যেনে গেছে সত্যিটা।
আমিঃ তুই জানলি কি করে৷
জয়ঃ আজকে আমাকে আর তানহাকে এক সাথে দেখেছে। তারপর আমরা সব বুঁজিয়ে বলছি।
আমিঃ ওকে বাই।
তারপর আমি লিমাকে গিয়ে বললাম। কালকে নিধী আপু আসবে।।
লিমাঃ কে বললো
আমিঃ আপু সব জেনে গেছে আমি সিওর আসবে।
লিমাঃ তাহলে ত ভালোই।
আমিঃ হিয়া তোমাকে একটা কাজ করে দিতে হবে।
হিয়াঃ কি কাজ ভাইয়া।
আমিঃ আমার গার্লফ্রেন্ড হতে হবে তোমার।
হিয়াঃ এসব কি বলছেন ভাইয়া?
লিমাঃ ভাইয়া তুমি কি পাগল হয়ে গেছো?
আমিঃ আরে আগে আমার কথা টা শেষ করতে দে।
লিমাঃ হুম বলো।
আমিঃ সত্যিকারের গার্লফ্রেন্ড না।
হিয়াঃ তাহলে?
আমিঃ অভিনয় করতে হবে।
হিয়াঃ ভাইয়া কি বলতে চাচ্ছেন ক্লিয়ার করে বলেন।
আমিঃ আমি সিওর আপু বিকালের বাসে রওনা
দিবে সকালে এসে চট্রগ্রাম নামবে। নিধী আপু আমাকে ওইদিন অনেক অপমান করছে।।
তাই আমিও একটু আপুকে কষ্ট দিতে চাই। তুমি সাথে আমার সাথে তাল মিলাবে।। বাকিটা আমি দেখব।
হিয়াঃ ওকে ভাইয়া এতোটুকু আপনার জন্য করতেই পাড়ি।।
আমিঃ ধন্যবাদ
হিয়াঃ ওয়েলকাম।
আমিঃ আর লিমা তুই ফসকে আবার কিছু বলে ফেলিস না৷ তর পেটে ত কোনো কথায় থাকে না।
লিমাঃ না বলব না।
আমিঃ হুম ওকে।। আচ্ছা তরা আড্ডা দে আমি রুমে যায়।
লিমাঃ আচ্ছা
এরপর আমি রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে আম্মুকে কল দিলাম।
আমিঃ আসসালামু ওয়ালাইকুম
আম্মুঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম
আমিঃ কেমন আছো আম্মু?
আম্মুঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো
তুই?
আমিঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
আম্মুঃ আজকের সন্ধার বাসে নিধী চট্টগ্রাম যাচ্ছে।
আমিঃ হুম জানি৷
আম্মুঃ কোনো কনটাক্ট হয়েছে কি তদের?
আমিঃ না আম্মু৷ আর এটা নতুন নাম্বার বাসার সবাইকে দিও।।
আম্মুঃ ওকে।
আমিঃ ভালো থেকো বাই
আম্মুঃ বাই।
এরপর আমি বড় আম্মুকে কল করলাম। বড় আম্মুর সাথে কথা বলে গেমস খেলতে শুরু করলাম। কখন যে রাত হয়ে হেলো টের ই পেলাম না। রাতে মামি ডাকতে আসলো আমি খেতে গেলাম।। খাবার টেবিলে সবাই বসে আছে। আমার জন্যই ওয়েট করতেছে। আমি যাওয়ার পরে সবাই খাওয়া শুরু করলো। তখন নানু বলল।
নানুঃ কালকে নিধী আসতেছে।
আমিঃ হুম জানি আম্মুর সাথে কথা হয়েছে।
নানুঃ সকালে গিয়ে বাস স্টান্ড থেকে নিয়ে আসবি।
আমিঃ স্যরি পারব না।
মামাঃ তুই না গেলে কে যাবে আমি সকালে ত অফিসে চলে যাবো।।
আমিঃ লিমা কে পাঠিয়ে দাও।
মামাঃ লিমা কি ড্রাইভ করতে পারে নাকি যে ও গিয়ে নিয়ে আসবে।
আমিঃ ড্রাইভার কি ঘাস কাটার জন্য রাখছো।
নানুঃ তুই গেলে নিধী অনেক খুশি হবে।।
আমিঃ বললাম ত আমি যাবো না।
মামিঃ মা নীল যখন যেতে চাচ্ছে না তাহলে ও যাবে না। লিমা গিয়েই নিয়ে আসবে।।
নানুঃ ওকে।
রাতের খাবার খেয়ে আমি চলে গেলাম রুমে। আপনারা হয়তো ভাবছেন যে নিধী আপুর সাথে ভুল বুজাবুজি হয়েছে তাই আমি অনেক স্যড মুডে চলে যাবো। গাজা মদ খাবো,, সারারাত না ঘুমিয়ে কাঁদব,,, আসলে আম জানিই নিধী আপু আমাকে
অনেক ভালোবাসে,, তখন আপু আমাকে ওই অবস্থায় দেখে সয্য করতে পারে নি, তার জন্য এমন বিহেভ করেছে। আর আপু তখন রাগের মাথায় ছিলো,,শান্ত হওয়ার পর বুঝালেই হতো।
বাট আমার এখানে আসার মুল কারণ হলো নিধী আপুকে একটা শিক্ষা দেওয়া। যাতে নেক্সট টাই ভুল বুঝবার আগে আমার কথা টা শুনে।
আজকে মনটা ফ্রেশ টানা পনেরো দিন পর কালকে নিধী আপু কে দেখব। কখনো এতোদিন নিধী আপুর থেকে দুরে থাকেনি। এসব ভাবতেছি আজকে চোখে একদম ঘুম নেই৷ শুধু ভাবতেছি কখন সকাল হবো কখন নিধী আপুর সাথে দেখা হবে। এসব ভাবতে ভাবতে শেষ রাতে ঘুমিয়ে পড়ি।
সকাল সাতটায় আমার ঘুম ভেঙে যায়।।
আমি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে যায়।
নিচে থেকে এক কাপ কফি নিয়ে আমি আবার আমার রুমে চলে আসি। রুমে এসে বেলকনিতে চলে যায়। বেলকনিতে বসে কফি খাচ্ছি আর মোবাইলে আমার আর নিধী আপুর ছবি দেখছি।
কিছুক্ষন পর বাসার সামনে একটা গাড়ি এসে থামে। গাড়ি থেকে নিধী আপু হিয়া লিমা বেড়িয়ে আসে। আজকে অনেক দিন পর নিধী আপুকে দেখলাম। দুর থেকেই দেখে বুঝা যাচ্ছে একদিন ঠিক মতো খাইনি ঘুমায় নি।। মুখটি একদম শুকিয়ে আছে।। নিধী আপু গাড়ি থেকে নেমেই আগে আমার রুমের বেলকনির দিকে তাকালো,, আমি দেয়ালের পাশে লুকিয়ে পড়লাম। নিধী আপু জানেই নানুর বাসায় এটাই আমার রুম।। আমি রুমে এসে খাটে শুয়ে পড়লাম। নিধী আপু কখন রুমে আসবে সে অপেক্ষা করতে লাগলাম।।
কিছুক্ষন পর নিধী আপু রুমের সামনে এসে দাড়ালো আমি দেখেও না দেখার বান করে রইলাম। নিধী আপু কিছুক্ষন দাড়িয়ে থেকে দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে দরলো । আমি সামলাতে না পেরে খাটের উপড় শুয়ে পড়লাম নিধী আপু ও খাটের উপড় শুয়ে পড়ল৷ নিধী আপু আমাকে জড়িয়ে দরে আমার কপালে গালে লিপে একনাগারে কিস করতে লাগলো।। আমি দাক্কা দিয়ে আপুকে আমার উপড় থেকে শরিয়ে দিলাম।
আমিঃ কি করছেন কি এসব আমার চরিত্রহীন ছেলেকে জড়িয়ে দরে আছেন , আবার কিস করতেছেন।
নিধীঃ স্যরি নীল আর কখনো এমন হবে না।
আমিঃ কি হবে না কি বলছেন এসব৷ আর আপনি এখানে কেন এসেছেন?
নিধীঃ প্লিজ মাফ করে দে আর কখনো তকে অবিশ্বাস করব না।
আমিঃ আমার মতো চরিত্রহীন ছেলের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কোনো দরকার নেই,, আর আপনি ত ভুল করেন নি৷
নিধীঃ দেখ তকে ছারা এই পনেরো দিন আমার পনেরো বছর মনে হয়েছে৷ প্লিজ আর রাগ করিস না।
আপুর চোখের পানি গাল বেয়ে পড়ছে,, এটা দেখে আমার বোকে চিনচিন ব্যথা অনুভব করলাম। বাট এতো সহযে ত মেনে নেওয়া যায় না, একটু হলেও কষ্ট দিতেই হবে৷ নাহলে এরকম ভবিষ্যতে আবার ও করবে।।।
নিধীঃ প্লিজ নীল কিছু বল।
আমিঃ কি বলব আমি।
নিধীঃ প্লিজ আমাকে তর বোকে নে,,এই পনেরো দিনে একবারো তর বোকে মাথা রাখতে পারি নি।।
আমিঃ স্যরি পারবো না,, আর চরিত্রহীন একটা ছেলের বোকে মাথা রাখবেন আপনি। ব্যপারটা হাইস্যকর দেখায় না।
নিধীঃ তুই যেমন ই হস তুই আমার হবু বর।
আমিঃ আপনাকে বিয়ে করা আমার পক্ষে পসিবল না।।।
হিয়া আর লিমা ও রুমে আসলে,, ওরা এসে এক পাশে দাঁড়ালো।
নিধীঃ বিয়ে করবি না মানে কি??
আমিঃ ওইযে ওই মেয়েকে দেখছেন ওর নাম হিয়া আমি ওকে খোব ভালোবাসি এবং হিয়া আমাকে অনেক ভালোবাসে।
একথা বলাতে আপু হাসতে লাগলো,,আমি অবাক হলাম এতে ত আপুর কষ্ট পাওয়ার কথা আপু হাসতেছে কেন? আমি লিমা আর হিয়ার দিকে তাকালাম ওরা ইসারাই বললো আমরা কিছু জানি
না।।
#চলবে