গল্পঃ পিচ্চি মেয়েটি পর্বঃ ১২ লেখকঃ তাসরিফ আহমেদ নীল

 

গল্পঃ পিচ্চি মেয়েটি
পর্বঃ ১২
লেখকঃ তাসরিফ আহমেদ নীল

নিধীঃ কলেজে যাবেন না। 

আমিঃহুম যাবো ত।

নিধীঃ তাহলে তারাতারি উঠেন।

আমি উঠলাম তারপর নিধী চলে গেলো। 

গুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করে 

আমি নিধী নীলা কলেজে চলে গেলাম। 

কলেজে গিয়ে গাড়ি থেকে নামতেই হিয়া নামের 
মেয়েটা আমার সামনে এসে দাড়ালো। 

নিধীঃ কি ব্যপার আপু আপনি আমাদের পথ
আটকালেন কেনো?

হিয়াঃ এই মেয়ে তুমি চুপ থাকো আমি নীলের 
সাথে কথা বলতে আসছি।
 
আমিঃ হুম বলেন। 

হিয়াঃ তোমরা একটু দুরে গিয়ে দাড়াও।

নীলাঃ কেন আপু আমাদের সামনে বললে
কি প্রবলেম। 

হিয়াঃ প্রবলেম আছে।

নিধীঃ আমরাও যেতে পারবো না প্রবলেম আছে।
হিয়াঃ নীলা তুমি একটু এদিকে আসো ত। 

এই বলেই হিয়া আমার হাত দরে ফেললো। 

নিধী সাথে সাথেই হিয়ার হাত জটকা মেরে ছাড়িয়ে দিলো। 

হিয়াঃ আচ্ছা তোমার প্রবলেম টা কি?

নিধীঃ আপনি ওনার হাত দরলেন কেন?

হিয়াঃ তাতে তোমার কি প্রবলেম? 

নিধীঃ উনি আমার বর আমার প্রবলেম থাকবে
না ত কার থাকবে।

হিয়াঃ এই মেয়ে শুনো তোমাদের বিয়ে টা এখনো 
হয় নি। 

নীলাঃ হয়নি হবে ত ভাইয়া চল ত। 

আমিঃ কিছু বললে ওদের সামনেই বলেন। 

হিয়াঃ আসলে নীলা আমি কোনো ন্যকামি করে 
গুড়িয়ে পেছিয়ে কথা বলতে পারবো না
 
আই লাভ ইউ। 

আমিঃ হোয়াট। 

হিয়াঃ হুম সত্যি বলতাছি
। 
নিধীঃ এই আপনার লজ্জা করে আরেকজনের 
বর কে প্রপোজ করতে। 

অনেকটা রেগেই কথা টা বললো।

হিয়াঃ না লজ্জা করে না কারণ আমি নীল কে ভালোবাসি নীল শুধু আমার। 

নিধীঃ না উনি আমার। 

আমিঃ এই যে মিস. হিয়া আপনি একটু বেশিই 
ভেবে ফেলেছেন। 

হিয়াঃ মানে?

আমিঃ আমার এই পিচ্চিটাকে ছেরে আর কাউকে 
ভালোবাসা সম্ভব না। 

নিধীকে জড়িয়ে দড়ে কথা টা বললাম। 

হিয়াঃ দেখা যাবে সেটা।। 

এই বলেই হিয়া চলে গেলো। 

নীলাঃ আচ্ছা ভাইয়া তর কি লজ্জা বলতে কিছু নেই?

আমিঃ কেন?

নীলাঃ যেখানে সেখানে রোমান্স করতে ব্যস্ত হয়ে 
পড়স। 

আমিঃ তাতে তর কি?

নীলাঃ ওকে আমি ক্লাসে গেলাম। 

তারপর নীলা চলে গেলো। 

নিধীঃ এই যে আপনি পাবলিক প্লেসে
জড়িয়ে দরে আছেন কেন? ছারেন 
আমাকে। 

আমিঃ তাতে কি আমার বউ কে আমি ধড়েছি। 

নিধীঃ এ আসছে বউ বলতে আগে বিয়েটা করে নিন। 

আমিঃ হুম করবো ত আর মাত্র এক বছর। 

নিধীঃ এক বছর আপনার কাছে মাত্র। 

আমিঃ হুম যাও ক্লাসে যাও। 

নিধীঃ আপনিও জান আর কোনো মেয়ের সাথে
জানি আপনাকে না দেখি বলে দিলাম।
 
আমিঃ ওকে। 

তারপর আমি জয় কে ফোন দিলাম।

আমিঃ হ্যলো কই তরা?

জয়ঃ আমরা সবাই ক্লাসে। 

আমিঃ ওকে আসতেছি। 

তারপর আমি ক্লাসে চলে গেলাম। 
ক্লাসে গিয়ে সামনের বেঞ্চ এ বসলাম। 

তারপর জয় রানা রাজু ওদের সাথে আড্ডা দিতে 
লাগলাম। 

একটু পড়ে ক্লাসে ছ্যার আসলো আমরা ক্লাস করতে লাগলাম।  একে একে তিনটা ক্লাস করলাম। 

ক্লাস শেষে কলেজ মাঠে সবাই বসে আড্ডা দিতে
লাগলাম।  কিছুখন পড়েই নিধীর ফোন আসলো। 

আমিঃ হুম বলো?

নিধীঃ কোথায় আপনি?

আমিঃ মাঠে বসে আছি
নিধীঃ একটু ক্যম্পাসে আসেন। 

আমিঃ ওকে। 

আমিঃ তরা বসই আমি একটু আসছি

রানাঃ কই যাবি
?
জয়ঃ বুজস না মজনুর লাইলি ফোন দিয়েছে। 

এই বলেই সবাই হাসতে লাগলো। 

তারপর আমি ক্যন্টিনে চলে আসলাম। 
ক্যন্টিনে এসে দেখি নিধী নীলা আর ওদের
সব ফ্রেন্ড রাই বসে আছে। 

বুঝলাম আমার পকেট খালি করার জন্য
সব গুলাই একবারে রেডি হয়ে আছে। 

আমিঃ কেমন আছো শালিকারা?

সবাইঃ হুম আলহামদুলিল্লাহ ভালো,,
আপনি?

আমিঃ হুম ভালো

নিধীঃ শুন তদের এখানে আনার মুল কারণ হলো
আজকে তদের দুলাভাই তদের ট্রিট দিবে।
সবাইঃ সত্যি ত 
আমিঃ হুম খাও তোমরা। 

দিছে বাশ টা দিয়া দিছে।  এইরকম বাশ
দেওয়ার কোনো মানে হয়।  

নিধী আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি একটা হাসি দিলো।  বুঝলাম না কোন অপরাদে এতো বড়
বাশ টা দিলো। 

নিধীঃ অর্ডার কর যার যা ইচ্ছা আছে সব অর্ডার কর বিল সব উনি দিবে তাই না। 

আমিঃ হুম অর্ডার করো। 

তারপর তারা এমন ভাবে ওর্ডার করতে লাগলো
মনে হয় কতোদিন দরে খাবার পায় না, 

আমিঃ আগে এগুলো খেয়ে নেও পড়ে আবার ওর্ডার করবে। 

সমস্যা নাই খেতে পারবো।

তারপর ওরা ইচ্ছা রকম খেলো। 

বিল দেখে ত মাথায় বাশ পড়লো থাক আর 
বলতে চায় না আমি। 

তারপর বিল দিয়ে আমি নিধীর কাছে আসলাম। 

আমিঃ তোমার সব খাদক বান্ধবী চলে গেছে?

নিধীঃ হুম 

আমিঃ নীলা আজকে এতো চুপচাপ? 

নিধীঃ আসলে আজকে ওকে একটা
 
নীলাঃ কিছুনা ভাইয়া( নীলা কথাটা কাটিয়ে নিলো)

আমিঃ ওকে চলো বাসায় যাবো।

তারপর আমরা বাসায় চলে আসলাম। 
বাসায় এসে আমি আমার রুমে চলে আসলাম। 
রুমে এসে শাওয়ার নিয়ে ড্রেস চেইন্জ করতে 
লাগলাম। 

ঠিক তখনি এমন একটা কান্ড ঘটলো

#চলবে
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post