পর্বঃ ৯
লেখকঃ তাসরিফ আহমেদ নীল
মেয়েটার মুখে এতোটা মায়া আছে যা ভাষায়
প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তার মধ্যো আমার ফেবারিট কালার এর সব কিছু পড়ছে।
নীল কালার শাড়ির সাথে মেচিং করা সব কিছু।
নিধীঃ কি দেখছেন এমন করে?
আমিঃ আমার পিচ্চি পরিটাকে
নিধীঃ এখানে পরি আসলো কয় থেকে?
আমিঃ তুমি পরির চাইতে কম কিসে।
নিধীঃ পাম কম দেন।
আমিঃ পাম না সত্যি।
নিধীঃ এই যে আমি শাড়ি পরছি আপনি শার্ট পড়তেছেন কেন?
আমিঃ ত কি পরবো?
নিধীঃ পান্জাবী পড়বেন
।
আমিঃ ওকে।
নিধীঃ নীল পান্জাবী আছে আপনার।
আমিঃ হুম।
নিধীঃ তাহলে ওটাই পড়েন।
আমি নীলার কাছে যায় দেখি ও কি করছে?
আমিঃ ওকে যাও।
তারপর আমি নীলা পান্জাবি পড়লাম।
তারপর রেডি হয়ে আমি নীলার রুমে গেলাম।
দেখি নিধী নীলাকে সাজিয়ে দিচ্ছে।
আমিঃ আর কতোখন লাগবে?
নিধীঃ পাঁচ মিনিট।
আমিঃ গাড়ির কাছে যাচ্ছি তোমরা আসো।
নিধীঃ ওকে যান আপনি।
তারপড় আমি গাড়ির কাছে চলে আসলাম।
গাড়ির কাছে এসে গাড়িতে হেলান দিয়ে
ফোন টিপতে লাগলাম।
একটু পড়েই নীলা আর নিধী আসলো দুজনকেই
অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে।
তারপর আমি গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টাট করলাম
নিধী সামনে এসে বসলো আর নীলা পিছনে
বসলো।
নীলাঃ ভাইয়া এখন কোথায় যাবো?
আমিঃ রেস্টুরেন্টে
নীলাঃ ওহ্
তারপর আমি রেস্টুরেন্টের সামনে গাড়ি দার করালাম যেখানে আমার ফ্রেন্ডরা অপেক্ষা করছে।
তারপর আমরা নেমে রেস্টুরেন্টের ভিতরে চলে গেলাম।
ভিতরে গিয়ে দেখি আমার সব ফ্রেন্ড রা ওয়েট করছে তারপর আমরা ওদের কাছে গিয়ে বসলাম।
সবাই আমার অভিনন্দন জানালো।
আমিঃ দোস্ত কি খাবি ওর্ডার কর আমার আবার যেতে হবে।
জয়ঃ এতো জলদি কিসের।
আমিঃ একটু কাজ আছে তারাতারি কর।
তারপর ওরা ওর্ডার দেওয়া শুুরু করলো
এমন ভাবে অর্ডার করতাছে মনে হয় এক মাস
দরে না খেয়ে আছে।
আমিঃ শালারা সব গুলা খাবার খেতে পাড়বি।
রানাঃ শুধু দেখ।
তারপর খাবার আসলে ওরা খাওয়া শুরু করে।
নীলা শুদু এক কাপ কফি অর্ডার করলো।
আমিঃ কি খাবে নিধী?
নিধীঃ আপনার ঠোঁট খেতে ইচ্ছা করতেছে।
(কানের কাছে মুখ এনে বললো)
আমিঃ ফাজলামো রাখো।
নিধীঃ ওকে এক কাপ ব্লাক কফি।
তারপর আমি নিধীর জন্য ব্লাক কফি আর
আমার জন্য একটা কুল ড্রিংকস অর্ডার করলাম।
তারপর সবার খাওয়া শেষ হলে আমি বিল দিয়ে
রেস্টুরেন্টের বাহিরে আসলাম।
তারপর আমার সব ফ্রেন্ড চলে গেলো।
নীলাঃ ভাইয়া এখন কি বাসায় চলে যাবি?
আমিঃ না একটু গুড়বো।
নীলাঃ তাহলে আমি বাসায় চলে যায়।
আমিঃ কেন?
নীলাঃ এমনি।
আমিঃ ওকে আমি রিক্সা ডেকে দিচ্ছি
।
নিধীঃ এক কাজ কর নীলা তুই গাড়ি নিয়ে চলে যা।
নীলাঃ তরা কেমন করবি?
নিধীঃ আজকে আমরা রিক্সায় গুড়বো
নীলাঃ ওকে বাই।
তারপর নীলা চলে গেলো
নিধীঃ কোথায় যাবেন এখন
।
আমিঃ চলো একটা পার্কে যায়।
নিধীঃ হুম চলেন।
তারপর আমি একটা রিক্সা ডাক দিলাম।
আমি রিক্সায় উঠে হাত বাড়িয়ে দিলাম।
নিধী আমার হাত দরে রিক্সায় উঠে বসলো।
রিক্সায় উঠেই আমার হাত দরে আমার কাদে
মাথা রাখলো।
রিক্সাওয়ালাঃ কই যাবেন মামা?
আমিঃ ভালো একটা পার্কে চলেন।
রিক্সাওয়ালাঃ ওকে।
তারপর রিক্সা চলতে শুরু করলো
নিধীঃ জানেন আমার না অনেক দিনের একটা ইচ্ছা পুরণ হলো।
আমিঃ কি ইচ্ছা।
নিধীঃ এই যে প্রিয় মানুষটার কাদে মাথা রেখে রিক্সায় গুড়ে বেরাবো।
আমিঃ আর কি উইস আছে
?
নিধীঃ কোনো এক নদীর পাড়ে বসে সন্ধার সময়
প্রিয় মানুষটির কাদে মাথা রেখে সুর্য অস্ত যাওয়া
দেখবো।
আমিঃ ওকে।
তারপর আমরা কথা বলতে বলতে
একটা পার্কে চলে আসলাম।
রিক্সাওয়ালাঃ মামা এসে পড়েছি।
তারপর আমি আর রিমি নেমে পড়লাম।
তারপর আমি পকেট থেকে ওয়ালেট টা
বেড় করে ১০০০ টাকার একটা নোট দিলাম।
রিক্সাওয়ালাঃ মামা আমার কাছে ত ভাংতি নাই?
আমিঃ আরে মামা রেখে দিন ত।
রিক্সাওয়ালাঃ ধন্যবাদ মামা।
আমিঃ হুম আর এখানেই ওয়েট করেন আমাদের জন্য।।
রিকসাওয়ালাঃ ওকে মামা।
তারপর আমি আর নিধী পার্কের ভিতরে ডুকলাম।
পার্কে গিয়ে একটা বেঞ্চে বসলাম।
তারপর আমরা গল্প করতে লাগলাম।
আমিঃ নিধী বাদাম খাবা?
নিধীঃ হুম।
তারপর আমি গিয়ে বাদাম কিনে আনলাম।
তারপর আমরা বাদাম খেতে খেতে গল্প করতে লাগলাম।
আমিঃ নিধী উঠো এখন আর কিছুখন পড়েই সন্ধা হয়ে যাবে।
নিধীঃ এখনি চলে যাবেন?
আমিঃ না
নিধীঃ তাহলে?
আমিঃ নদীর পাড়ে যাবো সুর্য অস্ত যাওয়া দেখতে।
নিধীঃ সত্যি
আমিঃ হুম।
আমার কথা শুনে নিধী এতোটা খুশি হয়েছে
যে সাথে সাথে আমাকে একটা কিস করে
বসলো।
আমিঃ পাবলিক প্লেসে কি করছো এসব?
নিধীঃ কি করলাম?
আমিঃ পাবলিক প্লেসে কেউ কিস করে নাকি?
লোকে কি বলবে?
নিধীঃ আমার জিনিস আমি কিস করবো তাতে লোকে কি বলবে।
আমিঃ হয়ছে এখন চলো।
তারপর আমি আর নিধী পার্কের বাহিরে চলে আসলাম।
দেখি রিক্সাওয়ালা মামা আমাদের জন্য বসে আছে।
তারপর আমরা রিক্সায় গিয়ে বসলাম
নিধী আগের মতোই আমাকে জড়িয়ে দরে
আমার কাদে মাথা রাখলো।
রিক্সাওয়ালাঃ মামা এখন কই যাবেন?
আমিঃ মামা যে কোনো একটা নদীর পাড়ে চলেন।
তারপর রিক্সাওয়ালা মামা যা বললো তা শুনে
আমি আর নিধী অনেকটা এক্সাইটেড হয়ে গেলাম।
#চলবে