✍লেখক✍কালো ভূত
🌺১৭তম পর্ব
❣
❣
জুঁই রুম থেকে নিচে চলে যায় আর রাসেল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একটা কথা নিয়ে চিন্তাই পরে যায়,কিছুতেই ভেবে পাচ্ছে না সেই কথার মানেটা,
সেই কথাটি হলো,,
চলেন রাসেলের মুখেই শুনে আশি,
রাসেল:-একটা কথা আমি ভেবেই পাচ্ছি না শিখা আমার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আমাকে মিথ্যা ধর্ষণের অপবাদি বানিয়েছে,
এতে তার খুশি থাকার কথা,কিন্তু ওর প্রতিশোধ নেওয়া তো হয়ে গেছেই তাহলে আমার বাড়িতে এখনো পরে আছে কেনো,নাকি শিখা আমাকে সত্যি সত্যি ভালোবেসে ফেলেছে,না এটা তো হবে না কারণ ওর মতো মেয়ে আমাকে কোন দুঃখে ভালোবাসতে যাবে,,
(আজকে একটু বেশি বিজি থাকার কারণে গল্প ছোট হলো দয়াকরে করে কিছু মনে না করে পড়েনিবেন)
এইসব কথা ভাবতেছে তখনই ওর মোবাইলে একটা কল আসে,কল করেছে নীল
আর রাসেল দেরি না করে কলটা রিসিভ করে,
রাসেল:-কিরে বেডা এখন মনে হলো আমার কথা,
নীল:-শালা তুই গেছস তাহলে ফোনটা করার কথা তোরি ছিলো সেটাতো করসিনাই বরং আমি ফোন
করছি তাও উল্ট ঝাড়ি দিচ্ছিস,
শালা বাটপার,
রাসেল:-হাহাহা তুই আমার বন্ধু তাই সব আমার আগে তুই খবর নিবি পরে আমি নিমু বুঝলি বাটপার,
নীল:-শালা তোর সাথে কথাই আমি কোনদিন পারিওনাই আর মনেও হয়না কোনদিন পারবো,
তাই বল ঠিক ভাবে পৌঁছে গেছস তো,
রাসেল:-হুম এসেছি,
কিন্তু একটা সমস্যা হয়ে গেছে,
নীল:-কি সমস্যা আমাকে খুলে বল আমি সব সমস্যার সমাধান দিতে পারবো,
রাসেল মনে মনে ভাবে,
রাসেল:-না এইকথা নীলকে বলা যাবেনা,
তাহলে হয়তো ও কষ্ট পেতে পারে,
তারছে বরং আমি পরে সব খুলে বলবো,মনে মনে,
আরে বন্ধু আমি তোকে সবকিছু পরে খুলে বলবো,
এখন বলতে পারবোনা,
নীল:-আচ্ছা ঠিক আছে তোর যখন ইচ্ছা হয় আমাকে বলিস,
আর শোন আমাদের কোম্পানির সাথে যেই আমেরিকান কোম্পানির একটা ডিল তুই করেছিলি সেইটা সফল হয়ে গেছে,
রাসেল:-দোস্ত এটা অনেক ভালো খবর শুনাইলি,
আর শোন তুই সবকিছু গুছিয়ে কাজ শুরু করিস,যা বুঝবিনা সেইগুলা আমাকে বলিস আমি বলে দিমু,
নীল:-আচ্ছা দোস্ত ঠিক আছে,
এখন রাখি তুই ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করিস,
আর নিজের শরীরের যত্ন নিস,
রাসেল:-ঠিক আছে আর তুইও,
ওহহহ একটা কথা তো তোকে বলাই হয়নি,
নীলার বড়ের নাকি চাকরি চলে গেছে,
নীল:-হুম কিন্তু তুই এইসব খবর রাখস কেমনে,
যা আমি জানিনা সেইসব আমার আগেই তুই জেনে যাস,
রাসেল:-দোস্ত সবকিছু জানতে হয়,
তোর বন্ধু বলে কথা,আর শোন রাহাত কে আমাদের অফিসে ম্যানেজার পদটা দিয়ে দে,
নীল:-দোস্ত এইটা আমি বলতে চেয়েছিলাম তোকে কিন্তু সাহস হয়নি,
রাসেল:-দোস্ত তুই না হলে আমি এতোকিছুর মালিক কোনদিন হতে পারতাম না,
আর আমার সবকিছু তুই দেখাশোনা করস এখন তাহলে তোর উচিৎ ছিলো আমি বলার আগেই রাহাত কে একটা চাকরি দিয়ে দেওয়া,
নীল:-সরি দোস্ত,
আসলে আমি মনে হয় কখনো ভালো কাজ করেছি জার জন্য তোর মতো এতো ভালো মনের একটা বন্ধু পাইছি,
রাসেল:-হয়েছে হয়েছে আর ইমোশনাল হতে হবেনা, তুই তোর কাজ করতে থাক আর জা বললাম সেইটা কর,
নীল:-ঠিক আছে দোস্ত খোদা হাফেজ
তারপর রাসেল কল কেটে দিয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে একটা ড্রেস পরে বের হয় কিছু খাবার জন্য, সিড়ি দিয়ে নামতেই দেখতে পাই নিচে ছোফাতে সবাই মন মরা হয়ে বসে আছে,
রাসেল সেই দিকে ধ্যান না দিয়ে সোজা বের হয়ে যায়,
আম্মু:-দেখছো রাসেলের আব্বু রাসেল কোথাও গেলো অথচ আমাদের সাথে একটা কথাও বলল না,
আব্বু:-কথা বলার রাস্তা টা কিন্তু আমরাই বন্ধ করেছি ওর কি দোষ ধরব বলো,
আম্মু:-হুম আমরাও তো রাগ করে ওকে কম কথা বলিনি, আর সেই তুলনায় এইটুকু রাগ করাটা ওর সাভাবিক,
শিখা কিছু বলছেনা শুধু নিরবে সব কিছু শুনেই যাচ্ছে,কিবা বলবে তার জন্যই তো এই সাজানো সুন্দর সংসার টা নরকে পরিনত হয়েছে,
এর জন্য সেইতো দায়ি,
জুঁই:-ভাবি তোমার চোখে পানি কেন,
তুমি কান্না করতেছো,
শিখা:-কৈ নাতো,আসলে চোখে কি যেনো পরেছে তাই চোখে পানি জমেছে,
জুঁই:-ভাবি আমি কোনো ছোট্ট বাচ্চা না যে আমাকে আপেল দেখিয়ে বলবে এটা কমলা আমি সেইটা বিশ্বাস করব,
আম্মু:-মামুনি তোর কষ্টটা আমি বুঝি একটু অপেক্ষা কর দেখবি সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে,
এইভাবে তারা সবাই অনেক কথা বলে,
কিছু সময় পরে রাসেল খাবার খেয়ে তার বোনের জন্য একটা প্যাকেট নিয়ে আসে,
রাসেল:-জুঁই এইটা তোর জন্য আনলাম নিবি নাকি ধর্ষকের হাতের কোনো জিনিস এই বাড়িতে নেওয়া যাবেনা,
রাসেলের এমন কথা শুনে সবাই নিচের দিকে তাকিয়ে আছে,
রাসেল যে তাদের কে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলেছে সেটা তাদের বুঝতে বাকি নেই,
জুঁই:-ভাইয়া তুই আমার জন্য কিছু এনেছিস আর আমি সেইটা নিবোনা এটা তুই ভাবলি কি করে,
রাসেল:-এইতো আমার লক্ষি বোন এই নে ধর,
আম্মু:-রাসেল কোথায় গিয়েছিলি,
আমাদের বলে গেলেও কিন্তু পারতি,
রাসেল:-আমি কোথাও যাবো কি যাবো না সেইটা আপনাদের বলার প্রয়োজন মনে করিনা,
আর আশা করি কখনো জানতে ও আসবেন না,
বলেই রাসেল আর কোনো কথা না শুনেই তার রুমে চলে যায়,
আম্মু:-দেখছো রাসেল কি ভাবে কথা বললো,
আব্বু:-এইটা তো কিছুই না,
যেদিন আমরা বলেছিলাম,
আগে যদি জানতাম তুই বড় হলে এমন ধর্ষক হবি তাহলে আশুর্দা ঘরেই লবণ খাওয়াই মেরে ফেলতাম,
আম্মু:-আমরা না হয় ভুল করেছি তাই বলে আমাদের সাথে এরকম করবে,
আব্বু:-সময় দাও দেখবে ওর অভিমান কমে গেলে আমাদের ক্ষমা করে বুকে টেনে নিবে,
জুঁই রাসেলের দেওয়া প্যাকেট টা খুলেই অবাক কেননা সব ওর পছন্দের জিনিস,
ফুচকা, ক্যাটবেরি চকলেট আরো অনেক কিছু,
জুঁই সবাই কে দিয়ে নিজেও খাই আর রাসেলের জন্য কিছু রেখে দেয়,
উপরে দাঁড়িয়ে রাসেল সব দেখতেছিল,এক পর্যায়ে শিখার খাওয়া দেখে রাসেল হাসতে শুরু করে কেননা শিখা বাচ্চাদের মতো চকলেট খেয়ে মুখে মেখেফেলেছে,
শিখা:-জুঁই এইগুলা কার জন্য রাখলে শুনি,
জুঁই:-এইগুলা আমার ভাইয়ার জন্য,
শিখা:-আচ্ছা এইগুলা আমি নিয়ে যায় তোমার ভাইয়ের কাছে,
জুঁই:-ভাইয়া যদি রাগ করে বাড়ি থেকে চলে যায় তাহলে,কি হবে,ভাইয়া তো বলেই দিছে আমি ছাড়া ওর রুমে যেনো কেউ না যায়,
শিখা:-কিছুই বলবেনা,
তখন আমার উপরে রাগ করে বলেছে,
দাও আমি নিয়ে যায়,
তখন ঐগুলা শিখা ভয়ে ভয়ে রাসেলের রুমে নিয়ে যা,
ভয় পাবেইনা কেনো বলেন তখনকার আগুন ভরা চোখ যে এখনো শিখার চোখের সামনে ভাসে,
শিখা:-আসতে পারি,
দরজার সামনে দাঁড়িয়ে,
রাসেল চোখ বুঝে সুয়েছিলো,
শিখার ডাক শুনে সামনে তাকিয়ে শিখাকে দেখেই মেজাজ গরম হয়ে যায়,
রাসেল:-তুই আমার রুমে কোন সাহসে এসেছিস,
যা বের হ আমার রুম থেকে,
রাসেলের দমক শুনে শিখা কাপা শুরু করে,
চোখের কোণে স্পষ্ট জল দেখা যাচ্ছে
শিখা:-এইগুলা তোমার জন্য
জুঁইএর থেকে নিয়ে আসলাম,
রাসেল:-শোন মাইর যদি খেতে না চাস তো এখান থেকে যা,
শিখা:-না তোমাকে এইগুলা খাওয়াবো তারপর যাবো,
বলেই শিখা একটা ফুচকা রাসেলের মুখে দিতে যাবে অমনি ঠাসসসসস ঠাসসসসস করে দুইটা থাপ্পড় লাগিয়ে দেয় রাসেল,
থাপ্পড় টা এতোটাই জোরে ছিলো যে শিখা ফ্লোরে পরে যায়,খুব খারাব লাগতেছে শিখার,
চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরতেছে,
রাসেল:-ন্যাকা কান্না বাত দিয়ে তারাতাড়ি আমার চোখের সামনে থেকে দূর হও কৈলাম,
ঝাঝালো কণ্ঠে,
শিখা:-আমার সাথে এমন কেনো করতেছো,
আমি না হয় একটা ভুল করেছি তার জন্য কি ক্ষমা পাবনা বলো,
রাসেল:-না পাবিনা যা এখান থেকে,
শিখা:-প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও
রাসেলের পা ধরে বলে,আর রাসেল পা সরিয়ে নিয়ে,
রাসেল:-ক্ষমা করতে পারি যদি তুই আমার হারানো সব দিন গুলো ফিরিয়ে দিতে পারিস,
আমার উপর থেকে কলঙ্কের দাগ মুছে দিতে পারিস,
শিখা:-এমন করে বলিও না প্লিজ,
খুব কষ্ট হয় আমার,
রাসেল:-যা এখান থেকে না হয় মাইর খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হ,
শিখা:-তোমার ইচ্ছা হলে আমাকে মারো কাটৌ তবুও ক্ষমা করে দাও প্লিজ,
রাসেল:-ধ্যাত থাক তুই আমি চলে যায়,
বলেই রাসেল রুম থেকে বেরিয়ে ছাদে চলে যায়,
আর রুমে বসে,
শিখা:-তুমি যতই রাগ অভিমান করো না কেনো আমার ভালোবাসা দিয়ে সব দূর করে তোমার পাথরের মনে আমার ভালোবাসার ফুল ফুটিয়েই ছারবো,
তুমি যতই কষ্ট দাওনা কেন আমি সব নিরবে সহ্য করে যাব,
শিখা কান্না করতে করতে সেখানেই বসে থাকে চোখটাও ফুলে গেছে,
তাই ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিচে চলে যায়,
যেনো কেউ বুঝতে না পারে শিখা কান্না করেছে,
এইদিকে রাসেল একা একা ছাদের এক কোণায় দাঁড়িয়ে ভাবছে,
রাসেল:- থাপ্পড় টা বেশি জোরে দিয়েছি এমন করে না মারলেও পারতাম,
ছি ছি আমি এইসব কি ভাবতাছি এই মেয়ের জন্য এইরকম আচরণ তাই বেটার,
একটুপরে রাসেল রুমে চলে আসে,
রাতের খাবারের জন্য বাইরে যাবে তখনই,
জুঁই:-ভাইয়া চল খাবার খাবি,
রাসেল:-নারে এইবাড়ির পবিত্র খাবার আমার মতো অপবিত্রের গলা দিয়ে নামবেনা,
তুই যেয়ে খেয়েনে আমি বাইরে থেকে খেয়ে আসবো,
জুঁই কে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই লাসেল বাসা থেকে বেড়িয়ে খাবার খাওয়ার জন্য যায়,
জুঁই ও রুমে আর দাঁড়িয়ে না থেকে নিচে নামে রাসেলের আম্মু জুঁই কে একা সিড়ি দিয়ে নামতে দেখে,
আম্মু:-কিরে জুঁই রাসেল কোথায় গেলো আর তুই এখন একা কেন,
জুঁই:-ভাইয়ার গলাদিয়ে তোমাদের বাড়ির খাবার নামবেনা সেটাই বলে বাইরে থেকে খেতে গেলো,,,
❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣
সবাইকে জানাই বিজয় দিবসর শুভেচ্ছা,
আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
।।।।।।।।।।বাই বাই টা টা।।।।।।।।।।।।
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
💝..........চলবে........
💝
🌺আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,
আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো প্রকার ভুল ক্রটি হয় তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে🌺
🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺
🌺Wait for next part coming tomorrow 6am to 7am🌺