#ধর্ষণের_মিথ্যা_অপবাদ
✍লেখক✍কালো ভূত
🌺১০ম পর্ব
❣
❣
লোকটি:-আসলে হয়েছেকি ভাই,
না থাক ভাই আপনে এইসব বুঝবেননা,
শুধু আপনাক বলে আমার সময় নষ্ট হবে,
রাসেল:-আরে ভাই আপনে একটু আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে বলেন আমি ঠিকই বুঝতে পারবো,দেইখেন,
লোকটি:-আচ্ছা এতো করে যখন বলছেন তখন না আমার মনটা নরম হয়ে গেলো,
বলেই ফেলি,
তাহলে শোনেন আমার কথা মন দিয়ে,
আমরা এই বাড়িতে কারেন্টর কাজ করেছিলাম,
কিন্তু একটা কাজে এসে আটকে গেছি কিছুতেই কাজ টা করতে পারছিনা বলতে ফল্ট টা ধরতেই পারছিনা কোথায় হয়েছে,
#আমাকে কেউ গল্প পড়ার জন্য ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দিলে অবশ্যই এ্যাক্সেপ্ট মি লিখে একটা টেক্সট দিবেন, হাই হ্যালো দিলে রিকুয়েস্ট গ্রহণ যোগ্য হবেনা, ঝুলেই থাকবেন ধন্যবাদ,
গল্পের মাঝে বারতি কথা বলার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত 🙏🙏
রাসেল:-এটা কোনো বেপার হলো নাকি,
লাইনে ফল্ট হয়েছে সেটা চেক দিলেই তো বের হয়ে যায়,
রাসেলের কথা শুনে লোকটি হো হো করে হেসে ওঠে,
লোকটি:-হাহাহা আমরা এইটা জানি কিন্তু কোথায় হয়েছে সেইটা জানতে পারলে তো কাজ হয়েই যায়,
রাসেল:-আচ্ছা আমি কি একটু দেখতে পারি সমস্যা টা,
যদি আপনাদের সমস্যা টা ঠিক করতেই পারি তাহলে তো ভালোই হবে তাইনা,
লোকটি:-জীবনে কারেন্টের কাজ করেছেন নাকি,
যেই দেখতে চাইছেন,
একটা কিছু হলে আবার হাসপাতালে নিয়ে দৌড় পারতে হবে,
যান এখান থেকে, দেখেই বোঝা যাচ্ছে পাগল একটা,
আসলেই রাসেল কে দেখে পাগল মনে হয় তার কারণ জেল থেকে বেরিয়ে এখনো চুল দাড়ি কাঁটাইনি,
রাসেল:-ভাই আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা আমি ঠিকই পারবো,
তখন লোকটি অনেক রেগে যায়,
আর বলে
লোকটি:-ধ্যাত যান তো এখান থেকে এমনিতেই খাট্টাস বুইড়ার জালায় টিকতে পারছিনা আবার আইছে এই পাগলটা জ্বালাতে,
ঐলোকটার চিল্লাচিল্লির শব্দে ভিতর থেকে মিস্টার নিল ভের হয়ে আসে,
নিল হচ্ছে ঐ লোকটির বস,
নীল:-এই রাতুল এমন করে চিল্লাস কেনো,
ঘরে কি বউ মরে গেছে নাকি,
এমনিতেই এক জ্বালাই আছি,
ওর তার মানে লোকটির নাম রাতুল,
রাতুল:-স্যার আসলে হয়েছে কি,
তারপর উপরের সব কথা খুলে বলে,
নীল:-কি বলিস এই করবে কারেন্টের কাজ,
তাও আবার আমরা এতো দক্ষ হয়েও পারছিনা,
তিনদিন ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছি,
আর সেই কাজ করবে,
এটা একটু বেশি হয়ে গেলোনা,
রাতুল:-স্যার আমি সেটা বোঝাইতে এতো সময় চিল্লাসছিলাম,
রাসেল:-দেখেন আমি এই কাজ পারবো,
আপনেরা তো পারতেছেন না আমাকে একটু সুযোগ দিয়ে দেখেন,
তারপর না হয় এই সব বলিয়েন,
তারপর নীল কি যেনো ভেবে রাসেল কে কাজ টা করার অনুমতি দেই,
নীল:- আচ্ছা তুই যখন এতো করে বলতেছিস তখন একটা সুযোগ তোকে দিলাম,
যাহ,
রাসেল:- ধন্যবাদ,
আচ্ছা চলেন আমাকে ডিবি বোর্ড দেখান,
তারপর রাসেল কে ডিবি বোর্ডের কাছে নিয়ে যায়,
আর কি সমস্যা সেটা খুলে বলে,
যেই সমস্যা রাসেলের ধরতে এক মিনিট ও লাগবেনা, আর এরা তিনদিন ধরে এটা ঠিক করতে পারছেনা,
রাসেল হাসতাছে,
রাসেল:-হাহাহা,
নীল:-এই তুই পাগল হয়ে গেলি নাকি হাসোস কেন,
রাসেল:-এই সামান্য সমস্যা টা ধরতে পারেন নাই এটা ভেবেই হাসি পাচ্ছে,
রাতুল:-দেখছেন স্যার আমরা তিনদিন ধরে এই কাজ করতে পারিনি আর এই শালা বলে নাকি সামান্য সমস্যা,
রাসেল:-এটা সামান্য সমস্যা নাতো কি বলেন,
নীল:-তোর কাছে সামান্য সমস্যা মনে হলে ঠিক কর দেখি কেমন করতে পারিস,
রাসেল তখন সমস্যা টা ঠিক করে দেয়,
সকলেই অবাক এই পাগল কি করে পারলো এটা,
নীল:-আচ্ছা তুই এটা কি করে ধরতে পারলি,
তোকে দেখে তো পাগলি মনে হচ্ছে,
রাসেল:-তেমন কিছু না ঐ বাসাই কোনো কিছু নষ্ট হলে ঠিক করতাম তাই একটু জানা ছিলো,
সেই ধারণা দিয়েই করলাম,
নীল:-তুই কি আমাদের পাগল ভেবেছিস নাকি হুম,
এই কাজ কোনো ইন্জিনিয়ার বা ইলেকট্রিশিয়ান না হলে এটা বোঝা অসম্ভব,
রাসেল:-দেখেন ভাই কিছু কিছু সময় আমাদের জানা জিনিস টা ও ভুল হয়,
একটা কাজ পাঁচ মিনিটেই করতে পারবো কিন্তু না বুঝে পাঁচ ঘন্টাতেও শেষ করতে পারিনা,
এটাও তেমনি একটা বিষয়,
নীল:-তুই যত যায় বলিস না কেনো,
আমি বিশ্বাস করবোনা,
যে কেউ এই বিষয়ে দক্ষ না হলে এই কাজ করতে পারবে, এখন বল তুই কি,
রাসেল ভেবে দেখে না এখন না বলে উপায় নেই এরা ছাড়ার পাত্র না,
রাসেল:-আমি ইলেকট্রিক্যাল এ ডিপলোমা ইন্জিনিয়ার,
বিএসসি তে ভর্তি হয়েছিলাভ প্রথম বর্ষে ভাগ্য খারাপ তাই পড়া হয়নি,
ঐখানে থাকা সবার উদ্দেশ্যে বলে,
নীল:-দেখেছিস তোরা আমার আন্দাজ ভুল না,
আচ্ছা তুই কি আমাদের সাথে কাজ করবি,
রাসেল তো অনেক খুসি কাজ করতে বলার কারণে, কারণ রাসেল একটা কাজ তো খুজতেছিলো,
রাসেল:-আমি আপনাদের সাথে কাজ করবো,
নীল:-ঠিক আছে আজ থেকে তুই আমার বন্ধু,
আমাকে তুই করে বলবি,
আর সবচেয়ে বড় কথা তুই এইখানে আমার সম্মান রক্ষা করেছিস,
তারপর ঐখানে সকল হিসাব করে টাকা নিয়ে সবাই বেরিয়ে আসে,
হটাৎ লক্ষ্য করে নীল,
রাসেল কেমন দুর্বল,হাতটে পারতেছে না,
নীল:-রাসেল তুই কি কোনো বিষয়ে চিন্তা করতেছিস,
তোকে অনেক টাই দুর্বল লাগতেছে,
রাসেল:-আসলে বন্ধু আমি দুইদিন হলো পানি ছাড়া কিছুই খাইনা,
কাছে টাকা পয়সা নেই,মনটা খারাপ করে
রাসেলের কথা শুনে নীল সহ সবাই অনেক টাই অবাক হয় কেননা আজকে দিনে ও কেউ না খেয়ে থাকে,
নীল:-কি বলিস এইসব তুই না খেয়ে আছিস আগে বলবি না,
রাসেল:-বলার সাহস হয় নি,
আচ্ছা আমাকে কিছু খেতে দেনা,
নাহলে দেখবি আমার প্রাণ পাখিটা আমার দেহ নামক খাচা থেকে বেরিয়ে যাবে,
তারপর নীল রাসেল সহস সবাই কে একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে খাবার খাওয়াই,
এখন রাসেলের অনেক ভালো লাগতেছে,
অন্তত পেটকে শান্তি তো দিতে পেরেছে,
নীল:-রাসেল তোর তো থাকার জায়গা নেই চল আমাদের সাথে থাকবি,
আমার বাড়িতে কেউ থাকেনা ছোট একটা বোন ও ঢাকাতে থাকে,
রাসেল:- আচ্ছা চল,
তারপর রাসেল নীলের সাথে নীলের বাড়িতে চলে আসে,
রাসেল:-এতো বড় বাড়ি তাও তুই একা থাকিস,
নীল:-হুম বন্ধু আমার ছোট বোনটা একবছর দুইবছর পর পর এসে আমাকে দেখে যায়,
রাসেল:-ও আচ্ছা,
তারপর নীল রাসেল কে বাসার সব কিছু বুঝিয়ে দেই,আর,
নীল:-রাসেল তুই যা ফ্রেস হয়ে নে তুই অনেক ক্লান্ত,তোর ঘুমানো দরকার,
রাসেল:-হুম আমি যাচ্ছি আর তুইও ফ্রেস হয়ে নে,
তারপর দুইজনে ফ্রেস হয়ে এসে শুয়ে পরে,
রাসেল শুয়ে শুয়ে ভাবতে থাকে,
কতো আনন্দ ময় দিন ছিলো তার জিবনে,
আর একটা কাল বৈশাখী ঝড়ে সব তছনছ হয়ে গেলো,
কতোই না দুষ্টুমি রাগ অভিমান করতো তার আদরের বোন জুঁই এর সাথে,
আর আজ কতো দিন হলো আদরের বোনটার মুখটা দেখতে পারেনা,
নিজের অজান্তেই চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরে,
আর অতিতের সাগরে ডুব দেয়,
একদিন জুঁই বসে বসে খাতায় ছবি আঁকতে ছিলো,
আর তখন রাসেল এসে সেইটা নষ্ট করে দেই,
জুঁই:-ভাইয়া তুই আমার এটা নষ্ট করলি কেনো,
অনেকটা রেগে,
রাসেল:-যাহ পেত্নি আমি নষ্ট করেছি নাকি,
নষ্ট তো তোর হাত দিয়েই হলো,
আমার দোষ কি,
হাসতে হাসতে,
জুঁই:-যা তোর সাথে কোনো কথা নেই যা এখান থেকে,
বলেই জুঁই মুখ ফুলিয়ে চোখের পানি ফেলতে থাকে,
আসলে জুঁই অনেক শখ করে ওর ভাইয়ের ছবি একেছিলো কিন্তু সেইটা নষ্ট করার জন্য অনেক কষ্ট পাই,
আর কান্না করে যেইটা রাসেল সহ্য করতে পারেনা,
রাসেল:-এই ছুটকি তুই কান্না করতেছিস কেনো আমি সরি,
এই দেখ আমি কানে ধরছি,
কিন্তু জুঁই কোনো কথা বলছেনা,
রাসেল:-এই কথা বল,
এই দেখ আমি কান ধরে বিলাইয়ের মতো করছি,
তখন জুঁই ভাবে তার ভাই অনেক কষ্ট পাচ্ছে,
জুঁই:-আমার এই ভাবে রাগ কমবে না,
অন্য কিছু করলে রাগ আর কান্না কমতে পারে,
হুম
রাসেল:-কি করলে তোর রাগ কমবে শুনি,
জুঁই:-বেশি কিছুনা,
শুধু আইসক্রিম ফুসকা আনলেই হবে,
রাসেল:-আচ্ছা ঠিক আছে,
আমি এনবোনি এইবার তো রাগ কমা,
তখনি নীল শুনতে পাই রাসেল একা একাই কথা বলছে,
নীল:-এই রাসেল তুই একা একা কথা বলি কেনো কি হয়েছে তোর,
রাসেল:-কে কে,
ও নীল ডাকছিস কেন আমি ঘুমিয়ে ছিলাম,
নীল:-আরে তুই একা একাই কথা বলছিলি,
চুপ করে ঘুমা,
তারপর রাসেল একটু পানি খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পরে,
সকালে দুই বন্ধু একসাথে মসজিদ থেকে নামাজ পরে বাসাই আসে,
নীল:-আচ্ছা তুই রেস্ট নে আমি নাস্তা বানাই আবার সাইটে যেতে হবে,
রাসেল:-আচ্ছা ঠিক আছে,
কিন্তু আমি ও তোর সাথে রান্না করবো,
তুই একা কেনো কষ্ট করবি হুম,
নীল:-আচ্ছা চল,
তারপর দুইজনই একসাথে রান্না করে খেয়ে নেই,
দেন কাজ করার জন্য সাইটে চলে যায়,
নীল আর রাসেল কাজ করতে থাকে,
নীল অবাক রাসেলের কাজ করার ধরণ দেখে,
এতো সুন্দর ভাবে কাজ করে আর সবাইকে বুঝিয়ে দেয়,
সবাই একটুতেই বুঝে যায় আর আগের থেকে বেশি কাজ করে,
রাসেল:-শোনেন আমাদের সবার রেজেক কিন্তু এই কাজ দিয়েই জোটে,
তাই আমাদের উচিৎ সত ও নিষ্ঠার সাথে বেশি কাজ করে এই কোম্পানি কে বড় করা,
নীল:-রাসেল ঠিক বলেছে,
এইভাবে আমরা কিন্তু কখনো ভেবে দেখিনি,
এইভাবে চলে যায় দুইমাস,
এখন রাসেল আর নীল পাটনারশিপে কোম্পানি খুলেছে,
এবং এই কোম্পানির মান অনেক ভালো সবাই কাজ দেয়,
নীল:-রাসেল আমি একটা কথা বলতে চাই,
রাসেল:-কিরে তুই একটা কথা বলবি আর সেইটার জন্য আমার থেকে অনুমতি চেয়ে ছোট করে দিচ্ছিস,
নীল:-আরে ঠিক সেইটা না,
রাসেল:-আচ্ছা আগে তো বল,
নীল:-আমি চাই তুই আবার বিএসসি তে ভর্তি হয়ে পড়াশুনা শেষ কর,
রাসেল:-নারে ভালো লাগেনা,
অনেক পিছনে পরে আছি,
নীল:-তাই কি তুই আবার শুরু করবি,
নিজেকে প্রতিষ্ঠিত কর,
রাসেল:-তুই যখন বলছিস তখন আমি ভর্তি হবো কিন্তু তার জন্য আমার কাগজ পত্র আনতে হবে,
নীল:-তুই কাগজ পত্র গুছিয়ে রেডি কর,
আমার পরিচিত একটা স্যার আছে,
তার সাথে আমি কথা বলে সব রেডি করি,
রাসেল:-আচ্ছা ঠিক আছে,
তারপর রাসেল ভাবতে থাকে নীলের কাছে তো ঠিকই বললো কাগজ পত্র আনবে কিন্তু কি করে আনবে কলেজে তো যেতে পারবেনা,
স্যার দিবেও না,
আর সেখানে রাসেলের যাওয়ার ইচ্ছে ও নেই,
তখনই রাসেলের একজনের কথা মনে পরে,
যার মাধ্যমে কলেজ থেকে কাগজ আনতে পারবে,
তাই রাসেল মনে মনে সিদ্ধান্ত নেই,
তার সাথে যোগাযোগ করবে,আর সেই মানুষ টা আর কেউ না সে হলো,,,,,
❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣
আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
।।।।।।।।।।বাই বাই টা টা।।।।।।।।।।।।
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
💝..........চলবে........
💝
🌺আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,
আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো প্রকার ভুল ক্রটি হয় তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে🌺
🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺
🌺Wait for next part coming tomorrow 6am to 7am🌺
#ধর্ষণের_মিথ্যা_অপবাদ
✍লেখক✍কালো ভূত
🌺১১ম পর্ব
❣
❣
সেই মানুষ টা আর কেউ না সে হলো জেলার আদনান সাহেব,
রাসেল কিছু না ভেবে আদনান সাহেবের নাম্বারে ফোন দেয়,
রিং হচ্ছে, কিরিং কিরিং
রাসেল:-হ্যালো আসসালামুয়ালাইকুম
কেমন আছেন,
আদনান:- ওয়ালাইকুমাসালাম,
আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি,তুমি কে বাবা তোমাকে তো চিনতে পারলাম না,
রাসেল:- আংকেল আমাকে চিনতে পারছেন আমি রাসেল,
#আমাকে কেউ গল্প পড়ার জন্য ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দিলে অবশ্যই এ্যাক্সেপ্ট মি লিখে একটা টেক্সট দিবেন, হাই হ্যালো দিলে রিকুয়েস্ট গ্রহণ যোগ্য হবেনা, ঝুলেই থাকবেন ধন্যবাদ,
গল্পের মাঝে বারতি কথা বলার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত 🙏🙏
আদনান:-ওহহ রাসেল
কেমন আছো আর এতোদিন পরে আমার কথা মনে পরলো,
রাসেল:-আপনেতো জানেনি আমার অবস্থা,
কেমন আর ভালো আছি,
আপনার কথা আমি সব সময় মনে করি,
আদনান:-তুমি সব সময় আমার কথা মনে করো এই জন্যই হয়তো আমি খেতে বসলে বেসম খাই,
রাসেল:-হাহাহা কি যে বলেন না,
আংকেল একটা দরকারে আপনাকে ফোন করেছি,
আদনান:-হুম বলো আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করব তোমার উপকার করার,
রাসেল:-আমি পড়াশোনা শেষ করতে চাই,
তার জন্য আমার কলেজ থেকে কাগজ পত্র আনতে হবে,
আদনান:-সেইটা তো ভালো কথা,
তো এই কলেজে এসে নিয়ে যাও,
রাসেল:-আমি গেলে ধর্ষক বলে অপমান করে তাড়িয়ে দিবে,
আপনাকেই যে ভাবে হোক কাগজ তুলে দিতে হবে,
আদনান:-আচ্ছা ব্যবস্থা করতেছি,
তুমি চিন্তা করোনা,
তারপর অনেক কথা বলে রাসেল কল কেটে দেয়,
পিছন থেকে নীল বলে,
নীল:-রাসেল আমি স্যারের সাথে কথা বলে সব ঠিক করেছি,তুই কাগজ আনলেই সব হয়ে যাবে,
রাসেল:-আমি ব্যবস্থা করতেছি,
পেয়ে যাবো কোনো চিন্তা নেই,
এইভাবে কাজের মধ্যে দিয়েই কেটে যায় অনেক গুলো দিন,
রাসেল কলেজে ভর্তি হয়েছে,
ক্লাস করবেনা শুধু পরিক্ষা দিবে,
এইভাবে নানান কষ্ট অবহেলা সহ্য করতে করতেই অতিবাহিত হয় আড়াই বছর,
এখন রাসেল ও অনেক ধনী,
গাড়ি বাড়ি কোনো কিছুরি অভাব নেই,
সবাই একনামে চেনে Rk,
সামনে রাসেলের বিএসসি ফাইল পরিক্ষা,
এইটা শেষ করলেই সে বিএসসি ইন্জিনিয়ার হবে,
অনেকতো এদের কথা শুনাল চলেন একটু রাসেলের পরিবারের কথাও শুনে আসি,
একদিন রাতে শিখা জায়নামাজে বসে আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে মোনাজাত করছে,
শিখা:-হে আল্লাহ মানুষ ভুল করলে আবার ক্ষমাও পায় কিন্তু আমি কি কোনদিন ক্ষমা পাবোনা,
তোমার কাছে তো কোনো কিছুই অভাব নেই তাহলে রাসেল কে আমার জীবনে ফিরিয়ে দাও,
আমি যে আর পারছিনা এইভাবে কষ্ট বয়ে বেরাতে,
চোখের জল টপটপ করে হাতে পরতেছে,
তবুও সেইদিকে খেয়াল নেই তার,
এই অবস্থায় শিখাকে যে দেখতো সেই কান্না করে দিতো,শিখা ঘুমিয়ে পরে,
সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে সকলের জন্য নাস্তা তৈরি করে খাবার টেবিলে পরিবেশন করে,
সবাই খেতে আসে,
জুঁই:-আম্মু ভাইয়া আজো ফিরে এলোনা,
কত দিন হলো তাকে দেখিনা,
আম্মু:-তুই দেখিস রাসেল ঠিকই একদিন ফিরে আসবে,
জুঁই:-তাই যেনো হয় আম্মু,
তোমার কথা যেনো আল্লাহ কবুল করে,
এইদিকে শিখা এক মনে তাদের কথা শুনছে আর চোখ থেকে জল ফেলছে,
যেইটা জুঁই ঠিকই খেয়াল করে,
জুঁই:-ভাবি তুমি কান্না করতেছো কেনো,
শিখা:-কৈ নাতো,
চোখে পোকা পরেছিলো তো তাই এমন,
আব্বু:-শিখা যায় বলনা কেনো,
আমরা বুঝি তোমার কষ্ট,আর কতো রাসেলের পথ চেয়ে বসে থাকবে বলো,
আমি চায় তুমি বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করো,
শিখা:-বাবা আমার এই দেহে যত দিন প্রাণ আছে তত দিন আপনার ছেলের পথ চেয়ে বসে থেকেই যাবো,
আর বিয়ের কথা না বলে আমাকে গলা টিপে মেরে ফেলেন, তাও বিয়ের কথা বলিয়েন না,
কান্না করে,
আব্বু:-আচ্ছা তুই কাদিস না সব ঠিক হয়ে যাবে,
আল্লাহর উপরে ভরসা রাখ,
এইদিকে রাসেলের পরিক্ষা তাই প্রচুর পড়তেছে,
নীল কফি এনে বলে,
নীল:-দোস্ত আর পড়তে হবেনা এমনিতেই তুই ভালো রেজাল্ট করবি,
রাসেল:-দোস্ত কি যে বলিস না,
সবাই ক্লাস করেই পারেনা আর আমি তো ক্লাস করিনি তাহলে না পড়ে কি করে পারবো বল,
নীল:-যায়হোক তুই কফি খেয়ে পড় কেমন,
আর শোন আমরা নতুন যেই প্রজেক্ট টার জন্য চেষ্টা করেছি সেটা পেয়েগেছি,
রাসেল:- সত্যি,
এতো বড় প্রজেক্ট আমরা পেয়েগেছি,
পুরো পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট এটা,
নীল:-হুম রে,
আচ্ছা তুই পড় আগে তোর পরিক্ষা শেষ হবে তারপর এই বিষয়ে কথা বলবো তার আগে না,
এইভাবে দেখতে দেখতে রাসেলের পরিক্ষা চলে আসে,
আজকে পরিক্ষা,
রাসেল:-নীল আমি তো যাচ্ছি পরিক্ষা দিতে আমার জন্য দোয়া করিস,
তুই ছাড়া তো আর কেউ নেই,মন খারাপ করে,
নীল:-তোর জন্য আমার দোয়া সব সময় আছে,
আর আমি তোর পরিবারের কথা জানতে চাইলেই এরিয়ে যাস কেনো,
রাসেল:-পরে জানতে পারবি,
এখন আমি আসি বাই,
দেখেশুনে থাকিস,
তারপর রাসেল পরিক্ষা দিতে যাবে তাই বাড়ির সামনে এসে একটা রিকশা নিয়ে যাত্রা শুরু করে,
নিজের গাড়ি আছে তবুও,
গেট দিয়ে ডুকে সোজা ক্লাস রুমে চলে যায় একটু পরে পরিক্ষা শুরু হয়,
রাসেলের সব কমন পরছে,
সামনে পিছনের জন দেখে দেখে লিখতেছে,
খুব ভালো পরিক্ষা হয় রাসেলে,
পরিক্ষা শেষ করে বাসাই চলে যায়,
নীল ছোফায় বসে বসে রাসেলের আসার জন্য অপেক্ষা করতেছে,
নীল:- বন্ধু পরিক্ষা কেমন হলো,
আগে সেইটা বল পরে অন্য কিছু বলিস,
রাসেল:- আল্লাহ আর তোর দোয়ায় আমার পরিক্ষা অনেক ভালো হয়ছে,
নীল:-শুকরি শুনে খুবই খুশি হলাম,
দোয়া করি তোর প্রতিটি পরিক্ষা যেনো অনেক অনেক ভালো হয়,
তারপর রাসেল আর নীল একসঙ্গে ফ্রেস হয়ে খাবার খেয়ে নেয়,
পাঁচদিন পরে পরিক্ষা,তাই নীল বলে,
নীল:- রাসেল আজকে একটু চল সাইটে থেকে ঘুরে আসি,
রাসেল:-হুম চল,
অনেক দিন হলো যাওয়া হয় না,
তারপর দুইজনই রেডি হয়ে গাড়ি টা নিয়ে সাইটে চলে আসে,
এসে দেখে সবাই ভালো ভাবেই কাজ করতেছে,
দেখে আবার চলে যায়,
রাস্তায় জ্যামে আটকে আছে রাসেলদের গাড়ি,
রাসেলের চোখ আটকে যায় সামনের এক বাচ্চার উপরে,
তার বয়স আনুমানিক আট বা নয় বছর হবে,
ছেলেটি বিক্ষা করতেছে,
রাসেল:- নীল তুই গাড়ি একটু সামনে নিয়ে আসেক আমি নেমে যাচ্ছি,
নীল:-কেনো নেমে যাবি তুই,
রাসেল:-পরে বলতেছি,
বলেই চলে যায় ছেলেটির কাছে,
রাসেল:-আচ্ছা বাবা তুমি এইটুকু বয়সে বিক্ষা করতেছো কেনো,
তখন ছেলেটি রাসেলের দিকে তাকায়,
আর বলে,
ছেলেটি:-ভাইয়া আমার বাবা একটা এ্যাক্সিডেন্টে পঙ্গু হয়ে ঘরে পরে যায়,
আর মা খুব অসুস্থ আজ দুই দিন হলো কিছুই খেতে পারিনা,
বাবা মা ও কিছু খাইনি তাই আমি বিক্ষা করতে এসেছি কিন্তু কেউ কিছু দেইনা,
ছেলেটির চোখে জল,
রাসেলের ও কষ্ট হয় ছেলেটির কথা শুনে এইটুকু বয়সে বাবা মার কষ্ট বুঝতে পারে আর আমরা বড় হয়ে ও বুঝতে পারিনা,
রাসেল:-চলো আমার সাথে,
ছেলেটি:-কোথায় যাবো,
অনেক টাই অবাক হয়ে,
রাসেল:-ভয়নেই আসো আমার সাথে,
এইদিকে নীল একটু একটু করে গাড়ি আগে নিচ্ছে আর রাসেলের কাহিনি দেখতেছে,
রাসেল ছেলেটিকে নিয়ে একটা দোকানে যায়,
রাসেল:-চাচা পাঁচশত টাকার খবরের কাগজ দিন,
নানান রকমের,
দোকানদার:-এইনাও বাবা,
রাসেল পেপাগুলো নিয়ে,
রাসেল:-শোনো তুমি এই পেপার গুলো বাস স্টেশন ট্রেন স্টেশন নানান জায়গায় বিক্রি করবে,
যেই টাকা লাভ হবে সেটা রেখে বাকি টাকা দিয়ে আবার এখান থেকে খবরের কাগজ কিনে নিয়ে যাবা,
ছেলেটি:-হুম বুঝেছি,
তারপর রাসেল প্রয়োজন মতো কিছু চাল ডাল আর কিছু টাকা ছেলেটার হাতে দিয়ে চলে আসে
গাড়িতে,
নীল:-আজ আমি মুগ্ধ তোর কাজ দেখে,
তুই একটা ছেলের জন্য এতোকিছু করলি যা আজকাল পরিচিত কারোর জন্যে ও করেনা,
রাসেল:-তুই কিভাবে দেখলি,
আশ্চর্য হয়ে,
নীল:-দেখেছি আমি তোর সব কান্ড,
খুব ভালো কাজ করেছিস,
এখান চল বাসাই যায়,
তারপর বাসাই চলে আসে এইভাবে দেখতে দেখতে রাসেলের পরিক্ষা শেষ হয়ে রেজাল্ট এর দিন চলে আশে,
রাসেল:-দোস্ত আজকে না ভালো লাগছেনা যদি খারাপ হয়,
নীল:-দোস্ত আমার দোয়া তোর সাথে হামেসাই রাহেগা,
আর তোর যদি খারাপ হয় তাহলে কেউ পাশ করতেই পারবেনা,
রাসেল:-হাহাহা সবাই কি আমার মতো গাধা নাকি যে ফেল করবে,
এইভাবে অনেক কথা বলে,
রেজাল্ট পাবলিস্টের সময় হয়ে যায়,
নীল আর রাসেল দুইজন মিলে রেজাল্ট দেখে,
যেটা দেখে সেইটা দেখেতো নীল হার্ট এ্যাটাক হবার মতো আর রাসেলের চোখে জল,
কেননা রাসেল সিজিপিএ 4 পেয়েছে,
যা ওদের কলেজে কেউ করতে পারেনি,
নীল:-দোস্ত কংগ্রেস,
রাসেল:- ধন্যবাদ,
নীল তখন দৌড়ে গিয়ে ফ্রিজ থেকে মিষ্টি এনে সেও খাই আর রাসেল কে খাইয়ে দেই,
পরের দিন মসজিদে মিষ্টি দেয়,
আর ওদের সব সাইটে দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা করে দেই,
এইভাবে কেটে যায় অনেক গুলো দিন,
রাসেলের পানি উন্নয়ন বোর্ডে একটা বড় পদে চাকরি হয়,
রাসেল:-দোস্ত তুই না সাহায্য করলে আমি এই পর্যায়ে কখনো পৌছাতে পারতাম না,
তুই শুধু আমার বন্ধু না ভাইও বটে,
নীল:-দেখ দোস্ত এইভাবে বলিস না,
আল্লাহ আমাকে হয়তো উছিলা করে তোর কাছে পাঠিয়েছে কিন্তু সব কিছু তুই নিজে করেছিস,
দোস্ত আজকে তোর পরিবারের কথা আমাকে বলতেই হবে,
রাসেল:-আজ তোকে সব বলবো,
কিন্তু তুই আমার জীবনের কাহিনি শুনে সহ্য করতে পারবিনা,
নীল:-পারবো তুই বল,
রাসেল:-তাহলে শোন,
আমি একজন ধর্ষণ মামলার শাস্তি পাওয়া আসামি, দুই বছরের জেল হয়েছিল আমার,
নীল:-কি বলছিস এইসব,
খুলে বল,
তারপর রাসেল সব কিছু খুলে বলে,
সব কিছু শুনে নীল কান্না করে দেই,
একটা মানুষের জীবনে এতো কষ্ট থাকার পরে ও হাসতে পারে যেইটা রাসেল কে না দেখলে বুঝতেই পারতোনা,
নীল:-মানুষ এতোটা খারাপ কি করে হয়,
দোস্ত আমি মনে করি শিখার তো দাষ আছেই কিন্তু সবচেয়ে বেশি দোষ অনামিকার,
নীলাতো বাধ্য হয়ে করেছে,
আর সাক্ষী ও দেইনি,তাই নীলার দোষ নেই,
অনামিকা আর শিখাকে ছাড়বিনা,
তারপর নীলের কথা শুনে রাসেল যা বলে,,,,
❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣
আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
।।।।।।।।।।বাই বাই টা টা।।।।।।।।।।।।
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
💝..........চলবে........
💝
🌺আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,
আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো প্রকার ভুল ক্রটি হয় তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে🌺
🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺
🌺Wait for next part coming tomorrow 6am to 7am🌺